আওয়ামী লীগ চায়-তত্ত্বাবধায়ক নয়, অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে আলোচনা by পার্থ প্রতীম ভট্টাচার্য্য
নতুন বছরের শুরুতেই সংলাপের কথা বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বেশ সাড়া ফেলেছেন। পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতি নিয়ে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বসার বিষয়েও ইতিবাচক ক্ষমতাসীনরা।
বিরোধী দল তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের দাবিতে অনঢ় থাকলেও আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবনা হলো নির্বাচনকালীন ছোট একটি অন্তর্বর্তী সরকার থাকবে। সেই সরকার পদ্ধতি এবং তাতে বিএনপির প্রতিনিধিত্ব নিয়েই মূলত আওয়ামী লীগ বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে নয়। প্রধানমন্ত্রী নিজেও তাঁর প্রস্তাবিত অন্তর্বর্তী সরকারে বিএনপির প্রতিনিধিত্ব চান। এর বাইরে আর কোনো ছাড় দিতে তিনি রাজি নন।
তবে বিএনপি তাদের দাবি প্রস্তাবনা সংসদে তুললে তাতে ইতিবাচক সাড়া দিতে প্রস্তুত সরকার। সব দল না এলে পরবর্তী নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে না- এটা জেনেই সরকার চায় পরবর্তী নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ। তবে আদালতের রায়ে বাতিল হওয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় ফিরে না যাওয়ার ব্যাপারে অনমনীয় সরকার। আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে দলের এ মনোভাব জানা গেছে।
সোমবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনায় বসার ব্যাপারে আওয়ামী লীগের আগ্রহের কথা জানান। আলোচনা ছাড়া বিরোধ মেটানোর বিকল্প কোনো পথ নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, আলোচনা যত তাড়াতাড়ি হবে গণতন্ত্র ও জাতির জন্য তা তত মঙ্গলজনক হবে। বিএনপির সঙ্গে তলে তলে আলোচনা চলছে এবং সরকার বিএনপির কাছ থেকে প্রস্তাবের অপেক্ষায় আছে বলেও মন্তব্য করেন সৈয়দ আশরাফ।
সূত্র নিশ্চিত করেছে, জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানও বিএনপিকে সংসদে ফিরে আলোচনার আহ্বান জানাবেন। মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত ভাষণে এ আহ্বানের কথা আছে বলে জানা গেছে।
২৯ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে দলের সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্টেও এই আহ্বান জানানো হয়েছে। লিখিত বক্তব্যে বিএনপিকে উদ্দেশ করে সৈয়দ আশরাফ বলেন, সংসদে এসে বিগত দিনের অভিজ্ঞতা ও দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় বিবেচনায় নিয়ে প্রস্তাবের রূপরেখা তুলে ধরুন। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ও অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ-গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে এ ইস্যুতে আলোচনায় প্রস্তুত। তবে সৈয়দ আশরাফ শেখ হাসিনা প্রস্তাবিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা প্রসঙ্গে বলেন, 'আমরা দৃঢভাবে বিশ্বাস করি, শেখ হাসিনার প্রস্তাবিত পথেই কেবল সুষ্ঠু-অবাধ-নিরপেক্ষ-গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব।'
গত জুলাই মাসে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আগামী জাতীয় নির্বাচনের সময় একটি অন্তর্বর্তী মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে। আর তাতে বিএনপিও অংশগ্রহণ করতে পারবে। নির্বাচনের সময় সরকার গঠনে তাঁরা যদি তাঁদের অংশীদারিত্ব চান, সেটা আমরা দিতে পারি। সবাই মিলে আমরা সেটা করতে পারি। তখন একটা ছোট মন্ত্রিসভা গঠনের মাধ্যমে আমরা নির্বাচন করতে পারি।'
দলের আলোচনার আগ্রহের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে আওয়ামী লীগের সদ্যবিলুপ্ত কমিটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, আওয়ামী লীগ সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন চায় এবং এ জন্য বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী সরকার। দলের এই আগ্রহের মধ্যে কোনো চালাকি নেই বরং আলোচনার জন্য সরকার আন্তরিক বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আলোচনা কোন ব্যাপারে হতে পারে- এ প্রশ্নের জবাবে মতিয়া চৌধুরী বলেন, 'আমাদের নেত্রী আভাস দিয়েছেন নির্বাচনকালীন মিনি কেবিনেটের এবং বিএনপি ইচ্ছা করলে সেখানে আসতে পারে। সরকার এ ব্যাপারে আলোচনায় প্রস্তুত বলে জানান আওয়ামী লীগের এই প্রভাবশালী নেত্রী।'
আলোচনার ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সদ্যবিলুপ্ত কমিটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপে আওয়ামী লীগ এবং সরকার আন্তরিক। নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পেতে গেলে সব দলের অংশগ্রহণ জরুরি মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে আমরা প্রমাণ করতে চাই, দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব।'
