শিক্ষার নামে বাণিজ্য ও স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ হোক- অতিরিক্ত অর্থ ফেরত দিন
বছরের শুরুতে ঢাকার নামকরা তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যখন ভর্তির নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সরকার-নির্ধারিত ফির চেয়ে কয়েক গুণ বেশি অর্থ হাতিয়ে নেয়, তখনই এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ উঠেছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে অতিরিক্ত অর্থ ফেরত দিতে বলেছিল।
কিন্তু আট মাস পরও সেই অর্থ ফেরত না দেওয়া দুঃখজনক। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটি ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা এতই ক্ষমতাবান যে তাঁরা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত ও মন্ত্রীর নির্দেশকেও অগ্রাহ্য করে চলেছেন।
পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত নয় কোটি ৩১ লাখ ২৮ হাজার ১০০ টাকা আদায় করে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হয় দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী। শিক্ষার্থীদের বেতন ও ফি নির্ধারণের ক্ষেত্রে তাদের নিয়মনীতি মেনে চলার কথা। কিন্তু অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই তা মানে না। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কারণ দর্শাও নোটিশের জবাবে দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান বা ব্যবস্থাপনা কমিটি যা বলেছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়। তাঁরা যে খাতেই এই অর্থ খরচ করুন না কেন, তাতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় বৈধতা পেতে পারে না। তবে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের প্রধান শিক্ষয়িত্রী বলেছেন, ব্যবস্থাপনা কমিটি না থাকায় তাঁরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। তাঁর এই বক্তব্য অযৌক্তিক নয়। মামলার নিষ্পত্তিপূর্বক দ্রুত এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করার দায়িত্ব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। ঢাকার নামকরা এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন ব্যবস্থাপনা কমিটি ছাড়া চলবে?
যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেছে, সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যাতে অবিলম্বে অর্থ ফেরত দিতে বাধ্য হয়, সরকারকে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সঙ্গে কর্তৃপক্ষকে এই নিশ্চয়তাও দিতে হবে যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীরা হয়রানির শিকার হবে না।
শিক্ষার নামে প্রতিষ্ঠানবিশেষের স্বেচ্ছাচারিতা এবং ভর্তির নামে শিক্ষা-বাণিজ্য মেনে নেওয়া যায় না।
পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত নয় কোটি ৩১ লাখ ২৮ হাজার ১০০ টাকা আদায় করে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হয় দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী। শিক্ষার্থীদের বেতন ও ফি নির্ধারণের ক্ষেত্রে তাদের নিয়মনীতি মেনে চলার কথা। কিন্তু অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই তা মানে না। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কারণ দর্শাও নোটিশের জবাবে দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান বা ব্যবস্থাপনা কমিটি যা বলেছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়। তাঁরা যে খাতেই এই অর্থ খরচ করুন না কেন, তাতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় বৈধতা পেতে পারে না। তবে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের প্রধান শিক্ষয়িত্রী বলেছেন, ব্যবস্থাপনা কমিটি না থাকায় তাঁরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। তাঁর এই বক্তব্য অযৌক্তিক নয়। মামলার নিষ্পত্তিপূর্বক দ্রুত এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করার দায়িত্ব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। ঢাকার নামকরা এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন ব্যবস্থাপনা কমিটি ছাড়া চলবে?
যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেছে, সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যাতে অবিলম্বে অর্থ ফেরত দিতে বাধ্য হয়, সরকারকে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সঙ্গে কর্তৃপক্ষকে এই নিশ্চয়তাও দিতে হবে যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীরা হয়রানির শিকার হবে না।
শিক্ষার নামে প্রতিষ্ঠানবিশেষের স্বেচ্ছাচারিতা এবং ভর্তির নামে শিক্ষা-বাণিজ্য মেনে নেওয়া যায় না।
No comments