পাঠ্যপুস্তক উৎসব-নতুন বই নিয়ে আনন্দ
মহাজোট সরকারের চার বছরে চতুর্থবারের মতো সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন হলো 'পাঠ্যপুস্তক উৎসব'। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পৌনে চার কোটি শিক্ষার্থীর বেশিরভাগই শিক্ষাবর্ষ শুরুর প্রথম দিনে ঝকঝকে নতুন বই হাতে পেয়েছে।
জনপদে জনপদে বই নিয়ে উৎসব। একটি সফল উদ্যোগের চমৎকার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য সার্বিকভাবে সরকার এবং বিশেষভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন। বাংলাদেশের সচিবালয় থেকে জেলা-উপজেলা-ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি কাজের নানা সমালোচনা রয়েছে। আমলাতান্ত্রিক লালফিতা থেকে শুরু করে অদক্ষতা-অনিয়ম এমনকি দুর্নীতির অভিযোগের যেন শেষ নেই।
এমনটিই সাধারণভাবে বলা হয়, সরকার সময়ের কাজ সময়ে করতে পারে না। কিন্তু পরপর চার বছর যেভাবে বই প্রকাশ ও বিতরণ কাজ সুচারুরূপে সম্পন্ন হয়েছে তাতে আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে ট্রেন্ডসেটার বলতেই পারি। 'আমরাও পারি'_ এমন শিক্ষা তারা দিচ্ছে। সরকারি সব বিভাগ ও দফতর তো বটেই, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও এ অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর
কথা ভাবা যেতে পারে।
গত বছর ২২ কোটির মতো বই মুদ্রণ, পরিবহন ও বিতরণ করা হয়েছিল। এবার শিক্ষার্থী বেড়েছে, বই বিলি হচ্ছে ২৬ কোটিরও বেশি। নবম শ্রেণীর সব বিষয়েই সিলেবাসে সময়োপযোগী পরিবর্তন আনা হয়েছে। অন্যান্য শ্রেণীতেও বদল হয়েছে বিষয়বস্তু। মুক্তিযুদ্ধের গৌরব-বীরত্বগাথা সব শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা আরও বেশি জানার সুযোগ পাবে।
বই প্রকাশ ও বিতরণে সময়ানুবর্তিতা যথাযথভাবে রক্ষা করতে পারা নিঃসন্দেহে বড় অর্জন। বাংলাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বই বিনামূল্যে বিতরণ নিয়ে অব্যবস্থাপনার অন্ত ছিল না। মাধ্যমিক স্তরের বিভিন্ন শ্রেণীর বই বছরের পর বছর সময়মতো শিক্ষার্থীদের হাতে প্রকাশকরা পেঁৗছাতে ব্যর্থ হয়েছেন। প্রিয় সন্তানের পড়াশোনার স্বার্থে কালোবাজার থেকে চড়া দামে বই কেনার তিক্ত অভিজ্ঞতা এখনও বিস্মৃত হওয়ার কথা নয়। অথচ এখন সরকারি ব্যবস্থাপনাতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের বিনামূল্যের বই বিতরণ হচ্ছে, চার বছর আগেও তা ছিল নেহাত তাত্তি্বক আলোচনার বিষয়। ই-পাঠ্যপুস্তকের সুবিধাও মিলছে। পাঠ্যপুস্তক প্রকাশ ও বিতরণকে ঘিরে যে কায়েমি চক্র গড়ে উঠেছিল, তাদের কাছে ইতিবাচক উদ্যোগ কোনোভাবেই কাঙ্ক্ষিত নয়। প্রথম বছর থেকেই তারা ষড়যন্ত্রের জাল পেতেছে এবং এখনও যে অপচেষ্টা নেই, সেটা বলা যাবে না। কোটি কোটি কোমলমতি শিক্ষার্থীর হাতে সময়মতো মানসম্পন্ন বই পেঁৗছানো নয়, নিজেদের ব্যবসার স্বার্থই তাদের কাছে মুখ্য। কিন্তু সরকারের অনমনীয় মনোভাবের কারণে তারা পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছে। এই সাফল্যের কৃতিত্ব বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী পেতেই পারেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তৎপরতাও স্মরণযোগ্য। সংশ্লিষ্ট অন্যরা যেভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, তাও সাধুবাদযোগ্য। প্রত্যন্ত কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জানুয়ারির প্রথম দিন বই বিতরণ সম্পন্ন হয়নি। সংশ্লিষ্টরা যত্নবান হলে আগামী বছরে এ সমস্যা থাকবে না। বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ কর্মসূচি শিক্ষার প্রসার ও মান বাড়ানোর সহায়ক, তাতে সন্দেহ নেই। তবে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যোগ্য ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার লক্ষ্য অর্জনে এটাই একমাত্র শর্ত নয়। এ জন্য জানাশোনার জগৎকে প্রসারিত ও গভীর করা চাই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পরিবার উভয় অঙ্গনেই শিশু-কিশোরদের পড়াশোনার প্রতি আরও যত্নবান ও মনোযোগী করে তোলা চাই। আমরা বড় কিছু অর্জন করেছি, আরও বড় কিছু নিশ্চয়ই অর্জন করতে পারব।
