জাতীয় মেডিকেল বিতর্ক উৎসব- যে জীবন যুক্তির by জিয়াউর রহমান চৌধুরী
এ বিতর্ক উৎসবটি ছিল অন্য সব বিতর্ক আয়োজন থেকে দুটি কারণে আলাদা। প্রথমত, এখানে অংশ নিয়েছেন শুধুই মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। আর দ্বিতীয়ত, জাতীয় পর্যায়ের এই বিতর্ক উৎসবটি আয়োজিত হয়েছে ঢাকার বাইরে।
১৪-১৫ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে আয়োজিত ‘এসকেএফ এনডিএফবিডি ২য় জাতীয় মেডিকেল বিতর্ক উৎসব’ শিরোনামের এই উৎসবের আয়োজক ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশন বাংলাদেশ (এনডিএফবিডি) ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ডিবেটিং সোসাইটি (এমএমডিএস)।
‘যুক্তির সৌন্দর্যে সেবা হোক আলোকিত’ স্লোগানকে সামনে রেখে আয়োজিত এই উৎসবে অংশ নেয় ১৮টি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন পর্ব পেরিয়ে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রতিযোগী ছিল বরিশালের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ।
ছায়া সংসদে দুই দলের আলোচনা চলছে দেশের স্বাধীনতা নিয়ে। বিষয়: ‘এই সংসদ মনে করে যে, দেশের স্বাধীনতা আজ বন্দী’। টান টান উত্তেজনার বিতর্কে স্বাগতিক দলের সমর্থকই বেশি। অনেকে আবার বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজের। এক দলের যুক্তিতে এক পাশ থেকে তুমুল করতালি। আবার অপর দল থেকে যুক্তিখণ্ডনে অন্য পাশের দর্শকদের উল্লাস। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে বিচারকদের রায়ে অবশেষে কাঙ্ক্ষিত ফল। চ্যাম্পিয়ন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ। আর রানারআপ গতবারের চ্যাম্পিয়ন শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ। পরাজিত বিতার্কিকেরা মেনে নিলেন প্রতিদ্বন্দ্বীর জয়। অভিনন্দন জানালেন বিজয়ীদের।
চ্যাম্পিয়ন দল ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ দলে ছিলেন ইফতেখার আনাম, সানজিদা আরেফিন ও সামিউল আউয়াল। আর রানারআপ শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজের বিতার্কিকরা হলেন তরিকুল ইসলাম, মোর্শেদা জাহান ও আসিফউদ্দিন খান।
চ্যাম্পিয়ন দলের দলনেতা ইফতেখার আনাম বলেন, ‘এটাই প্রথম কোনো জাতীয় বিতর্কে আমাদের অংশগ্রহণ এবং পুরস্কার লাভ। তবে সুন্দর একটি ফাইনাল বিতর্ক উপহার দিয়ে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজের বিতার্কিকদেরও অবদান কম নয়।’ এ দলের সানজিদা আর আসিফউদ্দিন বিতর্ক করছেন মাধ্যমিক থেকে। আর ইফতেখার বিতর্ক করছেন মেডিকেল কলেজে এসে। প্রথমবার বড় কোনো প্রতযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হতে পেরে দারুণ খুশি সানজিদা। তাঁর মতে, ‘এবারই চ্যাম্পিয়ন হবো ভাবিনি। তবে ফাইনালে এসে মনে হচ্ছিল যে, জিতে যাব।’
রানারআপ শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজের দলটাকেও দেখা গেল বেশ ফুরফুরে মেজাজে। রানারআপ হতে পেরেই তারা খুশি। দলনেতা তরিকুল ইসলাম জানান, তাঁদের গতবারের চ্যাম্পিয়ন দলের তিন সদস্যই অংশ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গতবারের চ্যাম্পিয়ন দলের এক সদস্য অসুস্থতার কারণে এবার অংশ নিতে পারেননি।
‘চ্যাম্পিয়ন না হওয়ার কষ্ট আছে, তবে রানারআপ হওয়াটাও কম গৌরবের নয়।’ বললেন রানারআপ দলের সদস্য মোর্শেদা জাহান।
উৎসবে শুধু প্রতিযোগিতাই নয়, ছিল ক্যাম্পফায়ার, শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও।
