দুই কোরিয়ার ঐক্য চান উন
দুই কোরিয়ার বিরোধ অবসানের ডাক দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। নববর্ষের স্বাগত ভাষণে তিনি দেশের অর্থনীতির ক্ষেত্রেও 'আমূল সংস্কার' ঘটানোর আহ্বান জানান।
গতকাল মঙ্গলবার রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে উন বলেন, '২০১৩ সাল হবে ব্যাপক উদ্ভাবন ও পরিবর্তনের বছর, যাতে দেশের মৌলিক সংস্কার ঘটবে।' অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে দেশকে গড়ে তোলা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বৈরিতা পরিহারে উনের এ আহ্বানকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। দক্ষিণ কোরিয়ায় রক্ষণশীল পার্ক জিউন হাই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে তাঁর আপসমূলক এ অবস্থানকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন তাঁরা।
গত ১৯ বছরের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার কোনো নেতার নববর্ষ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার ঘটনা এই প্রথম। ২০১১ সালে বাবা কিম জং ইল মারা যাওয়ার পর উত্তর কোরিয়ার দায়িত্ব নেন তরুণ উন। ইল প্রায় কখনোই জাতির উদ্দেশে টেলিভিশনে ভাষণ দেননি। উনের দাদা কিম ইল সাং সর্বশেষ ১৯৯৪ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন ও রেডিওতে ভাষণ দিয়েছিলেন। তিনি উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা।
উন বলেন, 'অতীতে দুই কোরিয়ার মধ্যকার দ্বন্দ্বের পরিণতি জনগণকে কেবল যুদ্ধের মধ্যেই ঠেলে দিয়েছে। তাই বিরোধের পরিসমাপ্তি হওয়া জরুরি। সংঘাত পরিহার করে দুই ভূখণ্ডের একত্রীকরণের মাধ্যমে বিভক্তি দূর করা গুরুত্বপূর্ণ কাজ।' তবে পূর্বসূরিদের মতো 'সর্বাগ্রে সামরিক বাহিনী' নীতি আঁকড়ে থাকার ওপরও জোর দেন উন। তিনি বলেন, 'সামরিক শক্তি একটি জাতির শক্তিমত্তার পরিচয় তুলে ধরে।' তাই কেবল সামরিক শক্তিবৃদ্ধির মাধ্যমেই দেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নতি সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইয়াং মু-জিন বলেন, উনের ভাষণ ইতিবাচক। তাঁর মতে, 'দুই দেশের আন্তসীমান্ত সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটাতে চান, দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্টের কাছে হয়তো এমন বার্তাই দিলেন উন।'
প্রসঙ্গত, উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়াকে একত্রে ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অব কোরিয়া নামে একটি একক রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করে উত্তর কোরিয়া। শান্তিচুক্তির মাধ্যমে ১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত দুই কোরিয়ার মধ্যের যুদ্ধের অবসান ঘটে। তবে এর পরও দেশ দুটির মধ্যে কার্যত যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। দুই দেশের সীমান্তে সেনাবাহিনী সার্বক্ষণিক সতর্কাবস্থায় আছে। সীমান্তে প্রায়ই গুলিবিনিময় ও প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে।
গত মাসের প্রথম দিকে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা আগ্রাহ্য করে একটি রকেট উৎক্ষেপণ করে উত্তর কোরিয়া। এতে এ অঞ্চলে উত্তেজনা দেখা দেয়। দক্ষিণ কোরিয়া ও পশ্চিমা বিশ্ব এটিকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা হিসেবেই দেখছে। পিয়ংইয়ংয়ের রকেট উৎক্ষেপণের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে নিরাপত্তা পরিষদ। সূত্র : এএফপি, বিবিসি, রয়টার্স।
প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বৈরিতা পরিহারে উনের এ আহ্বানকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। দক্ষিণ কোরিয়ায় রক্ষণশীল পার্ক জিউন হাই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে তাঁর আপসমূলক এ অবস্থানকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন তাঁরা।
গত ১৯ বছরের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার কোনো নেতার নববর্ষ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার ঘটনা এই প্রথম। ২০১১ সালে বাবা কিম জং ইল মারা যাওয়ার পর উত্তর কোরিয়ার দায়িত্ব নেন তরুণ উন। ইল প্রায় কখনোই জাতির উদ্দেশে টেলিভিশনে ভাষণ দেননি। উনের দাদা কিম ইল সাং সর্বশেষ ১৯৯৪ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন ও রেডিওতে ভাষণ দিয়েছিলেন। তিনি উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা।
উন বলেন, 'অতীতে দুই কোরিয়ার মধ্যকার দ্বন্দ্বের পরিণতি জনগণকে কেবল যুদ্ধের মধ্যেই ঠেলে দিয়েছে। তাই বিরোধের পরিসমাপ্তি হওয়া জরুরি। সংঘাত পরিহার করে দুই ভূখণ্ডের একত্রীকরণের মাধ্যমে বিভক্তি দূর করা গুরুত্বপূর্ণ কাজ।' তবে পূর্বসূরিদের মতো 'সর্বাগ্রে সামরিক বাহিনী' নীতি আঁকড়ে থাকার ওপরও জোর দেন উন। তিনি বলেন, 'সামরিক শক্তি একটি জাতির শক্তিমত্তার পরিচয় তুলে ধরে।' তাই কেবল সামরিক শক্তিবৃদ্ধির মাধ্যমেই দেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নতি সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইয়াং মু-জিন বলেন, উনের ভাষণ ইতিবাচক। তাঁর মতে, 'দুই দেশের আন্তসীমান্ত সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটাতে চান, দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্টের কাছে হয়তো এমন বার্তাই দিলেন উন।'
প্রসঙ্গত, উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়াকে একত্রে ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অব কোরিয়া নামে একটি একক রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করে উত্তর কোরিয়া। শান্তিচুক্তির মাধ্যমে ১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত দুই কোরিয়ার মধ্যের যুদ্ধের অবসান ঘটে। তবে এর পরও দেশ দুটির মধ্যে কার্যত যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। দুই দেশের সীমান্তে সেনাবাহিনী সার্বক্ষণিক সতর্কাবস্থায় আছে। সীমান্তে প্রায়ই গুলিবিনিময় ও প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে।
গত মাসের প্রথম দিকে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা আগ্রাহ্য করে একটি রকেট উৎক্ষেপণ করে উত্তর কোরিয়া। এতে এ অঞ্চলে উত্তেজনা দেখা দেয়। দক্ষিণ কোরিয়া ও পশ্চিমা বিশ্ব এটিকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা হিসেবেই দেখছে। পিয়ংইয়ংয়ের রকেট উৎক্ষেপণের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে নিরাপত্তা পরিষদ। সূত্র : এএফপি, বিবিসি, রয়টার্স।
No comments