ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়- তরুণ নাটুয়ার দল by রাকিব মোজাহিদ
ক্যানভাসে ছবি আঁকেন শিল্পী। তবে যাঁদের কথা বলছি, তাঁরা সেই রং-তুলির শিল্পী নন। তবে ছবি আঁকেন। কীভাবে? মঞ্চে সময়ের চিত্র তুলে ধরেন তাঁরা। গান, নাচ, অভিনয়ের মাধ্যমে। তাঁরা নাট্যশিল্পী।
এমন একদল আলো ঝলমলে তরুণ মঞ্চ-অভিনেতাদের সঙ্গে কথা হলো। সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী। যাঁরা আগামী ১০ জানুয়ারি ভারতে ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা (এনএসডি), দিল্লির আয়োজনে ‘১৫তম রঙ্গমহোৎসব’-এ যোগ দিতে যাচ্ছেন। ওই উৎসবে বিভিন্ন দেশের ৯০টি নাট্য প্রযোজনা প্রদর্শিত হবে, যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত নাটকটি মঞ্চস্থ হবে। ২৩ শিক্ষার্থীর এই দল এখন মহা ব্যস্ত মহড়া নিয়ে। মহড়ার ফাঁকে কথা হচ্ছিল তাঁদের সঙ্গে।
এই দলেরই একজন নীলা সাহা বলেন, ‘যখন জানতে পারলাম আমরা এই উৎসবে অংশ নিচ্ছি, নিজের কানে শুনেও বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। মনে হচ্ছিল, স্বপ্ন দেখছি না তো!’
এনএসডির এই উৎসব নিয়ে আরেক শিক্ষার্থী জানেবুল হকের উচ্ছাস আরও বেশি। তাঁর মতে, ‘যাঁরা মঞ্চনাটক নিয়ে কাজ করেন কিংবা নাটক নিয়ে পড়াশোনা করেন, তাঁদের সবার একটি সুপ্ত বাসনা থাকে দিল্লির এনএসডি মঞ্চে কাজ করার। আমাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে। সে কারণেই এতটা উচ্ছ্বসিত আমরা।’
তাঁদের দেওয়া তথ্য থেকেই বোঝা যায় বেশ জাঁকালো এই আয়োজন। এত বড় আয়োজনে নিজেদের নাটক মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে। কোনো দুশ্চিন্তা? ঝটপট উত্তর নাসরিন ইসলামের—‘দুশ্চিন্তা যে একবারে নেই তা না। তবে তা গোনার মধ্যে পড়ে না। কারণ, ঢাকা ছাড়ার আগে ১ থেকে ৪ জানুয়ারি সিদ্ধান্ত নাটকটির মঞ্চায়ন হবে। ফলে নিজেদের দুর্বলতাগুলো এখানেই কাটিয়ে উঠতে পারব আমরা।’ নিজেদের যুক্তির খুঁটি আরও জোরালো হলো নাসিরুল ইসলামের কথায়। বললেন, ‘এখানে আমরা যারা কাজ করছি তারা সবাই স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থী। যারা সবাই এর আগে বিভিন্ন নাটকে কাজ করেছে এবং নাট্য নির্দেশনাও দিয়েছে। ফলে ভালো কিছুই আশা করছি আমরা।’
বার্টল্ট ব্রেখটের দ্য মেজারস টেকেন অবলম্বনে নাটকটি পুনঃ রচনা করেছেন শাহমান মৈশান। মঞ্চ পরিকল্পনায় আশিকুর রহমান ও সংগীত পরিচালনায় আছেন সাইম রানা।
নাটকটির নির্দেশক ইসরাফিল শাহীন বলেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত নাটকটি স্নাতকে যারা পড়ছে তারা মঞ্চে এনেছিল। দেশে এবং দেশের বাইরে কোরিয়ায় বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে এটি। আশা করছি ভারতেও এর ব্যতিক্রম হবে না।’
এই দলেরই একজন নীলা সাহা বলেন, ‘যখন জানতে পারলাম আমরা এই উৎসবে অংশ নিচ্ছি, নিজের কানে শুনেও বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। মনে হচ্ছিল, স্বপ্ন দেখছি না তো!’
এনএসডির এই উৎসব নিয়ে আরেক শিক্ষার্থী জানেবুল হকের উচ্ছাস আরও বেশি। তাঁর মতে, ‘যাঁরা মঞ্চনাটক নিয়ে কাজ করেন কিংবা নাটক নিয়ে পড়াশোনা করেন, তাঁদের সবার একটি সুপ্ত বাসনা থাকে দিল্লির এনএসডি মঞ্চে কাজ করার। আমাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে। সে কারণেই এতটা উচ্ছ্বসিত আমরা।’
তাঁদের দেওয়া তথ্য থেকেই বোঝা যায় বেশ জাঁকালো এই আয়োজন। এত বড় আয়োজনে নিজেদের নাটক মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে। কোনো দুশ্চিন্তা? ঝটপট উত্তর নাসরিন ইসলামের—‘দুশ্চিন্তা যে একবারে নেই তা না। তবে তা গোনার মধ্যে পড়ে না। কারণ, ঢাকা ছাড়ার আগে ১ থেকে ৪ জানুয়ারি সিদ্ধান্ত নাটকটির মঞ্চায়ন হবে। ফলে নিজেদের দুর্বলতাগুলো এখানেই কাটিয়ে উঠতে পারব আমরা।’ নিজেদের যুক্তির খুঁটি আরও জোরালো হলো নাসিরুল ইসলামের কথায়। বললেন, ‘এখানে আমরা যারা কাজ করছি তারা সবাই স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থী। যারা সবাই এর আগে বিভিন্ন নাটকে কাজ করেছে এবং নাট্য নির্দেশনাও দিয়েছে। ফলে ভালো কিছুই আশা করছি আমরা।’
বার্টল্ট ব্রেখটের দ্য মেজারস টেকেন অবলম্বনে নাটকটি পুনঃ রচনা করেছেন শাহমান মৈশান। মঞ্চ পরিকল্পনায় আশিকুর রহমান ও সংগীত পরিচালনায় আছেন সাইম রানা।
নাটকটির নির্দেশক ইসরাফিল শাহীন বলেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত নাটকটি স্নাতকে যারা পড়ছে তারা মঞ্চে এনেছিল। দেশে এবং দেশের বাইরে কোরিয়ায় বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে এটি। আশা করছি ভারতেও এর ব্যতিক্রম হবে না।’
No comments