প্রবাসীদের ঈদ আনন্দ by সাজেদুল চৌধুরী রুবেল
যারা প্রবাসে থাকেন অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাদের জন্য ঈদ খুব বেশি একটা সুখকর হয়ে উঠে না। প্রবাসে বসবাসরত বড় একটা অংশকেই ঈদের এই আনন্দ ভাগাভাগি থেকে বঞ্চিত থাকতে হয়। বিশেষ এ দিনটিতেও শ্রম বিক্রির তাগাদা তাদের তাড়া করে ফিরে।
ফলে সকালবেলায় ঈদগাহ মাঠে যাওয়ার পরিবর্তে কর্মক্ষেত্রে পেঁৗছাই তাদের মুখ্য হয়ে ওঠে। ভাগ্যক্রমে কেউ বসদের বলে-কয়ে দিনটিতে ছুটি নিতে পারলেও নামাজ পড়া ছাড়া আর বিশেষ কিছু করার থাকে না। খুব বেশি পরিশ্রান্তরা ঘুমিয়ে পড়েন। কেউ বালিশ চাপা দিয়ে কাঁদেন, কেউবা দূরালাপনীতে মা-বাবা বা স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে ব্যথাতুর বুকটাকে হালকা করার ব্যর্থ চেষ্টা করেন। আবার উৎসাহী কেউ কেউ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে-ফিরে আনন্দ খোঁজার চেষ্টা করেন।
আমার বিশ্বাস, ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা বা অস্ট্রেলিয়ার মতো মুসলিম সংখ্যালঘু দেশগুলোতে যারা সপরিবারে বসবাস করছেন তাদের অনেকেই হয়তো নাগরিকত্ব পেয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করার সুযোগ লাভ করতে সক্ষম হয়েছেন। তারপরও অন্য ধর্মাবলম্বীদের উৎসবের দিনের মতো ঈদের দিনে জাতীয় ছুটি না থাকায় অনেক সময় অনিচ্ছা সত্ত্বেও বাধ্য হয়ে তাদের কাজে যোগদান করতে হয়। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের বিশেষ ওই দিনগুলোতে সরকারি ছুটির দাবি জানানো এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে বলে আমি মনে করি।
প্রবাসী মুসলিম হৃদয়ে প্রকৃত ঈদের সার্থকতা ফুটিয়ে তুলতে হলে দিনগুলোকে জাতীয় ছুটির আওতায় আনার বিকল্প নেই। আর এ দাবি নিয়ে সরকারি পর্যায়ে কমিউনিটির নেতৃবৃন্দকেই সবার আগে এগিয়ে যাওয়া প্রয়োজন বলে মনে করি। এ ক্ষেত্রে যেসব দেশে মুসলিম কমিউনিটি বেশ শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে সেসব দেশেই প্রথমে কমিউনিটি প্রধান কর্তৃক এ দাবিটি উত্থাপিত হতে পারে। সে প্রেক্ষাপটে যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত মুসলিম কমিউনিটির দিকে সবার আগে নজর দিতে পারি। ওইসব দেশে মুসলিম কমিউনিটিভিত্তিক সংগঠনগুলো যোগ্যতা ও দক্ষতা বলে অনেক এগিয়ে আছে। এমনকি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে একজন বাঙালি মুসলিম এমপিও রয়েছেন, যিনি চেষ্টা করলে এর ফল পাওয়া যেতে পারে সহজেই। ব্রিটেন বা আমেরিকার মতো যে কোনো একটি দেশে এর স্বীকৃতি মিললে বিশ্বের অন্য দেশগুলোতেও এর ধারাবাহিকতা বিস্তৃতি লাভ করবে। আর তখনই প্রবাসীরা ও তাদের নবপ্রজন্ম উত্তরসূরি পরিপূর্ণ উৎসাহ, উদ্দীপনা ও আনন্দের জোয়ারে ভেসে প্রকৃত ঈদের স্বাদ উপলব্ধি করতে সক্ষম হবে।
আয়ারল্যান্ড প্রবাসী
shajed70@yahoo.com
আমার বিশ্বাস, ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা বা অস্ট্রেলিয়ার মতো মুসলিম সংখ্যালঘু দেশগুলোতে যারা সপরিবারে বসবাস করছেন তাদের অনেকেই হয়তো নাগরিকত্ব পেয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করার সুযোগ লাভ করতে সক্ষম হয়েছেন। তারপরও অন্য ধর্মাবলম্বীদের উৎসবের দিনের মতো ঈদের দিনে জাতীয় ছুটি না থাকায় অনেক সময় অনিচ্ছা সত্ত্বেও বাধ্য হয়ে তাদের কাজে যোগদান করতে হয়। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের বিশেষ ওই দিনগুলোতে সরকারি ছুটির দাবি জানানো এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে বলে আমি মনে করি।
প্রবাসী মুসলিম হৃদয়ে প্রকৃত ঈদের সার্থকতা ফুটিয়ে তুলতে হলে দিনগুলোকে জাতীয় ছুটির আওতায় আনার বিকল্প নেই। আর এ দাবি নিয়ে সরকারি পর্যায়ে কমিউনিটির নেতৃবৃন্দকেই সবার আগে এগিয়ে যাওয়া প্রয়োজন বলে মনে করি। এ ক্ষেত্রে যেসব দেশে মুসলিম কমিউনিটি বেশ শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে সেসব দেশেই প্রথমে কমিউনিটি প্রধান কর্তৃক এ দাবিটি উত্থাপিত হতে পারে। সে প্রেক্ষাপটে যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত মুসলিম কমিউনিটির দিকে সবার আগে নজর দিতে পারি। ওইসব দেশে মুসলিম কমিউনিটিভিত্তিক সংগঠনগুলো যোগ্যতা ও দক্ষতা বলে অনেক এগিয়ে আছে। এমনকি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে একজন বাঙালি মুসলিম এমপিও রয়েছেন, যিনি চেষ্টা করলে এর ফল পাওয়া যেতে পারে সহজেই। ব্রিটেন বা আমেরিকার মতো যে কোনো একটি দেশে এর স্বীকৃতি মিললে বিশ্বের অন্য দেশগুলোতেও এর ধারাবাহিকতা বিস্তৃতি লাভ করবে। আর তখনই প্রবাসীরা ও তাদের নবপ্রজন্ম উত্তরসূরি পরিপূর্ণ উৎসাহ, উদ্দীপনা ও আনন্দের জোয়ারে ভেসে প্রকৃত ঈদের স্বাদ উপলব্ধি করতে সক্ষম হবে।
আয়ারল্যান্ড প্রবাসী
shajed70@yahoo.com
No comments