তলে তলে আলোচনা নয়, ষড়যন্ত্র হচ্ছে-ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে খালেদা জিয়া
জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য 'তলে তলে আলোচনা'র কথা বলা হচ্ছে উল্লেখ করে সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, 'তলে তলে আলোচনা নয় বরং ষড়যন্ত্র হচ্ছে।' সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, 'কোনো ফর্মুলায় কাজ হবে না।
আপনাদের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। আলোচনা হতে পারে শুধু নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের রূপরেখা নিয়ে। নির্দলীয় সরকারের প্রধান এবং তাঁর ১০ জন উপদেষ্টার সবাইকে নিরপেক্ষ ব্যক্তি হতে হবে।' তিনি জোর দিয়ে বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে, দিতে হবে। ওই সরকারের প্রধানসহ সবাই নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য ৯০ দিন ক্ষমতায় থাকবেন। বর্তমান সরকারের কঠোর সমালোচনার পাশাপাশি চলমান আন্দোলনে দেশের ছাত্রসমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন। সরকারি দলকে উদ্দেশ করে তিনি আরো বলেন, 'এর আগেও আমাদের সময় অনেকবার প্রকাশ্যে সংলাপ হয়েছিল। স্যার স্টিফেন নিনিয়ানের মধ্যস্থতায় আলোচনা হয়েছিল। তখন আপনারা মানেননি। কিন্তু এবার আপনারা বলছেন তলে তলে আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু তলে তলে কোনো আলোচনা হয় না। আলোচনা হতে হলে আগে আমি তো জানতাম। আমাকে জানতে হবে। তলে তলে কোনো আলোচনা নয়, ষড়যন্ত্র হচ্ছে আমি বলব। জনগণকে বিভ্রান্ত করতেই এসব বলা হচ্ছে।' তিনি বলেন, 'আমরা তলে তলে আলোচনায় বিশ্বাসী নই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি। আলোচনা করেও নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা তৈরি করা যায়। ফখরুদ্দীন-মইন উদ্দিনের সরকারকে অবৈধ সরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'তাঁদের দোহাই দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরোধিতা করলে হবে না। আপনারাই তলে তলে তাঁদের সঙ্গে আঁতাত করেছিলেন।'
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, 'দেশের সবচেয়ে বড় ছাত্র সংগঠন ছাত্রদল। তোমরা যারা ছাত্রদল করো, দেশের প্রতি তোমাদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। রাজনীতির আগে তোমাদের প্রধান কাজ হলো লেখাপড়া করা। জাতীয়তাবাদের দর্শন দেশের মানুষের কাছে তোমাদের পৌঁছে দিতে হবে। প্রকৃত ছাত্রদের দিয়েই এই সংগঠন গড়ে তুলতে হবে।' ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকারি দলের ছাত্র সংগঠনকে ছাত্রদের সংগঠন বলা যায় না। তাদের হাতে বই-খাতা নেই। আছে বন্দুক আর রামদা। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তারা ভর্তি বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি করছে। অন্য সংগঠনকে সেখানে যেতে দেয় না। তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় অচল করে রেখেছিল। সিলেটে এমসি কলেজের এক শ বছরের হল ছাত্রলীগ পুড়িয়ে দিয়েছে। তাদের ছাত্র বলা যায় না। তারা সন্ত্রাসী। আওয়ামী লীগের কেউ মুক্তিযুদ্ধ করেনি দাবি করে খালেদা জিয়া বলেন, তারা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ওপারে গিয়ে থেকেছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি দাবি করলেও মুক্তিযোদ্ধা নয়। যুদ্ধ না করলে যোদ্ধা হওয়া যায় না। আমরা যুদ্ধ করেছি। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা পেয়েছি। এই রক্ত বৃথা যেতে দেওয়া যায় না। তিনি বলেন, বার কাউন্সিল নির্বাচনসহ পেশাজীবীদের বিভিন্ন নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী শক্তি জয়ী হচ্ছে। তারা সবাই বুঝে গেছে, যারা রাষ্ট্র আর জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে, তাদের হাতে দেশ নিরাপদ নয়।
অবিলম্বে সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল পাসের আহ্বান জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, 'আগামীতে আমরা সবাইকে নিয়ে দেশ গড়তে চাই। এই কাজে আওয়ামী লীগও যদি আমাদের সঙ্গে আসতে চায়, তাদেরও স্বাগতম জানাব। সবাই মিলে দেশ গড়ব।'
তিনি অভিযোগ করে বলেন, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। অথচ আমাদের দলের মহাসচিবকে জেলে আটক রাখা হয়েছে। তিনি মহাসচিবসহ গ্রেপ্তারকৃত সবার মুক্তি চান। একই সঙ্গে ইলিয়াস আলীকে তাঁর পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ারও দাবি জানান তিনি।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি আবদুল কাদের ভূঁইয়া। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও প্রতিষ্ঠাকালের ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, দলের সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রনেতা আমান উল্লাহ আমান, ফজলুল হক মিলন, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি বজুলল করিম চৌধুরী আবেদ, ঢাবি সভাপতি মহিদুল হাসান হিরু, মহানগর উত্তরের সভাপতি আবুল মনছুর খান দীপক, দক্ষিণের ইসহাক সরকার প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশীদ হাবিব।
অনুষ্ঠানে ছাত্রদলের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আর এ গণি, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাসসহ সিনিয়র নেতারা। সন্ধ্যার পর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বরেণ্য শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন।
এর আগে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিএনপি নেতারা শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
লোক দেখানো সংলাপে বিশ্বাস করে না বিএনপি- তরিকুল : বিরোধী দলের সঙ্গে ভেতরে ভেতরে আলোচনা চলছে বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বক্তব্য নাকচ করে দিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম বলেন, লোক দেখানো সংলাপে বিএনপি বিশ্বাস করে না। জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য সৈয়দ আশরাফ এটা বলেছেন। অনানুষ্ঠানিক কিংবা ভেতরে ভেতরে কোনো ধরনের সংলাপ হয়ে থাকলে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে আমি অন্তত তা জানতাম। তিনি বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের ঘোষণা দিলে সংসদের ভেতরে-বাইরে যেকোনো স্থানে সংলাপে বসতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।
তরিকুল ইসলাম আরো বলেন, 'বিএনপিও সরকারের সঙ্গে সংলাপে বসতে আগ্রহী। আমরাও সংলাপ চাই। সব সময় সংলাপ চেয়ে আসছি।' গতকাল সকালে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের কাছে তরিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
গত সোমবার সচিবালয়ে এক মতবিনিময় সভার শুরুতে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বিএনপির সঙ্গে আলোচনার আগ্রহের কথা জানিয়ে ইঙ্গিত দেন, ভেতরে ভেতরে এ আলোচনা চলছে। তাঁর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়া ও তরিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তরিকুল ইসলাম বলেন, সমাধানের একমাত্র পথ আলোচনা, বিকল্প কোনো পথ নেই। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আলোচনা যেন শুরু হয়। যত তাড়াতাড়ি এর সুরাহা হয়, গণতন্ত্র ও জাতির জন্য তা তত মঙ্গলজনক।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন। সরকারি দলকে উদ্দেশ করে তিনি আরো বলেন, 'এর আগেও আমাদের সময় অনেকবার প্রকাশ্যে সংলাপ হয়েছিল। স্যার স্টিফেন নিনিয়ানের মধ্যস্থতায় আলোচনা হয়েছিল। তখন আপনারা মানেননি। কিন্তু এবার আপনারা বলছেন তলে তলে আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু তলে তলে কোনো আলোচনা হয় না। আলোচনা হতে হলে আগে আমি তো জানতাম। আমাকে জানতে হবে। তলে তলে কোনো আলোচনা নয়, ষড়যন্ত্র হচ্ছে আমি বলব। জনগণকে বিভ্রান্ত করতেই এসব বলা হচ্ছে।' তিনি বলেন, 'আমরা তলে তলে আলোচনায় বিশ্বাসী নই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি। আলোচনা করেও নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা তৈরি করা যায়। ফখরুদ্দীন-মইন উদ্দিনের সরকারকে অবৈধ সরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'তাঁদের দোহাই দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরোধিতা করলে হবে না। আপনারাই তলে তলে তাঁদের সঙ্গে আঁতাত করেছিলেন।'
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, 'দেশের সবচেয়ে বড় ছাত্র সংগঠন ছাত্রদল। তোমরা যারা ছাত্রদল করো, দেশের প্রতি তোমাদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। রাজনীতির আগে তোমাদের প্রধান কাজ হলো লেখাপড়া করা। জাতীয়তাবাদের দর্শন দেশের মানুষের কাছে তোমাদের পৌঁছে দিতে হবে। প্রকৃত ছাত্রদের দিয়েই এই সংগঠন গড়ে তুলতে হবে।' ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকারি দলের ছাত্র সংগঠনকে ছাত্রদের সংগঠন বলা যায় না। তাদের হাতে বই-খাতা নেই। আছে বন্দুক আর রামদা। