বিশিষ্টজনদের মত-আ. লীগের আহবানে সাড়া দেওয়া উচিত বিএনপির by পার্থ সারথি দাস
রাজনৈতিক সংঘাত ও অস্থিরতা ঠেকাতে এখনই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনার টেবিলে বসতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের পূর্বশর্ত দিয়ে বা গোঁ ধরে থেকে আলোচনায় না বসাটা সমীচীন হবে না। এ অভিমত দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টজনদের।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির প্রতি এ নিয়ে আলোচনায় বসার আহ্বানকে বিশিষ্টজনরা ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। এই আহ্বানের সূত্র ধরে বিএনপি এগিয়ে এলে আগামী নির্বাচন নিয়ে গ্রহণযোগ্য একটা সমাধানে পৌঁছা সম্ভব হবে বলে তাঁরা মনে করছেন। এ বিষয়ে তাঁরা কালের কণ্ঠকে যা বলেছেন-
ড. আকবর আলি খান (তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা) : নির্বাচন নিয়ে সরকারি ও বিরোধী দলের মধ্যে আলোচনা হোক- এটা আমরা সবাই চাইছি। এটা আমাদের একান্ত চাওয়া। আমরা বহু দিন ধরেই বলে আসছি আলোচনা হওয়াটা ভালো। সরকারি ও প্রধান বিরোধী দলের মধ্যে সমঝোতার কোনো বিকল্প নেই। এদের মধ্যে সমঝোতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বিএনপি আলোচনায় যাওয়ার ক্ষেত্রে যদি শর্ত জুড়ে দেয় তাহলে সেটা তাদের রণকৌশল। এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু সরকারি দলের সঙ্গে বিরোধী দলের আলোচনা হলে আমরা খুশি হব। কিভাবে নির্বাচন হবে সেটা আলোচনায় বসার পরই চূড়ান্ত হতে পারে।
অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ (রাজনৈতিক বিশ্লেষক) : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বিএনপির সঙ্গে আলোচনার যে আগ্রহের কথা জানিয়েছেন তা ইতিবাচক। আগামী নির্বাচন কী পদ্ধতিতে হবে তা নিয়ে শিগগির আলোচনায় বসতে চাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ পেয়েছে তাঁর এই বক্তব্যে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপির সাড়া পেলে এই আলোচনা সম্ভব। অনেকে হয়তো ধরে নিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ একাই নির্বাচন করতে চাইছে। কিন্তু সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের এই বক্তব্য ইঙ্গিত দিচ্ছে যে আওয়ামী লীগ একাই নির্বাচন করতে চায় না। এটা স্বস্তিদায়ক। বলা হয়েছে, সরকারি দলের সঙ্গে বিরোধী দলের অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে। এখন আনুষ্ঠানিক আলোচনা হবে। কিন্তু কী ফর্মুলা নিয়ে আলোচনা শুরু হবে এটাই মূল বিষয়। এটাই এখন দেখার বিষয়। কিছুদিন আগে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তও বলেছেন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা না হওয়ার সুযোগ নেই। আমরাও আশা করি এই সমঝোতা হবে। সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের কথাবার্তায় ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে। ইনফরমালি কথাবার্তা হয়েছে। ফরমালি কথাবার্তা শুরু হলেই ভালো। এ ক্ষেত্রে দেরি হলে সহিংসতার আশঙ্কা রয়েছে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান (টিআইবির নির্বাহী পরিচালক) : নির্বাচন সামনে রেখে দেশে কী হতে যাচ্ছে তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে। প্রধান বিরোধী দলকে নিয়ে আলোচনায় বসার জন্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের যে আগ্রহ প্রকাশ পেয়েছে সেটা আমাদের কিছুটা হলেও আশান্বিত করে। মৌলিক কথা হলো আলোচনায় বসতে হবে পূর্বশর্ত ছাড়াই। আলোচনার মূল লক্ষ্য হতে হবে শান্তিপূর্ণ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যের পর সুবাতাস বইছে বলেই মনে হচ্ছে। আওয়ামী লীগের এই নেতার কথায় আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ পেয়েছে, কিন্তু তিনি কোনো শর্তের কথা বলেননি। বিএনপির পক্ষ থেকে আলোচনায় বসতে সাড়া দেওয়া উচিত। নির্বাচনের জন্য একটি ট্রানজিশনাল গভর্নমেন্ট হবে। এটাকে কি তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলব, না অন্য কোনো নাম হবে এটির, আগের রূপরেখায় এটি না-ও হতে পারে; কী হতে পারে নতুন রূপরেখা, তা ঠিক হবে আলোচনার টেবিলে। দলীয় কোনো সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানে আস্থার অভাব রয়েছে। এটা দূর হতে আরো সময় লাগবে। আলোচনাতেই রূপরেখা ঠিক হবে। আলোচনার টেবিলে বসতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বছর শেষ হয়েছে। বছরের শেষের দিকে রাজনৈতিক ভাষার বিনিময় আমরা শুনেছি, উত্তাপ দেখেছি। আলোচনা না হলে এই রাজনৈতিক ভাষার বিনিময় আরো বাড়বে, উত্তাপ বাড়বে, সংঘাতও হতে পারে। এগুলো গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়।
