বাংলাদেশীদের নেপালী সাজিয়ে মালয়েশিয়ায় পাঠানো হচ্ছে?- ৭৪ জন ফেরত আসার পর বিষয়টি জানা গেছে ॥ মন্ত্রণালয় এখনও জানে না by ফিরোজ মান্না
বৈধ পথে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক নিয়োগ ব্যবস্থা না থাকায় ভিন্নপথ বেছে নিচ্ছে আদম পাচারকারী চক্র। বর্তমানে দেশে শক্তিশালী এই চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা নানা কায়দায় বাংলাদেশীদের নেপালী নাগরিক সাজিয়ে মালয়েশিয়া পাঠানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয় মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি ৭৪ বাংলাদেশীকে তারা দেশে ফিরিয়ে দিয়েছে। নেপালের ওসব পাসপোর্ট জাল ধরা পড়ায় তারা এই ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, নেপাল, ভুটান ও কক্সবাজার দিয়ে অবৈধ পথে মালয়েশিয়া যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে তারাও উদ্বিগ্ন। সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যেতে এ পর্যন্ত বাংলাদেশী অনেক নাগরিকের সলিল সমাধি হয়েছে। আবার অনেকে থাইল্যান্ডের কারাগারে আটক রয়েছে। অনেকে সমুদ্রে ভাসতে ভাসতে ভারতের আন্দামানে গিয়ে উঠেছে। জীবনের মায়া ত্যাগ করে কাজের সন্ধানে তারা কাজ করছে। কিন্তু এদের কিভাবে ঠেকানো যাবে। দালাল চক্র বা আদম পাচারকারীদের পাল্লায় পড়ে তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করে। গোপনে এই কাজ হয় বলে তাদের ধরা মুশকিল। পাচারকারী চক্রের কোন রেজিস্ট্রেশন নেই। তাই কোন ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। আবার এখন শুরু হয়েছে নেপাল ভুটানের পাসপোর্ট নিয়ে মালয়েশিয়া যাওয়া। এই খবরের সত্যতা এখনও মন্ত্রণালয়ের কাছে নেই। মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন ৭৪ জনকে দেশে ফিরিয়ে দেয়ার বিষয়টিও জানে না মন্ত্রণালয়।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ ও মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট একসঙ্গে অবতরণ করে। এ সময় ইমিগ্রেশনেক কর্মকর্তারা বাংলাদেশী যাত্রীদের ওপর কঠোর নজরদারি চালায়। ৩টি ফ্লাইটের মোট ৭৪ যাত্রীকে সন্দেহজনক তালিকায় রেখে তাদের একটি রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। এদের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ২২। বাকি যাত্রীরা হচ্ছে ইউনাইটেড ও মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের। পরে সে দেশের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা বিমানের যাত্রীদের মধ্যে থেকে ১০ বাংলাদেশী নেপালী পাসপোর্টে এসেছে বলে নিশ্চিত হয়। একদিন আটক রাখার পরের দিন যে এয়ারলাইন্সে তারা এসেছে তাদের সেই ফ্লাইটেই দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ভিজিট ও ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া পাড়ি জমানো বিমানের ২২ যাত্রীর মধ্যে ১০ জন নিজেদের নেপালী নাগরিক হিসেবে দাবি করে। কিন্তু ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের ব্যাপক জেরার মুখে ওই ১০ বাংলাদেশী স্বীকার করে যে তারা বাংলাদেশী নাগরিক হলেও নেপালী সেজে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করছিল। দালালদের কথামতো তারা নেপালী সেজেছে বলেও জানিয়েছে। যে ১০ বাংলাদেশীর কাছ থেকে নেপালী পাসপোর্ট পাওয়া গেছে তারা নেপাল থেকে ঢাকায় ট্রানজিট নেয়। এরপর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এসব যাত্রী