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তারা ভর্তি বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি করছে। অন্য সংগঠনকে সেখানে যেতে দেয় না। তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় অচল করে রেখেছিল। সিলেটে এমসি কলেজের এক শ বছরের হল ছাত্রলীগ পুড়িয়ে দিয়েছে। তাদের ছাত্র বলা যায় না। তারা সন্ত্রাসী। আওয়ামী লীগের কেউ মুক্তিযুদ্ধ করেনি দাবি করে খালেদা জিয়া বলেন, তারা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ওপারে গিয়ে থেকেছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি দাবি করলেও মুক্তিযোদ্ধা নয়। যুদ্ধ না করলে যোদ্ধা হওয়া যায় না। আমরা যুদ্ধ করেছি। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা পেয়েছি। এই রক্ত বৃথা যেতে দেওয়া যায় না। তিনি বলেন, বার কাউন্সিল নির্বাচনসহ পেশাজীবীদের বিভিন্ন নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী শক্তি জয়ী হচ্ছে। তারা সবাই বুঝে গেছে, যারা রাষ্ট্র আর জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে, তাদের হাতে দেশ নিরাপদ নয়।
অবিলম্বে সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল পাসের আহ্বান জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, 'আগামীতে আমরা সবাইকে নিয়ে দেশ গড়তে চাই। এই কাজে আওয়ামী লীগও যদি আমাদের সঙ্গে আসতে চায়, তাদেরও স্বাগতম জানাব। সবাই মিলে দেশ গড়ব।'
তিনি অভিযোগ করে বলেন, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। অথচ আমাদের দলের মহাসচিবকে জেলে আটক রাখা হয়েছে। তিনি মহাসচিবসহ গ্রেপ্তারকৃত সবার মুক্তি চান। একই সঙ্গে ইলিয়াস আলীকে তাঁর পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ারও দাবি জানান তিনি।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি আবদুল কাদের ভূঁইয়া। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও প্রতিষ্ঠাকালের ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, দলের সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রনেতা আমান উল্লাহ আমান, ফজলুল হক মিলন, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি বজুলল করিম চৌধুরী আবেদ, ঢাবি সভাপতি মহিদুল হাসান হিরু, মহানগর উত্তরের সভাপতি আবুল মনছুর খান দীপক, দক্ষিণের ইসহাক সরকার প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশীদ হাবিব।
অনুষ্ঠানে ছাত্রদলের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আর এ গণি, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাসসহ সিনিয়র নেতারা। সন্ধ্যার পর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বরেণ্য শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন।
এর আগে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিএনপি নেতারা শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
লোক দেখানো সংলাপে বিশ্বাস করে না বিএনপি- তরিকুল : বিরোধী দলের সঙ্গে ভেতরে ভেতরে আলোচনা চলছে বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বক্তব্য নাকচ করে দিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম বলেন, লোক দেখানো সংলাপে বিএনপি বিশ্বাস করে না। জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য সৈয়দ আশরাফ এটা বলেছেন। অনানুষ্ঠানিক কিংবা ভেতরে ভেতরে কোনো ধরনের সংলাপ হয়ে থাকলে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে আমি অন্তত তা জানতাম। তিনি বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের ঘোষণা দিলে সংসদের ভেতরে-বাইরে যেকোনো স্থানে সংলাপে বসতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।
তরিকুল ইসলাম আরো বলেন, 'বিএনপিও সরকারের সঙ্গে সংলাপে বসতে আগ্রহী। আমরাও সংলাপ চাই। সব সময় সংলাপ চেয়ে আসছি।' গতকাল সকালে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের কাছে তরিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
গত সোমবার সচিবালয়ে এক মতবিনিময় সভার শুরুতে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বিএনপির সঙ্গে আলোচনার আগ্রহের কথা জানিয়ে ইঙ্গিত দেন, ভেতরে ভেতরে এ আলোচনা চলছে। তাঁর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়া ও তরিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তরিকুল ইসলাম বলেন, সমাধানের একমাত্র পথ আলোচনা, বিকল্প কোনো পথ নেই। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আলোচনা যেন শুরু হয়। যত তাড়াতাড়ি এর সুরাহা হয়, গণতন্ত্র ও জাতির জন্য তা তত মঙ্গলজনক।
No comments