চারদিক- বগুড়া জেলা মুক্ত দিবস by তৌফিক হাসান
বগুড়া জেলা মুক্ত হয় কবে? এই নিয়ে আছে অনেক মত, নানা তথ্য। কেউ বলছেন ১৩ ডিসেম্বর, কেউ বলছেন ১৪ ডিসেম্বর আবার কেউ বলেন ১৬ ডিসেম্বর। ফলে বগুড়া মুক্ত দিবস নিয়েও আছে নানা মতামত।
আমি বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা, কাগজপত্র, ইতিহাস, লিখিত যুদ্ধের কাহিনি পড়ে যতটুকু উপলব্ধি করেছি এবং প্রমাণাদি পেয়েছি, তার ওপর ভিত্তি করে বলতে চাইছি, দিনটি হলো ১৮ ডিসেম্বর।
বগুড়া জেলার বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা প্রথম স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলনকারী আলহাজ মমতাজ উদ্দীন বলেন, ‘বগুড়া শহর সম্পূর্ণ মুক্ত তারিখ ঠিক মনে নেই, তবে ১৩ ডিসেম্বর নয়, সম্ভবত দিনটি ছিল শুক্রবার।’ বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম বলেন, ‘বগুড়া মুক্ত ১৩ ডিসেম্বর হবে না। কারণ, আমার স্পষ্ট মনে আছে, ওই দিন শহরে শেলিং, গোলাগুলি তখনো হচ্ছিল।’ তিনি ১৫ ডিসেম্বর বগুড়া মুক্ত হওয়ার কথা সমর্থন করেছেন। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বগুড়া জেলার কমান্ডার আমিনুল ইসলাম, ডেপুটি কমান্ডার ইলিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ, মুক্তিযোদ্ধা হাজি আবু বক্কর সিদ্দিকী, সহকারী কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বগুড়া জেলা ইউনিট কমান্ডসহ আরও অনেক বিশিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধার সাক্ষাৎকারে ১৫ ডিসেম্বর বগুড়া জেলা মুক্ত হওয়ার পূর্ণ সমর্থন পাওয়া গেছে। তা ছাড়া বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম ও কাহালু থানা মুক্ত হয় ১৩ ডিসেম্বর। এখন পর্যন্ত ১৩ ডিসেম্বর নন্দীগ্রাম থানা মুক্ত দিবস হিসেবে পালন করা হয়। তাহলে ১৩ ডিসেম্বর বগুড়া মুক্ত, বিষয়টি ঠিক নয়। তা ছাড়া যুদ্ধের নিয়ম অনুযায়ী জেলার বা কোনো অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডিং অফিসার ওই অঞ্চলের সম্পূর্ণ মুক্ত হওয়ার যে তারিখ ঘোষণা করবেন, সেই তারিখ অনুযায়ী সে অঞ্চল মুক্ত দিবস হিসেবে বিবেচিত হয়। বগুড়া জেলার বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা হামিদুর হোসেন তালেক বীর বিক্রমের লেখা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এ বিষয়ে ১৫ ডিসেম্বর মুক্ত হওয়ার সমর্থন পাওয়া যায়।
বগুড়া শহর মুক্ত করার জন্য চতুর্মুখী আক্রমণ চালাতে গিয়ে যে দল যেদিক দিয়ে বগুড়া শহরের কাছাকাছি এসে সেই স্থানকে যখন শত্রুমুক্ত করেছে, তাঁরা সেই সময়কে বগুড়া মুক্ত হওয়ার দিন বলে উল্লেখ করেছেন। ১৩ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন দল ও মিত্রবাহিনী বগুড়া শহরের আশপাশে বিভিন্ন দিক থেকে ঢুকে পড়ে। মুক্ত করে বগুড়া জেলার অধিকাংশ স্থান। ১৩ ডিসেম্বর মিত্রবাহিনীর এক মাউন্টেইন রেজিমেন্টের ব্রিগেডিয়ার প্রেমা সিং এক ব্রিগেড সেনা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে এ দল বগুড়া শহর থেকে তিন-চার কিলোমিটার