সংলাপের সম্ভাবনা-রাজনীতিবিদদের কাছে এই সদিচ্ছাই কাম্য
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র এক বছর বাকি। কিন্তু কোন ধরনের সরকার পদ্ধতির অধীনে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। আর তা নিয়ে দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছে। ফলে হরতাল-অবরোধসহ কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি পালিত হয়ে আসছে।
এতে সাংঘর্ষিক অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। সারা দেশ অচল হয়ে পড়ছে। অদূর-ভবিষ্যতে তা আরো সাংঘর্ষিক হয়ে ওঠার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে করে নাগরিকদের মনে শঙ্কা ও উদ্বেগ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এই অবস্থায় বিগত ইংরেজি বছরের শেষ দিনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জাতিকে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতি নিয়ে খুব শিগগিরই প্রধান বিরোধী দল বিএনপির সঙ্গে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, সমঝোতার ভিত্তিতেই আগামী নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ থাকবে। বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলাম তাঁর আশাবাদকে শুভবুদ্ধির পরিচায়ক বলে উল্লেখ করেছেন। আমরাও তাঁদের মতো একই আশা পোষণ করছি। একই সঙ্গে আশা করি, কেবল কৌশলগত কারণে নয়, বরং সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও আন্তরিকতা নিয়ে উভয় পক্ষ আলোচনায় বসবে এবং বিদ্যমান সমস্যার একটি যৌক্তিক সমাধান খুঁজে বের করবে।
প্রধান দুটি দলকে বিদ্যমান সমস্যা নিয়ে আলোচনায় বসার তাগিদ যেমন দেশের ভেতর থেকে আছে, তেমনি আমাদের উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলোর পক্ষ থেকেও আছে। কারণ দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা যেমন দেশের ভেতরে শান্তি চাই, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চাই, তেমনি বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও তাঁদের বিনিয়োগের স্বার্থে হলেও এ দেশে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা ও স্থিতিশীলতা চান। আমরা বিশ্বাস করি, প্রধান দুটি দল ও তাদের অনুগামী জোটের শরিক দলগুলোর নেতাদের সবাই দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণ চান। সাংঘর্ষিক রাজনীতি, অনমনীয়তা, পারস্পরিক আস্থা ও শ্রদ্ধাহীনতা সেই কল্যাণ সাধনে অক্ষম। তাই দেশের মানুষের স্বার্থে তাঁরা খোলা মন ও সমস্যা সমাধানের মানসিকতা নিয়ে আলোচনায় বসবেন, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। আমরা ২০০৬ সালে দেখেছি, অনমনীয়তা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে কতটা সাংঘর্ষিক ও ভয়াবহ করে তুলতে পারে। এর ফলে দেশে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতাও ব্যাহত হয়েছিল। রাজনীতিবিদদেরও অনেক মূল্য দিতে হয়েছিল। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যেও এর যথেষ্ট ক্ষতিকর প্রভাব পড়েছিল। আমরা মনে করি না, এ দেশের রাজনীতিবিদরা আবারও সেই একই ধারায় হাঁটতে থাকবেন। বরং আমরা মনে করি, কাঙ্ক্ষিত ও যৌক্তিক পরিণতির দিকেই তাঁরা এগিয়ে যাবেন।
