সোনালী ব্যাংকের ১৭ কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের নামে ২৬ মামলা
ভুয়া কাগজপত্রে ঋণ জালিয়াতি করে সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা হোটেল (সাবেক শেরাটন হোটেল) শাখা থেকে (ফান্ডেড) প্রায় সাড়ে তিন শ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৩৫ জনকে আসামি করে ২৬টি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল মঙ্গলবার দুদকের জ্যেষ্ঠ উপপরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে আট সদস্যের দল বাদী হয়ে রমনা মডেল থানায় মামলাগুলো দায়ের করে। সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), উপব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সোনালী ব্যাংকের ১৭ জন, হলমার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ দুজন, পাঁচ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান-এমডি মিলিয়ে ১৬ জনসহ মোট ৩৫ জনের বিরুদ্ধে এসব মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্ত পাঁচ প্রতিষ্ঠান হলো ডিএন স্পোর্টস লিমিটেড, টি অ্যান্ড ব্রাদার্স, প্যারাগন নিট কম্পোজিট লিমিটেড, নকশী নিট কম্পোজিট লিমিটেড ও খান জাহান আলী সোয়েটার লিমিটেড।
এর আগে গত ৪ অক্টোবর হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় রাজধানীর রমনা থানায় প্রায় এক হাজার ৬০০ মোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২৭ জনকে আসামি করে মোট ১১টি মামলা করে দুদক। ওই মামলাগুলোতে সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডি, ডিএমডি, হলমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ২৭ জনকে আসামি করা হয়। তাঁদের মধ্যে হলমার্ক গ্রুপের তিনজনসহ সাতজনকে দুদক গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এর মধ্যে চারজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
নতুন ২৬ মামলার আসামিরা হচ্ছেন সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডি মো. হুমায়ুন কবির, সাবেক দুই ডিএমডি মো. মাঈনুল হক ও মো. আতিকুর রহমান, মহাব্যবস্থাপক (জিএম) আ ন ম মাশরুরুল হুদা সিরাজী, ননী গোপাল নাথ, মীর মহিদুর রহমান ও সবিতা সিরাজ, উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শেখ আলতাফ হোসেন, এ কে এম আজিজুর রহমান, মো. শফিজউদ্দিন আহাম্মেদ ও কানিজ ফাতেমা চৌধুরী, সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) শেখ সাইফুল হাসান, কামরুল হোসেন খান, খুরশীদ আলম, আশরাফ আলী পাটোয়ারী, এক্সিকিউটিভ অফিসার মো. আব্দুল মতিন ও মেহেরুন নেসা মেরী।
১৪টি মামলায় আসামি করা হয়েছে টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের চেয়ারম্যান জিনাত ফাতেমা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. তাওহীদ হাসান, পরিচালক মো. তসলিম হাসানকে।
হলমার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তানভীর মাহমুদসহ প্যারাগন নীটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম রাজা, পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, মণ্ডল ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. মুকুল হোসেনকে ভুয়া প্রতিষ্ঠান মণ্ডল ট্রেডার্সের ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় পাঁচটি মামলায় আসামি করা হয়েছে।
নকশী নীট কম্পোজিট লিমিটেডের চেয়ারম্যান আমেনা বেগম এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মালেক ও সুপ্রিম পেপারস অ্যান্ড এঙ্সেরিজের স্বত্বাধিকারী মো. জামির হোসেন এবং হলমার্ক গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমেদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা; খানজাহান আলী সোয়েটারের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল জলিল শেখ, পরিচালক রফিকুল ইসলাম, পরিচালক মীর মো. শওকত আলীর বিরুদ্ধে একটি মামলা এবং ডিএন স্পোর্টসের চেয়ারম্যান মোতাহার উদ্দিন চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুর রহমান, পরিচালক ফাহমিদা আক্তার শিখার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করা হয়েছে।
গতকাল দুপুরে করা মামলাগুলোর বাদী হচ্ছেন দুদক উপপরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলী, এস এম এম আখতার হামিদ ভূঞা, সহকারী পরিচালক নাজমুচ্ছায়াদাত, মশিউর রহমান, এনামুল হক চৌধুরী, সেলিনা আখতার মনি, উপসহকারী পরিচালক মুজিবুর রহমান এবং মুহাম্মদ জয়নুল আবেদিন।
