আরও নয়টি গ্রাম প্লাবিত- তালায় আবারও ভেঙে গেছে কপোতাক্ষের বেড়িবাঁধ
মেরামতের কয়েক ঘণ্টা না যেতেই আবারও ভেঙে গেছে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত কপোতাক্ষ নদের গোপালপুর জলকপাট (স্লুইসগেট) সংযোগ খালের বেড়িবাঁধ। গত বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে দ্বিতীয় দফায় ভাঙনের পর নতুন করে নয়টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
দ্বিতীয় দফায় বেড়িবাঁধ ভাঙার পর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ও উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে নতুন করে বাঁধ মেরামতের চেষ্টা চলছে। তালার ইসলামকাটি ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের মেনকা বিশ্বাস ও সত্যচরণ বিশ্বাসসহ কয়েকজন জানান, গোপালপুরের জলকপাটটি তিন দশকের বেশি সময় আগে নির্মিত হয়েছে। কয়েক বছর আগে থেকে জলকপাটটি পানি উত্তোলনের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় সংস্কারের জন্য পাউবোকে একাধিকবার জানান এলাকাবাসী। এর পরও নতুন করে কপাট না লাগানোয় বুধবার রাতে পানির তোড়ে স্লুইস গেটের একটি কপাট ভেঙে যায়। একই ভাবে স্লুইস গেটের ২০০ মিটার দক্ষিণের বাঁধ দুর্বল হয়ে ভেঙে যায় কপোতাক্ষের ৩০ ফুট বেড়িবাঁধ।
এরপর কপোতাক্ষের জোয়ারের পানি প্রবল বেগে ইসলামকাটি ইউনিয়নের খড়াইল, ভবানীপুর, ঘোনা, কাজীডাঙ্গা, নারানপুর; তালা সদর ইউনিয়নের খানপুর, খড়েরডাঙ্গা, কিসমত ঘোনা, মুড়কুলিয়া, মাছিহারা; তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের দেওয়ানিপাড়া ও ধলবাড়িয়া; কুমিরা ইউনিয়নের বারাত ও মির্জাপুর গ্রামের পাঁচ শতাধিক বাড়িতে ঢুকে পড়ে।
গ্রামবাসী জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে স্থানীয় লোকজন কাজ শুরু করার পর দুপুরে পাউবোর কর্মকর্তারা উপস্থিত হন। বাঁধ মেরামতের জন্য ১০ হাজার টাকায় চুক্তি করেন কলিয়া গ্রামের ঠিকাদার বজলুর রহমানের সঙ্গে। বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে কোনোভাবে বাঁধ মেরামত করে চলে যান ঠিকাদার। সন্ধ্যার জোয়ার না হতেই কপোতাক্ষের পানি বাঁধের তলদেশ ও ওপর দিয়ে লোকালয়ে ঢুকতে থাকে। ওই পানি বুধবার রাতে প্লাবিত পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি ছাড়াও আরও দুই শতাধিক বাড়ির উঠানে ঢুকে পড়ে। গতকাল শুক্রবার ভোরে ভাটা শুরু হওয়ার পর পানি খাল দিয়ে শালতা নদীতে যাওয়া শুরু করলে উঠান থেকে পানি কমতে শুরু করে।
এ ব্যাপারে তালা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জালাল আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, বাঁধ মেরামতে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে তিন শতাধিক গ্রামবাসী কাজ করেছেন। প্রাথমিকভাবে লোকালয়ে পানি ঢোকা বন্ধ করা গেছে। শনিবার ও রোববারের মধ্যে বাঁধ আরও মজবুত করা হবে। স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কর্মরত লোকজনকে পারিশ্রমিক হিসেবে চাল দেওয়া হবে।
পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী ওবায়দুল হক বলেন, তালার ভাঙনকবলিত এলাকা কপোতাক্ষ জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় পড়ে। তাই এই এলাকায় ইচ্ছা করলেই বাঁধ মেরামত কিংবা তৈরির জন্য নতুন করে বরাদ্দ পাওয়া যাবে না।
ঠিকাদার বজলুর রহমান বলেন, বাঁধ দ্বিতীয় দফায় ভাঙার পর স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় লোকালয়ে পানি ঢোকা গতকাল বন্ধ করা গেছে। আশা করা হচ্ছে, কাল রোববারের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে বাঁধ মেরামত করা সম্ভব হবে।
এরপর কপোতাক্ষের জোয়ারের পানি প্রবল বেগে ইসলামকাটি ইউনিয়নের খড়াইল, ভবানীপুর, ঘোনা, কাজীডাঙ্গা, নারানপুর; তালা সদর ইউনিয়নের খানপুর, খড়েরডাঙ্গা, কিসমত ঘোনা, মুড়কুলিয়া, মাছিহারা; তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের দেওয়ানিপাড়া ও ধলবাড়িয়া; কুমিরা ইউনিয়নের বারাত ও মির্জাপুর গ্রামের পাঁচ শতাধিক বাড়িতে ঢুকে পড়ে।
গ্রামবাসী জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে স্থানীয় লোকজন কাজ শুরু করার পর দুপুরে পাউবোর কর্মকর্তারা উপস্থিত হন। বাঁধ মেরামতের জন্য ১০ হাজার টাকায় চুক্তি করেন কলিয়া গ্রামের ঠিকাদার বজলুর রহমানের সঙ্গে। বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে কোনোভাবে বাঁধ মেরামত করে চলে যান ঠিকাদার। সন্ধ্যার জোয়ার না হতেই কপোতাক্ষের পানি বাঁধের তলদেশ ও ওপর দিয়ে লোকালয়ে ঢুকতে থাকে। ওই পানি বুধবার রাতে প্লাবিত পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি ছাড়াও আরও দুই শতাধিক বাড়ির উঠানে ঢুকে পড়ে। গতকাল শুক্রবার ভোরে ভাটা শুরু হওয়ার পর পানি খাল দিয়ে শালতা নদীতে যাওয়া শুরু করলে উঠান থেকে পানি কমতে শুরু করে।
এ ব্যাপারে তালা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জালাল আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, বাঁধ মেরামতে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে তিন শতাধিক গ্রামবাসী কাজ করেছেন। প্রাথমিকভাবে লোকালয়ে পানি ঢোকা বন্ধ করা গেছে। শনিবার ও রোববারের মধ্যে বাঁধ আরও মজবুত করা হবে। স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কর্মরত লোকজনকে পারিশ্রমিক হিসেবে চাল দেওয়া হবে।
পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী ওবায়দুল হক বলেন, তালার ভাঙনকবলিত এলাকা কপোতাক্ষ জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় পড়ে। তাই এই এলাকায় ইচ্ছা করলেই বাঁধ মেরামত কিংবা তৈরির জন্য নতুন করে বরাদ্দ পাওয়া যাবে না।
ঠিকাদার বজলুর রহমান বলেন, বাঁধ দ্বিতীয় দফায় ভাঙার পর স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় লোকালয়ে পানি ঢোকা গতকাল বন্ধ করা গেছে। আশা করা হচ্ছে, কাল রোববারের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে বাঁধ মেরামত করা সম্ভব হবে।
No comments