বিজিএমইএর প্রতিবেদনে মালিকপক্ষ খালাস?- তাজরীনে আগুনের কারণ
তাজরীন ফ্যাশনসের ১১১ জন শ্রমিকের বীভৎস মৃত্যুর জন্য আগুনই দায়ী। কিন্তু আগুনের জন্য কে দায়ী, তা নিয়ে নানা মত রয়েছে। সরকারি তদন্ত প্রতিবেদনে আগুনের কারণ বলা হয়েছিল নাশকতাকে।
ঘটনার এক মাস ছয় দিন পর বিজিএমইএর তদন্ত প্রতিবেদনেও ‘ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগ প্রতিধ্বনিত হয়েছে। শ্রমিক হত্যা, নির্যাতন ও শোষণ বিষয়ে পোশাকশিল্প-মালিকদের সঙ্গে সরকারি অবস্থান বরাবরই এক হতে দেখা যায়। সমস্যাটা সেখানেই।
ঘটনার পরপরই প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে ‘ষড়যন্ত্রের’ কথা বলেছিলেন। সরকারি তদন্ত কমিটি ও বিজিএমইএর প্রতিবেদনেও সে রকম কথা লেখা হয়েছে। গত সোমবার বিজিএমইএর সংবাদ সম্মেলনে আগুনের ঘটনাকে ‘পরিকল্পিত’ বলা হয়; মধ্যম সারির কর্মকর্তারাই পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। কিন্তু তাঁরা কার নির্দেশে এ কাজ করেছেন এবং মালিকের ভূমিকা কী ছিল, সে সম্পর্কে কিছুই বলা হয়নি।
প্রাপ্ত আলামত থেকে এটা স্পষ্ট, মালিকপক্ষের অবহেলার কারণেই আগুন লেগেছে। সে ক্ষেত্রে মধ্যম সারির কর্মকর্তাদের ওপর সম্পূর্ণ দায় চাপিয়ে মালিকপক্ষ নিষ্কৃতি পেতে পারে না। অথচ বিজিএমইএর প্রতিবেদন মালিকপক্ষের দায় সম্পর্কে নীরব। বিজিএমইএর প্রতিবেদন অনুযায়ী, কারখানার ভেতর থেকেই যদি নাশকতা ঘটানো হলে কারা ঘটিয়েছে, তা খুঁজে বের করা দরকার। এ ব্যাপারে বিজিএমইএও তদন্তকাজে সরকারকে সহযোগিতা করতে পারে। এই রহস্য উদ্ঘাটন এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার মাধ্যমেই কেবল এ রকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা সম্ভব।
সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, তাজরীন ফ্যাশনসে আগুনে নিহত শ্রমিকদের মধ্যে ১৪ জনের খোঁজ নিতে কেউ না আসায় তাঁদের ক্ষতিপূরণের অর্থ দেওয়া হয়নি। এটা বড়ই অস্বাভাবিক যে ১৪ জন মানুষের কোনোই আত্মীয়স্বজন নেই। তাঁদের আত্মীয়স্বজনকে খুঁজে বের করার উদ্যোগ নেওয়া উচিত। তাজরীন ফ্যাশনস কর্তৃপক্ষের কাছে শ্রমিকদের তালিকা, নাম-ঠিকানাসহ পরিচয়পত্র ইত্যাদি থাকলে কাজটি সহজ হতে পারত, কিন্তু সম্ভবত সেসব পুড়ে গেছে। এখন একটি উপায় হতে পারে সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা। নিহত ব্যক্তিদের পরিবারগুলোর ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকার আছে, তাদের খুঁজে বের করে ক্ষতিপূরণের অর্থ তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দায়িত্ব তাজরীন ফ্যাশনস ও বিজিএমইএর এড়ানো উচিত নয়।
ঘটনার পরপরই প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে ‘ষড়যন্ত্রের’ কথা বলেছিলেন। সরকারি তদন্ত কমিটি ও বিজিএমইএর প্রতিবেদনেও সে রকম কথা লেখা হয়েছে। গত সোমবার বিজিএমইএর সংবাদ সম্মেলনে আগুনের ঘটনাকে ‘পরিকল্পিত’ বলা হয়; মধ্যম সারির কর্মকর্তারাই পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। কিন্তু তাঁরা কার নির্দেশে এ কাজ করেছেন এবং মালিকের ভূমিকা কী ছিল, সে সম্পর্কে কিছুই বলা হয়নি।
প্রাপ্ত আলামত থেকে এটা স্পষ্ট, মালিকপক্ষের অবহেলার কারণেই আগুন লেগেছে। সে ক্ষেত্রে মধ্যম সারির কর্মকর্তাদের ওপর সম্পূর্ণ দায় চাপিয়ে মালিকপক্ষ নিষ্কৃতি পেতে পারে না। অথচ বিজিএমইএর প্রতিবেদন মালিকপক্ষের দায় সম্পর্কে নীরব। বিজিএমইএর প্রতিবেদন অনুযায়ী, কারখানার ভেতর থেকেই যদি নাশকতা ঘটানো হলে কারা ঘটিয়েছে, তা খুঁজে বের করা দরকার। এ ব্যাপারে বিজিএমইএও তদন্তকাজে সরকারকে সহযোগিতা করতে পারে। এই রহস্য উদ্ঘাটন এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার মাধ্যমেই কেবল এ রকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা সম্ভব।
সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, তাজরীন ফ্যাশনসে আগুনে নিহত শ্রমিকদের মধ্যে ১৪ জনের খোঁজ নিতে কেউ না আসায় তাঁদের ক্ষতিপূরণের অর্থ দেওয়া হয়নি। এটা বড়ই অস্বাভাবিক যে ১৪ জন মানুষের কোনোই আত্মীয়স্বজন নেই। তাঁদের আত্মীয়স্বজনকে খুঁজে বের করার উদ্যোগ নেওয়া উচিত। তাজরীন ফ্যাশনস কর্তৃপক্ষের কাছে শ্রমিকদের তালিকা, নাম-ঠিকানাসহ পরিচয়পত্র ইত্যাদি থাকলে কাজটি সহজ হতে পারত, কিন্তু সম্ভবত সেসব পুড়ে গেছে। এখন একটি উপায় হতে পারে সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা। নিহত ব্যক্তিদের পরিবারগুলোর ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকার আছে, তাদের খুঁজে বের করে ক্ষতিপূরণের অর্থ তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দায়িত্ব তাজরীন ফ্যাশনস ও বিজিএমইএর এড়ানো উচিত নয়।
No comments