অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনীতে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে নারীরা
অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনীতে চরম লিঙ্গবৈষম্য রয়েছে। এই বাহিনীতে চাকরি টিকিয়ে রাখার জন্য নারীদের যেতে হচ্ছে ব্যাপক দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক পর্যালোচনা প্রতিবেদনে অস্ট্রেলিয়ার লিঙ্গবৈষম্যবিষয়ক কমিশনার এলিজাবেথ ব্রডারিক এ তথ্য জানিয়েছেন।
বৈষম্য কমানোর জন্য প্রতিরক্ষা বাহিনীতে নারী সদস্যের সংখ্যা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যৌন কেলেঙ্কারির বেশ কয়েকটি ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর এলিজাবেথ ব্রডারিক তাঁর পর্যালোচনা শুরু করেন। গত মঙ্গলবার তাঁর ৪০০ পৃষ্ঠার পর্যালোচনা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনীতে কর্মরত এবং সাবেক দুই হাজারের বেশি কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা ও সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। পর্যালোচনার অংশ হিসেবে প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলোর প্রায় ছয় হাজার সদস্যের ওপর একটি জরিপও পরিচালিত হয়েছে। প্রতিবেদনে ব্রডারিক ২১টি সুপারিশ করেছেন।
ব্রডারিক জানান, বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার কর্মশক্তির ৪৬ শতাংশই নারী। কিন্ত নৌবাহিনীতে নারী সদস্যের সংখ্যা মাত্র ১৮ দশমিক ৪ শতাংশ, সেনাবাহিনীতে ১০ দশমিক ১ শতাংশ এবং বিমান বাহিনীতে ১৭ শতাংশ। জরিপের সূত্র ধরে তিনি জানান, প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতি চারজন নারীর একজনই যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। অন্যান্য কর্মস্থলের তুলনায় এ বাহিনীতে যৌন হয়রানির মাত্রা অনেক বেশি। গত ১০ বছরে প্রতিরক্ষা বাহিনীতে নারীদের যোগদানের হার মাত্র এক শতাংশ বেড়েছে বলেও জানান তিনি। জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে নারীদের সংখ্যা পাঁচ শতাংশেরও কম। দুর্বল নেতৃত্বের কারণেই প্রতিরক্ষা বাহিনীতে লিঙ্গবৈষম্যের মাত্রা বেশি বলেও অভিযোগ করেন ব্রডারিক।
তিনি জানান, চাকরিক্ষেত্রে বিপদের আশঙ্কায় প্রতিরক্ষা বাহিনীর অনেক নারী সদস্যই হয়রানির তথ্য প্রকাশ করেন না। প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে সাংবাদিকদের ব্রডারিক বলেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যৌন হয়রানি ও বৈষম্যের কারণে অনেক জীবন নষ্ট হয়ে গেছে এবং বিভেদ তৈরি হয়েছে। অনেকেই প্রতিরক্ষা বাহিনীকে নিরাপদ কর্মস্থল বিবেচনা করে। কিন্তু এখানে নারীরা যৌন হয়রানি, লিঙ্গবৈষম্য ও নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। নৌ, সেনা ও বিমানবাহিনীতে এ ধরনের পরিবেশের কারণে নারীরা সামনে এগোতে পারছে না। এই বাহিনীগুলোতে নারীদের অংশগ্রহণ এবং তাদের কাজের সুযোগ বাড়ানো উচিত। যুদ্ধক্ষেত্রেও তাদের অংশগ্রহণ বাড়ানো উচিত।
অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্টিফেন স্মিথ জানিয়েছেন, তাঁদের সরকার ব্রডারিকের সব সুপারিশই আমলে নিয়েছেন। তিনি প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান ও প্রতিরক্ষাসচিবকে সুপারিশ বাস্তবায়নের নির্দেশও দিয়েছেন। সূত্র : পিটিআই, বিবিসি।
প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যৌন কেলেঙ্কারির বেশ কয়েকটি ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর এলিজাবেথ ব্রডারিক তাঁর পর্যালোচনা শুরু করেন। গত মঙ্গলবার তাঁর ৪০০ পৃষ্ঠার পর্যালোচনা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনীতে কর্মরত এবং সাবেক দুই হাজারের বেশি কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা ও সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। পর্যালোচনার অংশ হিসেবে প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলোর প্রায় ছয় হাজার সদস্যের ওপর একটি জরিপও পরিচালিত হয়েছে। প্রতিবেদনে ব্রডারিক ২১টি সুপারিশ করেছেন।
ব্রডারিক জানান, বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার কর্মশক্তির ৪৬ শতাংশই নারী। কিন্ত নৌবাহিনীতে নারী সদস্যের সংখ্যা মাত্র ১৮ দশমিক ৪ শতাংশ, সেনাবাহিনীতে ১০ দশমিক ১ শতাংশ এবং বিমান বাহিনীতে ১৭ শতাংশ। জরিপের সূত্র ধরে তিনি জানান, প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতি চারজন নারীর একজনই যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। অন্যান্য কর্মস্থলের তুলনায় এ বাহিনীতে যৌন হয়রানির মাত্রা অনেক বেশি। গত ১০ বছরে প্রতিরক্ষা বাহিনীতে নারীদের যোগদানের হার মাত্র এক শতাংশ বেড়েছে বলেও জানান তিনি। জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে নারীদের সংখ্যা পাঁচ শতাংশেরও কম। দুর্বল নেতৃত্বের কারণেই প্রতিরক্ষা বাহিনীতে লিঙ্গবৈষম্যের মাত্রা বেশি বলেও অভিযোগ করেন ব্রডারিক।
তিনি জানান, চাকরিক্ষেত্রে বিপদের আশঙ্কায় প্রতিরক্ষা বাহিনীর অনেক নারী সদস্যই হয়রানির তথ্য প্রকাশ করেন না। প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে সাংবাদিকদের ব্রডারিক বলেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যৌন হয়রানি ও বৈষম্যের কারণে অনেক জীবন নষ্ট হয়ে গেছে এবং বিভেদ তৈরি হয়েছে। অনেকেই প্রতিরক্ষা বাহিনীকে নিরাপদ কর্মস্থল বিবেচনা করে। কিন্তু এখানে নারীরা যৌন হয়রানি, লিঙ্গবৈষম্য ও নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। নৌ, সেনা ও বিমানবাহিনীতে এ ধরনের পরিবেশের কারণে নারীরা সামনে এগোতে পারছে না। এই বাহিনীগুলোতে নারীদের অংশগ্রহণ এবং তাদের কাজের সুযোগ বাড়ানো উচিত। যুদ্ধক্ষেত্রেও তাদের অংশগ্রহণ বাড়ানো উচিত।
অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্টিফেন স্মিথ জানিয়েছেন, তাঁদের সরকার ব্রডারিকের সব সুপারিশই আমলে নিয়েছেন। তিনি প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান ও প্রতিরক্ষাসচিবকে সুপারিশ বাস্তবায়নের নির্দেশও দিয়েছেন। সূত্র : পিটিআই, বিবিসি।
No comments