আমায় ক্ষমো হে-স্থানীয় অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ by মামুন রশীদ

বাংলাদেশে আমেরিকা, রাশিয়া ও ভারতের দালাল হওয়া যেন খুবই সহজ একটি কাজ। আমরা ছাত্রাবস্থা থেকেই আমেরিকা কিংবা রুশ-ভারতকে ঘিরে কিছু রাজনৈতিক স্লোগান দেখে বা শুনে আসছি। যেমন- 'মার্কিনিদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও' কিংবা 'রুশ-ভারতের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান'।


দুঃখের বিষয়, বিপুল ভোটাধিক্যে জয়ী গণতান্ত্রিক সরকারগুলোর আমলেও 'দালাল' শব্দটির ব্যবহার কমেনি। বরং শুরু হয় কাউকে সরকারি দলের আবার কাউকে বা বিরোধী দলের দালাল বলে কোণঠাসা করার খেলা। আপনি যদি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বিবেচনা থেকেও বড় কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হন, তখন আপনাকে ঘায়েল করতে উঠে-পড়ে লাগবে আপনার প্রতিদ্বন্দ্বীরা এবং তাদের মোক্ষম অস্ত্র হবে বিরোধী পক্ষের 'দালাল'। বাংলাদেশে 'দালাল' চিহ্নিত করার সর্বশেষ 'ফতোয়াটি' দিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক। তাঁর মতে, 'যারা মনে করেন যে স্থানীয় উৎস থেকে পদ্মা সেতু নির্মাণের টাকা সংগ্রহ করা যাবে না, তারা বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) দালাল।'
ব্যবসায় প্রশাসন অধ্যয়নের অংশ হিসেবে আমাদের অনেককেই 'করপোরেট ফিন্যান্স' বা 'করপোরেট অর্থায়ন' সম্পর্কে একটি কোর্স পড়তে হয়েছে। আবার কেউ কেউ 'প্রজেক্ট ফিন্যান্স' বা 'প্রকল্প অর্থায়ন' কোর্সও নিয়েছিলেন। এখন অবশ্য নিজেদের 'দেশপ্রেমী বাংলাদেশি' প্রমাণ করার জন্য আমাদের ফিন্যান্সের বিখ্যাত প্রফেসরদের দেওয়া মৌলিক শিক্ষাও ভুলে যেতে হচ্ছে।
আমি আমার স্টাডি রুম বা পড়ার ঘরে একদিন ভালো করে তাকালাম, কিন্তু বিজনেস স্কুলে পড়া বা পাঠ্য কোনো বই-ই খুঁজে পেলাম না। তবে এম ফজলুল কবির খান ও রবার্ট জে. প্যার্রা রচিত 'ফিন্যান্সিং লার্জ প্রজেক্টস' (বৃহৎ প্রকল্পসমূহে অর্থায়ন) শীর্ষক বইটির ওপর চোখ পড়ল। আমার ধারণা, এ বই পড়লে যে কেউই বিশ্বব্যাংকের এজেন্ট বা দালাল হওয়ার বিষয়টি এড়ানোর পাশাপাশি বৃহৎ প্রকল্পে অর্থায়নের চলক বা উপায়গুলো সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানতে পারবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে স্থানীয়ভাবে অর্থ সংগ্রহের মাধ্যমে ২২৫ বিলিয়ন বা ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রস্তাবিত পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন। এতে পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে যে সংশয়-সন্দেহ ছিল, তা আপাতত দূর হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় সন্দেহাতীতভাবে তাঁর সরকারের জোরালো রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতিরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে, যা অনেকের জন্যই স্বপ্নের পদ্মা সেতুকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার আশাবাদ জাগিয়েছে। 'দুর্নীতি-ষড়যন্ত্রের' অভিযোগ এনে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য তাদের প্রতিশ্রুত অর্থ প্রদানের চুক্তি বাতিল করেছে। আর বিশ্বব্যাংকের পথ ধরে এই প্রকল্পের আরেক অর্থায়নকারী এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকও (এডিবি) একই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথে বলে অনেকেই মনে করছেন। এ কারণে পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী এ প্রকল্পের অন্য দুই অর্থায়নকারীর মধ্যে এখন পর্যন্ত জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) এখনো তার অবস্থান পুরো পরিষ্কার করেনি, তবে ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি) অর্থায়ন করতে রাজি আছে।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ওই বক্তৃতায় অভ্যন্তরীণ উৎসগুলো থেকে অর্থায়নের জোগান নেওয়াসহ পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকার কিভাবে এগোতে চায়, সেই ব্যাপারে একটি রূপরেখাও তুলে ধরেন। পদ্মা সেতুর মতো এই বিশাল অবকাঠামো প্রকল্পের গুরুত্ব কোনোভাবেই অস্বীকার করা যাবে না। কারণ এই সেতু নির্মিত হলে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য এলাকার সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সংযোগ স্থাপিত হবে।
আমাদের অনেক শুভকামনা থাকা সত্ত্বেও একটি প্রকৃষ্ট সত্য হলো, পদ্মা সেতুর মতো এত বড় একটি প্রকল্পের জন্য বিপুল অঙ্কের অর্থ সংগ্রহ করাটা চাট্টিখানি কথা নয়। আর এই প্রকল্প প্রাক্কলন, মূল্যায়ন ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সময়ও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য। ব্যয় প্রাক্কলনটা যদি বেশি হয়, তাহলে আর্থিক সমস্যা এড়ানো যাবে। আর এ ধরনের প্রকল্পের জন্য যে পরিমাণ তহবিল দরকার, তার বিশাল অংশই ব্যয় করতে হবে বৈদেশিক মুদ্রায়, যা স্থানীয় টাকার বিনিময় হার, দেশের চলতি হিসাবের ভারসাম্য ও বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যের (বিওপি) ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে অর্থায়ন করা হলে তখন সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, মূল্য পরিস্থিতি ভালো, নির্মাণ বা ঠিকাদার আকৃষ্ট করা, বাস্তবায়নের সক্ষমতা, কারিগরি নিরাপত্তা, উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড, আর্থিক খাত পরিচালনা, সরকারি ঋণ ব্যবস্থাপনা এবং অর্থনীতির যেসব খাতে মূলধন বা অর্থের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে, সেগুলোর দিকেও সতর্ক নজর রাখতে হবে।
কারণ, অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে ইতিমধ্যে চাপের লক্ষণ দেখা দেওয়ায় রক্ষাকবচের কথাও বিবেচনায় রাখতে হবে। অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ ও পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের গুণগতমানের কথা ভেবে এসব বিষয় তোলা হচ্ছে না, বরং দেশে বিনিয়োগ সম্পর্কিত উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য অর্থায়নের চাহিদা নিয়েও সব সময়ই যে চিন্তাভাবনার অবকাশ আছে তা বিবেচনা করেই কথাগুলো বলছি। অর্থনীতির সামর্থ্য ও সক্ষমতার ক্ষেত্রে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে, যা সব সময়ই মনে রাখা ও স্মরণ করা উচিত।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী পদ্মা সেতু নির্মাণে অর্থ সংগ্রহের ব্যাপারে সরকার কয়েকটি উপায় ভাবছে। যেমন- ১. সভরিন বন্ড ইস্যু, ২. এনআরবি বন্ড ইস্যু, ৩. সুদ আয়ের ওপর সারচার্জ আরোপ, ৪. বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সংস্থার কাছ থেকে অর্থায়ন পাওয়ার চেষ্টা এবং ৫. অর্থায়নের বিষয়টি পর্যালোচনা বা পুনর্বিবেচনা করে দেখার জন্য বিশ্বব্যাংকের কাছে আপিল বা আবেদন করা। কারণ এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে তা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি জোরদার করবে বলে আশা করা যায়।
মালয়েশিয়া থেকে অর্থায়ন সুবিধা নেওয়ার ব্যাপারে যে আলোচনা উঠেছিল, তা আপাতত স্তিমিত আছে বা ঝিমিয়ে পড়েছে। দেশে অতীতে কাফকো, মেঘনা সেতু, যমুনা সেতু ও ভৈরব সেতুসহ বিভিন্ন অবকাঠামো প্রকল্প নির্মাণের আলোকে বলা যায়, বিশ্বব্যাংক চুক্তি বাতিল করার পর যেভাবে পদ্মা সেতু নির্মাণে অর্থায়ন সংগ্রহের কথা বলা হয়েছে তা পরিষ্কার নয় এবং এতে জাতীয় কোষাগারে মারাত্মক চাপ পড়বে। তা ছাড়া এ ধরনের উদ্যোগ অভ্যন্তরীণ আয়ের জন্যও তেমন আকর্ষণীয় হবে না। আন্তর্জাতিকভাবে যেহেতু বাংলাদেশের সভরিন ক্রেডিট রেটিং বা সার্বভৌম ঋণমান সন্তোষজনক, সেহেতু সভরিন বন্ড বা সার্বভৌম বন্ড ছাড়ার মাধ্যমে ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের তহবিল সংগ্রহ (প্রধানমন্ত্রী অবশ্য ৭৫০ মিলিয়ন বা ৭৫ কোটি ডলারের কথা বলেছেন) করাটা খুব বড় ইস্যু হবে না। এ ক্ষেত্রে প্লেসমেন্ট এজেন্ট বা ইস্যুকারী ব্যাংক (ব্যাংকার টু দি ইস্যু) নির্বাচনের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। একই সঙ্গে ওয়েজ আর্নার্স বন্ড, ইনভেস্টমেন্ট বন্ড বা প্রিমিয়াম বন্ড ছেড়েও অর্থ সংগ্রহের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আমাদের অর্থনীতিবিদদের কেউ কেউ এটাকে সমর্থন করলেও এনআরবি বন্ড ছাড়ার মাধ্যমে পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করা যাবে কি না তা নিয়ে আমার সংশয় আছে। কারণ অনিবাসী বাংলাদেশি বা প্রবাসী বাংলাদেশিরা (এনআরবি) এখনো প্রতিবেশী ভারতের প্রবাসী নাগরিকদের (এনআরআই) মতো হয়ে ওঠেনি। অনিবাসী ভারতীয়দের (এনআরআই) সমকক্ষ হয়ে উঠতে অনিবাসী বাংলাদেশিদের (এনআরবি) আরো অনেক বছর লাগবে। এমনকি পাকিস্তানের প্রবাসী নাগরিকরাও (এনআরপি) যেভাবে তাদের দেশে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট দেখা দিলে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় (রেমিট্যান্স বা প্রবাস-আয় পাঠানো), সেভাবে অনিবাসী বাংলাদেশিরাও (এনআরবি) ব্যাপক হারে এগিয়ে আসবেন বলে আমার মনে হয় না। কারণ আমাদের দেশে এখনো সেই সংস্কৃতি বা প্রবণতা গড়ে ওঠেনি।
এদিকে যমুনা ও মেঘনা সেতুর প্রাপ্তব্য অর্থের সিকিউরাইজেশন, বিদেশ থেকে প্রাপ্তব্য রেমিট্যান্স এবং বিদেশ থেকে টেলিফোন কলের আংশিক আয় সিকিউরাইজেশন হতে পারে আরো তিন বিকল্প। কিন্তু তা হবে সময়সাপেক্ষ। অনিবাসী বাংলাদেশিরা (এনআরবি) আবেগবশত ব্যাপক সাড়া দিলেও শেষ পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে বলে আমার মনে হয় না। এ ধরনের অনেক নজির পাওয়া যাবে। সুদ আয়ের ওপর সারচার্জ আরোপ করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে এরশাদের শাসনামলের 'যমুনা ব্রিজ সারচার্জ'-এর নজির তুলে ধরা যায়।
