দেশি-বিদেশি ভাষায় অনুবাদ করে আয় by শক্তি সাহা
আমাদের মাতৃভাষা বাংলা হলেও বর্তমান সময়ে এর পাশাপাশি বিভিন্ন বিদেশি ভাষা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান ও ধারণা থাকলে কাজ করার কিছু সুযোগ পাওয়া যায়। তাই দু-একটি বা কিছু বিদেশি ভাষা শিখে আপনিও সুযোগটি নিতে পারেন। কারণ, দিন দিন এই কাজের সুযোগ বাড়ছে।
বিদেশি ভাষার ব্যাকরণ জেনে প্রচলিত ভাষারীতির মাধ্যমে অনুবাদ করতে পারলে কাজের অভাব হবে না।গণমাধ্যমে আন্তর্জাতিক খবর বাংলায় অনুবাদ করার কাজ যেমন রয়েছে, তেমনি বিভিন্ন অনুবাদকেন্দ্রেও অনুবাদক হিসেবে খণ্ডকালীন বা সার্বক্ষণিক কাজ করার সুযোগ আছে।তবে আমাদের দেশে যাঁরা ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ করতে জানেন, তাঁদের চাহিদাই বেশি। চাইলে আপনিও একজন অনুবাদক হিসেবে কর্মজীবন গড়তে পারেন।
অনুবাদকের কাজ: ঢাকার মতিঝিলের দৈনিক বাংলা মোড়ের সৌদিয়া অনুবাদকেন্দ্রের অনুবাদক আবদুস সাত্তার জানান, তাঁদের সাধারণত দলিল, হলফনামা, নিকাহনামা, জীবনবৃত্তান্ত, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেট, মামলা-মোকদ্দমার কাগজপত্র, অ্যাফিডেভিট, ব্যবসা-বাণিজ্য ও ভিসা-সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজ বাংলা থেকে বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করতে হয়।
অনুবাদকের যোগ্যতা: অনেকের ধারণা, যাঁরা ইংরেজিতে বা বাংলায় পড়াশোনা করেন, তাঁরাই ভালো অনুবাদ করতে পারেন। এ ধারণা একেবারেই ভুল। কারণ, আমাদের দেশে অনেক ছেলেমেয়েই আছেন, যাঁরা ইংরেজিতে বা বাংলায় অনার্স-মাস্টার্স করেও সঠিকভাবে অনুবাদ করতে জানেন না। আবার অনেকে আছেন, যাঁরা অন্য বিষয়ে পড়েও ভালো অনুবাদ করতে পারেন। আর যাঁরা দক্ষতার সঙ্গে এ কাজ করতে পারেন, তাঁদের এ পেশায় ভালো করার সম্ভাবনা বেশি। একজন অনুবাদকের অন্যতম যোগ্যতা হলো ভাষার সঠিক ব্যবহার জানা। ভাষাজ্ঞান ভালো থাকলে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায়ও খণ্ডকালীন কাজ করা যায়।
কাজের ক্ষেত্র ও চাহিদা: আবদুস সাত্তার আরও জানান, অনুবাদকের চাকরির বাজার বিস্তৃত। আমাদের দেশে ইংরেজি ও বাংলা অনুবাদকের চাহিদাই বেশি। বিভিন্ন গণমাধ্যম ও দূতাবাস, এনজিও, জেলা ও উপজেলা শহরের অনুবাদকেন্দ্রে অনুবাদকের অনেক চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন বিদেশি লেখকের বই বা ফিচার অনুবাদ করেও বিভিন্ন প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানে খণ্ডকালীন কাজ করে মোটামুটি আয় করা সম্ভব।
সম্মানী ও সুযোগ-সুবিধা: সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, সাধারণত কোনো প্রতিষ্ঠানে অনুবাদক হিসেবে নিয়োগ বা পেলে প্রাথমিক অবস্থায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়। তবে প্রতিষ্ঠান ভেদে বেতন ভিন্ন হতে পারে। অভিজ্ঞ হলে মাসে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন করা যায়।
রাজধানীর বিভিন্ন অনুবাদকেন্দ্রে নিয়োজিত কয়েকজন অনুবাদকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নিয়মিত ও বড় কাজের পাশাপাশি প্রতিনিয়ত অনেক খুচরা গ্রাহকও পাওয়া যায়, যাঁরা এক পৃষ্ঠা বাংলা থেকে ইংরেজি বা ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ করলে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা সম্মানী দেন। আর আরবি ভাষায় এক পৃষ্ঠা অনুবাদ করলে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা সম্মানী পাওয়া যায়।
নিজেও ব্যবসা করতে পারেন: আপনার যদি বিদেশি ভাষায় ভালো দক্ষতা বা জ্ঞান থাকে, তাহলে নিজেও এ ব্যবসা করতে পারেন। এ প্রসঙ্গে একটি অনুবাদকেন্দ্রের স্বত্বাধিকারী মো. ইউনুস আলী জানান, যাঁরা এ ব্যবসায় যুক্ত হতে চান, তাঁরা প্রথমে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো থেকে অনুমোদন নিয়ে ছোট একটি দোকান বা অফিস নিয়ে শুরু করতে পারেন। অনুমোদন ছাড়া ব্যবসা শুরু করলে পরে নানা আইনি ঝামেলায় পড়তে হতে পারে। এ ব্যবসায় খুব বেশি বিনিয়োগের প্রয়োজন হয় না এবং ঝুঁকিও কম থাকে।
অনলাইনে আয়: অনলাইনে বিভিন্ন ভাষার প্রচুর ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট রয়েছে। এসব সাইট থেকেই অনেক অনুবাদের কাজ পাওয়া যেতে পারে। যাঁদের বিদেশি ভাষাজ্ঞান ভালো বা ভালো অনুবাদ করতে জানেন, তাঁরা ঘরে বসেও অনলাইন বা আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে ভালো আয় করতে পারেন।
শিখতে পারেন বিদেশি ভাষা: আমাদের দেশে অনুবাদের কাজ শেখায় বা প্রশিক্ষণ দেয়, এ রকম কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। তবে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় বিদেশি ভাষা শেখায়, এমন প্রতিষ্ঠান রয়েছে অনেক, যারা বিভিন্ন বিদেশি ভাষায় প্রশিক্ষণ দেয়। তাই খোঁজখবর নিয়ে ভালো কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন মেয়াদি প্রশিক্ষণ নিয়ে আপনিও হয়ে যেতে পারেন একজন দক্ষ অনুবাদক।
অনুবাদকের কাজ: ঢাকার মতিঝিলের দৈনিক বাংলা মোড়ের সৌদিয়া অনুবাদকেন্দ্রের অনুবাদক আবদুস সাত্তার জানান, তাঁদের সাধারণত দলিল, হলফনামা, নিকাহনামা, জীবনবৃত্তান্ত, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেট, মামলা-মোকদ্দমার কাগজপত্র, অ্যাফিডেভিট, ব্যবসা-বাণিজ্য ও ভিসা-সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজ বাংলা থেকে বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করতে হয়।
অনুবাদকের যোগ্যতা: অনেকের ধারণা, যাঁরা ইংরেজিতে বা বাংলায় পড়াশোনা করেন, তাঁরাই ভালো অনুবাদ করতে পারেন। এ ধারণা একেবারেই ভুল। কারণ, আমাদের দেশে অনেক ছেলেমেয়েই আছেন, যাঁরা ইংরেজিতে বা বাংলায় অনার্স-মাস্টার্স করেও সঠিকভাবে অনুবাদ করতে জানেন না। আবার অনেকে আছেন, যাঁরা অন্য বিষয়ে পড়েও ভালো অনুবাদ করতে পারেন। আর যাঁরা দক্ষতার সঙ্গে এ কাজ করতে পারেন, তাঁদের এ পেশায় ভালো করার সম্ভাবনা বেশি। একজন অনুবাদকের অন্যতম যোগ্যতা হলো ভাষার সঠিক ব্যবহার জানা। ভাষাজ্ঞান ভালো থাকলে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায়ও খণ্ডকালীন কাজ করা যায়।