মালয়েশিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করে। ঢাকার ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ বিষয়টির দিকে নজর না দেয়ার কারণেই বিদেশের ইমিগ্রেশনে তারা ধরা পড়ছে। মালয়েশিয়া থেকে ৭৪ জনকে ফিরতি ফ্লাইটে দেশে ফেরত পাঠানোর ঘটনা বিরল। কারণ এর আগে এত সংখ্যক যাত্রীকে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ ফেরত পাঠায়নি। বাংলাদেশীরা নেপালী পাসপোর্টে যাওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশনের হাতে ধরা পড়ে ফিরে এসেছে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এর আগে কোন যাত্রী নেপালী পাসপোর্টে ফেরত আসেনি। তবে মাঝেমধ্যে দু’ একটি ঘটনা ধরা পড়ছে নেপালী পাসপোর্টে বাংলাদেশীদের ভ্রমণের। যাত্রীদের মধ্যে যে ১০ যাত্রীকে নেপালী নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে তারা আসলে নেপালী নয়, বাংলাদেশী। তাদের চেহারা কথাবার্তা শুনেই নিশ্চিত হয়েছে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা। এ কারণেই তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, অভিবাসী শ্রমিকদের নিরাপদ অভিবাসন ও প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে সরকার কঠোর নীতিমালা করার ঘোষণা দিলেও তা শুধু ঘোষণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। বিভিন্ন রিক্রুটিং এজেন্সি এবং দালালদের প্রতারণার ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এটা বন্ধ করতেই প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এ উদ্যোগ নিয়েছিল। বিদেশে কর্মী নিয়োগের ব্যাপারে সরকার ও রিক্রুটিং এজেন্সির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু এই ভূমিকার ব্যাপারে উভয় পক্ষই উদাসীন। অতিরিক্ত টাকা আদায় এবং সংশ্লিষ্ট দেশে চাকরির নিশ্চয়তা না দিয়েই কর্মীদের পাঠিয়ে দেয়া হয়। কর্মীরা সঠিক চাকরি না পেয়ে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে।
সূত্র জানিয়েছে, শ্রমিকদের অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পাঠানো বিভিন্ন শ্রমবাজারে পাঠানো হচ্ছে। ভাল চাকরির লোভ দেখিয়ে বেশি টাকা নিয়ে নিম্নমানের চাকরিতে পাঠানো হয়। যেসব কর্মী এমন অবস্থার মধ্যে পড়ে তারা ওই চাকরিতে টিকতে না পেরে পালিয়ে অন্য জায়গায় চাকরি নেয়। তখন তাদের হাতে কোন বৈধ কাগজপত্র থাকে না। কারণ আগের মালিকের কাছে পাসপোর্টসহ অন্যান্য কাগজপত্র রেখে তারা চলে যায়। এভাবে বহু কর্মী অবৈধ হয়ে পড়েন। তারা তখন ওই সব দেশে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে না। ওই কর্মীরা তখন বিপজ্জনক পরিস্থিতি মধ্যে পালিয়ে কাজ করেন। কেউ কেউ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে বছরের পর বছর জেল খাটছে। আবার কেউ কর্মহীন জীবন যাপন করতে গিয়ে দালাল চক্রের শিকার হয়ে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। দেশ থেকে বাপ-দাদার সহায়-সম্বল বিক্রি করে বিদেশ গিয়ে কাজ না পেয়ে তারা নিঃস্ব হয়ে যায়। এমন ঘটনা নারী-পুরুষ উভয় শ্রমিকের ক্ষেত্রে ঘটছে। এ অবস্থায় অভিবাসীদের পক্ষে দাঁড়ানোর কেউ থাকে না। যাতে কর্মীদের এমন অবস্থায় পড়তে না হয় সেজন্য কঠোর আইন করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান।
