নিউইয়র্কে বাংলা মিডিয়াঃ একটি আত্মসমালোচনা... by শহীদুল ইসলাম
প্রবাদ আছে, ১০ জন ভালো লোকের সঙ্গে একজন খারাপ লোক থাকলে তিনিও এসময় ভালো হয়ে যান। আবার ১০ জন খারাপ লোকের সঙ্গে একজন ভালো লোক থাকলে তিনি খারাপ হয়ে যান। আমি প্রথমটিকেই বেছে নিলাম। অর্থাৎ আমি খারাপ বা মন্দ লোক।
নিউইয়র্কে আসার পর ভালো লোকদের সঙ্গে চলাফেরা করে ভালো হবার চেষ্টা করছি। কিন্তু কোনোভাবেই ভালো হতে পারছি না। এটি খুব বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার এ সমস্যা আমি নিজেই তৈরি করছি। হঠাৎ রেগে যাই। যাকে যা বলি, সোজাসাপটা আর সামনা সামনি। আর এ কারণে আমার বন্ধুর সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে আমি বন্ধুহীন হয়ে পড়ার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি।
আমার প্রিয় এক সহযোদ্ধা, প্রতিবেশী বন্ধু প্রায়ই একথা বলে আমাকে হুশিয়ারও করেন।
নিউইয়র্কে আসার পর প্রথম কয়েক মাস অন্যপেশায় ছিলাম। বাংলাদেশে কী ছিলাম সে প্রসঙ্গ টেনে লাভ নেই। সবকিছু নতুন করে শুরু করলাম। একেবারে বুনিয়াদী সাংবাদিকতা। ২০০৯ সালে নিউইয়র্কে ১২টি সাপ্তাহিক পত্রিকা ছিল। মাঝেমধ্যে এ সংখ্যা বাড়ে, আবার কমে। এখানকার পত্রিকাগুলো শতভাগ বিজ্ঞাপন নির্ভর। এটা দোষের কিছু না। এটা বাণিজ্যিক বিষয়ও বটে। প্রয়োজন আছে বলেই লোকজন বিজ্ঞাপন দেন। তবে নিউইয়র্কের বাংলা সাপ্তাহিকগুলোতে যারা বিজ্ঞাপন দেন তাদের সবাই যে প্রচারের জন্য দেন তা কিন্তু নয়। অনেকে বিজ্ঞাপন দেন সন্তুষ্টি সাপেক্ষে। যেমন কেউ নেতা হতে চান, তার ন্যুনতম কোনো যোগ্যতা নেই, কিন্তু তিনি নেতা হতে চান। তিনি চান পত্রিকায় তার নাম আসুক। পত্রিকায় নাম আসবে, আবার তিনি নেতাও হবেন শুধু পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে। কারণ ১০০ ডলারে হাফ পেজ বিজ্ঞাপন দিলে তার অনুষ্ঠান পত্রিকা কভার করবেই। ফুল পেজ দিলে তো কথাই নেই। গত ৩ বছরে দেখেছি, এভাবে অনেকেই নেতা বনে গেছেন। শুধু কমিউনিটিতে নেতা নন, অনেককে সাংবাদিক বগলদাবা করে ঘুরে বেড়াতে দেখেছি।
আমি প্রথম দিকে দুএকজনকে রয়ে সয়ে বিজ্ঞাপনের কথা বলেছি। কিন্তু প্রত্যুত্তর শুনে খুবই লজ্জা পেতাম। পরে বিজ্ঞাপন চাওয়া বন্ধ করলাম। এখনো সে অবস্থা ধরে রেখেছি। একবার এক বিশিষ্ট মুরগী ব্যবসায়ীর অনুষ্ঠানের শুরুতে যাইনি এবং শেষ পর্যন্ত ছিলাম না বলে তিনি আমার বিরুদ্ধে সম্পাদকের কাছে নালিশ করেছিলেন। এরপর আর ওই মুরগী ব্যবসায়ীর কোনো অনুষ্ঠানে আমি যাই না। কিন্তু আমার মত ছাপোষা সাংবাদিক গেলেই কী, আর না গেলেই কী, মুরগী ব্যবসায়ীর বড় বড় ছবি ছাপা হয় এখানকার প্রায় সব পত্রিকায়। শুনেছি তাতেও সন্তুষ্ট ছিলেন না ওই মুরগী ব্যবসায়ী। পরে সুনামির হুঙ্কার দিয়ে নিজে পত্রিকা বের করেছিলেন। ভেবেছিলেন মুরগী ব্যবসার চেয়েও সহজ পত্রিকা বের করা। জমকালো অনুষ্ঠানও করেছিলেন। লম্বা বক্তৃতা দিয়েছিলেন তিনি। কয়েক সপ্তাহ পর চিৎপটাং, অর্থাৎ পত্রিকা বন্ধ। ইদানিং অনেকেই পত্রিকা বের করার আগ্রহ প্রকাশ করছেন। ব্যসায়িক লক্ষ্য থেকে নয়, অনেকটা সাংবাদিকদের ওপর আক্রোশ থেকে।
