রাজধানীতে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে শিশুর মৃত্যু, যুবকের লাশ উদ্ধার- ডেমরায় বাসের ধাক্কায় ছাত্র নিহত
রাজধানীর কলাবাগান ও কাঁঠালবাগানে এক শিশুসহ দুজনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। ডেমরায় বাসের ধাক্কায় এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার সকালে ডেমরা মহাসড়কের রাস্তা অবরোধ করে প্রতীকী জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার পুলিশ ও মেডিক্যাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুর ১টায় তাদের কলাবাগানের ৪৪/ডি নম্বর বাসার সামনে রাস্তার গলিতে খেলা করছিল রাকিব হোসেন (৬) নামে এক শিশু। এ সময় বৃষ্টি পড়ছিল। খেলার ছলে শিশু রাকিব গলির পাশে পড়ে থাকা বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে পড়ে। পরে স্থানীয়রা শিশু রাকিবকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে শমরিতা হাসপাতালে আনলে দুপুর ২টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কলাবাগান থানার ওসি এনামুল হক জানান, বৃষ্টি হওয়ার কারণে ওই সরু গলি স্যাঁতসেঁতে ছিল, পাশেই বৈদ্যুতিক খুঁটি ছিল। এ কারণে শিশুটি বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে। তিনি জানান, নিহতের বাবার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই শিশু রাকিবের লাশ পরিবারের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ সময় শিশু রাকিবের লাশ তার কলাবাগানের ভাড়া বাসায় নেয়া হয়। স্বজনের কান্না ও বেদনায় সেখানকার পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে। নিহতের বাবার নাম শাহ আলম। তাদের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানায়।
এদিকে এদিন সকালে একই থানাধীন কাঁঠালবাগান এলাকার লাকী হোটেলের সামনে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে রাকিব (২৩) নামে এক যুবক গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা যুবক রাকিবকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের মা জানান, শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে লোকমুখে খবর পেয়ে কাঁঠালবাগান এলাকার পুরনো লাকী হোটেলের সামনের রাস্তা থেকে ছেলে রাকিবকে রক্তাক্ত অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে আনি। পরে তার পরামর্শে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনলে রাকিবকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি জানান, ছেলে রাকিব মাদকাসক্ত ছিল। লাকী হোটেলের পাশে একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে যায় ছেলে রাকিব। এ কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে কলাবাগান থানার এসআই আকবর আলী জানান, নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে রাকিবের মৃত্যু হয়েছে। তবে তাকে কেউ ফেলে দিয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জানা গেছে, নিহত রাকিব কাঁঠালবাগানের একটি ভাড়া বাসায় সপরিবারে থাকতেন। অপরদিকে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা-ডেমরা মহাসড়কের ডেমরা থেকে রূপসাগামী আসিয়ান ট্রান্সপোর্টের একটি বাস মোটরসাইকেলকে সজোরে ধাক্কায় দেয়। এ সময় মোটরসাইকেলচালক শাহাদাত হোসেন (১৯) রাস্তায় ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। তার সহযাত্রী নিহতের বন্ধু গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাহাদাতকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ডেমরা অংশ অবরোধ করেন। এ সময় উত্তেজিত জনতা আসিয়ান সিটির কয়েকটি বাসে ভাংচুর চালায়। পরে খবর পেয়ে মাতুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসিরউদ্দিন মিয়া ও পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। জানা গেছে, নিহত শাহাদাত হোসেন (১৯) দনিয়া কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। নিহতের বাবার নাম মোঃ সেলিম। নিহত শাহাদাত ডেমরা কোনাপাড়া এলাকায় সপরিবারে থাকে। নিহতের পরিবার জানান, শাহাদাত তার এক বন্ধুকে নিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে ডেমরার কোনাপাড়ার বাসায় ফিরছিল। এদিকে শাহাদাতের মৃত্যুর প্রতিবাদে শুক্রবার সকালে ডেমরা মহাসড়ক অবরোধ করে একটি প্রতীকী জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয়রা বিকেল ৩টায় মানববন্ধনও করে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়।
এদিকে এদিন সকালে একই থানাধীন কাঁঠালবাগান এলাকার লাকী হোটেলের সামনে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে রাকিব (২৩) নামে এক যুবক গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা যুবক রাকিবকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের মা জানান, শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে লোকমুখে খবর পেয়ে কাঁঠালবাগান এলাকার পুরনো লাকী হোটেলের সামনের রাস্তা থেকে ছেলে রাকিবকে রক্তাক্ত অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে আনি। পরে তার পরামর্শে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনলে রাকিবকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি জানান, ছেলে রাকিব মাদকাসক্ত ছিল। লাকী হোটেলের পাশে একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে যায় ছেলে রাকিব। এ কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে কলাবাগান থানার এসআই আকবর আলী জানান, নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে রাকিবের মৃত্যু হয়েছে। তবে তাকে কেউ ফেলে দিয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জানা গেছে, নিহত রাকিব কাঁঠালবাগানের একটি ভাড়া বাসায় সপরিবারে থাকতেন। অপরদিকে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা-ডেমরা মহাসড়কের ডেমরা থেকে রূপসাগামী আসিয়ান ট্রান্সপোর্টের একটি বাস মোটরসাইকেলকে সজোরে ধাক্কায় দেয়। এ সময় মোটরসাইকেলচালক শাহাদাত হোসেন (১৯) রাস্তায় ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। তার সহযাত্রী নিহতের বন্ধু গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাহাদাতকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ডেমরা অংশ অবরোধ করেন। এ সময় উত্তেজিত জনতা আসিয়ান সিটির কয়েকটি বাসে ভাংচুর চালায়। পরে খবর পেয়ে মাতুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসিরউদ্দিন মিয়া ও পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। জানা গেছে, নিহত শাহাদাত হোসেন (১৯) দনিয়া কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। নিহতের বাবার নাম মোঃ সেলিম। নিহত শাহাদাত ডেমরা কোনাপাড়া এলাকায় সপরিবারে থাকে। নিহতের পরিবার জানান, শাহাদাত তার এক বন্ধুকে নিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে ডেমরার কোনাপাড়ার বাসায় ফিরছিল। এদিকে শাহাদাতের মৃত্যুর প্রতিবাদে শুক্রবার সকালে ডেমরা মহাসড়ক অবরোধ করে একটি প্রতীকী জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয়রা বিকেল ৩টায় মানববন্ধনও করে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়।
No comments