হরতালে যানবাহন ভাঙচুর
৩৯টি যানবাহন ভাঙচুর ও দুটিতে অগ্নিসংযোগের মধ্য দিয়ে গতকাল বুধবার রাজশাহী ও সিলেট বিভাগে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের ডাকা আধা বেলা হরতাল পালিত হয়েছে। বাধা দিতে গেলে রাজশাহীতে পুলিশের সঙ্গে হরতাল-সমর্থকদের সংঘর্ষ এবং বগুড়া ও সিলেটে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়েছে।
গতকাল ও গত মঙ্গলবার রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের সাত জেলা থেকে জামায়াত-শিবিরের ৪২ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক তাসনীম আলমের মুক্তির দাবিতে রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় এবং কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুর রহমানের মুক্তির দাবিতে গত সোমবার সিলেট নগরে সমাবেশ করতে না দেওয়ার প্রতিবাদে সিলেট বিভাগের চার জেলায় আধা বেলা হরতাল ডাকে সংগঠনটি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের বরাত দিয়ে হরতালের খবর জানাচ্ছেন ঢাকার বাইরে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক, আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধিরা:
রাজশাহী: জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর ও কাজলা এলাকায় রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে মিছিল করে টায়ার জ্বালান। তাঁরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ৮-১০টি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটান এবং ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে চিড়িয়াখানার গেটে দুটি ও নগরের নওদাপাড়া এলাকায় তিনটি অটোরিকশা ভাঙচুর করেন শিবিরের কর্মীরা। চারটি স্থান থেকে জামায়াত-শিবিরের ১২ নেতা-কর্মীকে আটক করে পুলিশ।
বগুড়া: সকালে বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের গোকুলে হরতাল-সমর্থকেরা ১০টি যানবাহন ভাঙচুর করেন। এখান থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বনানী এলাকায় বগুড়া-ঢাকা মহাসড়কে হরতাল-সমর্থকেরা পাঁচ-ছয়টি গাড়ি ভাঙচুর করেন। দুপুর ১২টার দিকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের সামনে হরতাল-সমর্থকেরা একটি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেন।
সিলেট: নগরের কাজলশাহ, মজুমদারি, শিবগঞ্জ, লামাবাজার, শাহি ঈদগাহ, কাজীটুলা ও দক্ষিণ সুরমায় চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে মাজার জিয়ারতে আসা একটি বাস ও সিএনজিচালিত সাতটি অটোরিকশা ভাঙচুর করেন শিবিরের কর্মীরা।
নাটোর: হরতাল-সমর্থকেরা ভোরে নাটোর-বনপাড়া ও বনপাড়া-পাবনা সড়কে ট্রাক ও বাস ভাঙচুরের চেষ্টা করলে পুলিশের বাধায় সটকে পড়েন।
পাবনা: শহরের বিভিন্ন এলাকায় ৮-১০টি যানবাহন ভাঙচুর করেছেন হরতাল-সমর্থকেরা। সকাল থেকে সংবাদপত্রবাহী গাড়িসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন হরতালকারীরা।
সিরাজগঞ্জ: সকাল ছয়টার দিকে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের ভূঁইয়াগাতীতে কয়েকটি ট্রাক ও একটি মাইক্রোবাস ভাঙচুর করেন হরতাল-সমর্থকেরা।
সুনামগঞ্জ: শহরের ধোপাখালী এলাকায় সকালে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুরের সময় পৌর ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামানকে ধরে পুলিশে দেয় লোকজন।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক তাসনীম আলমের মুক্তির দাবিতে রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় এবং কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুর রহমানের মুক্তির দাবিতে গত সোমবার সিলেট নগরে সমাবেশ করতে না দেওয়ার প্রতিবাদে সিলেট বিভাগের চার জেলায় আধা বেলা হরতাল ডাকে সংগঠনটি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের বরাত দিয়ে হরতালের খবর জানাচ্ছেন ঢাকার বাইরে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক, আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধিরা:
রাজশাহী: জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর ও কাজলা এলাকায় রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে মিছিল করে টায়ার জ্বালান। তাঁরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ৮-১০টি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটান এবং ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে চিড়িয়াখানার গেটে দুটি ও নগরের নওদাপাড়া এলাকায় তিনটি অটোরিকশা ভাঙচুর করেন শিবিরের কর্মীরা। চারটি স্থান থেকে জামায়াত-শিবিরের ১২ নেতা-কর্মীকে আটক করে পুলিশ।
বগুড়া: সকালে বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের গোকুলে হরতাল-সমর্থকেরা ১০টি যানবাহন ভাঙচুর করেন। এখান থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বনানী এলাকায় বগুড়া-ঢাকা মহাসড়কে হরতাল-সমর্থকেরা পাঁচ-ছয়টি গাড়ি ভাঙচুর করেন। দুপুর ১২টার দিকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের সামনে হরতাল-সমর্থকেরা একটি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেন।
সিলেট: নগরের কাজলশাহ, মজুমদারি, শিবগঞ্জ, লামাবাজার, শাহি ঈদগাহ, কাজীটুলা ও দক্ষিণ সুরমায় চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে মাজার জিয়ারতে আসা একটি বাস ও সিএনজিচালিত সাতটি অটোরিকশা ভাঙচুর করেন শিবিরের কর্মীরা।
নাটোর: হরতাল-সমর্থকেরা ভোরে নাটোর-বনপাড়া ও বনপাড়া-পাবনা সড়কে ট্রাক ও বাস ভাঙচুরের চেষ্টা করলে পুলিশের বাধায় সটকে পড়েন।
পাবনা: শহরের বিভিন্ন এলাকায় ৮-১০টি যানবাহন ভাঙচুর করেছেন হরতাল-সমর্থকেরা। সকাল থেকে সংবাদপত্রবাহী গাড়িসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন হরতালকারীরা।
সিরাজগঞ্জ: সকাল ছয়টার দিকে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের ভূঁইয়াগাতীতে কয়েকটি ট্রাক ও একটি মাইক্রোবাস ভাঙচুর করেন হরতাল-সমর্থকেরা।
সুনামগঞ্জ: শহরের ধোপাখালী এলাকায় সকালে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুরের সময় পৌর ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামানকে ধরে পুলিশে দেয় লোকজন।
No comments