নিউইয়র্কে আসার পর শুনেছি একজন শিল্পপতি একটি পত্রিকা বের করেছিলেন জিদ করেই। কিন্তু নিজের ঢোল নিজে এত বেশী পেটাতে শুরু করেছিলেন যে কিছুদিন পর তা অধুনালুপ্ত-এর তালিকায় চলে যায়। প্রবাসে যেহেতু আমার অল্পদিনের অভিজ্ঞতা তাই অনেক কিছুই শুনি। প্রথম প্রথম বিস্মিত হতাম। এখন আর হই না। এই তো কিছুদিন আগে গুলশান টেরেসে (সাবেক ঢাকা ক্লাব) আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ‘কমিউনিটি বিনির্মানে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনার আয়োজন করে। এতে অন্যতম বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি নার্গিস আহমেদ। তিনি বিষয়বস্তুর উপর প্রধান বক্তা ছিলেন। তার বক্তৃতা শুনে আমি একটু হতাশ হলাম। খানিক পরে বক্তৃতা দেবার জন্য আমার নামও ঘোষিত হল। কিন্তু নার্গিস আহমেদের বক্তৃতা শুনে যে হতাশা তৈরি হল, সে কারণে বক্তৃতা দিলাম না। খানিক পরেই নার্গিস আহমেদকে একটি লিখিত প্রশ্ন করলাম। সঞ্চালক আমার প্রশ্নটি সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারলেন না এবং নার্গিস আহমেদও এ বিষয়ে কিছু উত্তর দিতে চাইলেন না। এর আগে প্রধান বক্তা নার্গিস আহমেদ বলতে চেয়েছেন, কমিউনিটি বিনির্মাণে গণমাধ্যম ভূমিকা রাখা দুরের কথা, বরং কমিউনিটির ক্ষতিই করেছে। মিডিয়া সম্পর্কে তিনি নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরতে গিয়ে ঢালাও মন্তব্য করেন। তিনি এও বলেন, এখানকার মিডিয়া টাকার বিনিময়ে ছবি ও নিউজ ছাপে।
কমিউনিটি বিনির্মাণে মিডিয়ার ভূমিকা আছে কী নেই তা নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই। কিন্তু কমিউনিটি লিডার তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে এখানকার মিডিয়া, এটা আমি বেশ উপলব্ধি করছি। পরে অবশ্য জেনেছি, নার্গিস আহমেদ এখানকার মিডিয়াকে বেশ এড়িয়ে চলেন। কারণ একসময় নাকি এখানকার মিডিয়ায় তাকে নিয়ে বেশকিছু রিপোর্ট লিখেছিল। অনেকে আরো ন্যাক্কারজনকভাবে বলে থাকেন, এই কমিউনিটিকে দ্বিধাবিভক্ত করেছে এখানকার মিডিয়া।
টাকা নিয়ে নিউজ ও ছবি ছাপা হয়, এটা এখানকার অনেক পত্রিকাই হরহামেশা করছে। আবার কেউ টাকাটা নিচ্ছে ঘুরিয়ে, অর্থাৎ বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে। এ বিষয়টি আমি একটু আগেও উল্লেখ করেছি। বিজ্ঞাপন দিলে নিউজ এবং ছবি নিশ্চিত। গ্যারান্টি শতভাগ, বিফলে মূল্য ফেরত। দেশদরদী হয়ে মার্কিন মুল্লুকে বাঙালিরা ডলারকে টাকা বলে।