আমরা সব সময়ই বলে আসছি, আলোচনার পরিবেশ তৈরিতে সরকারি দলের ভূমিকাই হবে অগ্রগণ্য। আর সে জন্য নিপীড়ন, নির্যাতনের পথ ছেড়ে তাদের অনেক বেশি সহনশীলতার পরিচয় দিতে হবে। নেতা-নেত্রীদের বাক-সংযম করতে হবে। উস্কানিমূলক যেকোনো বক্তৃতা-বিবৃতি থেকে বিরত থাকতে হবে। অনমনীয় মনোভাব ছেড়ে বিরোধী দলের যুক্তিসংগত বক্তব্য গ্রহণ করার মানসিকতা থাকতে হবে। একইভাবে বিরোধী দলকেও দেশের স্বার্থে আরো উদার হতে হবে। কেবল বিরোধিতার জন্য বিরোধিতার নীতি থেকে তাদের বেরিয়ে আসতে হবে। দুই দলের বিরোধ নিয়ে দেশের জনগণ বরাবরই অন্ধকারে থেকে যায়। উন্মুক্ত আলোচনায় জনগণ কিছুটা হলেও সেই অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসবে এবং আগামী নির্বাচনে তাদের সুচিন্তিত রায় দিতে পারবে। পাশাপাশি অন্তত শেষ বছরে হলেও বিরোধী দল সংসদে যাবে এবং তাদের যৌক্তিক দাবি-দাওয়া গণমানুষের সামনে তুলে ধরবে, সেটাও আমরা প্রত্যাশা করি। আমরা চাই না, বাংলাদেশ আবার বড় কোনো প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ুক। বরং আমরা চাই, আমাদের রাজনীতিবিদদের সুচিন্তিত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশ তার কাঙ্ক্ষিত পথে অব্যাহতভাবে এগিয়ে যাক।
প্রধান দুটি দলকে বিদ্যমান সমস্যা নিয়ে আলোচনায় বসার তাগিদ যেমন দেশের ভেতর থেকে আছে, তেমনি আমাদের উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলোর পক্ষ থেকেও আছে। কারণ দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা যেমন দেশের ভেতরে শান্তি চাই, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চাই, তেমনি বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও তাঁদের বিনিয়োগের স্বার্থে হলেও এ দেশে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা ও স্থিতিশীলতা চান। আমরা বিশ্বাস করি, প্রধান দুটি দল ও তাদের অনুগামী জোটের শরিক দলগুলোর নেতাদের সবাই দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণ চান। সাংঘর্ষিক রাজনীতি, অনমনীয়তা, পারস্পরিক আস্থা ও শ্রদ্ধাহীনতা সেই কল্যাণ সাধনে অক্ষম। তাই দেশের মানুষের স্বার্থে তাঁরা খোলা মন ও সমস্যা সমাধানের মানসিকতা নিয়ে আলোচনায় বসবেন, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। আমরা ২০০৬ সালে দেখেছি, অনমনীয়তা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে কতটা সাংঘর্ষিক ও ভয়াবহ করে তুলতে পারে। এর ফলে দেশে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতাও ব্যাহত হয়েছিল। রাজনীতিবিদদেরও অনেক মূল্য দিতে হয়েছিল। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যেও এর যথেষ্ট ক্ষতিকর প্রভাব পড়েছিল। আমরা মনে করি না, এ দেশের রাজনীতিবিদরা আবারও সেই একই ধারায় হাঁটতে থাকবেন। বরং আমরা মনে করি, কাঙ্ক্ষিত ও যৌক্তিক পরিণতির দিকেই তাঁরা এগিয়ে যাবেন।
আমরা সব সময়ই বলে আসছি, আলোচনার পরিবেশ তৈরিতে সরকারি দলের ভূমিকাই হবে অগ্রগণ্য। আর সে জন্য নিপীড়ন, নির্যাতনের পথ ছেড়ে তাদের অনেক বেশি সহনশীলতার পরিচয় দিতে হবে। নেতা-নেত্রীদের বাক-সংযম করতে হবে। উস্কানিমূলক যেকোনো বক্তৃতা-বিবৃতি থেকে বিরত থাকতে হবে। অনমনীয় মনোভাব ছেড়ে বিরোধী দলের যুক্তিসংগত বক্তব্য গ্রহণ করার মানসিকতা থাকতে হবে। একইভাবে বিরোধী দলকেও দেশের স্বার্থে আরো উদার হতে হবে। কেবল বিরোধিতার জন্য বিরোধিতার নীতি থেকে তাদের বেরিয়ে আসতে হবে। দুই দলের বিরোধ নিয়ে দেশের জনগণ বরাবরই অন্ধকারে থেকে যায়। উন্মুক্ত আলোচনায় জনগণ কিছুটা হলেও সেই অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসবে এবং আগামী নির্বাচনে তাদের সুচিন্তিত রায় দিতে পারবে। পাশাপাশি অন্তত শেষ বছরে হলেও বিরোধী দল সংসদে যাবে এবং তাদের যৌক্তিক দাবি-দাওয়া গণমানুষের সামনে তুলে ধরবে, সেটাও আমরা প্রত্যাশা করি। আমরা চাই না, বাংলাদেশ আবার বড় কোনো প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ুক। বরং আমরা চাই, আমাদের রাজনীতিবিদদের সুচিন্তিত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশ তার কাঙ্ক্ষিত পথে অব্যাহতভাবে এগিয়ে যাক।
No comments