জানা গেছে, বিশ্ব শ্রমবাজারে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। ৮০ দশক থেকে বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়ার বিভিন্ন দেশে প্রায় ৯০ লাখ শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন। এসব শ্রমিক বিদেশে শ্রম দিয়ে দেশে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা পাঠাচ্ছেন। অভিবাসীদের সুখ-দুঃখ দেখার জন্য যেন কেউ নেই। সরকার এবং সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলো কর্মী পাঠিয়ে দিয়েই দায়িত্ব শেষ করছে। কোন রকম কূটনৈতিক তৎপরতা দিয়ে বিপদগ্রস্ত কর্মীদের উদ্ধার করা হয় না।
বিদেশে কাজ করতে গিয়ে বহু কর্মীকে নানা ধরনের বিপদের মধ্যে পড়তে হচ্ছে। বিপদগ্রস্ত ওই কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে দেশী দূতাবাসগুলো এগিয়ে আসে না। আবার অনেক দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস বা হাইকমিশনও নেই। ওসব দেশে শ্রমিকদের অবস্থা আরও অসহায়। দূতাবাস থাকলে অন্তত একটা আশ্রয়স্থল মনে করতে পারেন কর্মীরা, কিন্তু এই সুযোগটিও অনেক দেশে মেলে না।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ ও মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট একসঙ্গে অবতরণ করে। এ সময় ইমিগ্রেশনেক কর্মকর্তারা বাংলাদেশী যাত্রীদের ওপর কঠোর নজরদারি চালায়। ৩টি ফ্লাইটের মোট ৭৪ যাত্রীকে সন্দেহজনক তালিকায় রেখে তাদের একটি রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। এদের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ২২। বাকি যাত্রীরা হচ্ছে ইউনাইটেড ও মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের। পরে সে দেশের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা বিমানের যাত্রীদের মধ্যে থেকে ১০ বাংলাদেশী নেপালী পাসপোর্টে এসেছে বলে নিশ্চিত হয়। একদিন আটক রাখার পরের দিন যে এয়ারলাইন্সে তারা এসেছে তাদের সেই ফ্লাইটেই দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ভিজিট ও ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া পাড়ি জমানো বিমানের ২২ যাত্রীর মধ্যে ১০ জন নিজেদের নেপালী নাগরিক হিসেবে দাবি করে। কিন্তু ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের ব্যাপক জেরার মুখে ওই ১০ বাংলাদেশী স্বীকার করে যে তারা বাংলাদেশী নাগরিক হলেও নেপালী সেজে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করছিল। দালালদের কথামতো তারা নেপালী সেজেছে বলেও জানিয়েছে। যে ১০ বাংলাদেশীর কাছ থেকে নেপালী পাসপোর্ট পাওয়া গেছে তারা নেপাল থেকে ঢাকায় ট্রানজিট নেয়। এরপর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এসব যাত্রী মালয়েশিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করে। ঢাকার ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ বিষয়টির দিকে নজর না দেয়ার কারণেই বিদেশের ইমিগ্রেশনে তারা ধরা পড়ছে। মালয়েশিয়া থেকে ৭৪ জনকে ফিরতি ফ্লাইটে দেশে ফেরত পাঠানোর ঘটনা বিরল। কারণ এর আগে এত সংখ্যক যাত্রীকে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ ফেরত পাঠায়নি। বাংলাদেশীরা নেপালী পাসপোর্টে যাওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশনের হাতে ধরা পড়ে ফিরে এসেছে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এর আগে কোন যাত্রী নেপালী পাসপোর্টে ফেরত আসেনি। তবে মাঝেমধ্যে দু’ একটি ঘটনা ধরা পড়ছে নেপালী পাসপোর্টে বাংলাদেশীদের ভ্রমণের। যাত্রীদের মধ্যে যে ১০ যাত্রীকে নেপালী নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে তারা আসলে নেপালী নয়, বাংলাদেশী। তাদের চেহারা কথাবার্তা