আবদুস সালাম মুর্শেদী (বিজিএমইএ-এর সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ এঙ্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি) : আলোচনা না করে কোনো ধরনের সমাধান আসবে না। সরকারি দলের পক্ষ থেকে আলোচনার যে আগ্রহ প্রকাশ হয়েছে তাতে আলোচনায় বসার একটা উদ্যোগ নেওয়া যায়। এতে প্রধান বিরোধী দলের সায়ও থাকতে হবে। আলোচনায় বসে তারা দেখুক কী হয়। এর আগে শর্ত জুড়ে দিয়ে আলোচনার পথ বন্ধ করা বা তা দীর্ঘ করা সমীচীন হবে না। সরকারি দলের নেতার কথার সঙ্গে আন্তরিকতাও আমরা দেখতে চাই। আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে। সব দলকে নিয়েই আলোচনা হতে পারে। ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত আসতে হবে। রাজনীতিবিদরাই দেশ চালাবেন। দেশের উন্নয়নে তাঁরা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তাঁদের কাছে সংঘাতময় রাজনীতি চাই না। আমরা চাই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন। এ জন্য আলোচনার কোনো বিকল্প নেই। আমরা ব্যবসায়ী সমাজের পক্ষ থেকে একটি ফলদায়ক আলোচনা চাইছি।
প্রেক্ষাপট : গত সোমবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সমাধানের একমাত্র পথ আলোচনা। এর বিকল্প কোনো পথ নেই। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আলোচনা যেন শুরু হয়। যত তাড়াতাড়ি এর সুরাহা হয়, গণতন্ত্র ও জাতির জন্য তা তত মঙ্গলজনক। সৈয়দ আশরাফের এ বক্তব্যের পরদিন অর্থাৎ গতকাল মঙ্গলবার এক আলোচনা সভায় খালেদা জিয়া বলেছেন, সেই আলোচনা হতে পারে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের রূপরেখা নিয়ে। বিএনপি চেয়ারপারসন আরো বলেছেন, আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য, আগামী নির্বাচন নিয়ে সরকারের ফর্মুলা চলবে না। তাদের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। বিএনপির অবস্থান ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, আমাদের ফর্মুলা পরিষ্কার। আগামী নির্বাচন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই হতে হবে।
ড. আকবর আলি খান (তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা) : নির্বাচন নিয়ে সরকারি ও বিরোধী দলের মধ্যে আলোচনা হোক- এটা আমরা সবাই চাইছি। এটা আমাদের একান্ত চাওয়া। আমরা বহু দিন ধরেই বলে আসছি আলোচনা হওয়াটা ভালো। সরকারি ও প্রধান বিরোধী দলের মধ্যে সমঝোতার কোনো বিকল্প নেই। এদের মধ্যে সমঝোতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বিএনপি আলোচনায় যাওয়ার ক্ষেত্রে যদি শর্ত জুড়ে দেয় তাহলে সেটা তাদের রণকৌশল। এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু সরকারি দলের সঙ্গে বিরোধী দলের আলোচনা হলে আমরা খুশি হব। কিভাবে নির্বাচন হবে সেটা আলোচনায় বসার পরই চূড়ান্ত হতে পারে।
অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ (রাজনৈতিক বিশ্লেষক) : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বিএনপির সঙ্গে আলোচনার যে আগ্রহের কথা জানিয়েছেন তা ইতিবাচক। আগামী নির্বাচন কী পদ্ধতিতে হবে তা নিয়ে শিগগির আলোচনায় বসতে চাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ পেয়েছে তাঁর এই বক্তব্যে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপির সাড়া পেলে এই আলোচনা সম্ভব। অনেকে হয়তো ধরে নিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ একাই নির্বাচন করতে চাইছে। কিন্তু সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের এই বক্তব্য ইঙ্গিত দিচ্ছে যে আওয়ামী লীগ একাই নির্বাচন করতে চায় না। এটা স্বস্তিদায়ক। বলা হয়েছে, সরকারি দলের সঙ্গে বিরোধী দলের অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে। এখন আনুষ্ঠানিক আলোচনা হবে। কিন্তু কী ফর্মুলা নিয়ে আলোচনা শুরু হবে এটাই মূল