সিনেটের তদন্ত প্রতিবেদন পেশ-বেনগাজি কনস্যুলেট খোলা রাখা ছিল বড় ভুল
নিরাপত্তার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকা এবং কয়েক সপ্তাহ ধরে হুমকি বাড়ার পরও লিবিয়ার বেনগাজিতে কনস্যুলেট খুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর 'বড় ধরনের ভুল করেছে'।
গত ১১ সেপ্টেম্বর বেনগাজি হামলাবিষয়ক এক তদন্ত প্রতিবেদনে মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেট গত সোমবার এ অভিযোগ করেছে। সিনেটের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাবিষয়ক কমিটি এই প্রতিবেদন তৈরি করে। নিরাপত্তা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়ার পরিবর্তে সুনির্দিষ্ট হুমকির জন্য অপেক্ষা করার ব্যাপারেও পররাষ্ট্র দপ্তরের সমালোচনা করা হয়েছে।
গত ১১ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে টুইন টাওয়ারে হামলার ১১তম বার্ষিকীতে বেনগাজির মার্কিন কনস্যুলেটে সন্ত্রাসী হামলা হয়। এতে লিবিয়ায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টোফার স্টিভেন্সসহ চারজন মারা যান। যুক্তরাষ্ট্রে মহানবী মুহাম্মদ (সা:)-কে ব্যঙ্গ করে নির্মিত সিনেমার ভিডিও ক্লিপিং নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে যে বিক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছিল, তারই অংশ হিসেবে কনস্যুলেটে হামলা করা হয় বলে প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল। পরে মার্কিন গোয়েন্দারা দাবি করেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে এবং সংগঠিত উপায়ে বেনগাজিতে হামলা চালানো হয়েছে। আল-কায়েদাসংশ্লিষ্ট জঙ্গিরা এ হামলায় জড়িত বলে সন্দেহ করা হয়।
বেনগাজি হামলা-সংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি তদন্ত কমিটি অ্যাকাউনটিবিলিটি রিভিউ বোর্ড (এআরবি) গত মাসে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তারা বেনগাজি হামলার জন্য অপর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে দায়ী করে এবং পররাষ্ট্র দপ্তরের নেতৃত্ব ও অব্যবস্থাপনার সমালোচনা করে। এরপর পররাষ্ট্র দপ্তরের এক কর্মকর্তা পদত্যাগ করেন এবং তিনজনকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়।
গত সোমবার সিনেটের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কমিটি বেনগাজি হামলা-সংক্রান্ত আরেকটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। 'ফ্ল্যাশিং রেড : এ স্পেশাল রিপোর্ট অন দ্য টেরোরিস্ট অ্যাটাক অ্যাট বেনগাজি' নামের প্রতিবেদনে পররাষ্ট্র দপ্তরের কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে। কমিটির চেয়ারম্যান জো লিবারম্যান ও সদস্য সুজান কলিন্স এ তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করেন। প্রতিবেদনে তাঁরা বলেন, 'লিবিয়ার সরকার বেনগাজি কনস্যুলেটের নিরাপত্তা বিধানে অসমর্থ ছিল। গোয়েন্দা তথ্যেও কনস্যুলেটের প্রতি গুরুতর হুমকি বাড়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল। তারপরও কনস্যুলেট খুলে রেখে পররাষ্ট্র দপ্তর বড় ধরনের ভুল করেছে।' ভবিষ্যতে বেনগাজির মতো ঘটনা ঠেকাতে পররাষ্ট্র দপ্তরকে যেকোনো ধরনের হামলা প্রতিরোধের পরিকল্পনা রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। 'গোয়েন্দা বাহিনীগুলোকে অবশ্যই লিবিয়া ও এর বাইরে কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে। আল-কায়েদা বা এর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বড় জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো ছাড়াও নতুন ও উঠতি জঙ্গি দলগুলোর দিকে মনোযোগ দিতে হবে।' কোনো দেশের সরকার যদি যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক স্থাপনাগুলোকে নিরাপত্তা দিতে না পারে, তাহলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরকেই নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে। জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতা দিন দিন বেড়ে যাওয়ার কারণে আফ্রিকার দেশগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করার অনুরোধ জানানো হয়েছে পেন্টাগনের প্রতি। সূত্র : এএফপি, রয়টার্স।
গত ১১ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে টুইন টাওয়ারে হামলার ১১তম বার্ষিকীতে বেনগাজির মার্কিন কনস্যুলেটে সন্ত্রাসী হামলা হয়। এতে লিবিয়ায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টোফার স্টিভেন্সসহ চারজন মারা যান। যুক্তরাষ্ট্রে মহানবী মুহাম্মদ (সা:)-কে ব্যঙ্গ করে নির্মিত সিনেমার ভিডিও ক্লিপিং নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে যে বিক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছিল, তারই অংশ হিসেবে কনস্যুলেটে হামলা করা হয় বলে প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল। পরে মার্কিন গোয়েন্দারা দাবি করেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে এবং সংগঠিত উপায়ে বেনগাজিতে হামলা চালানো হয়েছে। আল-কায়েদাসংশ্লিষ্ট জঙ্গিরা এ হামলায় জড়িত বলে সন্দেহ করা হয়।
বেনগাজি হামলা-সংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি তদন্ত কমিটি অ্যাকাউনটিবিলিটি রিভিউ বোর্ড (এআরবি) গত মাসে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তারা বেনগাজি হামলার জন্য অপর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে দায়ী করে এবং পররাষ্ট্র দপ্তরের নেতৃত্ব ও অব্যবস্থাপনার সমালোচনা করে। এরপর পররাষ্ট্র দপ্তরের এক কর্মকর্তা পদত্যাগ করেন এবং তিনজনকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়।
গত সোমবার সিনেটের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কমিটি বেনগাজি হামলা-সংক্রান্ত আরেকটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। 'ফ্ল্যাশিং রেড : এ স্পেশাল রিপোর্ট অন দ্য টেরোরিস্ট অ্যাটাক অ্যাট বেনগাজি' নামের প্রতিবেদনে পররাষ্ট্র দপ্তরের কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে। কমিটির চেয়ারম্যান জো লিবারম্যান ও সদস্য সুজান কলিন্স এ তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করেন। প্রতিবেদনে তাঁরা বলেন, 'লিবিয়ার সরকার বেনগাজি কনস্যুলেটের নিরাপত্তা বিধানে অসমর্থ ছিল। গোয়েন্দা তথ্যেও কনস্যুলেটের প্রতি গুরুতর হুমকি বাড়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল। তারপরও কনস্যুলেট খুলে রেখে পররাষ্ট্র দপ্তর বড় ধরনের ভুল করেছে।' ভবিষ্যতে বেনগাজির মতো ঘটনা ঠেকাতে পররাষ্ট্র দপ্তরকে যেকোনো ধরনের হামলা প্রতিরোধের পরিকল্পনা রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। 'গোয়েন্দা বাহিনীগুলোকে অবশ্যই লিবিয়া ও এর বাইরে কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে। আল-কায়েদা বা এর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বড় জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো ছাড়াও নতুন ও উঠতি জঙ্গি দলগুলোর দিকে মনোযোগ দিতে হবে।' কোনো দেশের সরকার যদি যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক স্থাপনাগুলোকে নিরাপত্তা দিতে না পারে, তাহলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরকেই নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে। জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতা দিন দিন বেড়ে যাওয়ার কারণে আফ্রিকার দেশগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করার অনুরোধ জানানো হয়েছে পেন্টাগনের প্রতি। সূত্র : এএফপি, রয়টার্স।
No comments