দেওবন্দে স্মার্টফোন নিষিদ্ধ
এশিয়ার বৃহত্তম ইসলামিক বিদ্যাপীঠ ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের ক্যাম্পাসে মাল্টিমিডিয়া মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তরুণ শিক্ষার্থীদের ওপর 'অনৈতিক প্রভাব' বন্ধে গত রবিবার এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
তারা এরই মধ্যে ইন্টারনেট ও ক্যামেরা সুবিধা আছে_এমন ১৪টি মোবাইল সেট জব্দ করার পর বিকল করে দিয়েছে।
তবে ক্যামেরা ও ভিডিও সুবিধাবর্জিত মোবাইল ফোন ব্যবহারে কোনো বাধা নেই বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি ভাইস চ্যান্সেলর মাওলানা আবদুল খালিক। তিনি জানান, তাদের কাছে অভিযোগ এসেছে, শিক্ষার্থীরা 'নৈতিক দিক থেকে অগ্রহণযোগ্য কাজে' এ জাতীয় মোবাইলের অপব্যবহার করছে। এ ধরনের মোবাইল (ক্যামেরা ও ভিডিওসহ) শিক্ষাঙ্গনে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। যাদের কাছ থেকে মোবাইলগুলো জব্দ করা করা হয়, তাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। এরপর দোষী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
দারুল উলুমের পরিচালনা পরিষদের একটি সূত্র জানায়, কর্তৃপক্ষের দক্ষ জনবল ও কর্মকৌশল না থাকায় এ ধরনের ফোনের অপব্যবহার রোধে এ ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। ল্যাপটপ ব্যবহার সম্পর্কে জানতে চাইলে আরেকটি সূত্র জানায়, খুব কম শিক্ষার্থীই এটা ব্যবহার করে। তবু ল্যাপটপের যেকোনো অপব্যবহারের ঘটনায়ও একই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তথ্য-প্রযুক্তির এ যুগে এমন পদক্ষেপ বহির্বিশ্ব থেকে শিক্ষার্থীদের বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে কি না_এমন এক প্রশ্নের জবাবে সূত্র জানায়, স্বাধীনভাবে ব্যবহারের জন্য অনুষদগুলো শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট সুবিধা দিয়ে থাকে। তথ্য-প্রযুক্তির ওপর কোনো বিধিনিষেধ নেই।
এদিকে কর্তৃপক্ষের এমন পদক্ষেপে শিক্ষার্থীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। নিচের ক্লাসের শিক্ষার্থীদের ঘোরতর আপত্তি, এ পদক্ষেপ বিশ্বের সঙ্গে চলার সুবিধা থেকে বঞ্চিত করবে। ওদিকে বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা এ পদক্ষেপকে সমর্থন করছেন। এক শিক্ষার্থী তাঁর প্রতিক্রিয়ায় জানান, 'সব শিক্ষার্থীই যে তাঁদের সেলফোনগুলোর অপব্যবহার করছে, আমি তা বিশ্বাস করি না। দু-একজন থাকতে পারে। তাই বলে সবাইকে একই দোষে দোষী করা ঠিক না।'
দারুল উলুমের ফতোয়া শাখার কর্মকর্তা দারুল ইফতা জানান, তাঁর কাছে ফটো তোলা, মোবাইল ক্যামেরা ও ভিডিওর ব্যাপারে শত শত অভিযোগ এসেছে। এটা সবারই জানা যে, আবাসিক হোস্টেলগুলোতে শিক্ষার্থীরা কিভাবে এ যন্ত্রের অপব্যবহার করে থাকে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
তবে ক্যামেরা ও ভিডিও সুবিধাবর্জিত মোবাইল ফোন ব্যবহারে কোনো বাধা নেই বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি ভাইস চ্যান্সেলর মাওলানা আবদুল খালিক। তিনি জানান, তাদের কাছে অভিযোগ এসেছে, শিক্ষার্থীরা 'নৈতিক দিক থেকে অগ্রহণযোগ্য কাজে' এ জাতীয় মোবাইলের অপব্যবহার করছে। এ ধরনের মোবাইল (ক্যামেরা ও ভিডিওসহ) শিক্ষাঙ্গনে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। যাদের কাছ থেকে মোবাইলগুলো জব্দ করা করা হয়, তাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। এরপর দোষী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
দারুল উলুমের পরিচালনা পরিষদের একটি সূত্র জানায়, কর্তৃপক্ষের দক্ষ জনবল ও কর্মকৌশল না থাকায় এ ধরনের ফোনের অপব্যবহার রোধে এ ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। ল্যাপটপ ব্যবহার সম্পর্কে জানতে চাইলে আরেকটি সূত্র জানায়, খুব কম শিক্ষার্থীই এটা ব্যবহার করে। তবু ল্যাপটপের যেকোনো অপব্যবহারের ঘটনায়ও একই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তথ্য-প্রযুক্তির এ যুগে এমন পদক্ষেপ বহির্বিশ্ব থেকে শিক্ষার্থীদের বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে কি না_এমন এক প্রশ্নের জবাবে সূত্র জানায়, স্বাধীনভাবে ব্যবহারের জন্য অনুষদগুলো শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট সুবিধা দিয়ে থাকে। তথ্য-প্রযুক্তির ওপর কোনো বিধিনিষেধ নেই।
এদিকে কর্তৃপক্ষের এমন পদক্ষেপে শিক্ষার্থীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। নিচের ক্লাসের শিক্ষার্থীদের ঘোরতর আপত্তি, এ পদক্ষেপ বিশ্বের সঙ্গে চলার সুবিধা থেকে বঞ্চিত করবে। ওদিকে বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা এ পদক্ষেপকে সমর্থন করছেন। এক শিক্ষার্থী তাঁর প্রতিক্রিয়ায় জানান, 'সব শিক্ষার্থীই যে তাঁদের সেলফোনগুলোর অপব্যবহার করছে, আমি তা বিশ্বাস করি না। দু-একজন থাকতে পারে। তাই বলে সবাইকে একই দোষে দোষী করা ঠিক না।'
দারুল উলুমের ফতোয়া শাখার কর্মকর্তা দারুল ইফতা জানান, তাঁর কাছে ফটো তোলা, মোবাইল ক্যামেরা ও ভিডিওর ব্যাপারে শত শত অভিযোগ এসেছে। এটা সবারই জানা যে, আবাসিক হোস্টেলগুলোতে শিক্ষার্থীরা কিভাবে এ যন্ত্রের অপব্যবহার করে থাকে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
No comments