উত্তরে নওদাপাড়া, চাঁদপুর ও ঠেঙ্গামারা গ্রামের মধ্যবর্তী স্থান লাঠিগাড়ি পাথারসংলগ্ন বগুড়া-রংপুর মহাসড়কে অবস্থান নেন। আরেক দল ঢোকে ক্ষেতলাল হয়ে সান্তাহার দিয়ে কাহালু হয়ে, মিত্রবাহিনীর কমান্ডিং অফিসার সিও কর্নেল দত্তের নেতৃত্বে অন্য আরেক দল মুক্তিযোদ্ধা ঢোকে দক্ষিণ দিকে সুখানপুকুর, গাবতলী হয়ে পুলিশ লাইনসের কাছাকাছি ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের কাছে। এ দলে প্রায় ৭৬টি অত্যাধুনিক ট্যাংকও ছিল। এ দলের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ছিলেন বগুড়া জেলার বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা বীর বিক্রম হামিদুর হোসেন তারেক। পুরো উত্তরাঞ্চলের দায়িত্বে ছিলেন মিত্রবাহিনীর মেজর জেনারেল লচমন সিং। বিভিন্ন দিক থেকে ঢোকা এসব অকুতোভয় যোদ্ধা বগুড়া শহরকে পুরোপুরি মুক্ত করতে গিয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কলোনি, টেকনিক্যাল কলেজ, সরকারি আজিজুল হক কলেজ পুরোনো ভবন, ফুলবাড়ী, মাটিডালিতে অবস্থান নিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধ করে। ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে এ রকম খণ্ডযুদ্ধ। এসব খণ্ডযুদ্ধ অনেক জায়গায় পাকিস্তানি বাহিনীর শক্ত অবস্থান থাকায় ভয়াবহ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এর মধ্যে পুলিশ লাইনস ও টেকনিক্যাল কলেজের সম্মুখযুদ্ধ উল্লেখযোগ্য। ভোর থেকেই ১৫ ডিসেম্বর মিত্রবাহিনী আর মুক্তিযোদ্ধাদের দল বগুড়া শহরের ওপর চতুর্মুখী সাঁড়াশি আক্রমণ চালায় বগুড়া জেলার জিরো পয়েন্টে। ঐতিহাসিক সাতমাথার গোলচত্বরে স্বাধীন বাংলার পতাকা ওড়ানো হয়। আনন্দে যোদ্ধারা জয় বাংলা বলে স্লোগান দেয়, রাইফেল থেকে আকাশের দিকে গুলি ছোড়ে। আনন্দে আত্মহারা সব মুক্তিযোদ্ধা, কারও চোখে তখন অশ্রু। অনেকে গেয়ে উঠল, ‘আমার সোনার বাংলা...’।
ষোলোই ডিসেম্বর ঢাকা রেসকোর্সে ময়দানে পাকিস্তানি বাহিনীর আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণ হওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে। সারা দেশের বিভিন্ন জেলার মতো বগুড়া জেলায়ও তার আনন্দের দোলা লাগে।
১৭ ডিসেম্বর মিত্রবাহিনীর ২০ মাউন্টেইন ডিভিশনের জিওসি, পাকিস্তানি বাহিনীর মেজর জেনারেল অফিসার কমান্ডিং নজর হোসেন শাহকে তাঁর নাটোর হেডকোয়ার্টার্স থেকে বগুড়ায় আনার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। এখানে উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় এ অঞ্চলের পাকিস্তানি বাহিনীর হেডকোয়ার্টার্স ছিল নাটোর। ১৮ ডিসেম্বর বগুড়া জেলার ফুলবাড়ীর ওয়াপদা রেস্টহাউসে পাকিস্তানি জিওসি নজর শাহ বগুড়া জেলা মুক্ত হওয়ার আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণপত্রে স্বাক্ষর করলেন, মিত্রবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের এ অঞ্চলের নেতৃত্বদানকারী কমান্ডিং অফিসার মেজর জেনারেল লচমন সিং-এর কাছে। আত্মসমর্পণ করার ছবি, মিত্রবাহিনী এবং পাকিস্তানি বাহিনীর স্বাক্ষরিত দলিল বগুড়া মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।