আয়োজন প্রসঙ্গে এনডিএফবিডির চেয়ারম্যান এ কে এম শোয়েব বলেন, ‘চিকিৎসাবিজ্ঞানের পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ রকম বড় একটি আয়োজন আমরা গত বছর থেকে শুরু করি। তবে আমরা সব সময় চেয়েছি বিতর্ক ছড়িয়ে পড়বে প্রান্তজনের কাছে। শহর-নগর থেকে দূরে গ্রামে। এ কারণে আমরা প্রতিবছর ঢাকার বাইরে ছুটে যাই।’
‘যুক্তির সৌন্দর্যে সেবা হোক আলোকিত’ স্লোগানকে সামনে রেখে আয়োজিত এই উৎসবে অংশ নেয় ১৮টি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন পর্ব পেরিয়ে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রতিযোগী ছিল বরিশালের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ।
ছায়া সংসদে দুই দলের আলোচনা চলছে দেশের স্বাধীনতা নিয়ে। বিষয়: ‘এই সংসদ মনে করে যে, দেশের স্বাধীনতা আজ বন্দী’। টান টান উত্তেজনার বিতর্কে স্বাগতিক দলের সমর্থকই বেশি। অনেকে আবার বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজের। এক দলের যুক্তিতে এক পাশ থেকে তুমুল করতালি। আবার অপর দল থেকে যুক্তিখণ্ডনে অন্য পাশের দর্শকদের উল্লাস। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে বিচারকদের রায়ে অবশেষে কাঙ্ক্ষিত ফল। চ্যাম্পিয়ন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ। আর রানারআপ গতবারের চ্যাম্পিয়ন শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ। পরাজিত বিতার্কিকেরা মেনে নিলেন প্রতিদ্বন্দ্বীর জয়। অভিনন্দন জানালেন বিজয়ীদের।
চ্যাম্পিয়ন দল ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ দলে ছিলেন ইফতেখার আনাম, সানজিদা আরেফিন ও সামিউল আউয়াল। আর রানারআপ শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজের বিতার্কিকরা হলেন তরিকুল ইসলাম, মোর্শেদা জাহান ও আসিফউদ্দিন খান।
চ্যাম্পিয়ন দলের দলনেতা ইফতেখার আনাম বলেন, ‘এটাই প্রথম কোনো জাতীয় বিতর্কে আমাদের অংশগ্রহণ এবং পুরস্কার লাভ। তবে সুন্দর একটি ফাইনাল বিতর্ক উপহার দিয়ে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজের বিতার্কিকদেরও অবদান কম নয়।’ এ দলের সানজিদা আর আসিফউদ্দিন বিতর্ক করছেন মাধ্যমিক থেকে। আর ইফতেখার বিতর্ক করছেন মেডিকেল কলেজে এসে। প্রথমবার বড় কোনো প্রতযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হতে পেরে দারুণ খুশি সানজিদা। তাঁর মতে, ‘এবারই চ্যাম্পিয়ন হবো ভাবিনি। তবে ফাইনালে এসে মনে হচ্ছিল যে, জিতে যাব।’
রানারআপ শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজের দলটাকেও দেখা গেল বেশ ফুরফুরে মেজাজে। রানারআপ হতে পেরেই তারা খুশি। দলনেতা তরিকুল ইসলাম জানান, তাঁদের গতবারের চ্যাম্পিয়ন দলের তিন সদস্যই অংশ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গতবারের চ্যাম্পিয়ন দলের এক সদস্য অসুস্থতার কারণে এবার অংশ নিতে পারেননি।
‘চ্যাম্পিয়ন না হওয়ার কষ্ট আছে, তবে রানারআপ হওয়াটাও কম গৌরবের নয়।’ বললেন রানারআপ দলের সদস্য মোর্শেদা জাহান।
উৎসবে শুধু প্রতিযোগিতাই নয়, ছিল ক্যাম্পফায়ার, শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও।
আয়োজন প্রসঙ্গে এনডিএফবিডির চেয়ারম্যান এ কে এম শোয়েব বলেন, ‘চিকিৎসাবিজ্ঞানের পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ রকম বড় একটি আয়োজন আমরা গত বছর থেকে শুরু করি। তবে আমরা সব সময় চেয়েছি বিতর্ক ছড়িয়ে পড়বে প্রান্তজনের কাছে। শহর-নগর থেকে দূরে গ্রামে। এ কারণে আমরা প্রতিবছর ঢাকার বাইরে ছুটে যাই।’
No comments