আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ১০০ বছরঃ নারীর অধিকার নিশ্চিত করা দরকার by অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম সরকার
বর্তমানে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদে নারীরা থাকলেও তাদের সামগ্রিক বাস্তবতার তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি, বরং কর্মজীবী নারীসহ সাধারণভাবে নারীদের অবস্থা আশাব্যঞ্জক নয়। আজকাল বহু নারী অফিস করেন, বিচারক হিসেবে আদালতে বসেন, আইনজীবী হিসেবে মামলা পরিচালনা করেন, চিকিত্সক হিসেবে পেশাগত দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করছেন।
এভাবে প্রতিনিয়ত কাজকর্ম করে এসব কর্মজীবী নারী রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। নারীরা পুরুষের তুলনায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে না হলেও বেশ দক্ষতার সঙ্গে যে কাজ করছেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই। মূলত ১৯১০ সালের ৮ মার্চ নারী দিবসের উদ্ভব। এ বছর অর্থাত্ ২০১০ সালের ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ১০০ বত্সর পূর্তি হলো। প্রথম দিকে ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে শ্রমজীবী নারী সংগঠন ও কমিউনিস্ট সমাজতান্ত্রিকরাই ‘নারী দিবস’ পালন করতেন। শ্রমজীবী সমাজতান্ত্রিক নারী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এ দিবসটি উঠে আসায় আদর্শগত বিবেচনায় তা নীরবতার শিকার হয়। কিন্তু ৮ মার্চের বিশাল আবেদন শ্রমজীবী নারীদের শ্রেণী সংগ্রামকে ছাপিয়ে নারী মুক্তির সার্বজনীন বার্তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়, ফলে ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস নারী মুক্তির প্রতীকী দিবস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশসহ সমগ্র পৃথিবীতে দিবসটি যথাযথভাবে মর্যাদার সঙ্গে পালনে উত্সাহিত করা হয়। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক অন্যসব বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানগুলো দিবসটিকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ফলে ৮ মার্চ দেশে দেশে সরকারি পর্যায়ে নারী দিবস হিসেবে পালিত হয়।
আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় নারীরা ব্যাপকভাবে বৈষম্যের শিকার। বিয়ের আগে ও পরে পেশা নির্বাচনে নারীকে নির্ভর করতে হয় পুরুষের সিদ্ধান্তের ওপর। এসব কিছুর মধ্য দিয়ে চলমান নারীর জীবন পরিধি তাকে পর্যুদস্ত এবং ভারাক্রান্ত করে রাখে বলেই পরনির্ভরশীলতার দায় বহন করা নারীর ভাগ্য হয়ে দেখা দিয়েছে। নারীর মতামত বরাবরই অবহেলিত হয়েছে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায়। দেশের মেয়েরা পড়াশোনা শেষ করেও ইচ্ছামত কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করতে পারে না, সে জন্য কোনো না কোনো পুরুষের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। অনেক মেধাবী মেয়ে পড়ালেখা শেষ করার পর তাদের নিজ যোগ্যতায় ভালো ভালো সুযোগ পেলেও পারিবারিক সিদ্ধান্তের কারণে নিজের ইচ্ছাকে চেপে রেখে পুরুষের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতে বাধ্য হয়। কেউ কেউ সংসার বাঁচাতে ও স্বামীর মন রক্ষার তাগিদে পেশাগত দায়িত্ব থেকে যবনিকা টানেন।
