মনুষ্যত্ব বিকাশে নৈতিক শিক্ষা by মুহাম্মদ মিজানুর রহমান
ছাত্ররা জাতির ভবিষ্যৎ। আগামী প্রজন্মের নেতৃত্ব দানকারী এই ছাত্রসমাজ। এই তরুণ প্রজন্মকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। নীতি-নৈতিকতা আর চারিত্রিক মাধুর্যে তারা যেন হতে পারে শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার। প্রত্যেক মা-বাবাই চান তার সন্তান একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে তৈরি হোক।
জীবন চলার শুরুতেই তাই আমরা পরিবার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে নৈতিক শিক্ষা পেয়ে থাকি। যাতে বাল্যকাল থেকেই আমাদের মাঝে মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত হয়। কিন্তু বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় অপরাধপ্রবণতা ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। অনৈতিকতার ছোবল থেকে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে বাঁচাতে হবে। তবেই আমরা জাতির ভবিষ্যৎ যোগ্য কর্ণধার সৃষ্টি করতে পারব। আর এ কাজটি যারা সুচারুরূপে সম্পন্ন করতে পারেন, তারা আর কেউ নন; তারা হলেন আমাদের পিতা-মাতা ও শিক্ষক সমাজ। যারা সমাজ পরিবর্তনের গুরুদায়িত্ব নেবেন, তাদেরই এ মানসিকতা লালন করতে হবে। অর্জিত শিক্ষা তার জীবনে কতটা বাস্তবায়িত হলো, সেটাই মুখ্য বিষয়।
মানবমনের এই অনুভূতিকে যদি আমরা কাজে লাগাতে পারি, তখনই আমরা নৈতিকভাবে বলীয়ান হতে পারব। আমরা আবির্ভূর্ত হতে পারব স্বতন্ত্র মানুষ হিসেবে। জীবনের যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারব। একজন কুমার যেমন নরম ভেজা মাটি ছাঁচে ঢেলে একটি সুন্দর পাত্র তৈরি করেন, ঠিক তেমনি একজন শিক্ষক হলেন মানুষ গড়ার কারিগর। কিন্তু বর্তমান সময়ে শিক্ষা পদ্ধতিটা পরিণত হয়েছে বাণিজ্যে। মনে করা হয়, অন্যান্য পেশার মতো এটাও একটি পেশা মাত্র। অথচ শিক্ষাদান একটি ব্রত। আমরা ব্রত ও পেশার মাঝে যে আদর্শিক ব্যবধান, তা ভুলে গেছি। রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, 'বিদ্যা সহজ, শিক্ষা কঠিন।' বিদ্যা আহরণের, শিক্ষা আচরণের। নৈতিক ও আদর্শিক সমস্যা আমাদের একটি বড় সমস্যা। আমরা যদি উন্নতি চাই, তাহলে আমাদের সমাজকে আমাদেরকেই সুন্দর করে সাজাতে হবে। তবেই আমাদের উন্নতি হবে।
কেউই অপরাধী হিসেবে জন্মগ্রহণ করে না। পারিপাশর্ি্বকতা তাকে অপরাধ জগতে নিয়ে যায়। ভালো শিক্ষকরা মানসম্মত শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সংঘবদ্ধ করে সামাজিক পরিবর্তন ঘটাতে পারেন। শিক্ষা হলো সাক্ষরতা ও নৈতিক মূল্যবোধের সমষ্টি। সাক্ষরতা ও নৈতিক মূল্যবোধের পার্থক্য শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরতে হবে। তাহলে তারা এই বৈশিষ্ট্যগুলো অর্জন করতে পারবে। তাই প্রত্যেককেই বর্তমানে স্বতন্ত্রভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে আগামীর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য। সবাইকেই মানসিক, নৈতিক ও শারীরিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে সমাজ উন্নয়নের জন্য সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা যদি প্রত্যেকে নিজেকে বরেণ্য ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি, তাহলে তা আমাদের জন্য হবে বড় অর্জন। শিক্ষা হলো একজন ব্যক্তির