নতুন বই পেয়ে শিশুরা আনন্দে মাতোয়ারা
রাজশাহী নগরের রানীবাজার এলাকার ব্যস্ত সড়ক! রিকশা-অটোরিকশার সারির পাশ দিয়ে হাঁটছে ছোট্ট একটি শিশু। পিঠে স্কুলব্যাগ। হাতে নতুন একখানা বই। নগরের ব্যস্ততা তাকে বিন্দুমাত্র স্পর্শ করতে পারেনি। সে বইয়ের পাতা ওল্টাতে ব্যস্ত।
নতুন বই নিয়ে যেন গোটা নগরে একটা উৎসব শুরু হয়ে গেছে। কোথাও শিশুরা নতুন বইয়ের পাতায় মুখ গুঁজে রয়েছে, কোথাও ছোটাছুটি করছে। রাজশাহীর সর্বত্রই গতকাল এমন দৃশ্য চোখে পড়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সারা দেশের মতো রাজশাহীতেও প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন বই বিতরণ করা হয়েছে। নতুন বই হাতে পেয়ে শিশুরা আনন্দে মাতোয়ারা।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলার সরকারি-বেসরকারি, বেসরকারি সংস্থা পরিচালিত ও কিন্ডারগার্টেন মিলে এক হাজার ৭১৩টি বিদ্যালয়ে মোট ১৪ লাখ ৯৮ হাজার ২৭৫টি বইয়ের বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে গতকাল প্রথম দিন বিতরণ করা হয়েছে ১৩ লাখ ৭৭ হাজার ৬৬৭টি।
গতকাল নগরের হেলেনাবাদ প্রাথমিক বিদ্যালয়-১-এ বই বিতরণের উদ্বোধন করেন রাজশাহী সদর আসনের সাংসদ ফজলে হোসেন। এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নফিসা বেগম। সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক আবদুল হান্নান।
গতকাল সকালে বাঘা উপজেলার দিঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বই নেওয়ার জন্য শিশুরা শীতের সকালে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে। শীতে ঠকঠক করে কাঁপছে কেউ কেউ। সকাল ১০টার দিকে বই হাতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় হুড়োহুড়ি। বুকে বই জড়িয়ে ধরে শিশুরা দেয় ছুট।
প্রথম শ্রেণীর বই পেয়েছে নুসরাত জাহান। বিদ্যালয়ের মাঠের এক মাথায় তাকে পাওয়া গেল। সে নতুন বইয়ের ছবি দেখতে গিয়ে পিছে পড়ে গেছে। বই পছন্দ হয়েছে কি না, জানতে চাইলে নুসরাত ‘হ্যাঁ’ বলে মাথা নাড়ে। দিঘা বাজারের রাস্তায় পাওয়া গেল তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র আবির হোসেনকে। তার চোখমুখে নতুন বই পাওয়ার আনন্দ। কথা বলার জন্য একটু থামতে বলতেই দিল দৌড়।
সিরাজগঞ্জ শহরের গৌরি আরবান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও জাহান আরা উচ্চবিদ্যালয়ে গতকাল সকালে আয়োজিত বই উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোপাল চন্দ্র সরকার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বদরুজ্জেহা, প্রবীণ রাজনীতিবিদ আনোয়ার হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জামাত আলী মুন্সি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসিমা খাতুন প্রমুখ। জেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৩৫ লাখ ৬১ হাজার ১২৪টি এবং প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ২১ লাখ ১২ হাজার ১২১টি বই বিনা মূল্যে বিতরণের কথা।
গতকাল মঙ্গলবার সারা দেশের মতো রাজশাহীতেও প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন বই বিতরণ করা হয়েছে। নতুন বই হাতে পেয়ে শিশুরা আনন্দে মাতোয়ারা।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলার সরকারি-বেসরকারি, বেসরকারি সংস্থা পরিচালিত ও কিন্ডারগার্টেন মিলে এক হাজার ৭১৩টি বিদ্যালয়ে মোট ১৪ লাখ ৯৮ হাজার ২৭৫টি বইয়ের বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে গতকাল প্রথম দিন বিতরণ করা হয়েছে ১৩ লাখ ৭৭ হাজার ৬৬৭টি।
গতকাল নগরের হেলেনাবাদ প্রাথমিক বিদ্যালয়-১-এ বই বিতরণের উদ্বোধন করেন রাজশাহী সদর আসনের সাংসদ ফজলে হোসেন। এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নফিসা বেগম। সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক আবদুল হান্নান।
গতকাল সকালে বাঘা উপজেলার দিঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বই নেওয়ার জন্য শিশুরা শীতের সকালে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে। শীতে ঠকঠক করে কাঁপছে কেউ কেউ। সকাল ১০টার দিকে বই হাতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় হুড়োহুড়ি। বুকে বই জড়িয়ে ধরে শিশুরা দেয় ছুট।
প্রথম শ্রেণীর বই পেয়েছে নুসরাত জাহান। বিদ্যালয়ের মাঠের এক মাথায় তাকে পাওয়া গেল। সে নতুন বইয়ের ছবি দেখতে গিয়ে পিছে পড়ে গেছে। বই পছন্দ হয়েছে কি না, জানতে চাইলে নুসরাত ‘হ্যাঁ’ বলে মাথা নাড়ে। দিঘা বাজারের রাস্তায় পাওয়া গেল তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র আবির হোসেনকে। তার চোখমুখে নতুন বই পাওয়ার আনন্দ। কথা বলার জন্য একটু থামতে বলতেই দিল দৌড়।
সিরাজগঞ্জ শহরের গৌরি আরবান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও জাহান আরা উচ্চবিদ্যালয়ে গতকাল সকালে আয়োজিত বই উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোপাল চন্দ্র সরকার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বদরুজ্জেহা, প্রবীণ রাজনীতিবিদ আনোয়ার হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জামাত আলী মুন্সি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসিমা খাতুন প্রমুখ। জেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৩৫ লাখ ৬১ হাজার ১২৪টি এবং প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ২১ লাখ ১২ হাজার ১২১টি বই বিনা মূল্যে বিতরণের কথা।
No comments