বাংলাদেশের নারীরা প্রতিনিয়ত জেন্ডার বৈষম্যের শিকার। বিদ্যমান জেন্ডার বৈষম্য নারী-পুরুষের অসম ক্ষমতা সম্পর্ক এবং অন্যান্য বৈষম্য ও ক্ষমতাযুক্ত হওয়ার জন্য এ ভিন্নতার সৃষ্টি হয়। আয়, উপার্জন, বণ্টন, উত্পাদনমূলক ঋণপ্রাপ্তি, সম্পদের প্রবেশাধিকার ও নিয়ন্ত্রণ, অর্জিত আয়ের নিয়ন্ত্রণ, শ্রমের বাজারেও সুযোগ লাভ, বাজার ব্যবস্থা কাজে লাগানো—এসব ক্ষেত্রে জেন্ডার বৈষম্যও এর মূল কারণ। পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, নারীরা পৃথিবীর মোট কাজের তিন ভাগের দুই ভাগ সম্পাদন করে কিন্তু বিশ্ব আয়ের মাত্র দশ ভাগ তাদের দখলে এবং মোট সম্পদের মাত্র ১০ ভাগের মালিক নারীরা। ঋণ, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগও নারীর অনেক কম। ফলে নিজেদের কর্মক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে দারিদ্র্যের দুষ্ট চক্র থেকে বের হওয়ার ক্ষেত্রে অক্ষম হয়ে পড়ে নারীরা। তারা উপার্জনের কাজে জড়িত হওয়ার পরও রান্না-বান্না, জ্বালানি ও পানি আনা, কাপড় ধোয়া, ঘরদোর পরিষ্কার ইত্যাদি কাজ থেকে নিজেদের মুক্ত করতে পারছে না। যদিও নারীরা উপার্জন করে পুরুষের সংসার পরিচালনার দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিয়েছে কিন্তু পুরুষরা নারীর পারিবারিক কাজকে এ অবধি নিজেদের কাজ বলে বিবেচনা করছে না, যা কর্মজীবী নারীদের জন্য জেন্ডার বৈষম্য বৈ অন্য কিছু নয়।
অংশগ্রহণের মাধ্যমেই নারীর অধিকারের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন সম্ভব। অংশগ্রহণের প্রশ্নে সুযোগ সৃষ্টির ক্ষেত্রে নারীর জন্য পুরুষের সমান ও ন্যায্য অংশগ্রহণের বিষয়টি খুব বেশি প্রাসঙ্গিক। অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে নারী বেঁচে থাকার আনন্দ অর্জন করে। মনে রাখা উচিত, অংশগ্রহণ অর্থ কখনই নিয়ন্ত্রণ নয়। যাদের জীবনের সম্পর্কে সিদ্ধান্ত হবে সেখানে তাদের অংশগ্রহণ থাকতে হবে। জীবনকে কেন্দ্র করে আবর্তিত প্রশ্নে মতামত প্রদান ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় যে থাকতে পারে না সে বেঁচে থেকেও মৃত। নিজ পরিবারের অভ্যন্তরে নারীরা যৌনদাসী হিসেবে পরিগণিত, ফলে সমাজের বৃহত্তর পরিসরে নারীর অংশগ্রহণের মাত্রা ব্যাপকভিত্তিতে নাজুক। নারীর বিরুদ্ধে শাসন-শোষণের একটা দীর্ঘ ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বিদ্যমান।
বিশ্বের সব দেশেই অর্থনৈতিক উন্নয়নে নারীরা পুরুষের তুলনায় অধিক পরিশ্রম করে থাকে, তবে তারা যথাযথ স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত। উন্নত দেশগুলোতে পুুরুষ ও নারীচালিত সংস্থায় বৈষম্য ক্রমেই চিহ্নিত হচ্ছে। শিল্পসমৃদ্ধ দেশগুলোর নারী ও পুরুষচালিত উদ্যোগের মধ্যে ব্যবধান রয়েছে। সভ্যতার প্রথম থেকে অদ্যাবধি নারীরা পুরুষের চেয়ে বেশি কাজ করেছে কিন্তু উপার্জন করেছে কম।
