মোগল স্থাপত্যের অপূর্ব নিদর্শন
ঠাকুরগাঁও শহর থেকে ১০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণে সদর উপজেলার একটি গ্রাম জামালপুর। এই গ্রামের জমিদার বাড়ি এক সময় বৃহত্তর দিনাজপুরের মুসলিম জমিদারদের আভিজাত্যের প্রতীক ছিল। জামালপুরের জমিদারদের আভিজাত্যের এখন কোন কিছু অবশিষ্ট না থাকলেও টিকে আছে মোগল স্থাপত্যের অপূর্ব নিদর্শন দু’শ’ বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী মসজিদটি এক নজর দেখার জন্য বিভিন্ন জেলার দর্শনার্থীরা ভিড় করে সেখানে।
ঐতিহাসিকদের মতে অবিভক্ত ভারতের তাজপুর পরগনার জমিদার বাড়ি থেকে রওশন আলী নামের এক ব্যক্তি এই অঞ্চলে আসেন এবং স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তাঁরই বংশধর আব্দুল হালিমের তত্ত্বাবধানে ১৭৮০ সালে মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কাজ চলাকালীন সময়ে তিনি মৃত্যুবরণ করলে জমিদার বাড়ির সদস্যদের তত্ত্বাবধানে ১৮০১ সালে মসজিদটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়।
এই ঐতিহ্যবাহী মসজিদের অন্যতম আকর্ষণ তিন গম্বুজের সর্বমোট ছোটবড় চব্বিশটি মিনার। দেওয়ালের অলংকরণ করা হয়েছে মোগল স্থাপত্যের ধারায় কারুকার্য খচিত নকশা দিয়ে।
জনৈক হংসরাজ নামে খ্যাত রাজমিস্ত্রি ভারতের দিল্লী, আগ্রা, এলাহাবাদ, লক্ষেèৗ ঘুরে এসে মসজিদটির নির্মাণ কাজ করেন ।
মূল মসজিদের দৈর্ঘ্য ৪১ ফুট ৬ ইঞ্চি, প্রস্থ ১১ ফুট ৯ ইঞ্চি। মসজিদটির বারান্দা রয়েছে দু’টি। প্রথমটির দৈর্ঘ্য ৪১ ফুট ২ ইঞ্চি, প্রস্থ ১১ ফুট ৩ ইঞ্চি। দ্বিতীয়টির দৈর্ঘ্য ১৪ ফুট ২ ইঞ্চি, প্রস্থ ১৯ ফুট ৫ ইঞ্চি। মসজিদে ৩ শতাধিক মুসল্লি একসাথে নামাজ আদায় করতে পারেন। ২০১১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে যে তীব্র ভূমিকম্প হয় তাতে মসজিদের বেশ কয়েকটি মিনারে ফাটল দেখা দেয়। ফাটল ধরা মিনারগুলো যে কোন সময় ধসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দু’শ’ বছরের প্রাচীন এই ঐতিহ্যবাহী মসজিদটি সংস্কারের অভাবে তার ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে কোনরকমে টিকিয়ে রাখা হয়েছে। মোগল স্থাপত্যের অপূর্ব নিদর্শন ঐতিহ্যবাহী এই মসজিদটির সংস্কার সাধন করে দেশ এবং এলাকার স্বার্থে টিকিয়ে রাখা প্রয়োজন। এ জন্য সরকারের এগিয়ে আসা প্রয়োজন বলে মনে করেন এলাকার মানুষ।
মসজিদ কমিটির সদস্য মঞ্জুর চৌধুরী বলেন, মোগল স্থাপত্যের এই অপূর্ব নিদর্শনটিকে টিকিয়ে রাখতে হলে সরকারী সাহায্যের কোন বিকল্প নেই। শুধুমাত্র জমিদার বাড়ির সদস্যদের সাহায্য সহযোগিতায় এটিকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। মসজিদটি রক্ষার জন্য সরকারকে এগিয়ে আসার আবেদন জানান তিনি।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দবিরুল ইসলাম জানান, মসজিদটি এই এলাকার একটি ঐতিহ্য। মসজিদটি সংস্কার এবং সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। কিস্তু মসজিদটি সংস্কার করার মতো পর্যাপ্ত টাকা ইউনিয়ন পরিষদের নেই। তিনি মসজিদটি সংস্কারের জন্য সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ।
ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মুহা. শহিদুজ্জামান জানান, ঐতিহাসিক এই মসজিদটি সংস্কার এবং সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে সরকারের প্রতœতত্ত্ব বিভাগকে জেলা প্রশাসন থেকে অতি শীঘ্র জানানো হবে।
-এস এম জসিম উদ্দিন, ঠাকুরগাঁও
এই ঐতিহ্যবাহী মসজিদের অন্যতম আকর্ষণ তিন গম্বুজের সর্বমোট ছোটবড় চব্বিশটি মিনার। দেওয়ালের অলংকরণ করা হয়েছে মোগল স্থাপত্যের ধারায় কারুকার্য খচিত নকশা দিয়ে।
জনৈক হংসরাজ নামে খ্যাত রাজমিস্ত্রি ভারতের দিল্লী, আগ্রা, এলাহাবাদ, লক্ষেèৗ ঘুরে এসে মসজিদটির নির্মাণ কাজ করেন ।
মূল মসজিদের দৈর্ঘ্য ৪১ ফুট ৬ ইঞ্চি, প্রস্থ ১১ ফুট ৯ ইঞ্চি। মসজিদটির বারান্দা রয়েছে দু’টি। প্রথমটির দৈর্ঘ্য ৪১ ফুট ২ ইঞ্চি, প্রস্থ ১১ ফুট ৩ ইঞ্চি। দ্বিতীয়টির দৈর্ঘ্য ১৪ ফুট ২ ইঞ্চি, প্রস্থ ১৯ ফুট ৫ ইঞ্চি। মসজিদে ৩ শতাধিক মুসল্লি একসাথে নামাজ আদায় করতে পারেন। ২০১১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে যে তীব্র ভূমিকম্প হয় তাতে মসজিদের বেশ কয়েকটি মিনারে ফাটল দেখা দেয়। ফাটল ধরা মিনারগুলো যে কোন সময় ধসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দু’শ’ বছরের প্রাচীন এই ঐতিহ্যবাহী মসজিদটি সংস্কারের অভাবে তার ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে কোনরকমে টিকিয়ে রাখা হয়েছে। মোগল স্থাপত্যের অপূর্ব নিদর্শন ঐতিহ্যবাহী এই মসজিদটির সংস্কার সাধন করে দেশ এবং এলাকার স্বার্থে টিকিয়ে রাখা প্রয়োজন। এ জন্য সরকারের এগিয়ে আসা প্রয়োজন বলে মনে করেন এলাকার মানুষ।
মসজিদ কমিটির সদস্য মঞ্জুর চৌধুরী বলেন, মোগল স্থাপত্যের এই অপূর্ব নিদর্শনটিকে টিকিয়ে রাখতে হলে সরকারী সাহায্যের কোন বিকল্প নেই। শুধুমাত্র জমিদার বাড়ির সদস্যদের সাহায্য সহযোগিতায় এটিকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। মসজিদটি রক্ষার জন্য সরকারকে এগিয়ে আসার আবেদন জানান তিনি।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দবিরুল ইসলাম জানান, মসজিদটি এই এলাকার একটি ঐতিহ্য। মসজিদটি সংস্কার এবং সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। কিস্তু মসজিদটি সংস্কার করার মতো পর্যাপ্ত টাকা ইউনিয়ন পরিষদের নেই। তিনি মসজিদটি সংস্কারের জন্য সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ।
ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মুহা. শহিদুজ্জামান জানান, ঐতিহাসিক এই মসজিদটি সংস্কার এবং সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে সরকারের প্রতœতত্ত্ব বিভাগকে জেলা প্রশাসন থেকে অতি শীঘ্র জানানো হবে।
-এস এম জসিম উদ্দিন, ঠাকুরগাঁও
No comments