মোস্তাফিজুর রহমান জাপা প্রার্থী by মোশতাক আহমদ
গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসনের আসন্ন উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ছাড় দিচ্ছে না মহাজোটের অন্যতম শরিক দল জাতীয় পার্টি। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজের পদত্যাগে আসনটি শূন্য হয়। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর এ আসনে উপনির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
গাজীপুর জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানকে এ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছে জাতীয় পার্টি। তবে আগামীকাল রবিবার জাতীয় পার্টির পার্লামেন্টারি বোর্ডের সভায় প্রার্থিতা চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন এরশাদের পলিটিক্যাল সেক্রেটারি সুনীল শুভ রায়। গতকাল শুক্রবার তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, কাপাসিয়া উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ নেবে, এটা চূড়ান্ত। প্রার্থী ঘোষণা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
সম্ভাব্য প্রার্থীর বিষয়ে তৃণমূল নেতাদের মতামত জানতে গত বুধবার কাপাসিয়ার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার দলীয় সভাপতি-সেক্রেটারিদের নিয়ে সভা করেছেন দলের মহাসচিব এ বি এম রুহল আমিন হাওলাদার।
এদিকে সম্ভাব্য প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান কালের কণ্ঠকে জানান, দলের বনানী কার্যালয় থেকে এরই মধ্যে নমিনেশন ফরম উঠিয়েছেন তিনি। আজ জমা দেবেন। কিছু আনুষ্ঠানিকতা থাকলেও কাপাসিয়ার উপনির্বাচনে তিনিই জাতীয় পার্টির প্রার্থী হচ্ছেন বলে জানান মোস্তাফিজুর রহমান। বুধবারের সভায় তৃণমূল নেতারা তাঁর পক্ষে জোরালো সমর্থন দিয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান ১৯৯১ ও ২০০১ সালে এ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে মহাজোটের শরিক দল হওয়ায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে আসনটি ছেড়ে দেয় জাতীয় পার্টি।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, 'কোনো অবস্থায়ই আওয়ামী লীগের সঙ্গে আর জাপার সমঝোতা হবে না। বিএনপি অংশ নিচ্ছে না, বিষয়টি জাপার জন্য অপার সম্ভাবনার। একের পর এক হত্যা, খুন, গুমের কারণে দেশে নৈরাজ্যকর অবস্থা চলছে। রাষ্ট্র পরিচালনায় পল্লীবন্ধু এরশাদের সফল অভিজ্ঞতা কাজে লাগাচ্ছে না আওয়ামী লীগ। তাই জনগণ আগামীতে জাতীয় পার্টির সঙ্গেই থাকবে।'
গাজীপুর জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি কাজী মাহমুদ হাসান বলেন, 'এখানে দলের অবস্থা ভালো। আমরা একক নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। নেতা-কর্মীরা এখন মহাজোটের বিপক্ষে। কাপাসিয়ার শূন্য আসনে সবাই দলীয় প্রার্থী চাইছেন। প্রার্থীও ঠিক করা আছে।'
জেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম বলেন, দেশের সার্বিক অবস্থা এবং সোহেল তাজের পদত্যাগের কারণে স্থানীয় জনমত মহাজোটের বিপক্ষে। এ আসনে দল একক প্রার্থী দিলে স্থানীয় জনমত কাজে লাগানো যাবে। একই সঙ্গে নিজেদের জনপ্রিয়তা ও আওয়ামী লীগের পরীক্ষাও হয়ে যাবে।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এই উপনির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সুযোগটি কাজে লাগাতে চায় জাতীয় পার্টি। এ বিষয়ে জাপা নেতারা বলছেন, জনগণ সরকারবিরোধী হিসেবে জাপা সমর্থিত প্রার্থীকেই ভোট দেবে।
সম্ভাব্য প্রার্থীর বিষয়ে তৃণমূল নেতাদের মতামত জানতে গত বুধবার কাপাসিয়ার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার দলীয় সভাপতি-সেক্রেটারিদের নিয়ে সভা করেছেন দলের মহাসচিব এ বি এম রুহল আমিন হাওলাদার।
এদিকে সম্ভাব্য প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান কালের কণ্ঠকে জানান, দলের বনানী কার্যালয় থেকে এরই মধ্যে নমিনেশন ফরম উঠিয়েছেন তিনি। আজ জমা দেবেন। কিছু আনুষ্ঠানিকতা থাকলেও কাপাসিয়ার উপনির্বাচনে তিনিই জাতীয় পার্টির প্রার্থী হচ্ছেন বলে জানান মোস্তাফিজুর রহমান। বুধবারের সভায় তৃণমূল নেতারা তাঁর পক্ষে জোরালো সমর্থন দিয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান ১৯৯১ ও ২০০১ সালে এ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে মহাজোটের শরিক দল হওয়ায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে আসনটি ছেড়ে দেয় জাতীয় পার্টি।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, 'কোনো অবস্থায়ই আওয়ামী লীগের সঙ্গে আর জাপার সমঝোতা হবে না। বিএনপি অংশ নিচ্ছে না, বিষয়টি জাপার জন্য অপার সম্ভাবনার। একের পর এক হত্যা, খুন, গুমের কারণে দেশে নৈরাজ্যকর অবস্থা চলছে। রাষ্ট্র পরিচালনায় পল্লীবন্ধু এরশাদের সফল অভিজ্ঞতা কাজে লাগাচ্ছে না আওয়ামী লীগ। তাই জনগণ আগামীতে জাতীয় পার্টির সঙ্গেই থাকবে।'
গাজীপুর জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি কাজী মাহমুদ হাসান বলেন, 'এখানে দলের অবস্থা ভালো। আমরা একক নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। নেতা-কর্মীরা এখন মহাজোটের বিপক্ষে। কাপাসিয়ার শূন্য আসনে সবাই দলীয় প্রার্থী চাইছেন। প্রার্থীও ঠিক করা আছে।'
জেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম বলেন, দেশের সার্বিক অবস্থা এবং সোহেল তাজের পদত্যাগের কারণে স্থানীয় জনমত মহাজোটের বিপক্ষে। এ আসনে দল একক প্রার্থী দিলে স্থানীয় জনমত কাজে লাগানো যাবে। একই সঙ্গে নিজেদের জনপ্রিয়তা ও আওয়ামী লীগের পরীক্ষাও হয়ে যাবে।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এই উপনির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সুযোগটি কাজে লাগাতে চায় জাতীয় পার্টি। এ বিষয়ে জাপা নেতারা বলছেন, জনগণ সরকারবিরোধী হিসেবে জাপা সমর্থিত প্রার্থীকেই ভোট দেবে।
No comments