১৯৭১ সালের ১৮ ডিসেম্বর হয়ে গেল এক ইতিহাসের অমূল্য চিহ্ন। বয়ে গেল বগুড়া জেলার গৌরবোজ্জ্বল দিন।
তৌফিক হাসান
লেখক, নাট্যকার ও সংগঠক, বগুড়া।
বগুড়া জেলার বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা প্রথম স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলনকারী আলহাজ মমতাজ উদ্দীন বলেন, ‘বগুড়া শহর সম্পূর্ণ মুক্ত তারিখ ঠিক মনে নেই, তবে ১৩ ডিসেম্বর নয়, সম্ভবত দিনটি ছিল শুক্রবার।’ বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম বলেন, ‘বগুড়া মুক্ত ১৩ ডিসেম্বর হবে না। কারণ, আমার স্পষ্ট মনে আছে, ওই দিন শহরে শেলিং, গোলাগুলি তখনো হচ্ছিল।’ তিনি ১৫ ডিসেম্বর বগুড়া মুক্ত হওয়ার কথা সমর্থন করেছেন। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বগুড়া জেলার কমান্ডার আমিনুল ইসলাম, ডেপুটি কমান্ডার ইলিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ, মুক্তিযোদ্ধা হাজি আবু বক্কর সিদ্দিকী, সহকারী কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বগুড়া জেলা ইউনিট কমান্ডসহ আরও অনেক বিশিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধার সাক্ষাৎকারে ১৫ ডিসেম্বর বগুড়া জেলা মুক্ত হওয়ার পূর্ণ সমর্থন পাওয়া গেছে। তা ছাড়া বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম ও কাহালু থানা মুক্ত হয় ১৩ ডিসেম্বর। এখন পর্যন্ত ১৩ ডিসেম্বর নন্দীগ্রাম থানা মুক্ত দিবস হিসেবে পালন করা হয়। তাহলে ১৩ ডিসেম্বর বগুড়া মুক্ত, বিষয়টি ঠিক নয়। তা ছাড়া যুদ্ধের নিয়ম অনুযায়ী জেলার বা কোনো অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডিং অফিসার ওই অঞ্চলের সম্পূর্ণ মুক্ত হওয়ার যে তারিখ ঘোষণা করবেন, সেই তারিখ অনুযায়ী সে অঞ্চল মুক্ত দিবস হিসেবে বিবেচিত হয়। বগুড়া জেলার বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা হামিদুর হোসেন তালেক বীর বিক্রমের লেখা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এ বিষয়ে ১৫ ডিসেম্বর মুক্ত হওয়ার সমর্থন পাওয়া যায়।
বগুড়া শহর মুক্ত করার জন্য চতুর্মুখী আক্রমণ চালাতে গিয়ে যে দল যেদিক দিয়ে বগুড়া শহরের কাছাকাছি এসে সেই স্থানকে যখন শত্রুমুক্ত করেছে, তাঁরা সেই সময়কে বগুড়া মুক্ত হওয়ার দিন বলে উল্লেখ করেছেন। ১৩ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন দল ও মিত্রবাহিনী বগুড়া শহরের আশপাশে বিভিন্ন দিক থেকে ঢুকে পড়ে। মুক্ত করে বগুড়া জেলার অধিকাংশ স্থান। ১৩ ডিসেম্বর মিত্রবাহিনীর এক মাউন্টেইন রেজিমেন্টের ব্রিগেডিয়ার প্রেমা সিং এক ব্রিগেড সেনা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে এ দল বগুড়া শহর থেকে তিন-চার কিলোমিটার উত্তরে নওদাপাড়া, চাঁদপুর ও ঠেঙ্গামারা গ্রামের মধ্যবর্তী স্থান লাঠিগাড়ি পাথারসংলগ্ন বগুড়া-রংপুর মহাসড়কে অবস্থান নেন। আরেক দল ঢোকে ক্ষেতলাল হয়ে সান্তাহার দিয়ে কাহালু হয়ে, মিত্রবাহিনীর কমান্ডিং অফিসার সিও কর্নেল