শুনেই নিশ্চিত হয়েছে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা। এ কারণেই তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, অভিবাসী শ্রমিকদের নিরাপদ অভিবাসন ও প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে সরকার কঠোর নীতিমালা করার ঘোষণা দিলেও তা শুধু ঘোষণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। বিভিন্ন রিক্রুটিং এজেন্সি এবং দালালদের প্রতারণার ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এটা বন্ধ করতেই প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এ উদ্যোগ নিয়েছিল। বিদেশে কর্মী নিয়োগের ব্যাপারে সরকার ও রিক্রুটিং এজেন্সির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু এই ভূমিকার ব্যাপারে উভয় পক্ষই উদাসীন। অতিরিক্ত টাকা আদায় এবং সংশ্লিষ্ট দেশে চাকরির নিশ্চয়তা না দিয়েই কর্মীদের পাঠিয়ে দেয়া হয়। কর্মীরা সঠিক চাকরি না পেয়ে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে।
সূত্র জানিয়েছে, শ্রমিকদের অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পাঠানো বিভিন্ন শ্রমবাজারে পাঠানো হচ্ছে। ভাল চাকরির লোভ দেখিয়ে বেশি টাকা নিয়ে নিম্নমানের চাকরিতে পাঠানো হয়। যেসব কর্মী এমন অবস্থার মধ্যে পড়ে তারা ওই চাকরিতে টিকতে না পেরে পালিয়ে অন্য জায়গায় চাকরি নেয়। তখন তাদের হাতে কোন বৈধ কাগজপত্র থাকে না। কারণ আগের মালিকের কাছে পাসপোর্টসহ অন্যান্য কাগজপত্র রেখে তারা চলে যায়। এভাবে বহু কর্মী অবৈধ হয়ে পড়েন। তারা তখন ওই সব দেশে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে না। ওই কর্মীরা তখন বিপজ্জনক পরিস্থিতি মধ্যে পালিয়ে কাজ করেন। কেউ কেউ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে বছরের পর বছর জেল খাটছে। আবার কেউ কর্মহীন জীবন যাপন করতে গিয়ে দালাল চক্রের শিকার হয়ে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। দেশ থেকে বাপ-দাদার সহায়-সম্বল বিক্রি করে বিদেশ গিয়ে কাজ না পেয়ে তারা নিঃস্ব হয়ে যায়। এমন ঘটনা নারী-পুরুষ উভয় শ্রমিকের ক্ষেত্রে ঘটছে। এ অবস্থায় অভিবাসীদের পক্ষে দাঁড়ানোর কেউ থাকে না। যাতে কর্মীদের এমন অবস্থায় পড়তে না হয় সেজন্য কঠোর আইন করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান।
জানা গেছে, বিশ্ব শ্রমবাজারে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। ৮০ দশক থেকে বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়ার বিভিন্ন দেশে প্রায় ৯০ লাখ শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন। এসব শ্রমিক বিদেশে শ্রম দিয়ে দেশে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা পাঠাচ্ছেন। অভিবাসীদের সুখ-দুঃখ দেখার জন্য যেন কেউ নেই। সরকার এবং সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলো কর্মী পাঠিয়ে দিয়েই দায়িত্ব শেষ করছে। কোন রকম কূটনৈতিক তৎপরতা দিয়ে বিপদগ্রস্ত কর্মীদের উদ্ধার করা হয় না।
বিদেশে কাজ করতে গিয়ে বহু কর্মীকে নানা ধরনের বিপদের মধ্যে পড়তে হচ্ছে। বিপদগ্রস্ত ওই কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে দেশী দূতাবাসগুলো এগিয়ে আসে না। আবার অনেক দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস বা হাইকমিশনও নেই। ওসব দেশে শ্রমিকদের অবস্থা আরও অসহায়। দূতাবাস থাকলে অন্তত একটা আশ্রয়স্থল মনে করতে পারেন কর্মীরা, কিন্তু এই সুযোগটিও অনেক দেশে মেলে না।
No comments