শ্বের খাদ্য পরিস্থিতি: বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম বাড়ায় গম, ভোজ্যতেল ও চিনির ক্ষেত্রে প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে পরামর্শ দিলেন ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুব হোসেন -বিশ্বজুড়ে খাদ্যমন্দার পদধ্বনি by ইফতেখার মাহমুদ
বিশ্বের গমের ভান্ডার হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রে ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র খরা চলছে। গমের আরেক উৎস রাশিয়া ও ইউক্রেনও খরার কবলে। চিনির বড় জোগানদাতা ব্রাজিলে বন্যায় চিনির উৎপাদন মারাত্মক ব্যাহত হয়েছে। ভোজ্যতেলের উৎপাদন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। চালের বাজারও ঊর্ধ্বমুখী।
এক মাস ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে বেশির ভাগ খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ছে। খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), বিশ্বব্যাংক ও যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ) থেকে বলা হচ্ছে, বিশ্ব আরেক দফা খাদ্যমন্দার সামনে পড়তে যাচ্ছে।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও গণমাধ্যম বিশ্বের প্রধান খাদ্য উৎপাদনকারী দেশগুলোতে প্রাকৃতিক দুর্যোগকে ২০০৭-০৮ সময়ের খাদ্যসংকটের পূর্বাবস্থার সঙ্গে তুলনা করছে। ওই দুই বছর রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার মতো বৃহৎ খাদ্য উৎপাদনকারী দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে খাদ্য উৎপাদন কমে গিয়েছিল। এতে চাল, গম, তেল ও চিনির মতো প্রধান খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়। ভারত চাল-গম রপ্তানি বন্ধ করায় বাংলাদেশও সংকটের মধ্যে পড়েছিল।
এফএও চলতি আগস্ট মাসের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত টানা চার মাস বেশির ভাগ খাদ্যের দাম কমার পর গত জুলাই থেকে খাদ্যের দর ৬ শতাংশ বেড়ে গেছে।
আন্তর্জাতিক বাজারের এই পরিস্থিতির কারণে চাল রপ্তানির সিদ্ধান্ত থেকে আপাতত পিছিয়ে এসেছে বাংলাদেশ সরকার। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সরকার চাল রপ্তানির চিন্তা করছে বলে মন্তব্য করেছিলেন। তবে বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বগতিতে বাংলাদেশের আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই বলে মনে করেন ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক মাহবুব হোসেন। তবে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতায় আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যের দাম সামান্য বাড়লে ব্যবসায়ীরা তা অনেক বাড়িয়ে দেন—এই মন্তব্য করে বিশিষ্ট এই
অর্থনীতিবিদ প্রথম আলোকে বলেন, খাদ্যসংকটের এই প্রভাব দেশের আটা, ভোজ্যতেল ও চিনির বাজারে পড়বে। সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি সংস্থার মাধ্যমে এখনই বেশি করে চিনি ও ভোজ্যতেল আমদানির পরামর্শ দেন তিনি।
খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক বিশ্বজুড়ে চলমান প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রথম আলোকে জানান, আগামী নভেম্বরের আগে সরকারের চাল রপ্তানির কোনো পরিকল্পনা নেই। আমনের উৎপাদন ঠিকঠাক মতো হলে এবং খাদ্য মজুদ পরিস্থিতি ভালো থাকলে তবেই সরকার চাল রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার কথা চিন্তা করবে।
চাল: এক মাস ধরে বিশ্ববাজারে চালের দাম বাড়ছে। বিশ্বের প্রধান চাল রপ্তানিকারক দেশ থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও ভারত চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। ভিয়েতনাম চালের দাম এক সপ্তাহের ব্যাবধানে ২০ ডলার বাড়িয়ে ৪১০ থেকে ৪৩০ ডলার করেছে। থাইল্যাল্ড প্রতি টন চাল ৫৫০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ৫৬৫ ডলারে বিক্রি করছে।
তবে ২০০৭-০৮ অর্থবছরের তুলনায় বাংলাদেশের চালের উৎপাদন ও মজুদ পরিস্থিতি ভালো বলে জানা গেছে। খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সরকারি গুদামগুলোতে বর্তমানে ১১ লাখ ৫৫ হাজার টন চাল মজুদ রয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরে ১৭ হাজার টন চাল ভাসমান মজুদ অবস্থায় রয়েছে।
