আত্মরক্ষায় আগ্নেয়াস্ত্র চায় ভারতীয় নারীরা
আত্মরক্ষার্থে ভারতের নারীরা নিজেদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র রাখতে চায়। অনেক নারী এরই মধ্যে অস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য পুলিশের কাছে আবেদন করেছে। গত ১৬ ডিসেম্বর দিল্লিতে বাসে ছাত্রী ধর্ষিত হওয়ার পর থেকেই ভারতীয় নারীরা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।
দিল্লি পুলিশের লাইসেন্স বিভাগ জানায়, ফিজিওথেরাপির ওই ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য ২৭৪টি আবেদন জমা দিয়েছে নারীরা। কিভাবে লাইসেন্স পাওয়া যাবে, এ ব্যাপারে জানতে চেয়েছে শত শত নারী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দিল্লি পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, 'ওই ঘটনার পর থেকে আমরা এ পর্যন্ত এক হাজার ২০০টির বেশি ফোন পেয়েছি। শুধু কর্মজীবী নারীই নয়, বাসে করে দীর্ঘপথ গিয়ে কলেজ করে_এমন ছাত্রীরা ফোন করেছে। এ ছাড়া অভিভাবকদের কাছ থেকেও আমরা ফোন পেয়েছি। কিভাবে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পাওয়া যায়, তা জানতেই সবাই আগ্রহী।'
সূত্রে জানা যায়, বিষয়টি জানতে শত শত মানুষ পুলিশের কার্যালয়েও এসেছিল। 'কারো জীবন সত্যিই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে_এমন প্রমাণ পেলেই তাকে অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হবে_এ বিষয়টি আমরা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি। তবে আমাদের কথা শুনে অনেকই খুশি হতে পারেনি। অনেক অভিভাবক বলেছেন, তাঁরা গণপরিবহনকেও নিরাপদ বলে মনে করছেন না। এ ধরনের আর কোনো ঘটনা ঘটার সুযোগ দিতে চান না তাঁরা। আমরা তাঁদের বলেছি, শুধুমাত্র এ কারণই অস্ত্রের লাইসেন্স পাওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়।'
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, গত দুই বছরে তারা নারীদের কাছ থেকে ৮০০টির বেশি লাইসেন্সের আবেদন পেয়েছে। এর মধ্যে ২০১০ সালে ৩২০টি এবং ২০১১ সালে প্রায় ৫০০টি আবেদন জমা পড়ে। আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা ব্যক্তিদের মধ্যে এখন ২০-২২ শতাংশই নারী। গত দুই সপ্তাহে এ সংখ্যা বেড়ে ৩৫ শতাংশে পৌঁছেছে।
ভারতের 'ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর গান রাইটস'-এর এক সদস্য জানান, আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে নারীরা বৈষম্যের শিকার হয় বেশি। দিল্লিতে নারীদের তুলনায় পুরুষরা অনেক বেশি অস্ত্রের লাইসেন্স নেয়। নারীদের অস্ত্রের লাইসেন্স নেওয়ার ক্ষেত্রে যথাযথ কারণ থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই তারা তা পায় না। তিনি বলেন, 'মা-বাবা নিজেই যখন তাঁদের মেয়ের হাতে অস্ত্র তুলে দিতে চাইছেন, তার মানে বুঝতে হবে_তাঁরা কতটা শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন।' আত্মরক্ষার বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সে মেয়েদের অন্তর্ভুক্তি ২০ শতাংশ বেড়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
সূত্রে জানা যায়, বিষয়টি জানতে শত শত মানুষ পুলিশের কার্যালয়েও এসেছিল। 'কারো জীবন সত্যিই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে_এমন প্রমাণ পেলেই তাকে অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হবে_এ বিষয়টি আমরা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি। তবে আমাদের কথা শুনে অনেকই খুশি হতে পারেনি। অনেক অভিভাবক বলেছেন, তাঁরা গণপরিবহনকেও নিরাপদ বলে মনে করছেন না। এ ধরনের আর কোনো ঘটনা ঘটার সুযোগ দিতে চান না তাঁরা। আমরা তাঁদের বলেছি, শুধুমাত্র এ কারণই অস্ত্রের লাইসেন্স পাওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়।'
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, গত দুই বছরে তারা নারীদের কাছ থেকে ৮০০টির বেশি লাইসেন্সের আবেদন পেয়েছে। এর মধ্যে ২০১০ সালে ৩২০টি এবং ২০১১ সালে প্রায় ৫০০টি আবেদন জমা পড়ে। আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা ব্যক্তিদের মধ্যে এখন ২০-২২ শতাংশই নারী। গত দুই সপ্তাহে এ সংখ্যা বেড়ে ৩৫ শতাংশে পৌঁছেছে।
ভারতের 'ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর গান রাইটস'-এর এক সদস্য জানান, আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে নারীরা বৈষম্যের শিকার হয় বেশি। দিল্লিতে নারীদের তুলনায় পুরুষরা অনেক বেশি অস্ত্রের লাইসেন্স নেয়। নারীদের অস্ত্রের লাইসেন্স নেওয়ার ক্ষেত্রে যথাযথ কারণ থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই তারা তা পায় না। তিনি বলেন, 'মা-বাবা নিজেই যখন তাঁদের মেয়ের হাতে অস্ত্র তুলে দিতে চাইছেন, তার মানে বুঝতে হবে_তাঁরা কতটা শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন।' আত্মরক্ষার বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সে মেয়েদের অন্তর্ভুক্তি ২০ শতাংশ বেড়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
No comments