সামগ্রিক উন্নতি। সুতরাং আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে আমাদেরই ধারণ করতে হবে। যদি আমরা নিজেদের ঐতিহ্যকে ধারণ করতে পারি, তখনই আমাদের বলা যেতে পারে 'শিক্ষিত'। নতুবা আমরা সেই অক্ষর জ্ঞানসম্পন্নই থেকে যাব। সুশিক্ষিত জনগণ একটি সুন্দর ও সমৃদ্ধ জাতি গঠন করতে পারে। আমরা যদি সুশিক্ষিত হতে পারি, তাহলেই পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সমাজ থেকে যাবতীয় অন্যায়-অবিচার ও অনৈতিকতা দূর করে একটি আদর্শ সমাজ গঠন করতে পারব। তখনই দেশটা হবে একটি স্বপ্নের দেশ, স্বপ্নের গন্তব্য।
শিক্ষক, পিরোজপুর সরকারি বালিকা উচ্চ
বিদ্যালয়, পিরোজপুর
মানবমনের এই অনুভূতিকে যদি আমরা কাজে লাগাতে পারি, তখনই আমরা নৈতিকভাবে বলীয়ান হতে পারব। আমরা আবির্ভূর্ত হতে পারব স্বতন্ত্র মানুষ হিসেবে। জীবনের যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারব। একজন কুমার যেমন নরম ভেজা মাটি ছাঁচে ঢেলে একটি সুন্দর পাত্র তৈরি করেন, ঠিক তেমনি একজন শিক্ষক হলেন মানুষ গড়ার কারিগর। কিন্তু বর্তমান সময়ে শিক্ষা পদ্ধতিটা পরিণত হয়েছে বাণিজ্যে। মনে করা হয়, অন্যান্য পেশার মতো এটাও একটি পেশা মাত্র। অথচ শিক্ষাদান একটি ব্রত। আমরা ব্রত ও পেশার মাঝে যে আদর্শিক ব্যবধান, তা ভুলে গেছি। রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, 'বিদ্যা সহজ, শিক্ষা কঠিন।' বিদ্যা আহরণের, শিক্ষা আচরণের। নৈতিক ও আদর্শিক সমস্যা আমাদের একটি বড় সমস্যা। আমরা যদি উন্নতি চাই, তাহলে আমাদের সমাজকে আমাদেরকেই সুন্দর করে সাজাতে হবে। তবেই আমাদের উন্নতি হবে।
কেউই অপরাধী হিসেবে জন্মগ্রহণ করে না। পারিপাশর্ি্বকতা তাকে অপরাধ জগতে নিয়ে যায়। ভালো শিক্ষকরা মানসম্মত শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সংঘবদ্ধ করে সামাজিক পরিবর্তন ঘটাতে পারেন। শিক্ষা হলো সাক্ষরতা ও নৈতিক মূল্যবোধের সমষ্টি। সাক্ষরতা ও নৈতিক মূল্যবোধের পার্থক্য শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরতে হবে। তাহলে তারা এই বৈশিষ্ট্যগুলো অর্জন করতে পারবে। তাই প্রত্যেককেই বর্তমানে স্বতন্ত্রভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে আগামীর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য। সবাইকেই মানসিক, নৈতিক ও শারীরিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে সমাজ উন্নয়নের জন্য সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা যদি প্রত্যেকে নিজেকে বরেণ্য ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি, তাহলে তা আমাদের জন্য হবে বড় অর্জন। শিক্ষা হলো একজন ব্যক্তির সামগ্রিক উন্নতি। সুতরাং আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে আমাদেরই ধারণ করতে হবে। যদি আমরা নিজেদের ঐতিহ্যকে ধারণ করতে পারি, তখনই আমাদের বলা যেতে পারে 'শিক্ষিত'। নতুবা আমরা সেই অক্ষর জ্ঞানসম্পন্নই থেকে যাব। সুশিক্ষিত জনগণ একটি সুন্দর ও সমৃদ্ধ জাতি গঠন করতে পারে। আমরা যদি সুশিক্ষিত হতে পারি, তাহলেই পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সমাজ থেকে যাবতীয় অন্যায়-অবিচার ও অনৈতিকতা দূর করে একটি আদর্শ সমাজ গঠন করতে পারব। তখনই দেশটা হবে একটি স্বপ্নের দেশ, স্বপ্নের গন্তব্য।
শিক্ষক, পিরোজপুর সরকারি বালিকা উচ্চ
বিদ্যালয়, পিরোজপুর
No comments