হাতিরঝিল প্রকল্পের উদ্বোধন আজ
রাজধানীর আলোচিত হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ী খাল সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন আজ বুধবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। এর পরই প্রকল্পভুক্ত এলাকা জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
বৃষ্টির পানি ও পয়োনিষ্কাশনের মাধ্যমে রাজধানীর একটি বড় অংশের জলাবদ্ধতা দূর করা, বৃষ্টি ও বন্যাজনিত পানি ধারণ, নগরের নান্দনিক সৌন্দর্য বাড়ানো, রাজধানীর পূর্ব ও পশ্চিম অংশের মধ্যে যোগাযোগের ব্যবস্থাসহ সার্বিক পরিবেশের উন্নয়ন করতে এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল।
আশা করা হচ্ছে, প্রকল্পের আওতায় শহরের পূর্ব-পশ্চিম সংযোগকারী সড়ক, সেতু ও লেকসংলগ্ন হাঁটার পথ নির্মাণের ফলে যানজট কমবে। হাতিরঝিল ও বেগুনবাড়ী খালের সঙ্গে বনানী ও গুলশান লেকের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। একটি আধুনিক পয়োনিষ্কাশন নেটওয়ার্কও গড়ে উঠবে হাতিরঝিল প্রকল্পকে ঘিরে। প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে সম্ভাব্য যানজট নিরসনের লক্ষ্যে প্রকল্পের পরামর্শকদের নির্দেশনামতো সংশোধিত প্রকল্পে দুটি ইউ লুপ সংযোজন করা হয়। এর নির্মাণকাজও শুরু হয়েছে।
প্রকল্পে চারটি সেতু, চারটি ওভারপাস, ৮ দশমিক ৮ কিলোমিটার সার্ভিস সড়ক, আট কিলোমিটার এক্সপ্রেস সড়ক, ২৬০ মিটার ভায়াডাক্ট (সেতুপথ) এবং প্রায় ১২ কিলোমিটার হাঁটার পথ নির্মাণ করা হয়েছে।
সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, প্রকল্পটির বাস্তবায়ন ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৯৬০ কোটি টাকা। বরাদ্দ করা অর্থের মধ্যে ১৫০ কোটি টাকা জাপানের অনুদানের। বাকি অর্থায়ন করছে বাংলাদেশ সরকার। ওয়াসা, রাজউক ও এলজিইডির সহায়তা নিয়ে প্রকল্পের কাজ করছে সেনাবাহিনীর কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্স ১৬ ইসিবি।
হাতিরঝিল প্রকল্প উদ্বোধন উপলক্ষে গত সোমবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান নূরুল হুদা বলেন, বেগুনবাড়ী-হাতিরঝিল সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পসংলগ্ন এলাকায় নতুন ভবন নির্মাণ করতে হলে তা অবশ্যই নান্দনিক ও শৈল্পিক হতে হবে। এই শর্তে রাজউক হাতিরঝিল এলাকায় নতুন ভবনের নকশা অনুমোদন করবে। এ ছাড়া হাতিরঝিল এলাকার জন্য আলাদা একটি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ গঠনের প্রস্তাব করবে সংস্থাটি।
রাজউকের চেয়ারম্যান বলেন, হাতিরঝিল প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়টি ছিল একটি বড় চ্যালেঞ্জ। প্রকল্পটি বাধাগ্রস্ত করতে দুপাশে ‘জনতার মঞ্চ’ তৈরি করা হয়েছিল। ৭৮টি মামলাও হয়। ২০টি আদালত অবমাননার মামলা মাথায় নিয়েই শেষ পর্যন্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে।
নূরুল হুদা জানান, হাতিরঝিল প্রকল্প মোট ৩০২ একর জমিতে গড়ে উঠেছে। মোট খরচ হয়েছে এক হাজার ৯৭১ কোটি টাকা। এর মধ্যে জমি অধিগ্রহণে এক হাজার ৪৮ কোটি এবং বাকি টাকা নির্মাণকাজে খরচ হয়।
আশা করা হচ্ছে, প্রকল্পের আওতায় শহরের পূর্ব-পশ্চিম সংযোগকারী সড়ক, সেতু ও লেকসংলগ্ন হাঁটার পথ নির্মাণের ফলে যানজট কমবে। হাতিরঝিল ও বেগুনবাড়ী খালের সঙ্গে বনানী ও গুলশান লেকের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। একটি আধুনিক পয়োনিষ্কাশন নেটওয়ার্কও গড়ে উঠবে হাতিরঝিল প্রকল্পকে ঘিরে। প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে সম্ভাব্য যানজট নিরসনের লক্ষ্যে প্রকল্পের পরামর্শকদের নির্দেশনামতো সংশোধিত প্রকল্পে দুটি ইউ লুপ সংযোজন করা হয়। এর নির্মাণকাজও শুরু হয়েছে।
প্রকল্পে চারটি সেতু, চারটি ওভারপাস, ৮ দশমিক ৮ কিলোমিটার সার্ভিস সড়ক, আট কিলোমিটার এক্সপ্রেস সড়ক, ২৬০ মিটার ভায়াডাক্ট (সেতুপথ) এবং প্রায় ১২ কিলোমিটার হাঁটার পথ নির্মাণ করা হয়েছে।
সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, প্রকল্পটির বাস্তবায়ন ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৯৬০ কোটি টাকা। বরাদ্দ করা অর্থের মধ্যে ১৫০ কোটি টাকা জাপানের অনুদানের। বাকি অর্থায়ন করছে বাংলাদেশ সরকার। ওয়াসা, রাজউক ও এলজিইডির সহায়তা নিয়ে প্রকল্পের কাজ করছে সেনাবাহিনীর কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্স ১৬ ইসিবি।
হাতিরঝিল প্রকল্প উদ্বোধন উপলক্ষে গত সোমবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান নূরুল হুদা বলেন, বেগুনবাড়ী-হাতিরঝিল সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পসংলগ্ন এলাকায় নতুন ভবন নির্মাণ করতে হলে তা অবশ্যই নান্দনিক ও শৈল্পিক হতে হবে। এই শর্তে রাজউক হাতিরঝিল এলাকায় নতুন ভবনের নকশা অনুমোদন করবে। এ ছাড়া হাতিরঝিল এলাকার জন্য আলাদা একটি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ গঠনের প্রস্তাব করবে সংস্থাটি।
রাজউকের চেয়ারম্যান বলেন, হাতিরঝিল প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়টি ছিল একটি বড় চ্যালেঞ্জ। প্রকল্পটি বাধাগ্রস্ত করতে দুপাশে ‘জনতার মঞ্চ’ তৈরি করা হয়েছিল। ৭৮টি মামলাও হয়। ২০টি আদালত অবমাননার মামলা মাথায় নিয়েই শেষ পর্যন্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে।
নূরুল হুদা জানান, হাতিরঝিল প্রকল্প মোট ৩০২ একর জমিতে গড়ে উঠেছে। মোট খরচ হয়েছে এক হাজার ৯৭১ কোটি টাকা। এর মধ্যে জমি অধিগ্রহণে এক হাজার ৪৮ কোটি এবং বাকি টাকা নির্মাণকাজে খরচ হয়।
No comments