ব্রেইভিকের ২১ বছরের কারাদণ্ড
সন্ত্রাসী তৎপরতার দায়ে অ্যান্দারস বেরিং ব্রেইভিককে দোষী সাব্যস্ত করেছেন নরওয়ের আদালত। গত বছর সন্ত্রাসী হামলায় ৭৭ জনকে হত্যার দায়ে তাঁকে ২১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানী অসলোর এক আদালত এই রায় দেন। ব্রেইভিক সুস্থ মস্তিষ্কে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছেন বলেও মত দিয়েছেন আদালত।
গত বছর ২২ জুলাই সন্ত্রাসী হামলা চালান ব্রেইভিক (৩৩)। অসলোর কয়েকটি সরকারি কার্যালয়ের সামনে তাঁর পেতে রাখা গাড়িবোমা বিস্ফোরণে আটজন মারা যায়। এর পরই অসলোর নিকটবর্তী উতোয়া দ্বীপে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির যুব সম্মেলনে বন্দুক নিয়ে হামলা চালান তিনি। সেখানে গুলিবিদ্ধ হয়ে আরো ৬৯ জন মারা যায়। দুটি হামলায় ২৪০ জনেরও বেশি আহত হয়। ব্রেইভিক শুরু থেকেই হামলার দায় শিকার করেন। নরওয়েতে ইসলামের আধিপত্য রোধ করতে এই হামলা চালিয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি। তবে হামলার পর দুবার ব্রেইভিকের মানসিক সুস্থতা পরীক্ষা করা হয়। তাঁর আইনজীবী ব্রেইভিককে মানসিক ভারসাম্যহীন দাবি করে এলেও ব্রেইভিক আদালতে নিজেকে সুস্থ দাবি করেন। তিনি জানান, হামলা চালিয়ে কোনো অপরাধ করেননি তিনি।
গতকাল অসলোর পাঁচজন বিচারক সর্বসম্মতভাবে ব্রেইভিককে মানসিকভাবে সুস্থ ঘোষণা করেন। নরওয়ের দণ্ডবিধি অনুযায়ী সন্ত্রাসী তৎপরতার জন্য তাঁকে সর্বোচ্চ ২১ বছরের সাজার রায় দেন তাঁরা। নরওয়ের বিচার ব্যবস্থায় মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান নেই। তবে কোনো অপরাধীকে সমাজের জন্য হুমকি বিবেচনা করা হলে তাকে অনির্দিষ্টকাল কারাগারে আটক রাখার বিধান রয়েছে। সেই হিসেবে ব্রেইভিকের সাজার মেয়াদ বাড়ার সুযোগ রয়ে গেছে। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ব্রেইভিকের মুখে হাসি দেখা গেছে।
ব্রেইভিকের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো এবং নরওয়ের সাধারণ জনতা সর্বোচ্চ কারাদণ্ডের দাবি জানিয়ে আসছিল। রায়ের পর তারা সন্তোষ প্রকাশ করে। তবে ব্রেইভিকের আইনজীবী সভেইন হোল্ডেন তাঁর মক্কেলকে মানসিক ভারসাম্যহীন দাবি করছিলেন। ব্রেইভিককে মানসিক পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখার দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। গতকাল আদালতের রায়ের পর হোল্ডেন বলেন, 'সুস্থ কোনো ব্যক্তিকে মানসিক পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখার চেয়ে কোনো পাগলকে কারাদণ্ড দেওয়ার রায় বেশি খারাপ।' সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
গতকাল অসলোর পাঁচজন বিচারক সর্বসম্মতভাবে ব্রেইভিককে মানসিকভাবে সুস্থ ঘোষণা করেন। নরওয়ের দণ্ডবিধি অনুযায়ী সন্ত্রাসী তৎপরতার জন্য তাঁকে সর্বোচ্চ ২১ বছরের সাজার রায় দেন তাঁরা। নরওয়ের বিচার ব্যবস্থায় মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান নেই। তবে কোনো অপরাধীকে সমাজের জন্য হুমকি বিবেচনা করা হলে তাকে অনির্দিষ্টকাল কারাগারে আটক রাখার বিধান রয়েছে। সেই হিসেবে ব্রেইভিকের সাজার মেয়াদ বাড়ার সুযোগ রয়ে গেছে। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ব্রেইভিকের মুখে হাসি দেখা গেছে।
ব্রেইভিকের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো এবং নরওয়ের সাধারণ জনতা সর্বোচ্চ কারাদণ্ডের দাবি জানিয়ে আসছিল। রায়ের পর তারা সন্তোষ প্রকাশ করে। তবে ব্রেইভিকের আইনজীবী সভেইন হোল্ডেন তাঁর মক্কেলকে মানসিক ভারসাম্যহীন দাবি করছিলেন। ব্রেইভিককে মানসিক পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখার দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। গতকাল আদালতের রায়ের পর হোল্ডেন বলেন, 'সুস্থ কোনো ব্যক্তিকে মানসিক পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখার চেয়ে কোনো পাগলকে কারাদণ্ড দেওয়ার রায় বেশি খারাপ।' সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments