আইনজীবী রওশন আরা হত্যাকারীদের এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ
রাজধানী মিরপুরে আইনজীবী রওশন আরা আক্তার (৬০) হত্যাকা-ের ২৪ ঘণ্টা পার হলেও পুলিশ খুনীদের গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে পুলিশ জানিয়েছে, স্রেফ চুরির উদ্দেশ্যে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বাড়ির দুই নিরাপত্তাকর্মী রাসেল (২৪) ও তাজুল (২৬)।
তারা মাত্র ১৫ দিন আগে ওই এ্যাপার্টমেন্টে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি নেয়। ইতোমধ্যে তাদের গ্রামের বাড়ি বরিশাল ও কুড়িগ্রামে অভিযান চালানো হয়েছে। সেখানে তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে অচিরেই তাদের গ্রেফতার করা হবে। এদিকে সোমবার রাতে নিহতের স্বামী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) সহযোগী অধ্যাপক মাহবুব-ই-সাত্তার বাদী হয়ে মিরপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ওইদিনই রওশন আরা আক্তারের লাশের ময়নাতদন্ত শেষে তাঁকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।উল্লেখ্য, সোমবার দুপুর ২টার দিকে পুলিশ মিরপুর থানাধীন ৬ নম্বর সেকশনের এ ব্লকের ৩ নম্বর রোডের ৪ নম্বর শেলটেক টিউলিপ ফ্ল্যাটের তৃতীয় তলার সি/৩ নম্বর ফ্ল্যাটের মেঝে থেকে গৃহবধূ এ্যাডভোকেট রওশন আক্তারের হাত-মুখ ও গলা বাঁধা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠায়।
নিহতের ছোট ভাই ড. মোঃ খালেকুজ্জামান জনকণ্ঠকে জানান, বোন রওশন আরা আক্তারের মৃত্যুতে দুলাভাই অধ্যাপক মাহবুব-ই-সাত্তার ও তাঁর একমাত্র কন্যা ডা. রেজওয়ান আক্তার মাহবুব মিনা শোকে মানসিকভাবে ভারাক্রান্ত। সারাদিন তারা মিরপুরের বাসায় কাটিয়েছেন। তবে তিনি জানান, ঘটনার বিষয়টি পুলিশ ভালই বলতে পারবে। এ ব্যাপারে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরপুর থানার এসআই মাসুদুর রহমান জনকণ্ঠকে জানান, চুরি করার উদ্দেশ্যেই বাড়ির দুই নিরাপত্তাকর্মী রাসেল ও তাজুল পরিকল্পিতভাবে রওশন আরা আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যা করে নগদ ২০ হাজার টাকা ও আড়াই থেকে তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ দামী জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়েছে। তিনি জানান, এর আগে রাসেল ওই এ্যাপার্টমেন্টে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি ছাড়ে। পরে চাকরি ছেড়ে কয়েকমাস ধরে রাসেল মিরপুরে ছিল। এরপর মাত্র ১৫ দিন আগে রাসেল পুনরায় তারই সমবয়সী তাজুলকে সঙ্গে নিয়ে আগের স্থান ওই শেলটেক টিউলিপ এ্যাপার্টমেন্টে নিরাপত্তাকর্মীর চাকরি নেয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান আরও জানান, এরা আগে থেকে অসৎ উদ্দেশ্যে এই এ্যাপার্টমেন্টে চাকরি নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতদিন তারা ওই এ্যাপার্টমেন্টের তৃতীয় তলায় রওশন আরা আক্তারের ফ্ল্যাটের নজর রাখছিল। সোমবার সকালে বাড়ির দুই সদস্য নিহতের স্বামী ঢাবির শিক্ষক অধ্যাপক মাহবুব-ই-সাত্তার ও তার একমাত্র কন্যা ডা. রেজওয়ান আক্তার মাহবুব মিনা কর্মস্থলে যাবার কিছুক্ষণ পরই সুযোগ বুঝে ওই ফ্ল্যাটে ঢুকে পড়ে। পরে রওশন আরা আক্তারকে একা পেয়ে তার বাড়ির মালামাল লুট করে। তাদের চিনে ফেলায় ও বাধা দেয়ায় রওশন আরা আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। তিনি জানান, হত্যাকা-ের পরই বাড়ির দুই
No comments