সাক্ষাৎকারে উইলিয়াম হেগ-সিরীয় বিদ্রোহীদের জন্য সাহায্য বাড়াবে ব্রিটেন
'প্রাণঘাতী নয়'_আসাদবিরোধীদের এমন সহায়তা দেওয়ার হাত বাড়াবে ব্রিটেন। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ গত শুক্রবার এ কথা জানান। সিরিয়া বিষয়ে জাতিসংঘ ও আরব লিগ মনোনিত দূত কফি আনানের পদত্যাগ এবং নিরাপত্তা পরিষদের চলমান অচলাবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এ মন্তব্য করলেন তিনি।
তিনি আনানের পদত্যাগকে 'হতাশাব্যঞ্জক' বলেও অভিহিত করেন।
তবে ইরান বলেছে, সিরিয়ার বিদ্রোহীদের অস্ত্র দিলে তা 'আঞ্চলিকভাবে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।' ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ ভাহিদি গতকাল শনিবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এ মন্তব্য করেন। এদিকে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন বলেছেন, সিরিয়ায় বিশ্ব শক্তিগুলোর 'ছায়া যুদ্ধ' চলছে।
সিরিয়া সংঘাতে জড়িত যেকোনো পক্ষকে অস্ত্র সরবরাহের ব্যাপারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ কারণেই প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরোধীদের অন্যভাবে সহায়তা করতে চায় ব্রিটেন। বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হেগ বলেন, 'মানুষের ভোগান্তি ও মৃতের সংখ্যা যে হারে বাড়ছে এবং একই সঙ্গে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ব্যর্থতার বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখে সামনের সপ্তাহগুলোতে বাস্তবসম্মত ও প্রাণঘাতী নয়_এমন সমর্থন বাড়াব।' তিনি আরো বলেন, 'আমরা তাদের যোগাযোগ ও এ জাতীয় বিষয়ে সহায়তা করব এবং তা বাড়াব।' তবে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিরিয়াকে যুদ্ধাস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি নাকচ করে দেন।
আনানের পদত্যাগ প্রসঙ্গে হেগ বলেন, 'বিষয়টি শুধু (সিরিয়ার) জনগণের জন্যই নয়, আমাদের কূটনৈতিক তৎপরতার জন্যও হতাশাব্যঞ্জক । সিরিয়ায় কূটনীতি কাজ করছে না। তবে তার মনে এই নয়, আমরা কূটনৈতিক তৎপরতা চালানো ছেড়ে দেব।'
তবে বিদ্রোহীদের অস্ত্র সরবরাহের বিরোধিতা করেছে ইরান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভাহিদি বলেন, 'বর্তমানে সিরিয়ায় গোপনে তৎপরতা চালানো বিদেশি শক্তিগুলো যদি প্রকাশ্যে বিদ্রোহীদের সহায়তা করতে শুরু করে, তাহলে এ অঞ্চলে বড় ধরনের সংকট তৈরি হবে। এ সংকটে পশ্চিমা এবং ইহুদিবাদী দেশগুলোই পরাজিত হবে।'
ধারণা করা হচ্ছে তুরস্ক, কাতার ও সৌদি আরব বিদ্রোহী গ্রুপ ফ্রি সিরিয়ান আর্মিকে (এফএসএ) অস্ত্র সহায়তা দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র না দিলেও সিরিয়ার অভ্যন্তরে সেনা মোতায়েনের ব্যাপারে গোয়েন্দা তথ্য দিচ্ছে। এ পর্যন্ত প্রায় ২৫ লাখ সিরীয় বাড়ি-ঘর ছেড়ে সীমান্ত পার হয়ে তুরস্কে আশ্রয় নিয়েছে। পরিস্থিতির অবনতির প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘের আশঙ্কা, শরণার্থীর সংখ্যা ৪০ লাখে গিয়ে ঠেকবে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে সিরিয়া সংঘাতে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থতার জন্য নিরাপত্তা পরিষদের তীব্র সমালোচনা করা হয়। নিরাপত্তা পরিষদের সিরিয়া প্রসঙ্গে তিন দফা প্রস্তাব তোলা হলেও রাশিয়া ও চীনের ভেটোর মুখে তা বাতিল হয়ে যায়।
জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন গত শুক্রবার বলেন, সিরিয়া আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর 'ছায়া যুদ্ধক্ষেত্রে' পরিণত হয়েছে। কেননা প্রত্যেকেই সিরিয়ার কোনো না কোনো পক্ষকে সমর্থন দিচ্ছে। সূত্র : এএফপি, টেলিগ্রাফ, জিনিউজ।
তবে ইরান বলেছে, সিরিয়ার বিদ্রোহীদের অস্ত্র দিলে তা 'আঞ্চলিকভাবে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।' ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ ভাহিদি গতকাল শনিবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এ মন্তব্য করেন। এদিকে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন বলেছেন, সিরিয়ায় বিশ্ব শক্তিগুলোর 'ছায়া যুদ্ধ' চলছে।
সিরিয়া সংঘাতে জড়িত যেকোনো পক্ষকে অস্ত্র সরবরাহের ব্যাপারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ কারণেই প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরোধীদের অন্যভাবে সহায়তা করতে চায় ব্রিটেন। বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হেগ বলেন, 'মানুষের ভোগান্তি ও মৃতের সংখ্যা যে হারে বাড়ছে এবং একই সঙ্গে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ব্যর্থতার বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখে সামনের সপ্তাহগুলোতে বাস্তবসম্মত ও প্রাণঘাতী নয়_এমন সমর্থন বাড়াব।' তিনি আরো বলেন, 'আমরা তাদের যোগাযোগ ও এ জাতীয় বিষয়ে সহায়তা করব এবং তা বাড়াব।' তবে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিরিয়াকে যুদ্ধাস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি নাকচ করে দেন।
আনানের পদত্যাগ প্রসঙ্গে হেগ বলেন, 'বিষয়টি শুধু (সিরিয়ার) জনগণের জন্যই নয়, আমাদের কূটনৈতিক তৎপরতার জন্যও হতাশাব্যঞ্জক । সিরিয়ায় কূটনীতি কাজ করছে না। তবে তার মনে এই নয়, আমরা কূটনৈতিক তৎপরতা চালানো ছেড়ে দেব।'
তবে বিদ্রোহীদের অস্ত্র সরবরাহের বিরোধিতা করেছে ইরান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভাহিদি বলেন, 'বর্তমানে সিরিয়ায় গোপনে তৎপরতা চালানো বিদেশি শক্তিগুলো যদি প্রকাশ্যে বিদ্রোহীদের সহায়তা করতে শুরু করে, তাহলে এ অঞ্চলে বড় ধরনের সংকট তৈরি হবে। এ সংকটে পশ্চিমা এবং ইহুদিবাদী দেশগুলোই পরাজিত হবে।'
ধারণা করা হচ্ছে তুরস্ক, কাতার ও সৌদি আরব বিদ্রোহী গ্রুপ ফ্রি সিরিয়ান আর্মিকে (এফএসএ) অস্ত্র সহায়তা দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র না দিলেও সিরিয়ার অভ্যন্তরে সেনা মোতায়েনের ব্যাপারে গোয়েন্দা তথ্য দিচ্ছে। এ পর্যন্ত প্রায় ২৫ লাখ সিরীয় বাড়ি-ঘর ছেড়ে সীমান্ত পার হয়ে তুরস্কে আশ্রয় নিয়েছে। পরিস্থিতির অবনতির প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘের আশঙ্কা, শরণার্থীর সংখ্যা ৪০ লাখে গিয়ে ঠেকবে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে সিরিয়া সংঘাতে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থতার জন্য নিরাপত্তা পরিষদের তীব্র সমালোচনা করা হয়। নিরাপত্তা পরিষদের সিরিয়া প্রসঙ্গে তিন দফা প্রস্তাব তোলা হলেও রাশিয়া ও চীনের ভেটোর মুখে তা বাতিল হয়ে যায়।
জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন গত শুক্রবার বলেন, সিরিয়া আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর 'ছায়া যুদ্ধক্ষেত্রে' পরিণত হয়েছে। কেননা প্রত্যেকেই সিরিয়ার কোনো না কোনো পক্ষকে সমর্থন দিচ্ছে। সূত্র : এএফপি, টেলিগ্রাফ, জিনিউজ।
No comments