বিষয়। এটাই এখন দেখার বিষয়। কিছুদিন আগে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তও বলেছেন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা না হওয়ার সুযোগ নেই। আমরাও আশা করি এই সমঝোতা হবে। সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের কথাবার্তায় ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে। ইনফরমালি কথাবার্তা হয়েছে। ফরমালি কথাবার্তা শুরু হলেই ভালো। এ ক্ষেত্রে দেরি হলে সহিংসতার আশঙ্কা রয়েছে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান (টিআইবির নির্বাহী পরিচালক) : নির্বাচন সামনে রেখে দেশে কী হতে যাচ্ছে তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে। প্রধান বিরোধী দলকে নিয়ে আলোচনায় বসার জন্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের যে আগ্রহ প্রকাশ পেয়েছে সেটা আমাদের কিছুটা হলেও আশান্বিত করে। মৌলিক কথা হলো আলোচনায় বসতে হবে পূর্বশর্ত ছাড়াই। আলোচনার মূল লক্ষ্য হতে হবে শান্তিপূর্ণ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যের পর সুবাতাস বইছে বলেই মনে হচ্ছে। আওয়ামী লীগের এই নেতার কথায় আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ পেয়েছে, কিন্তু তিনি কোনো শর্তের কথা বলেননি। বিএনপির পক্ষ থেকে আলোচনায় বসতে সাড়া দেওয়া উচিত। নির্বাচনের জন্য একটি ট্রানজিশনাল গভর্নমেন্ট হবে। এটাকে কি তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলব, না অন্য কোনো নাম হবে এটির, আগের রূপরেখায় এটি না-ও হতে পারে; কী হতে পারে নতুন রূপরেখা, তা ঠিক হবে আলোচনার টেবিলে। দলীয় কোনো সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানে আস্থার অভাব রয়েছে। এটা দূর হতে আরো সময় লাগবে। আলোচনাতেই রূপরেখা ঠিক হবে। আলোচনার টেবিলে বসতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বছর শেষ হয়েছে। বছরের শেষের দিকে রাজনৈতিক ভাষার বিনিময় আমরা শুনেছি, উত্তাপ দেখেছি। আলোচনা না হলে এই রাজনৈতিক ভাষার বিনিময় আরো বাড়বে, উত্তাপ বাড়বে, সংঘাতও হতে পারে। এগুলো গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়।
আবদুস সালাম মুর্শেদী (বিজিএমইএ-এর সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ এঙ্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি) : আলোচনা না করে কোনো ধরনের সমাধান আসবে না। সরকারি দলের পক্ষ থেকে আলোচনার যে আগ্রহ প্রকাশ হয়েছে তাতে আলোচনায় বসার একটা উদ্যোগ নেওয়া যায়। এতে প্রধান বিরোধী দলের সায়ও থাকতে হবে। আলোচনায় বসে তারা দেখুক কী হয়। এর আগে শর্ত জুড়ে দিয়ে আলোচনার পথ বন্ধ করা বা তা দীর্ঘ করা সমীচীন হবে না। সরকারি দলের নেতার কথার সঙ্গে আন্তরিকতাও আমরা দেখতে চাই। আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে। সব দলকে নিয়েই আলোচনা হতে পারে। ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত আসতে হবে। রাজনীতিবিদরাই দেশ চালাবেন। দেশের উন্নয়নে তাঁরা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তাঁদের কাছে সংঘাতময় রাজনীতি চাই না। আমরা চাই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন। এ জন্য আলোচনার কোনো বিকল্প নেই। আমরা ব্যবসায়ী সমাজের পক্ষ থেকে একটি ফলদায়ক আলোচনা চাইছি।
প্রেক্ষাপট : গত সোমবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সমাধানের একমাত্র পথ আলোচনা। এর বিকল্প কোনো পথ নেই। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আলোচনা যেন শুরু হয়। যত তাড়াতাড়ি এর সুরাহা হয়, গণতন্ত্র ও জাতির জন্য তা তত মঙ্গলজনক। সৈয়দ আশরাফের এ বক্তব্যের পরদিন অর্থাৎ গতকাল মঙ্গলবার এক আলোচনা সভায় খালেদা জিয়া বলেছেন, সেই আলোচনা হতে পারে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের রূপরেখা নিয়ে। বিএনপি চেয়ারপারসন আরো বলেছেন, আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য, আগামী নির্বাচন নিয়ে সরকারের ফর্মুলা চলবে না। তাদের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। বিএনপির অবস্থান ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, আমাদের ফর্মুলা পরিষ্কার। আগামী নির্বাচন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই হতে হবে।
No comments