কাজের ক্ষেত্র ও চাহিদা: আবদুস সাত্তার আরও জানান, অনুবাদকের চাকরির বাজার বিস্তৃত। আমাদের দেশে ইংরেজি ও বাংলা অনুবাদকের চাহিদাই বেশি। বিভিন্ন গণমাধ্যম ও দূতাবাস, এনজিও, জেলা ও উপজেলা শহরের অনুবাদকেন্দ্রে অনুবাদকের অনেক চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন বিদেশি লেখকের বই বা ফিচার অনুবাদ করেও বিভিন্ন প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানে খণ্ডকালীন কাজ করে মোটামুটি আয় করা সম্ভব।
সম্মানী ও সুযোগ-সুবিধা: সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, সাধারণত কোনো প্রতিষ্ঠানে অনুবাদক হিসেবে নিয়োগ বা পেলে প্রাথমিক অবস্থায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়। তবে প্রতিষ্ঠান ভেদে বেতন ভিন্ন হতে পারে। অভিজ্ঞ হলে মাসে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন করা যায়।
রাজধানীর বিভিন্ন অনুবাদকেন্দ্রে নিয়োজিত কয়েকজন অনুবাদকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নিয়মিত ও বড় কাজের পাশাপাশি প্রতিনিয়ত অনেক খুচরা গ্রাহকও পাওয়া যায়, যাঁরা এক পৃষ্ঠা বাংলা থেকে ইংরেজি বা ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ করলে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা সম্মানী দেন। আর আরবি ভাষায় এক পৃষ্ঠা অনুবাদ করলে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা সম্মানী পাওয়া যায়।
নিজেও ব্যবসা করতে পারেন: আপনার যদি বিদেশি ভাষায় ভালো দক্ষতা বা জ্ঞান থাকে, তাহলে নিজেও এ ব্যবসা করতে পারেন। এ প্রসঙ্গে একটি অনুবাদকেন্দ্রের স্বত্বাধিকারী মো. ইউনুস আলী জানান, যাঁরা এ ব্যবসায় যুক্ত হতে চান, তাঁরা প্রথমে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো থেকে অনুমোদন নিয়ে ছোট একটি দোকান বা অফিস নিয়ে শুরু করতে পারেন। অনুমোদন ছাড়া ব্যবসা শুরু করলে পরে নানা আইনি ঝামেলায় পড়তে হতে পারে। এ ব্যবসায় খুব বেশি বিনিয়োগের প্রয়োজন হয় না এবং ঝুঁকিও কম থাকে।
অনলাইনে আয়: অনলাইনে বিভিন্ন ভাষার প্রচুর ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট রয়েছে। এসব সাইট থেকেই অনেক অনুবাদের কাজ পাওয়া যেতে পারে। যাঁদের বিদেশি ভাষাজ্ঞান ভালো বা ভালো অনুবাদ করতে জানেন, তাঁরা ঘরে বসেও অনলাইন বা আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে ভালো আয় করতে পারেন।
শিখতে পারেন বিদেশি ভাষা: আমাদের দেশে অনুবাদের কাজ শেখায় বা প্রশিক্ষণ দেয়, এ রকম কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। তবে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় বিদেশি ভাষা শেখায়, এমন প্রতিষ্ঠান রয়েছে অনেক, যারা বিভিন্ন বিদেশি ভাষায় প্রশিক্ষণ দেয়। তাই খোঁজখবর নিয়ে ভালো কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন মেয়াদি প্রশিক্ষণ নিয়ে আপনিও হয়ে যেতে পারেন একজন দক্ষ অনুবাদক।
No comments