দুদকের অনুসন্ধানী কর্মকর্তারা জানান, ওই পাঁচটি প্রতিষ্ঠান কৌশলে ফান্ডেড ও নন-ফান্ডেড ঋণের নামে সোনালী ব্যাংকের প্রায় ৯০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। এর মধ্যে ফান্ডেড ৩৫০ কোটি টাকার বিষয়ে দালিলিক তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে ২৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর নন-ফান্ডেড ঋণের নামে আরো প্রায় ছয় কোটি টাকা আত্মসাতের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে।
দুদক সূত্র জানায়, হলমার্কের এমডি তানভীর মাহমুদকে একাধিক শিল্প কারখানার ভুয়া কাগজপত্রে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা জালিয়াতি করে আত্মসাতে সহযোগিতা করেন সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা হোটেল শাখার তৎকালীন ব্যবস্থাপক এ কে এম আজিজুর রহমান। তিনি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আঁতাত করেই জালিয়াতির সুযোগ তৈরি করেন। বিনিময়ে কমিশন হিসেবে পান কয়েক কোটি টাকা।
দুদক সূত্র জানায়, জামানতসহ কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সম্পূর্ণ বেআইনি ও ক্ষমতাবহির্ভূতভাবে নামসর্বস্ব কিছু প্রতিষ্ঠানকে ভুয়া রপ্তানি এলসি, বিল ইত্যাদি তৈরিতে সহায়তা করেন সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা। এভাবে ফান্ডেড ও নন-ফান্ডেড প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ প্রদান করেন তাঁরা। এতে অন্যতম ভূমিকা রাখেন ডিজিএম আজিজুর রহমান। তিনি একদিকে এলসি সুবিধাভোগীর নামে অ্যাকসেপটেন্সের মাধ্যমে টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেন, অন্যদিকে ওই ভুয়া এলসির অনুকূলে ভুয়া রপ্তানি ডকুমেন্ট তৈরি করে এফবিপিএনের মাধ্যমে টাকা তুলে নেওয়ার ব্যবস্থাও করেন। এ অপকর্মে সহায়তা করেন রূপসী বাংলা হোটেল শাখার ব্যবস্থাপক সাইফুল হাসান। জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত ওই সব প্রতিষ্ঠান থেকে তাঁরা নিয়মিত কমিশনসহ মাসোয়ারা নিয়েছেন। এই দুজন সোনালী ব্যাংকের এমডি-ডিএমডিসহ ঊর্ধ্বতন ব্যাংক কর্মকর্তাদের মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেন।
সোনালী ব্যাংকের মানবসম্পদ নীতিমালা অনুযায়ী প্রতি তিন বছর অন্তর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলি এবং পদোন্নতির পর কর্মস্থল বদলি একটি স্বাভাবিক নিয়ম। কিন্তু পাঁচ বছর অতিক্রান্ত এবং পদোন্নতি হওয়ার পরও রূপসী বাংলা হোটেল শাখার ব্যবস্থাপককে (আজিজুর রহমান) বদলি করা হয়নি।
দুদক সূত্র জানায়, সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা হোটেল শাখাসহ কয়েকটি শাখায় ঋণের নামে জালিয়াতি, প্রতারণা ও কারসাজির মাধ্যমে মোট তিন হাজার ৫৪৭ কোটি টাকা উত্তোলনের অভিযোগ ওঠে। এতে হলমার্ক গ্রুপ নেয় দুই হাজার ৬৮৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা। টি অ্যান্ড ব্রাদার্স নেয় ৬০৯ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, প্যারাগন গ্রুপ নেয় ১৪৬ কোটি ৬০ লাখ, ডিএন স্পোর্টস ৩৩ কোটি ২৫ লাখ, নকশী নীট ৬৬ কোটি ৩৬ লাখ এবং খানজাহান আলী সোয়েটারের নামে নেওয়া হয় চার কোটি ৯৬ লাখ টাকা।
যেমন গুরু তেমন শিষ্য
এর আগে গত ৪ অক্টোবর হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় রাজধানীর রমনা থানায় প্রায় এক হাজার ৬০০ মোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২৭ জনকে আসামি করে মোট ১১টি মামলা করে দুদক। ওই মামলাগুলোতে সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডি, ডিএমডি, হলমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ২৭ জনকে আসামি করা হয়। তাঁদের মধ্যে হলমার্ক গ্রুপের তিনজনসহ সাতজনকে দুদক গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এর মধ্যে চারজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
নতুন ২৬ মামলার আসামিরা হচ্ছেন সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডি মো. হুমায়ুন কবির, সাবেক দুই ডিএমডি মো. মাঈনুল হক ও মো. আতিকুর রহমান, মহাব্যবস্থাপক (জিএম) আ ন ম মাশরুরুল হুদা সিরাজী, ননী গোপাল নাথ, মীর মহিদুর রহমান ও সবিতা সিরাজ, উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শেখ আলতাফ হোসেন, এ কে এম আজিজুর রহমান, মো. শফিজউদ্দিন আহাম্মেদ ও কানিজ ফাতেমা চৌধুরী, সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) শেখ সাইফুল হাসান, কামরুল হোসেন খান, খুরশীদ আলম, আশরাফ আলী পাটোয়ারী, এক্সিকিউটিভ অফিসার মো. আব্দুল মতিন ও মেহেরুন নেসা মেরী।
১৪টি মামলায় আসামি করা হয়েছে টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের চেয়ারম্যান জিনাত ফাতেমা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. তাওহীদ হাসান, পরিচালক মো. তসলিম হাসানকে।