প্রবাসের বাংলাদেশীদের ছাতা সংগঠন বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক এবং একমাত্র নারী সভাপতি নার্গিস আহমেদের বক্তব্যে আমি হতাশ এবং ব্যক্তিগতভাবে আহত হলেও বেশীদিন আমাকে ক্ষত নিয়ে ঘুরে বেড়াতে হয়নি। শুক্রবারই (১৭ আগস্ট ২০১২) আমার ক্ষত শুকিয়ে গেছে। বরং মনে হয়েছে আমিই নার্গিস আহমেদকে আহত করেছি এবং তিনি ক্ষত নিয়ে এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এখন আমার আফসোস হচ্ছে নার্গিস আহমেদের ক্ষত যদি আমি সারাতে পারতাম। আর এই ক্ষত শুকিয়ে যাবে যদি আমি তার কাছে ক্ষমা চাই। এখন আমি হলফ করে বলতে পারি, নার্গিস আহমেদ যা বলেছেন তা ১০০ ভাগ সত্যি। সত্যি, সত্যি, সত্যি। তিন সত্যি। আমি মিথ্যা। আমার যা কিছু, সব মিথ্যা। অর্থাৎ আমি যা করেছি তা ‘চোরের মার বড় গলা’র মত।
বৃহস্পতিবার রাতে দেরী করে ঘুমিয়েছি। আখেরী জুম্মায় যাবো বলে অ্যালার্ম দিয়ে রেখেছিলাম। নামাজ শেষে বাসায় ফেরার পর আমার সম্পাদক অ্যাসাইনমেন্ট দিলেন। ভরদুপুর বলে সম্পাদকের কণ্ঠে অনুরোধের সুর ছিল। শুধু যে একদিন তা নয়, আমার সম্পাদক সবসময় এমনই। চাকরি করি তার, কিন্তু অ্যাসাইনমেন্ট দেবেন অনুরোধ করে। এতে বরং আমি স্বস্তিবোধ করি না। আমিও দ্রত বেরিয়ে পড়লাম। সাড়ে ৩টার মধ্যেই পৌঁছে গেলাম ১০ মাইল পথ পাড়ি দিয়ে। অনুষ্ঠান শেষে অনুষ্ঠান আয়োজকদের একজন প্রত্যেক সাংবাদিকের হাতে একটি সাদা খাম ধরিয়ে দিলেন। খামের মধ্যে ২০ ডলারের একটি নোট। আমি সবার শেষে ছিলাম। আমার দিকে খামটি এগিয়ে দিতেই জিজ্ঞেস করলাম কী এটা। আয়োজক ব্যক্তিটি বললেন, আপনারা কষ্ট করে এসেছেন এজন্য খরচ দিচ্ছেন। আমি বললাম, আমি তো অ্যাসাইনমেন্টে এসেছি। অনেকটা জোর করে খামটি ছাড়াই বেরিয়ে পড়লাম। বাইরে বের হয়ে দেখলাম আমার অন্য বন্ধুরা খামটি পকেটস্থ করে তাদের গন্তব্যে রওনা হলেন। এ ঘটনায় আমি খুব অপমানিতবোধ করতে লাগলাম। সঙ্গে সঙ্গে ফোন করে সম্পাদককে ঘটনা জানালাম। এর আগে এরকম আরো কয়েকটি ঘটনা আমি তাকে জানিয়েছি। আমার সম্পাদক আমাকে মন খারাপ করতে নিষেধ করলেন। আমার মন খারাপের যথেষ্ট কারণ ছিল। তারমধ্যে একটি কারণ হল, ১০ কিলোমিটার গাড়ি ড্রাইভ করে আমি আমি অ্যাসাইনমেন্টে গেলাম। আর অনুষ্ঠানের আয়োজক আমাকে ২০ ডলারে তুষ্ট করতে চাইলেন। আমার কষ্ট আর সম্মানের দাম ২০ ডলারের একটি নোট? মোটা ডলার দিলে আমি কি তাহলে মন খারাপ করতাম না? আসলে এই প্রশ্ন সামনে আসাটাই স্বাভাবিক। সঙ্গে সঙ্গে আমার মনে পড়ে গেল নার্গিস আহমেদের কথা। কী অন্যায়টা করেছি। উনি তো ঠিক কথাটিই বলেছিলেন। দুটি পত্রিকার দুজন সম্পাদক, একটি পত্রিকার একজন নির্বাহী সম্পাদক এবং একটি টিভি চ্যানেলের অতি শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিটি কিভাবে খামটি পকেটে পুরলেন? কেনই বা সাংবাদিকদের খাম দিলেন আয়োজক প্রতিষ্ঠানটি। নিশ্চয়ই তারা এটাকে রেওয়াজ হিসাবে ধরে নিয়েছেন। অর্থাৎ তারা দিয়ে অভ্যস্ত। আর আমাদের মত সাংবাদিকেরা নিয়ে অভ্যস্ত। শুনেছি, ব্যক্তিভেদে খামের ভেতরে টাকার অঙ্কে হেরফের ছিল।