পরিশেষে বলা যেতে পারে, দ্রুত বিশ্বায়নের বাস্তবতায় বেশ কিছু নতুন ইস্যু বর্তমানে নারী মুক্তির প্রশ্নে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। নারীর ক্ষমতায়ন, নারীর মানবধিকার, ক্রমবর্ধমান ও বহুমাত্রিক নারী নির্যাতন, পারিবারিক নির্যাতন, নারীকে পণ্য ও যৌন বস্তুতে পরিণত করা এবং নারী পাচার, এইডস/এইচআইভির ভয়াবহ বিস্তার, শ্রম ও দারিদ্র্যের কবল থেকে নারীকে মুক্তিকরণ, নারীর মজুরিবিহীন গৃহস্থালি কাজের বোঝা, গত্বাঁধা ভূমিকায় নারীকে আবদ্ধ রাখা ইত্যাদি তাই সামপ্রতিককালে নারী আন্দোলনের অন্যতম বিবেচ্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে। আমাদের দেশের আর্থ-সামাজিক বাস্তবতায় নারীর অগ্রযাত্রা যে সামান্য ঘটেনি সে কথা সঠিক নয়, বরং দিন দিন দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশের নারী অধিকার বলতে মূলত রাষ্ট্রের ওপর স্তরে মুষ্টিমেয় কিছু পদে পরিবর্তন হয়েছে, তবে দেশের সমগ্রিক নারীদের স্থিতিবস্থার তেমন কোন পরিবর্তন হয়নি। সে দিক বিবেচনায় যদি আমরা সত্যিকারের দিন বদল নিশ্চিত করতে চাই তবে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে অনগ্রসর নারীদের অধিকার নিয়ে বেশি করে ভাবতে হবে। যদি সেরকম কিছু করা সম্ভব হয় তবে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ১০০ বছর পূর্তি পালন করা আমাদের দেশের জন্য সার্থক হবে।
লেখক : আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী
আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় নারীরা ব্যাপকভাবে বৈষম্যের শিকার। বিয়ের আগে ও পরে পেশা নির্বাচনে নারীকে নির্ভর করতে হয় পুরুষের সিদ্ধান্তের ওপর। এসব কিছুর মধ্য দিয়ে চলমান নারীর জীবন পরিধি তাকে পর্যুদস্ত এবং ভারাক্রান্ত করে রাখে বলেই পরনির্ভরশীলতার দায় বহন করা নারীর ভাগ্য হয়ে দেখা দিয়েছে। নারীর মতামত বরাবরই অবহেলিত হয়েছে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায়। দেশের মেয়েরা পড়াশোনা শেষ করেও ইচ্ছামত কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করতে পারে না, সে জন্য কোনো না কোনো পুরুষের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। অনেক মেধাবী মেয়ে পড়ালেখা শেষ করার পর তাদের নিজ যোগ্যতায় ভালো ভালো সুযোগ পেলেও পারিবারিক সিদ্ধান্তের কারণে নিজের ইচ্ছাকে চেপে রেখে পুরুষের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতে বাধ্য হয়। কেউ কেউ সংসার বাঁচাতে ও স্বামীর মন রক্ষার তাগিদে পেশাগত দায়িত্ব থেকে যবনিকা টানেন।
বাংলাদেশের নারীরা প্রতিনিয়ত জেন্ডার বৈষম্যের শিকার। বিদ্যমান জেন্ডার বৈষম্য নারী-পুরুষের অসম ক্ষমতা সম্পর্ক এবং অন্যান্য বৈষম্য ও ক্ষমতাযুক্ত হওয়ার জন্য এ ভিন্নতার সৃষ্টি হয়। আয়, উপার্জন, বণ্টন, উত্পাদনমূলক ঋণপ্রাপ্তি, সম্পদের প্রবেশাধিকার ও নিয়ন্ত্রণ, অর্জিত আয়ের নিয়ন্ত্রণ, শ্রমের বাজারেও সুযোগ লাভ, বাজার ব্যবস্থা কাজে লাগানো—এসব ক্ষেত্রে জেন্ডার বৈষম্যও এর মূল কারণ। পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, নারীরা পৃথিবীর মোট কাজের তিন ভাগের দুই ভাগ সম্পাদন করে কিন্তু বিশ্ব আয়ের মাত্র দশ ভাগ তাদের দখলে এবং মোট সম্পদের মাত্র ১০ ভাগের মালিক নারীরা। ঋণ, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগও নারীর অনেক কম। ফলে নিজেদের কর্মক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে দারিদ্র্যের দুষ্ট চক্র থেকে বের হওয়ার ক্ষেত্রে অক্ষম হয়ে পড়ে নারীরা। তারা উপার্জনের কাজে জড়িত হওয়ার পরও রান্না-বান্না, জ্বালানি ও পানি আনা, কাপড় ধোয়া, ঘরদোর পরিষ্কার ইত্যাদি কাজ থেকে নিজেদের মুক্ত করতে পারছে না। যদিও নারীরা উপার্জন করে পুরুষের সংসার পরিচালনার দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিয়েছে কিন্তু পুরুষরা নারীর পারিবারিক কাজকে এ অবধি নিজেদের কাজ বলে বিবেচনা করছে না, যা কর্মজীবী নারীদের জন্য জেন্ডার বৈষম্য বৈ অন্য কিছু নয়।