হলমার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তানভীর মাহমুদসহ প্যারাগন নীটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম রাজা, পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, মণ্ডল ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. মুকুল হোসেনকে ভুয়া প্রতিষ্ঠান মণ্ডল ট্রেডার্সের ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় পাঁচটি মামলায় আসামি করা হয়েছে।
নকশী নীট কম্পোজিট লিমিটেডের চেয়ারম্যান আমেনা বেগম এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মালেক ও সুপ্রিম পেপারস অ্যান্ড এঙ্সেরিজের স্বত্বাধিকারী মো. জামির হোসেন এবং হলমার্ক গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমেদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা; খানজাহান আলী সোয়েটারের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল জলিল শেখ, পরিচালক রফিকুল ইসলাম, পরিচালক মীর মো. শওকত আলীর বিরুদ্ধে একটি মামলা এবং ডিএন স্পোর্টসের চেয়ারম্যান মোতাহার উদ্দিন চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুর রহমান, পরিচালক ফাহমিদা আক্তার শিখার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করা হয়েছে।
গতকাল দুপুরে করা মামলাগুলোর বাদী হচ্ছেন দুদক উপপরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলী, এস এম এম আখতার হামিদ ভূঞা, সহকারী পরিচালক নাজমুচ্ছায়াদাত, মশিউর রহমান, এনামুল হক চৌধুরী, সেলিনা আখতার মনি, উপসহকারী পরিচালক মুজিবুর রহমান এবং মুহাম্মদ জয়নুল আবেদিন।
দুদকের অনুসন্ধানী কর্মকর্তারা জানান, ওই পাঁচটি প্রতিষ্ঠান কৌশলে ফান্ডেড ও নন-ফান্ডেড ঋণের নামে সোনালী ব্যাংকের প্রায় ৯০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। এর মধ্যে ফান্ডেড ৩৫০ কোটি টাকার বিষয়ে দালিলিক তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে ২৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর নন-ফান্ডেড ঋণের নামে আরো প্রায় ছয় কোটি টাকা আত্মসাতের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে।
দুদক সূত্র জানায়, হলমার্কের এমডি তানভীর মাহমুদকে একাধিক শিল্প কারখানার ভুয়া কাগজপত্রে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা জালিয়াতি করে আত্মসাতে সহযোগিতা করেন সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা হোটেল শাখার তৎকালীন ব্যবস্থাপক এ কে এম আজিজুর রহমান। তিনি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আঁতাত করেই জালিয়াতির সুযোগ তৈরি করেন। বিনিময়ে কমিশন হিসেবে পান কয়েক কোটি টাকা।
দুদক সূত্র জানায়, জামানতসহ কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সম্পূর্ণ বেআইনি ও ক্ষমতাবহির্ভূতভাবে নামসর্বস্ব কিছু প্রতিষ্ঠানকে ভুয়া রপ্তানি এলসি, বিল ইত্যাদি তৈরিতে সহায়তা করেন সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা। এভাবে ফান্ডেড ও নন-ফান্ডেড প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ প্রদান করেন তাঁরা। এতে অন্যতম ভূমিকা রাখেন ডিজিএম আজিজুর রহমান। তিনি একদিকে এলসি সুবিধাভোগীর নামে অ্যাকসেপটেন্সের মাধ্যমে টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেন, অন্যদিকে ওই ভুয়া এলসির অনুকূলে ভুয়া রপ্তানি ডকুমেন্ট তৈরি করে এফবিপিএনের মাধ্যমে টাকা তুলে নেওয়ার ব্যবস্থাও করেন। এ অপকর্মে সহায়তা করেন রূপসী বাংলা হোটেল শাখার ব্যবস্থাপক সাইফুল হাসান। জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত ওই সব প্রতিষ্ঠান থেকে তাঁরা নিয়মিত কমিশনসহ মাসোয়ারা নিয়েছেন। এই দুজন সোনালী ব্যাংকের এমডি-ডিএমডিসহ ঊর্ধ্বতন ব্যাংক কর্মকর্তাদের মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেন।
সোনালী ব্যাংকের মানবসম্পদ নীতিমালা অনুযায়ী প্রতি তিন বছর অন্তর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলি এবং পদোন্নতির পর কর্মস্থল বদলি একটি স্বাভাবিক নিয়ম। কিন্তু পাঁচ বছর অতিক্রান্ত এবং পদোন্নতি হওয়ার পরও রূপসী বাংলা হোটেল শাখার ব্যবস্থাপককে (আজিজুর রহমান) বদলি করা হয়নি।
দুদক সূত্র জানায়, সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা হোটেল শাখাসহ কয়েকটি শাখায় ঋণের নামে জালিয়াতি, প্রতারণা ও কারসাজির মাধ্যমে মোট তিন হাজার ৫৪৭ কোটি টাকা উত্তোলনের অভিযোগ ওঠে। এতে হলমার্ক গ্রুপ নেয় দুই হাজার ৬৮৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা। টি অ্যান্ড ব্রাদার্স নেয় ৬০৯ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, প্যারাগন গ্রুপ নেয় ১৪৬ কোটি ৬০ লাখ, ডিএন স্পোর্টস ৩৩ কোটি ২৫ লাখ, নকশী নীট ৬৬ কোটি ৩৬ লাখ এবং খানজাহান আলী সোয়েটারের নামে নেওয়া হয় চার কোটি ৯৬ লাখ টাকা।
যেমন গুরু তেমন শিষ্য
No comments