বেনগাজি কনস্যুলেটের নিরাপত্তা 'অপর্যাপ্ত' ছিল
লিবিয়ার বেনগাজি শহরে গত ১১ সেপ্টেম্বর জঙ্গি হামলার সময় মার্কিন কনস্যুলেটে নিরাপত্তারব্যবস্থা 'একেবারেই অপর্যাপ্ত' ছিল। তবে হামলার ব্যাপারে আগে থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো গোয়েন্দা তথ্য পাওয়া যায়নি। বেনগাজি হামলাবিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের এক তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন তদন্ত প্রতিবেদনের ২৯টি সুপারিশের সবটাই মেনে নিয়েছেন।
গত ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে হামলার ১১তম বার্ষিকীর দিনে বেনগাজির মার্কিন কনস্যুলেটে সন্ত্রাসী হামলায় রাষ্ট্রদূত ক্রিস স্টিভেন্সসহ চারজন মারা যায়। শুরুতে ধারণা করা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে ব্যঙ্গ করে নির্মিত সিনেমার ভিডিওক্লিপিং নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে যে বিক্ষোভ দেখা দেয়, এরই অংশ হিসেবে কনস্যুলেটে হামলা হয়েছে। তবে পরে মার্কিন গোয়েন্দারা দাবি করেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে ও সংগঠিত উপায়ে বেনগাজিতে হামলা চালানো হয়েছিল। আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট জঙ্গিদের এ হামলার ব্যাপারে সন্দেহ করা হয়। বেনগাজি কনস্যুলেট থেকে নিরাপত্তা বাড়ানোর অনুরোধ জানানো হলেও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়নি বলেও অভিযোগ ওঠে।
অ্যাকাউন্টিবিলিটি রিভিউ বোর্ড (এআরবি) নামের তদন্ত কমিটি বেনগাজির হামলা নিয়ে প্রায় তিন মাস তদন্তের পর তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বেনগাজি কনস্যুলেটে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও তাদের সহযোগিতার ব্যাপারে পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্যুরো অব ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি এবং ব্যুরো অব নিয়ার ইস্ট অ্যাফেয়ার্স ব্যর্থ হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, 'এই দুটি ব্যুরোর শীর্ষ পর্যায়ে নেতৃত্ব ও ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি রয়েছে এবং বেনগাজির কনস্যুলেটে নিরাপত্তা বিধানের বিষয়টিকে তা বাধাগ্রস্ত করেছে।' কনস্যুলেটে হামলার আগে কোনো বিক্ষোভ না হওয়ার কারণে হামলার প্রকৃতি বা গভীরতা সম্পর্কে কোনো পূর্বানুমান করা যায়নি বলেও জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। অব্যবস্থাপনার কারণে কোনো ব্যক্তি বিশেষের ওপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেনি এআরবি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, 'পররাষ্ট্র দপ্তরের জ্যেষ্ঠ কয়েকজন কর্মকর্তার মধ্যে জবাবদিহিতা, দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানোর ক্ষমতা ও নেতৃত্বের ক্ষেত্রে ঘাটতি দেখা গেছে। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে দায়িত্বে অবহেলা বা অসদাচরণের সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি তাদের বিরুদ্ধে।' প্রতিবেদনের কপি গতকাল বুধবার মার্কিন কংগ্রেসে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন এআরবির ২৯টি সুপারিশের সবটাই গ্রহণ করেছেন। কংগ্রেসের উদ্দেশ্যে লেখা এক চিঠিতে তিনি বলেছেন, 'তদন্ত প্রতিবেদনে পদ্ধতিগত চ্যালেঞ্জগুলো স্পষ্ট করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এগুলো নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে।' বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মার্কিন কূটনৈতিক স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পেন্টাগনের প্রতি নিরাপত্তাকর্মী বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
গত ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে হামলার ১১তম বার্ষিকীর দিনে বেনগাজির মার্কিন কনস্যুলেটে সন্ত্রাসী হামলায় রাষ্ট্রদূত ক্রিস স্টিভেন্সসহ চারজন মারা যায়। শুরুতে ধারণা করা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে ব্যঙ্গ করে নির্মিত সিনেমার ভিডিওক্লিপিং নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে যে বিক্ষোভ দেখা দেয়, এরই অংশ হিসেবে কনস্যুলেটে হামলা হয়েছে। তবে পরে মার্কিন গোয়েন্দারা দাবি করেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে ও সংগঠিত উপায়ে বেনগাজিতে হামলা চালানো হয়েছিল। আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট জঙ্গিদের এ হামলার ব্যাপারে সন্দেহ করা হয়। বেনগাজি কনস্যুলেট থেকে নিরাপত্তা বাড়ানোর অনুরোধ জানানো হলেও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়নি বলেও অভিযোগ ওঠে।
অ্যাকাউন্টিবিলিটি রিভিউ বোর্ড (এআরবি) নামের তদন্ত কমিটি বেনগাজির হামলা নিয়ে প্রায় তিন মাস তদন্তের পর তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বেনগাজি কনস্যুলেটে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও তাদের সহযোগিতার ব্যাপারে পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্যুরো অব ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি এবং ব্যুরো অব নিয়ার ইস্ট অ্যাফেয়ার্স ব্যর্থ হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, 'এই দুটি ব্যুরোর শীর্ষ পর্যায়ে নেতৃত্ব ও ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি রয়েছে এবং বেনগাজির কনস্যুলেটে নিরাপত্তা বিধানের বিষয়টিকে তা বাধাগ্রস্ত করেছে।' কনস্যুলেটে হামলার আগে কোনো বিক্ষোভ না হওয়ার কারণে হামলার প্রকৃতি বা গভীরতা সম্পর্কে কোনো পূর্বানুমান করা যায়নি বলেও জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। অব্যবস্থাপনার কারণে কোনো ব্যক্তি বিশেষের ওপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেনি এআরবি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, 'পররাষ্ট্র দপ্তরের জ্যেষ্ঠ কয়েকজন কর্মকর্তার মধ্যে জবাবদিহিতা, দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানোর ক্ষমতা ও নেতৃত্বের ক্ষেত্রে ঘাটতি দেখা গেছে। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে দায়িত্বে অবহেলা বা অসদাচরণের সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি তাদের বিরুদ্ধে।' প্রতিবেদনের কপি গতকাল বুধবার মার্কিন কংগ্রেসে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন এআরবির ২৯টি সুপারিশের সবটাই গ্রহণ করেছেন। কংগ্রেসের উদ্দেশ্যে লেখা এক চিঠিতে তিনি বলেছেন, 'তদন্ত প্রতিবেদনে পদ্ধতিগত চ্যালেঞ্জগুলো স্পষ্ট করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এগুলো নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে।' বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মার্কিন কূটনৈতিক স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পেন্টাগনের প্রতি নিরাপত্তাকর্মী বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments