শীতে শিশুর সুস্থতায়...
শীতে শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কী কী করণীয়, সে বিষয়ে বলেছেন বারডেম হাসপাতালের শিশুরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক তাহমীনা বেগম ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের শিশুরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক প্রণব কুমার চৌধুরী
নবজাতক শিশুকে নরম সুতি কাপড়ে জড়াতে হবে। তার হাত-পায়ে গরম মোজা দিয়ে রাখতে হবে। তার কাপড়গুলো হতে হবে গরম কিন্তু আরামদায়ক।
অনেকে নবজাতককে ঘন ঘন গোসল করান। শীতের সময় নবজাতককে গোসল না করানোই ভালো। তবে নরম কাপড় হালকা কুসুম গরম পানিতে ভিজিয়ে নবজাতকের শরীর মুছে দেওয়া যেতে পারে।
শীতে নবজাতকের চুল মুড়ানো ঠিক নয়। এতে ঠান্ডা আরও বেশি লাগে। নবজাতকের জন্ডিস থাকলে সরাসরি সূর্যের আলোতে না রেখে জানালার গ্লাসের পাশের রোদে রাখতে হবে। তবে তেল মালিশ করে সরাসরি রোদে রাখার প্রয়োজন নেই।
নবজাতককে সব সময় মায়ের উষ্ণতায় রাখা ভালো। আর বেশি বেশি মায়ের বুকের দুধ শিশুকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করবে।
এক বছরের বেশি বয়সী শিশুদেরও উলের বা মোটা সুতির গরম কাপড়ে রাখতে হবে। তবে বাচ্চার শরীর ঘেমে যায়, এমন কাপড় যেন না হয়।
এ ধরনের শিশুকে অবশ্য গোসল করাতে হবে, নইলে চর্মরোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে প্রতিদিন না করিয়ে দুই দিনে একবার গোসল করালে মন্দ হয় না। গোসল করালে শরীর ঝরঝরে হবে, শিশুর আরাম লাগবে।
তবে গোসলের পর ভালো লোশন বা ক্রিম লাগিয়ে দিতে হবে। আর গোসলের সময় চুল টেনে চুলের গোড়ার ময়লা পরিষ্কার করে দিতে হবে। এতে মাথার ত্বক সুস্থ থাকবে।
শীতে শিশুরা অতিরিক্ত ভিটামিন সি পাবে এমন খাবার দিতে হবে। লেবু, কমলা, মাল্টা, আমলকী এসব ফল দেওয়া ভালো। তবে যারা চিবিয়ে খেতে পারে না, তাদের কুসুম গরম পানিতে একটা আমলকী চুবিয়ে এর পানি খাওয়ানো যাবে। এটি বেশ কার্যকর।
শীতে ঠান্ডা লেগে শিশুর নাক বন্ধ হয়ে গেলে রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। সে কারণে রাতে শোবার আগে দুই নাকে দুই ফোঁটা নরসোল ড্রপ দিয়ে দিলে নাক খুলেগিয়ে শিশুর ঘুমের আরাম হবে।
শীতে ঠান্ডা লেগে কাশি, শ্বাসকষ্ট কিংবা বুকের ভেতর গড়গড় আওয়াজ অথবা বুকের হাড় শ্বাস নেওয়ার সময় ভেতরের দিকে দেবে গেলে সঙ্গে সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
প্রয়োজনে হালকা গরম পানির সঙ্গে মধু মিশিয়ে পান করান।
অনুলিখন: জিয়াউর রহমান চৌধুরী
অনেকে নবজাতককে ঘন ঘন গোসল করান। শীতের সময় নবজাতককে গোসল না করানোই ভালো। তবে নরম কাপড় হালকা কুসুম গরম পানিতে ভিজিয়ে নবজাতকের শরীর মুছে দেওয়া যেতে পারে।
শীতে নবজাতকের চুল মুড়ানো ঠিক নয়। এতে ঠান্ডা আরও বেশি লাগে। নবজাতকের জন্ডিস থাকলে সরাসরি সূর্যের আলোতে না রেখে জানালার গ্লাসের পাশের রোদে রাখতে হবে। তবে তেল মালিশ করে সরাসরি রোদে রাখার প্রয়োজন নেই।
নবজাতককে সব সময় মায়ের উষ্ণতায় রাখা ভালো। আর বেশি বেশি মায়ের বুকের দুধ শিশুকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করবে।
এক বছরের বেশি বয়সী শিশুদেরও উলের বা মোটা সুতির গরম কাপড়ে রাখতে হবে। তবে বাচ্চার শরীর ঘেমে যায়, এমন কাপড় যেন না হয়।
এ ধরনের শিশুকে অবশ্য গোসল করাতে হবে, নইলে চর্মরোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে প্রতিদিন না করিয়ে দুই দিনে একবার গোসল করালে মন্দ হয় না। গোসল করালে শরীর ঝরঝরে হবে, শিশুর আরাম লাগবে।
তবে গোসলের পর ভালো লোশন বা ক্রিম লাগিয়ে দিতে হবে। আর গোসলের সময় চুল টেনে চুলের গোড়ার ময়লা পরিষ্কার করে দিতে হবে। এতে মাথার ত্বক সুস্থ থাকবে।
শীতে শিশুরা অতিরিক্ত ভিটামিন সি পাবে এমন খাবার দিতে হবে। লেবু, কমলা, মাল্টা, আমলকী এসব ফল দেওয়া ভালো। তবে যারা চিবিয়ে খেতে পারে না, তাদের কুসুম গরম পানিতে একটা আমলকী চুবিয়ে এর পানি খাওয়ানো যাবে। এটি বেশ কার্যকর।
শীতে ঠান্ডা লেগে শিশুর নাক বন্ধ হয়ে গেলে রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। সে কারণে রাতে শোবার আগে দুই নাকে দুই ফোঁটা নরসোল ড্রপ দিয়ে দিলে নাক খুলেগিয়ে শিশুর ঘুমের আরাম হবে।
শীতে ঠান্ডা লেগে কাশি, শ্বাসকষ্ট কিংবা বুকের ভেতর গড়গড় আওয়াজ অথবা বুকের হাড় শ্বাস নেওয়ার সময় ভেতরের দিকে দেবে গেলে সঙ্গে সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
প্রয়োজনে হালকা গরম পানির সঙ্গে মধু মিশিয়ে পান করান।
অনুলিখন: জিয়াউর রহমান চৌধুরী
No comments