এমনটিই সাধারণভাবে বলা হয়, সরকার সময়ের কাজ সময়ে করতে পারে না। কিন্তু পরপর চার বছর যেভাবে বই প্রকাশ ও বিতরণ কাজ সুচারুরূপে সম্পন্ন হয়েছে তাতে আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে ট্রেন্ডসেটার বলতেই পারি। 'আমরাও পারি'_ এমন শিক্ষা তারা দিচ্ছে। সরকারি সব বিভাগ ও দফতর তো বটেই, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও এ অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর
কথা ভাবা যেতে পারে।
গত বছর ২২ কোটির মতো বই মুদ্রণ, পরিবহন ও বিতরণ করা হয়েছিল। এবার শিক্ষার্থী বেড়েছে, বই বিলি হচ্ছে ২৬ কোটিরও বেশি। নবম শ্রেণীর সব বিষয়েই সিলেবাসে সময়োপযোগী পরিবর্তন আনা হয়েছে। অন্যান্য শ্রেণীতেও বদল হয়েছে বিষয়বস্তু। মুক্তিযুদ্ধের গৌরব-বীরত্বগাথা সব শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা আরও বেশি জানার সুযোগ পাবে।
বই প্রকাশ ও বিতরণে সময়ানুবর্তিতা যথাযথভাবে রক্ষা করতে পারা নিঃসন্দেহে বড় অর্জন। বাংলাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বই বিনামূল্যে বিতরণ নিয়ে অব্যবস্থাপনার অন্ত ছিল না। মাধ্যমিক স্তরের বিভিন্ন শ্রেণীর বই বছরের পর বছর সময়মতো শিক্ষার্থীদের হাতে প্রকাশকরা পেঁৗছাতে ব্যর্থ হয়েছেন। প্রিয় সন্তানের পড়াশোনার স্বার্থে কালোবাজার থেকে চড়া দামে বই কেনার তিক্ত অভিজ্ঞতা এখনও বিস্মৃত হওয়ার কথা নয়। অথচ এখন সরকারি ব্যবস্থাপনাতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের বিনামূল্যের বই বিতরণ হচ্ছে, চার বছর আগেও তা ছিল নেহাত তাত্তি্বক আলোচনার বিষয়। ই-পাঠ্যপুস্তকের সুবিধাও মিলছে। পাঠ্যপুস্তক প্রকাশ ও বিতরণকে ঘিরে যে কায়েমি চক্র গড়ে উঠেছিল, তাদের কাছে ইতিবাচক উদ্যোগ কোনোভাবেই কাঙ্ক্ষিত নয়। প্রথম বছর থেকেই তারা ষড়যন্ত্রের জাল পেতেছে এবং এখনও যে অপচেষ্টা নেই, সেটা বলা যাবে না। কোটি কোটি কোমলমতি শিক্ষার্থীর হাতে সময়মতো মানসম্পন্ন বই পেঁৗছানো নয়, নিজেদের ব্যবসার স্বার্থই তাদের কাছে মুখ্য। কিন্তু সরকারের অনমনীয় মনোভাবের কারণে তারা পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছে। এই সাফল্যের কৃতিত্ব বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী পেতেই পারেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তৎপরতাও স্মরণযোগ্য। সংশ্লিষ্ট অন্যরা যেভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, তাও সাধুবাদযোগ্য। প্রত্যন্ত কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জানুয়ারির প্রথম দিন বই বিতরণ সম্পন্ন হয়নি। সংশ্লিষ্টরা যত্নবান হলে আগামী বছরে এ সমস্যা থাকবে না। বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ কর্মসূচি শিক্ষার প্রসার ও মান বাড়ানোর সহায়ক, তাতে সন্দেহ নেই। তবে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যোগ্য ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার লক্ষ্য অর্জনে এটাই একমাত্র শর্ত নয়। এ জন্য জানাশোনার জগৎকে প্রসারিত ও গভীর করা চাই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পরিবার উভয় অঙ্গনেই শিশু-কিশোরদের পড়াশোনার প্রতি আরও যত্নবান ও মনোযোগী করে তোলা চাই। আমরা বড় কিছু অর্জন করেছি, আরও বড় কিছু নিশ্চয়ই অর্জন করতে পারব।
No comments