খনি কেলেঙ্কারি নিয়ে বিপাকে কংগ্রেস
ভারতে কয়লাখনি কেলেঙ্কারি নিয়ে ভালোই বিপাকে পড়েছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চার (ইউপিএ) সরকার। এক দিনের ব্যবধানে সুর নরম করেছে তারা। গতকাল শুক্রবার পার্লামেন্টের কার্যক্রম পরিচালনার স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় রাখতে সরকারের পক্ষ থেকে বিরোধী দলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
কয়লাখনি কেলেঙ্কারিতে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের জড়িত থাকার অভিযোগ এনে তাঁর পদত্যাগ দাবি করছে দেশটির প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ। বিষয়টি নিয়ে গত মঙ্গলবার পার্লামেন্টে তুমুল হট্টগোল চলে। ওই ইস্যুতে গতকাল শুক্রবার চতুর্থ দিনেও হট্টগোলের কারণে পার্লামেন্টের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি।
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন কংগ্রেসের প্রধান সোনিয়া গান্ধী। পার্লামেন্টে অচলাবস্থার জন্য বিজেপিকে দায়ী করে কঠোর অবস্থান নিয়ে তিনি বলেন, ‘বিজেপি জোটকে মোকাবিলায় আর রক্ষণাত্মক হব না।’ তবে গতকালই সরকারের অবস্থান কিছু নরম হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে। কংগ্রেস নেতা ও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম গতকাল বলেন, ‘পার্লামেন্টের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার মতো পরিবেশ বজায় রাখতে বিরোধী জোটের প্রতি আমরা আন্তরিক আহ্বান জানাচ্ছি।’ তিনি জানান, কয়লাখনি বিতর্কের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টে আগামী সোমবার তাঁর অবস্থান ব্যাখ্যা করতে পারেন। বিশেষ করে ওই দিন পার্লামেন্টের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখতে বিরোধীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। চিদাম্বরম প্রশ্ন করেন, যদি খনিতে কয়লা না থাকত বা কয়লা উত্তোলনের জন্য খনি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বরাদ্দ না দেওয়া হতো, তাহলে কি রাজস্ব হারানোর প্রশ্ন উঠত? তিনি আরও বলেন, কয়লাখনি বরাদ্দে এনডিএ জোট সরকার ও তার আগের সরকারগুলোর নীতির ধারাবাহিকতায় ইউপিএ সরকার কাজ শেষ করেছে।
পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভার স্পিকার মীরা কুমার গতকাল সকালে অধিবেশনের শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু করেন। কিন্তু বিরোধী দলের সদস্যরা হট্টগোল শুরু করেন। হট্টগোলের একপর্যায়ে স্পিকার অধিবেশন মুলতবি করতে বাধ্য হন। পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায়ও বিরোধী দলের হট্টগোলের কারণে অধিবেশন স্থগিত করা হয়।
ভারতের মহাহিসাব নিরীক্ষকের (সিএজি) দপ্তর থেকে গত সপ্তাহে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৪ সালে বাস্তবায়িত খনির ব্লক বরাদ্দে ‘স্বচ্ছতার অভাব ছিল’। পরে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো খনি থেকে প্রায় তিন হাজার ৩৪০ কোটি মার্কিন ডলারের অপ্রত্যাশিত মুনাফা করে। বিষয়টি সরকার জানলেও রাজস্ব আদায় বাড়াতে ব্যর্থ হয়।
বিজেপির অভিযোগ, সব মিলিয়ে এই কেলেঙ্কারির কারণে সরকার প্রায় এক লাখ ৮৬ হাজার কোটি রুপি রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মনমোহন ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত কয়লামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বলে এর দায় তাঁর। তাই মনমোহনকে পদত্যাগ করতে হবে। পিটিআই, এএফপি ও হিন্দুস্তান টাইমস।
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন কংগ্রেসের প্রধান সোনিয়া গান্ধী। পার্লামেন্টে অচলাবস্থার জন্য বিজেপিকে দায়ী করে কঠোর অবস্থান নিয়ে তিনি বলেন, ‘বিজেপি জোটকে মোকাবিলায় আর রক্ষণাত্মক হব না।’ তবে গতকালই সরকারের অবস্থান কিছু নরম হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে। কংগ্রেস নেতা ও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম গতকাল বলেন, ‘পার্লামেন্টের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার মতো পরিবেশ বজায় রাখতে বিরোধী জোটের প্রতি আমরা আন্তরিক আহ্বান জানাচ্ছি।’ তিনি জানান, কয়লাখনি বিতর্কের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টে আগামী সোমবার তাঁর অবস্থান ব্যাখ্যা করতে পারেন। বিশেষ করে ওই দিন পার্লামেন্টের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখতে বিরোধীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। চিদাম্বরম প্রশ্ন করেন, যদি খনিতে কয়লা না থাকত বা কয়লা উত্তোলনের জন্য খনি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বরাদ্দ না দেওয়া হতো, তাহলে কি রাজস্ব হারানোর প্রশ্ন উঠত? তিনি আরও বলেন, কয়লাখনি বরাদ্দে এনডিএ জোট সরকার ও তার আগের সরকারগুলোর নীতির ধারাবাহিকতায় ইউপিএ সরকার কাজ শেষ করেছে।
পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভার স্পিকার মীরা কুমার গতকাল সকালে অধিবেশনের শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু করেন। কিন্তু বিরোধী দলের সদস্যরা হট্টগোল শুরু করেন। হট্টগোলের একপর্যায়ে স্পিকার অধিবেশন মুলতবি করতে বাধ্য হন। পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায়ও বিরোধী দলের হট্টগোলের কারণে অধিবেশন স্থগিত করা হয়।
ভারতের মহাহিসাব নিরীক্ষকের (সিএজি) দপ্তর থেকে গত সপ্তাহে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৪ সালে বাস্তবায়িত খনির ব্লক বরাদ্দে ‘স্বচ্ছতার অভাব ছিল’। পরে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো খনি থেকে প্রায় তিন হাজার ৩৪০ কোটি মার্কিন ডলারের অপ্রত্যাশিত মুনাফা করে। বিষয়টি সরকার জানলেও রাজস্ব আদায় বাড়াতে ব্যর্থ হয়।
বিজেপির অভিযোগ, সব মিলিয়ে এই কেলেঙ্কারির কারণে সরকার প্রায় এক লাখ ৮৬ হাজার কোটি রুপি রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মনমোহন ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত কয়লামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বলে এর দায় তাঁর। তাই মনমোহনকে পদত্যাগ করতে হবে। পিটিআই, এএফপি ও হিন্দুস্তান টাইমস।
No comments