গম: আন্তর্জাতিক বাজারে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে বাড়ছে গমের দাম। গত এক মাসে প্রতি টন গমের দাম ৫০ থেকে ৬০ ডলার বেড়েছে। গমের সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ইউক্রেন গম ৩১০ থেকে বাড়িয়ে ৩৩০ ডলারে বিক্রি করছে। গত জুলাই মাসে ভারত ২২০ ডলার করে প্রতি টন গম রপ্তানি করলেও এখন তারা তা ২৮০ ডলার করেছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, বছরে বাংলাদেশের গমের চাহিদা ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টন। চলতি বছর দেশে উৎপাদিত হয়েছে ১০ লাখ টন গম। সরকার চলতি অর্থবছরে আরও ১০ লাখ টন গম আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারি গুদামে মজুদ রয়েছে তিন লাখ ১৭ হাজার টন গম। চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজে ভাসমান অবস্থায় রয়েছে ১৩ হাজার টন গম। চাহিদার বাকি ১৫ লাখ টন গম বেসরকারিভাবে আমদানি করা হবে।
ভোজ্যতেল: বিশ্ববাজারে সয়াবিন তেলের দর প্রতি টনে প্রায় ২০০ ডলার বেড়েছে। খরার কারণে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই ভোজ্যতেলের উৎপাদন এ বছর দেড় কোটি টন কমবে বলে ইউএসডিএর পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। তবে পাম তেলের দর এখনো স্থিতিশীল আছে।
বাংলাদেশে ভোজ্যতেলের চাহিদা বছরে ১৫ লাখ থেকে ১৬ লাখ টন। চাহিদার প্রায় পুরোটাই আমদানি হয়ে থাকে। বিশ্বে সয়াবিন তেলের সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী যুক্তরাষ্ট্রে খরার কারণে বিশ্ববাজারে সয়াবিন তেলের দাম বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ইউএসডিএ।
মালয়েশিয়ান পাম অয়েল কাউন্সিলের দক্ষিণ এশিয়ার ব্যবস্থাপক এ কে এম ফখরুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, পাম তেলের দাম বর্তমানে কমতির দিকে। সরবরাহ যথেষ্ট ভালো আছে। ফলে এই খাদ্যপণ্যটি নিয়ে আপাতত সংকটের কোনো কারণ নেই। তবে বাজারে যাতে কেউ কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারে, সেদিকে নজর রাখতে হবে।
চিনি: দেশের চিনির চাহিদার বড় অংশ বেসরকারি কোম্পানিগুলো সরবরাহ করে। সরকারি মালিকানাধীন ১৫টি চিনিকল থেকে বছরে প্রায় এক লাখ টন চিনি সরবরাহ করা হয়। বেসরকারি খাতে প্রতিষ্ঠিত পাঁচটি চিনি পরিশোধন কারখানা সরবরাহ করে ১২ থেকে ১৩ লাখ টন চিনি। এসব চিনির বড় অংশই আসে ব্রাজিল থেকে।
চিনিশিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, আগামী তিন থেকে চার মাসের মধ্যে বিশ্ববাজারে চিনির বড় ধরনের কোনো সংকটের আশঙ্কা নেই। দেশে চিনির সরবরাহ পরিস্থিতিও ভালো। তবে ব্রাজিলের বন্যার কারণে চিনির উৎপাদন কমার প্রভাব বাজারে পড়বে আগামী বছরের শুরুতে।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও গণমাধ্যম বিশ্বের প্রধান খাদ্য উৎপাদনকারী দেশগুলোতে প্রাকৃতিক দুর্যোগকে ২০০৭-০৮ সময়ের খাদ্যসংকটের পূর্বাবস্থার সঙ্গে তুলনা করছে। ওই দুই বছর রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার মতো বৃহৎ খাদ্য উৎপাদনকারী দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে খাদ্য উৎপাদন কমে গিয়েছিল। এতে চাল, গম, তেল ও চিনির মতো প্রধান খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়। ভারত চাল-গম রপ্তানি বন্ধ করায় বাংলাদেশও সংকটের মধ্যে পড়েছিল।
এফএও চলতি আগস্ট মাসের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত টানা চার মাস বেশির ভাগ খাদ্যের দাম কমার পর গত জুলাই থেকে খাদ্যের দর ৬ শতাংশ বেড়ে গেছে।
আন্তর্জাতিক বাজারের এই পরিস্থিতির কারণে চাল রপ্তানির সিদ্ধান্ত থেকে আপাতত পিছিয়ে এসেছে বাংলাদেশ সরকার। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সরকার চাল রপ্তানির চিন্তা করছে বলে মন্তব্য করেছিলেন। তবে বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বগতিতে বাংলাদেশের আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই বলে মনে করেন ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক মাহবুব হোসেন। তবে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতায় আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যের দাম সামান্য বাড়লে ব্যবসায়ীরা তা অনেক বাড়িয়ে দেন—এই মন্তব্য করে বিশিষ্ট এই
অর্থনীতিবিদ প্রথম আলোকে বলেন, খাদ্যসংকটের এই প্রভাব দেশের আটা, ভোজ্যতেল ও চিনির বাজারে পড়বে। সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি সংস্থার মাধ্যমে এখনই বেশি করে চিনি ও ভোজ্যতেল আমদানির পরামর্শ দেন তিনি।
খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক বিশ্বজুড়ে চলমান প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রথম আলোকে জানান, আগামী নভেম্বরের আগে সরকারের চাল রপ্তানির কোনো পরিকল্পনা নেই। আমনের উৎপাদন ঠিকঠাক মতো হলে এবং খাদ্য মজুদ পরিস্থিতি ভালো থাকলে তবেই সরকার চাল রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার কথা চিন্তা করবে।
চাল: এক মাস ধরে বিশ্ববাজারে চালের দাম বাড়ছে। বিশ্বের প্রধান চাল রপ্তানিকারক দেশ থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও ভারত চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। ভিয়েতনাম চালের দাম এক সপ্তাহের ব্যাবধানে ২০ ডলার বাড়িয়ে ৪১০ থেকে ৪৩০ ডলার করেছে। থাইল্যাল্ড প্রতি টন চাল ৫৫০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ৫৬৫ ডলারে বিক্রি করছে।
তবে ২০০৭-০৮ অর্থবছরের তুলনায় বাংলাদেশের চালের উৎপাদন ও মজুদ পরিস্থিতি ভালো বলে জানা গেছে। খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সরকারি গুদামগুলোতে বর্তমানে ১১ লাখ ৫৫ হাজার টন চাল মজুদ রয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরে ১৭ হাজার টন চাল ভাসমান মজুদ অবস্থায় রয়েছে।
গম: আন্তর্জাতিক বাজারে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে বাড়ছে গমের দাম। গত এক মাসে প্রতি টন গমের দাম ৫০ থেকে ৬০ ডলার বেড়েছে। গমের সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ইউক্রেন গম ৩১০ থেকে বাড়িয়ে ৩৩০ ডলারে বিক্রি করছে। গত জুলাই মাসে ভারত ২২০ ডলার করে প্রতি টন গম রপ্তানি করলেও এখন তারা তা ২৮০ ডলার করেছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, বছরে বাংলাদেশের গমের চাহিদা ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টন। চলতি বছর দেশে উৎপাদিত হয়েছে ১০ লাখ টন গম। সরকার চলতি অর্থবছরে আরও ১০ লাখ টন গম আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারি গুদামে মজুদ রয়েছে তিন লাখ ১৭ হাজার টন গম। চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজে ভাসমান অবস্থায় রয়েছে ১৩ হাজার টন গম। চাহিদার বাকি ১৫ লাখ টন গম বেসরকারিভাবে আমদানি করা হবে।
ভোজ্যতেল: বিশ্ববাজারে সয়াবিন তেলের দর প্রতি টনে প্রায় ২০০ ডলার বেড়েছে। খরার কারণে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই ভোজ্যতেলের উৎপাদন এ বছর দেড় কোটি টন কমবে বলে ইউএসডিএর পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। তবে পাম তেলের দর এখনো স্থিতিশীল আছে।
বাংলাদেশে ভোজ্যতেলের চাহিদা বছরে ১৫ লাখ থেকে ১৬ লাখ টন। চাহিদার প্রায় পুরোটাই আমদানি হয়ে থাকে। বিশ্বে সয়াবিন তেলের সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী যুক্তরাষ্ট্রে খরার কারণে বিশ্ববাজারে সয়াবিন তেলের দাম বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ইউএসডিএ।
মালয়েশিয়ান পাম অয়েল কাউন্সিলের দক্ষিণ এশিয়ার ব্যবস্থাপক এ কে এম ফখরুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, পাম তেলের দাম বর্তমানে কমতির দিকে। সরবরাহ যথেষ্ট ভালো আছে। ফলে এই খাদ্যপণ্যটি নিয়ে আপাতত সংকটের কোনো কারণ নেই। তবে বাজারে যাতে কেউ কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারে, সেদিকে নজর রাখতে হবে।
চিনি: দেশের চিনির চাহিদার বড় অংশ বেসরকারি কোম্পানিগুলো সরবরাহ করে। সরকারি মালিকানাধীন ১৫টি চিনিকল থেকে বছরে প্রায় এক লাখ টন চিনি সরবরাহ করা হয়। বেসরকারি খাতে প্রতিষ্ঠিত পাঁচটি চিনি পরিশোধন কারখানা সরবরাহ করে ১২ থেকে ১৩ লাখ টন চিনি। এসব চিনির বড় অংশই আসে ব্রাজিল থেকে।
চিনিশিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, আগামী তিন থেকে চার মাসের মধ্যে বিশ্ববাজারে চিনির বড় ধরনের কোনো সংকটের আশঙ্কা নেই। দেশে চিনির সরবরাহ পরিস্থিতিও ভালো। তবে ব্রাজিলের বন্যার কারণে চিনির উৎপাদন কমার প্রভাব বাজারে পড়বে আগামী বছরের শুরুতে।
No comments