একই দিন সন্ধ্যায় আরেক অনুষ্ঠানে দেখা দুই সম্পাদকের একজনের সঙ্গে। চেপে না রেখে তাকে জিজ্ঞেস করে বসলাম, খামটি কেন পকেটে পুরলেন। উত্তরে প্রথমে বললেন, তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের কাছে বিজ্ঞাপনের বিল পান। খামে যে টাকা দিয়েছেন তা বিল থেকে সমন্বয় করবেন। অবশ্য তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে ওই সম্পাদক স্বীকার করলেন, আয়োজক প্রতিষ্ঠান কাজটি ঠিক করেনি। খাম নিয়ে তিনি সঠিক কীনা তা অবশ্য বলেননি। রাতে একটু খোঁজ নিয়ে জানলাম, আয়োজক প্রতিষ্ঠানটি কখনোই বিজ্ঞাপনের বিল নগদ অর্থে পরিশোধ করেন না। অর্থাৎ ওই সম্পাদক আমাকে মিথ্যা কথা বলেছেন। অর্থাৎ নার্গিস আহমেদ যা বলেছেন তা সত্যি। টাকার বিনিময়ে পত্রিকায় আয়োজকদের অনুষ্ঠানের নিউজ ও ছবি ছাপা হবে। টিভি চ্যানেলের শীর্ষ কর্মকর্তার সঙ্গে আমার ভাল সম্পর্ক। এই লেখার পর হয়তো সে সম্পর্কে ভাটা পড়তে পারে। তবে শুনেছি তিনি না বুঝেই খামটি নিয়েছেন এবং পরে তা অধঃস্তনদের দিয়েছেন। দেবার সময় অধঃস্তনদের সঙ্গে কিছু রসিকতাও করেছেন। আমি ওই রসিকতার গল্পে সন্তুষ্ট হতে পারিনি। খুশী হতাম, তিনি যদি খামটি ফেরত দিয়ে এসেছেন এটা শুনে। তবে দেখা হলে আমি এ ঘটনাটি নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলবই, প্রতিবাদ আমি করবই। যদি তিনি আমাকে বন্ধুহীন করেন, তারপরও। বন্ধুহীন তো হয়ে পড়ছি, কী যায় আসে।
এবার আসি আরেক ঘটনায়। জ্যাকসন হাইটসে সন্ধ্যার অনুষ্ঠানটি ছিল সংবাদ সম্মেলন। সাংবাদিকরা আয়োজকদের নানান প্রশ্ন করলেন। কয়েকটি প্রশ্নে দারুণ ক্ষুব্ধ হলেন আয়োজকদের কেউ কেউ। সংবাদ সম্মেলন প্রায় পণ্ড হবার উপক্রম। আমার যেহেতু রাগ বেশী, আমি উঠে চলে যেতে চাইলাম। আয়োজকদের একজন থামালেন। আবার বসে পড়লাম। প্রধান আয়োজক তার একজন সতীর্থ-এর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করলেন। কিন্তু এই ক্ষমা প্রার্থনা আর দুএকজন সাংবাদিকদের প্রশ্নের ধরনে আয়োজকদের একজন এতই উত্তেজিত হলেন যে তিনি সব সাংবাদিকদের একপ্রকার আক্রমণ করে কথা শুরু করলেন। আমি প্রতিবাদ অব্যাহত রাখলাম। কিন্তু মনের দিক থেকে দুর্বল ছিলাম দারুণভাবে। কারণ দুপুরের সেই ২০ ডলারের খাম আর নার্গিস আহমেদের কথা আমার বার বার মনে পড়ে যাচ্ছিল।
আমি যে ধোয়া তুলসী পাতা, তা নই। আমি তো শুরুতে বলেছি, আমি খারাপ। আমি ভালো লোকদের সঙ্গে থেকে ভালো হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এই লেখা প্রকাশ হলে তারা হয়তো আমাকে ভালো হওয়ার সুযোগ দেবেন না। হয়তো আমাকে আরো খারাপ বলবেন। সুযোগ পেলে দুকলম লিখেও দেবেন। প্রবাসে এক সম্পাদক আরেক সম্পাদকের বিরুদ্ধে লিখছেন এটা নতুন কিছু না। বরং আমি প্রথার বাইরে অনেক কিছু আশা করি। খারাপ লোকের এমনটি আশা না করাই ভালো। সাংবাদিক মানেই খারাপ লোক। তাই আমি সারা দিন যদি নিজেকে ভালো বলি তাতে কোনো লাভ নেই। তাই খারাপ লোকের স্বীকৃতি মাথা পেতে নিলাম। বরং অংক এভাবে মেলাই, ‘প্লাসে মাইনাসে মাইনাস আর মাইনাসে মাইনাসে প্লাস।’
পাদটীকা : বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি নার্গিস আহমেদ যা বলেছেন, সঠিক বলেছেন।
শহীদুল ইসলাম : দৈনিক ইত্তেফাকের বিশেষ সংবাদদাতা, যুক্তরাষ্ট্র।
E-mail: dutimoy@gmail.com
No comments