অণুকথা- আবার আসিব ফিরে by সাইদুজ্জামান
আমরা খুব ভোরবেলা বরিশাল গিয়ে পৌঁছাই। বরিশালের কয়েকজন বন্ধু আগেই জানিয়ে রেখেছিল ওরা লঞ্চঘাটে আসবে। ভোর পাঁচটা বিশ বাজে তখন। তীব্র শীত। এর আগে কি বরিশালে এমন শীত পড়েছিল কখনো! উত্তরবঙ্গের তীব্র শীতের সঙ্গে পরিচিত ছিলাম। এবার টের পেলাম বরিশালের শীতেরও।
লঞ্চঘাটেই লঞ্চে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিই। আরও সকাল হোক। লঞ্চ থেকে তারপর নামব।
আমাদের যারা নিতে আসবে, তাদের খোঁজ নিতে চাই। পরক্ষণেই ভাবি, থাক, ঘুম ভাঙানো ঠিক হবে না। কিন্তু ফোন না করে পারি না। ফোন করে তো অবাক হওয়ার পালা। বরিশাল বন্ধুসভার আটজন বন্ধু বরিশাল অফিসে কাজ করছে তখন। বলে কী! সত্যি তাই, সারা রাত জেগে উৎসবের কাজ করছিল তারা। বন্ধু উৎসব নিয়ে তাদের এত উচ্ছ্বাস। ওরা আমাদের নিতে এল, বন্ধুত্বের রাজ্যে, ভালোবাসার রাজ্যে।
বর্তমানে বরিশালে দুর্দান্ত একটি টিম কাজ করছে। ছেলেমেয়ে সবাই হাত লাগিয়েছে উৎসবের কাজে। তাদের দুর্দান্ত টিমওয়ার্ক। দুর্দান্ত সমন্বয়। অনেকবার গেছি বরিশাল। এবার মনে হলো, ‘হ্যাঁ, এদেরই তো খুঁজছিলাম।’
অসম্ভব সুন্দর একটি বন্ধু উৎসব উপহার দিল বন্ধুরা। তাদের শ্রম-খাটুনি সার্থক। আমন্ত্রিত বন্ধুরাও কম কিসে। ঘন কুয়াশা, তীব্র শীত, নদী, ফেরি পার হয়ে তারা উৎসবে এসে যোগ দেয়। বরিশাল বিভাগের বাইরে থেকেও আসে তিন বন্ধুসভা। বন্ধুরা যে কষ্ট করে উৎসবে এসেছে, অন্য কিছুর জন্য বরিশালে ওরা আসত না এটা নিশ্চিত করে বলা যায়। প্রায় সব বন্ধুসভা তাদের পরিবেশনা দিয়ে উপস্থিত বন্ধুদের মুগ্ধ করে। ২৮ ডিসেম্বরের উৎসবের কথা বলছি। অবশ্য উৎসব শুরু হয়েছিল ২৭ ডিসেম্বর থেকেই। ওই দিন সন্ধ্যায় মঞ্চসজ্জার সময় থেকেই ঢাক-ঢোলের সঙ্গে নেচে-গেয়ে উৎসবের মহড়া শুরু হয়ে যায়। সে আনন্দও কোনো অংশে কম নয়। ওই দিন সারা রাত ১৫ জন বন্ধু কাজ করে মঞ্চসজ্জার জন্য।
দীর্ঘদিন পরে বরিশালে একটি জমজমাট আনন্দ আয়োজন অনুষ্ঠিত হলো। সে আয়োজনে অংশ নিল ১৩টি বন্ধুসভা। এটা ছিল গত বছরের শেষ আনন্দ আয়োজন। আশা করি, বরিশাল বন্ধুসভার মতো অন্য জেলাগুলোতেও এমন আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করবে। উৎসবের স্লোগান ছিল, ‘বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি।’ এমন উৎসব দেখে অনেকেই মন্তব্য করেছে, এমন উৎসবে ‘আবার আসিব ফিরে।’ আমাদেরও একই মন্তব্য।
সকলকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা। নতুন বছর সবার জীবনে বয়ে আনুক সুখ আর সমৃদ্ধি।
আমাদের যারা নিতে আসবে, তাদের খোঁজ নিতে চাই। পরক্ষণেই ভাবি, থাক, ঘুম ভাঙানো ঠিক হবে না। কিন্তু ফোন না করে পারি না। ফোন করে তো অবাক হওয়ার পালা। বরিশাল বন্ধুসভার আটজন বন্ধু বরিশাল অফিসে কাজ করছে তখন। বলে কী! সত্যি তাই, সারা রাত জেগে উৎসবের কাজ করছিল তারা। বন্ধু উৎসব নিয়ে তাদের এত উচ্ছ্বাস। ওরা আমাদের নিতে এল, বন্ধুত্বের রাজ্যে, ভালোবাসার রাজ্যে।
বর্তমানে বরিশালে দুর্দান্ত একটি টিম কাজ করছে। ছেলেমেয়ে সবাই হাত লাগিয়েছে উৎসবের কাজে। তাদের দুর্দান্ত টিমওয়ার্ক। দুর্দান্ত সমন্বয়। অনেকবার গেছি বরিশাল। এবার মনে হলো, ‘হ্যাঁ, এদেরই তো খুঁজছিলাম।’
অসম্ভব সুন্দর একটি বন্ধু উৎসব উপহার দিল বন্ধুরা। তাদের শ্রম-খাটুনি সার্থক। আমন্ত্রিত বন্ধুরাও কম কিসে। ঘন কুয়াশা, তীব্র শীত, নদী, ফেরি পার হয়ে তারা উৎসবে এসে যোগ দেয়। বরিশাল বিভাগের বাইরে থেকেও আসে তিন বন্ধুসভা। বন্ধুরা যে কষ্ট করে উৎসবে এসেছে, অন্য কিছুর জন্য বরিশালে ওরা আসত না এটা নিশ্চিত করে বলা যায়। প্রায় সব বন্ধুসভা তাদের পরিবেশনা দিয়ে উপস্থিত বন্ধুদের মুগ্ধ করে। ২৮ ডিসেম্বরের উৎসবের কথা বলছি। অবশ্য উৎসব শুরু হয়েছিল ২৭ ডিসেম্বর থেকেই। ওই দিন সন্ধ্যায় মঞ্চসজ্জার সময় থেকেই ঢাক-ঢোলের সঙ্গে নেচে-গেয়ে উৎসবের মহড়া শুরু হয়ে যায়। সে আনন্দও কোনো অংশে কম নয়। ওই দিন সারা রাত ১৫ জন বন্ধু কাজ করে মঞ্চসজ্জার জন্য।
দীর্ঘদিন পরে বরিশালে একটি জমজমাট আনন্দ আয়োজন অনুষ্ঠিত হলো। সে আয়োজনে অংশ নিল ১৩টি বন্ধুসভা। এটা ছিল গত বছরের শেষ আনন্দ আয়োজন। আশা করি, বরিশাল বন্ধুসভার মতো অন্য জেলাগুলোতেও এমন আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করবে। উৎসবের স্লোগান ছিল, ‘বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি।’ এমন উৎসব দেখে অনেকেই মন্তব্য করেছে, এমন উৎসবে ‘আবার আসিব ফিরে।’ আমাদেরও একই মন্তব্য।
সকলকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা। নতুন বছর সবার জীবনে বয়ে আনুক সুখ আর সমৃদ্ধি।
No comments