দত্তের নেতৃত্বে অন্য আরেক দল মুক্তিযোদ্ধা ঢোকে দক্ষিণ দিকে সুখানপুকুর, গাবতলী হয়ে পুলিশ লাইনসের কাছাকাছি ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের কাছে। এ দলে প্রায় ৭৬টি অত্যাধুনিক ট্যাংকও ছিল। এ দলের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ছিলেন বগুড়া জেলার বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা বীর বিক্রম হামিদুর হোসেন তারেক। পুরো উত্তরাঞ্চলের দায়িত্বে ছিলেন মিত্রবাহিনীর মেজর জেনারেল লচমন সিং। বিভিন্ন দিক থেকে ঢোকা এসব অকুতোভয় যোদ্ধা বগুড়া শহরকে পুরোপুরি মুক্ত করতে গিয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কলোনি, টেকনিক্যাল কলেজ, সরকারি আজিজুল হক কলেজ পুরোনো ভবন, ফুলবাড়ী, মাটিডালিতে অবস্থান নিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধ করে। ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে এ রকম খণ্ডযুদ্ধ। এসব খণ্ডযুদ্ধ অনেক জায়গায় পাকিস্তানি বাহিনীর শক্ত অবস্থান থাকায় ভয়াবহ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এর মধ্যে পুলিশ লাইনস ও টেকনিক্যাল কলেজের সম্মুখযুদ্ধ উল্লেখযোগ্য। ভোর থেকেই ১৫ ডিসেম্বর মিত্রবাহিনী আর মুক্তিযোদ্ধাদের দল বগুড়া শহরের ওপর চতুর্মুখী সাঁড়াশি আক্রমণ চালায় বগুড়া জেলার জিরো পয়েন্টে। ঐতিহাসিক সাতমাথার গোলচত্বরে স্বাধীন বাংলার পতাকা ওড়ানো হয়। আনন্দে যোদ্ধারা জয় বাংলা বলে স্লোগান দেয়, রাইফেল থেকে আকাশের দিকে গুলি ছোড়ে। আনন্দে আত্মহারা সব মুক্তিযোদ্ধা, কারও চোখে তখন অশ্রু। অনেকে গেয়ে উঠল, ‘আমার সোনার বাংলা...’।
ষোলোই ডিসেম্বর ঢাকা রেসকোর্সে ময়দানে পাকিস্তানি বাহিনীর আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণ হওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে। সারা দেশের বিভিন্ন জেলার মতো বগুড়া জেলায়ও তার আনন্দের দোলা লাগে।
১৭ ডিসেম্বর মিত্রবাহিনীর ২০ মাউন্টেইন ডিভিশনের জিওসি, পাকিস্তানি বাহিনীর মেজর জেনারেল অফিসার কমান্ডিং নজর হোসেন শাহকে তাঁর নাটোর হেডকোয়ার্টার্স থেকে বগুড়ায় আনার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। এখানে উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় এ অঞ্চলের পাকিস্তানি বাহিনীর হেডকোয়ার্টার্স ছিল নাটোর। ১৮ ডিসেম্বর বগুড়া জেলার ফুলবাড়ীর ওয়াপদা রেস্টহাউসে পাকিস্তানি জিওসি নজর শাহ বগুড়া জেলা মুক্ত হওয়ার আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণপত্রে স্বাক্ষর করলেন, মিত্রবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের এ অঞ্চলের নেতৃত্বদানকারী কমান্ডিং অফিসার মেজর জেনারেল লচমন সিং-এর কাছে। আত্মসমর্পণ করার ছবি, মিত্রবাহিনী এবং পাকিস্তানি বাহিনীর স্বাক্ষরিত দলিল বগুড়া মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।
১৯৭১ সালের ১৮ ডিসেম্বর হয়ে গেল এক ইতিহাসের অমূল্য চিহ্ন। বয়ে গেল বগুড়া জেলার গৌরবোজ্জ্বল দিন।
তৌফিক হাসান
লেখক, নাট্যকার ও সংগঠক, বগুড়া।
No comments