সম্প্রতি প্রায় সব বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনির্বাচিত কোনো ব্যক্তির হাতে আর ক্ষমতা দেওয়া হবে না বলেও ঘোষণা দিয়ে আসছেন। তাঁর মতে, অনির্বাচিত সরকার ব্যবস্থায় দেশের গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়ে। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খানের দেয়া এ-সংক্রান্ত ফর্মুলার সমালোচনা করে তিনি এক অনুষ্ঠানে বলেন, ব্যর্থদের ফর্মুলায় গণতন্ত্র সুরক্ষিত হবে না। তাঁর এ বক্তব্য আওয়ামী লীগেরই অবস্থান বলে মনে করেন অনেকে।
তবে বিএনপি তাদের দাবি প্রস্তাবনা সংসদে তুললে তাতে ইতিবাচক সাড়া দিতে প্রস্তুত সরকার। সব দল না এলে পরবর্তী নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে না- এটা জেনেই সরকার চায় পরবর্তী নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ। তবে আদালতের রায়ে বাতিল হওয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় ফিরে না যাওয়ার ব্যাপারে অনমনীয় সরকার। আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে দলের এ মনোভাব জানা গেছে।
সোমবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনায় বসার ব্যাপারে আওয়ামী লীগের আগ্রহের কথা জানান। আলোচনা ছাড়া বিরোধ মেটানোর বিকল্প কোনো পথ নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, আলোচনা যত তাড়াতাড়ি হবে গণতন্ত্র ও জাতির জন্য তা তত মঙ্গলজনক হবে। বিএনপির সঙ্গে তলে তলে আলোচনা চলছে এবং সরকার বিএনপির কাছ থেকে প্রস্তাবের অপেক্ষায় আছে বলেও মন্তব্য করেন সৈয়দ আশরাফ।
সূত্র নিশ্চিত করেছে, জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানও বিএনপিকে সংসদে ফিরে আলোচনার আহ্বান জানাবেন। মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত ভাষণে এ আহ্বানের কথা আছে বলে জানা গেছে।
২৯ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে দলের সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্টেও এই আহ্বান জানানো হয়েছে। লিখিত বক্তব্যে বিএনপিকে উদ্দেশ করে সৈয়দ আশরাফ বলেন, সংসদে এসে বিগত দিনের অভিজ্ঞতা ও দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় বিবেচনায় নিয়ে প্রস্তাবের রূপরেখা তুলে ধরুন। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ও অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ-গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে এ ইস্যুতে আলোচনায় প্রস্তুত। তবে সৈয়দ আশরাফ শেখ হাসিনা প্রস্তাবিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা প্রসঙ্গে বলেন, 'আমরা দৃঢভাবে বিশ্বাস করি, শেখ হাসিনার প্রস্তাবিত পথেই কেবল সুষ্ঠু-অবাধ-নিরপেক্ষ-গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব।'
গত জুলাই মাসে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আগামী জাতীয় নির্বাচনের সময় একটি অন্তর্বর্তী মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে। আর তাতে বিএনপিও অংশগ্রহণ করতে পারবে। নির্বাচনের সময় সরকার গঠনে তাঁরা যদি তাঁদের অংশীদারিত্ব চান, সেটা আমরা দিতে পারি। সবাই মিলে আমরা সেটা করতে পারি। তখন একটা ছোট মন্ত্রিসভা গঠনের মাধ্যমে আমরা নির্বাচন করতে পারি।'
দলের আলোচনার আগ্রহের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে আওয়ামী লীগের সদ্যবিলুপ্ত কমিটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, আওয়ামী লীগ সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন চায় এবং এ জন্য বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী সরকার। দলের এই আগ্রহের মধ্যে কোনো চালাকি নেই বরং আলোচনার জন্য সরকার আন্তরিক বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আলোচনা কোন ব্যাপারে হতে পারে- এ প্রশ্নের জবাবে মতিয়া চৌধুরী বলেন, 'আমাদের নেত্রী আভাস দিয়েছেন নির্বাচনকালীন মিনি কেবিনেটের এবং বিএনপি ইচ্ছা করলে সেখানে আসতে পারে। সরকার এ ব্যাপারে আলোচনায় প্রস্তুত বলে জানান আওয়ামী লীগের এই প্রভাবশালী নেত্রী।'
আলোচনার ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সদ্যবিলুপ্ত কমিটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপে আওয়ামী লীগ এবং সরকার আন্তরিক। নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পেতে গেলে সব দলের অংশগ্রহণ জরুরি মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে আমরা প্রমাণ করতে চাই, দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব।'
সম্প্রতি প্রায় সব বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনির্বাচিত কোনো ব্যক্তির হাতে আর ক্ষমতা দেওয়া হবে না বলেও ঘোষণা দিয়ে আসছেন। তাঁর মতে, অনির্বাচিত সরকার ব্যবস্থায় দেশের গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়ে। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খানের দেয়া এ-সংক্রান্ত ফর্মুলার সমালোচনা করে তিনি এক অনুষ্ঠানে বলেন, ব্যর্থদের ফর্মুলায় গণতন্ত্র সুরক্ষিত হবে না। তাঁর এ বক্তব্য আওয়ামী লীগেরই অবস্থান বলে মনে করেন অনেকে।
No comments