তবে মনে রাখতে হবে, ডিপোজিটর বা আমানতকারীদের ওপর ইতিমধ্যে বিভিন্নভাবে লেভি চার্জ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সরকার সত্যিকার অর্থে সক্রিয় ভূমিকা পালন না করলে তা বিপর্যয় ঘটাতে বা বুমেরাং হতে পারে। 'বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ' কখনোই একটি বিকল্প হতে পারে না। বরং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের প্রসঙ্গটি বাদ দেওয়া বা ভুলে যাওয়াই ভালো। বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) পক্ষ থেকে পাঁচ হাজার কোটি টাকার জোগান দেওয়ার বিষয়টিকেও জুতসই বা সম্ভাবনাময় পদক্ষেপ বলে মনে হয় না। কারণ এর আগে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) 'পুঁজিবাজার পুনরুদ্ধার তহবিল' গঠনের প্রস্তাবও ভেস্তে গেছে। যাঁদের মধ্যে বীমা কম্পানির প্রিমিয়াম রিসিপ্টস কিংবা বিনিয়োগ তহবিলের ব্যবহার সম্পর্কে ভালো ধারণা নেই, তারাই কেবল এ ধরনের প্রস্তাবে বিশ্বাস করতে পারেন। সরকারি পেনশন ফান্ডে অর্থায়ন পরিস্থিতি অথবা সরকারি ট্রেজারি বিল ও দীর্ঘমেয়াদি ট্রেজারি বন্ডের মধ্যে কিভাবে আর্থিক খাতের ফান্ডগুলো আটকে আছে, সেই সম্পর্কে 'দেশপ্রেমিক' ভ্রাতাগণের সম্ভবত কোনোই ধারণা বা দৃষ্টি নেই। এ ছাড়া তাঁরা এই প্রকল্পে বৈদেশিক মুদ্রায় অর্থায়ন ও বিদেশি নির্মাতাদের সম্ভাব্য সম্পৃক্ততাসহ বাইরের চ্যালেঞ্জগুলোও এড়িয়ে গেছেন।
আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যে সভরিন বন্ড বা সার্বভৌম বন্ড ইস্যু, পদ্মা সেতু সারচার্জ আরোপ, বাংলাদেশের উন্নয়নে সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সংস্থাগুলোর সাহায্য বা বন্ধুপ্রতিম সংস্থাগুলোর কাছ থেকে স্বল্পহার সুদে ঋণ গ্রহণ করা হলে সরকারের জন্য সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া অনেক সহজ হবে। তবে তা করতে হলে আমাদের বেসামরিক আমলাতন্ত্র তথা প্রশাসন, বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং সবচেয়ে বড় কথা হলো, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে জড়িতদের দক্ষতা ও বিচারবুদ্ধি জোরদার করতে হবে। কারণ আমাদের বেসামরিক আমলাতন্ত্র তথা প্রশাসন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সচরাচর বিদেশি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান, পরামর্শক ও ঠিকাদারদের কাছ থেকে প্রশংসা পায় না। অন্যদিকে বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে স্থানীয় সংস্থাগুলো বরাবরই বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নির্ভরশীল।
হ্যাঁ, আমাদের পদ্মা সেতুসহ ভবিষ্যতে এ ধরনের আরো অনেক প্রকল্পের প্রয়োজন আছে। এ জন্য সব সময়ই আমরা দাতাদের ওপর নির্ভরশীল থাকতে পারি না। আমাদের আন্তর্জাতিক বাজার/বাণিজ্যিক উৎসগুলো ও কাস্টমাইজড সলিউশন্সের পথেও চেষ্টা চালাতে হবে। তবে পদ্মা সেতু প্রকল্পে এমন কোনো উপায়ে অর্থায়ন করা যাবে না, যা চূড়ান্ত পরিণতিতে দেশের অর্থনীতির মৌলিক চলকগুলোকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেবে কিংবা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও আমাদের সক্ষমতা নিয়ে সন্দিহান করে তুলবে।
লেখক : ব্র্যাক বিজনেস স্কুলের অধ্যাপক ও অর্থনীতি বিশ্লেষক

No comments

Powered by Blogger.