অংশগ্রহণের মাধ্যমেই নারীর অধিকারের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন সম্ভব। অংশগ্রহণের প্রশ্নে সুযোগ সৃষ্টির ক্ষেত্রে নারীর জন্য পুরুষের সমান ও ন্যায্য অংশগ্রহণের বিষয়টি খুব বেশি প্রাসঙ্গিক। অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে নারী বেঁচে থাকার আনন্দ অর্জন করে। মনে রাখা উচিত, অংশগ্রহণ অর্থ কখনই নিয়ন্ত্রণ নয়। যাদের জীবনের সম্পর্কে সিদ্ধান্ত হবে সেখানে তাদের অংশগ্রহণ থাকতে হবে। জীবনকে কেন্দ্র করে আবর্তিত প্রশ্নে মতামত প্রদান ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় যে থাকতে পারে না সে বেঁচে থেকেও মৃত। নিজ পরিবারের অভ্যন্তরে নারীরা যৌনদাসী হিসেবে পরিগণিত, ফলে সমাজের বৃহত্তর পরিসরে নারীর অংশগ্রহণের মাত্রা ব্যাপকভিত্তিতে নাজুক। নারীর বিরুদ্ধে শাসন-শোষণের একটা দীর্ঘ ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বিদ্যমান।
বিশ্বের সব দেশেই অর্থনৈতিক উন্নয়নে নারীরা পুরুষের তুলনায় অধিক পরিশ্রম করে থাকে, তবে তারা যথাযথ স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত। উন্নত দেশগুলোতে পুুরুষ ও নারীচালিত সংস্থায় বৈষম্য ক্রমেই চিহ্নিত হচ্ছে। শিল্পসমৃদ্ধ দেশগুলোর নারী ও পুরুষচালিত উদ্যোগের মধ্যে ব্যবধান রয়েছে। সভ্যতার প্রথম থেকে অদ্যাবধি নারীরা পুরুষের চেয়ে বেশি কাজ করেছে কিন্তু উপার্জন করেছে কম।
পরিশেষে বলা যেতে পারে, দ্রুত বিশ্বায়নের বাস্তবতায় বেশ কিছু নতুন ইস্যু বর্তমানে নারী মুক্তির প্রশ্নে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। নারীর ক্ষমতায়ন, নারীর মানবধিকার, ক্রমবর্ধমান ও বহুমাত্রিক নারী নির্যাতন, পারিবারিক নির্যাতন, নারীকে পণ্য ও যৌন বস্তুতে পরিণত করা এবং নারী পাচার, এইডস/এইচআইভির ভয়াবহ বিস্তার, শ্রম ও দারিদ্র্যের কবল থেকে নারীকে মুক্তিকরণ, নারীর মজুরিবিহীন গৃহস্থালি কাজের বোঝা, গত্বাঁধা ভূমিকায় নারীকে আবদ্ধ রাখা ইত্যাদি তাই সামপ্রতিককালে নারী আন্দোলনের অন্যতম বিবেচ্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে। আমাদের দেশের আর্থ-সামাজিক বাস্তবতায় নারীর অগ্রযাত্রা যে সামান্য ঘটেনি সে কথা সঠিক নয়, বরং দিন দিন দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশের নারী অধিকার বলতে মূলত রাষ্ট্রের ওপর স্তরে মুষ্টিমেয় কিছু পদে পরিবর্তন হয়েছে, তবে দেশের সমগ্রিক নারীদের স্থিতিবস্থার তেমন কোন পরিবর্তন হয়নি। সে দিক বিবেচনায় যদি আমরা সত্যিকারের দিন বদল নিশ্চিত করতে চাই তবে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে অনগ্রসর নারীদের অধিকার নিয়ে বেশি করে ভাবতে হবে। যদি সেরকম কিছু করা সম্ভব হয় তবে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ১০০ বছর পূর্তি পালন করা আমাদের দেশের জন্য সার্থক হবে।
লেখক : আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী
No comments