নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই কাউন্সিল করতে চায় বিএনপি by শফিক সাফি
এ বছর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ষষ্ঠ কাউন্সিল করতে চায় বিএনপি। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্দেশের পর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। একই সঙ্গে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাউন্সিলের যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তাও মানতে চায় দলটি।
২ আগস্ট গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে এক বৈঠকে নির্ধারিত সময়ে কাউন্সিল অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'দলের প্রয়োজনেই আমরা কাউন্সিলের কাজ শুরু করেছি। এরই মধ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি কাজ করছেন। আশা করি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই কাউন্সিল করা সম্ভব হবে।'
বৈঠকে উপস্থিত এক সদস্য জানান, দলের কাউন্সিলের প্রসঙ্গটি নিজেই বৈঠকে তোলেন খালেদা জিয়া। ওই নেতা বলেন, 'খালেদা জিয়া জানতে চান দলের কাউন্সিলের কী অবস্থা। ওই সময় তাঁকে জানানো হয় কাজ চলছে। চেয়ারপারসন বলেন, ২৪ জুলাই আওয়ামী লীগ তাদের বর্তমান কমিটির তিন বছর পূর্ণ করেছে। তারা সময়মতো কাউন্সিল করতে পারেনি। কিন্তু আমরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাউন্সিল শেষ করতে চাই। যাতে সরকারি দল নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করতে না পারে। বরং আমরাই যেন অভিযোগ করতে পারি।'
কাউন্সিলের তারিখ প্রসঙ্গে ওই নেতা বলেন, তারিখ এখনো ঠিক হয়নি। তবে পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর স্থায়ী কমিটির যে বৈঠক হবে, সেখানে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিএনপির গঠনতন্ত্রে তিন বছর পরপর দলের জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠানের বিধান রয়েছে। ওই কাউন্সিলেই তিন বছরের জন্য দলের চেয়ারপারসন নির্বাচিত করতে হবে। একই সঙ্গে জাতীয় নির্বাহী কমিটির মেয়াদও হয় তিন বছর। সে অনুযায়ী ৮ ডিসেম্বর তিন বছর পূর্ণ হবে বর্তমান নির্বাহী কমিটির। সর্বশেষ ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর বিএনপির কাউন্সিল হয়েছিল।
কাউন্সিলের প্রস্তুতি হিসেবে ঢাকা মহানগরী, ঢাকা জেলা, মানিকগঞ্জসহ দলের অপূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটিগুলোর কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতেও মহাসচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন খালেদা জিয়া। এরই মধ্যে শরীয়তপুর ও নেত্রকোনা জেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেসব জেলার কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে রমজানের মধ্যে তাও মীমাংসা করতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এদিকে আগামী কাউন্সিলকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন দলের নেতারা। কেননা ওই কাউন্সিলে বিএনপির মহাসচিব কে হবেন সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে। একই সঙ্গে দলের নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, সম্পাদক, নির্বাহী কমিটির সদস্যসহ বিভিন্ন পদে পরিবর্তন আসতে পারে।
দলের যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান কালের কণ্ঠকে জানান, ১৫ থেকে এক মাসের নোটিশে দলের কাউন্সিল করার সক্ষমতা বিএনপির রয়েছে। আন্দোলন ও সাংগঠনিক কাজ একসঙ্গে করতে গিয়ে কিছুটা সমস্যা হলেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাউন্সিলের বিষয়ে দলের হাইকমান্ড নীতিগতভাবে একমত।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'দলের প্রয়োজনেই আমরা কাউন্সিলের কাজ শুরু করেছি। এরই মধ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি কাজ করছেন। আশা করি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই কাউন্সিল করা সম্ভব হবে।'
বৈঠকে উপস্থিত এক সদস্য জানান, দলের কাউন্সিলের প্রসঙ্গটি নিজেই বৈঠকে তোলেন খালেদা জিয়া। ওই নেতা বলেন, 'খালেদা জিয়া জানতে চান দলের কাউন্সিলের কী অবস্থা। ওই সময় তাঁকে জানানো হয় কাজ চলছে। চেয়ারপারসন বলেন, ২৪ জুলাই আওয়ামী লীগ তাদের বর্তমান কমিটির তিন বছর পূর্ণ করেছে। তারা সময়মতো কাউন্সিল করতে পারেনি। কিন্তু আমরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাউন্সিল শেষ করতে চাই। যাতে সরকারি দল নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করতে না পারে। বরং আমরাই যেন অভিযোগ করতে পারি।'
কাউন্সিলের তারিখ প্রসঙ্গে ওই নেতা বলেন, তারিখ এখনো ঠিক হয়নি। তবে পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর স্থায়ী কমিটির যে বৈঠক হবে, সেখানে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিএনপির গঠনতন্ত্রে তিন বছর পরপর দলের জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠানের বিধান রয়েছে। ওই কাউন্সিলেই তিন বছরের জন্য দলের চেয়ারপারসন নির্বাচিত করতে হবে। একই সঙ্গে জাতীয় নির্বাহী কমিটির মেয়াদও হয় তিন বছর। সে অনুযায়ী ৮ ডিসেম্বর তিন বছর পূর্ণ হবে বর্তমান নির্বাহী কমিটির। সর্বশেষ ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর বিএনপির কাউন্সিল হয়েছিল।
কাউন্সিলের প্রস্তুতি হিসেবে ঢাকা মহানগরী, ঢাকা জেলা, মানিকগঞ্জসহ দলের অপূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটিগুলোর কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতেও মহাসচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন খালেদা জিয়া। এরই মধ্যে শরীয়তপুর ও নেত্রকোনা জেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেসব জেলার কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে রমজানের মধ্যে তাও মীমাংসা করতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এদিকে আগামী কাউন্সিলকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন দলের নেতারা। কেননা ওই কাউন্সিলে বিএনপির মহাসচিব কে হবেন সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে। একই সঙ্গে দলের নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, সম্পাদক, নির্বাহী কমিটির সদস্যসহ বিভিন্ন পদে পরিবর্তন আসতে পারে।
দলের যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান কালের কণ্ঠকে জানান, ১৫ থেকে এক মাসের নোটিশে দলের কাউন্সিল করার সক্ষমতা বিএনপির রয়েছে। আন্দোলন ও সাংগঠনিক কাজ একসঙ্গে করতে গিয়ে কিছুটা সমস্যা হলেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাউন্সিলের বিষয়ে দলের হাইকমান্ড নীতিগতভাবে একমত।
No comments