জীবন জুটিতে সফল যারা
অনেকে মনে করেন শিল্প ও সাংস্কৃতিক জগতে যারা চলাফেরা করেন তাদের চিন্তাচেতনা শুধু কাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। সংসার তাদের কাছে তেমন একটা গুরুত্ব পায়না। তারা ভবঘুরে অথবা উড়নচণ্ডী মানসিকতার হয়ে থাকে। শিল্পবোধ সম্পন্ন মানুষেরা একটু খেয়ালী গোছেরও হয় থাকে।
যাইহোক না কেন আমরা আজ এমন জুটিদের আলোচনা করবো যাদের সংসারের প্রতি দায়বদ্ধতার কোনো কমতি নেই সেইসঙ্গে পেশার ক্ষেত্রেও সফল। সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের উজ্জ্বল সেই দম্পতিদের নিয়ে আজকের আয়োজন।
রুনা লায়লা-আলমগীর: উপমহাদেশের গানের পাখি রুনা লায়লা। পাকিস্তানে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করলেও স্বাধীনতার পরে স্বপরিবারে দেশে চলে আসেন। তারপর থেকে তিনি আমাদের সঙ্গীত ভুবনকে সমৃদ্ধ করে চলেছেন। শিল্পী রুনা লায়লার লাইফ পার্টনার আমাদের সংস্কৃতি জগতের আরেক কিংবদন্তী চিত্রাভিনেতা আলমগীর। রুনা লায়লার জীবনী নিয়ে তৈরি একটি সিনেমার ফ্লোরে দু’জনের ঘনিষ্টতা সৃষ্টি হয়। এর ফলশ্রুতিতে আলমগীর তার দীর্ঘদিনের সংসারের সমাপ্তি ঘটিয়ে রুনা লায়লার সঙ্গে দ্বিতীয়বারের মতো গাঁটছড়া বাধেন। রুনা লায়লার অবশ্য এটি চতুর্থ বিয়ে। এর আগে তিনি খাজা জাভেদ কায়সার. মাইদুল ইসলাম এবং সুইস নাগরিক রন ড্যানিল্যান্ডকে বিয়ে করেন। রুনার তানি লায়লা নামে এক মেয়ে আছে। স্ত্রী খোশনুরের সঙ্গে আরমগীরের ৪ সন্তান আছে।
জাহিদ হাসান-মৌ: একজন অভিনেতা এবং আরেকজন মডেল। দু’জনেই যার যার কর্মক্ষেত্রে খ্যাতি সম্পন্ন। কাজের মাধ্যমেই দ ‘জনের পরিচয় এরপর লুকোচুরি প্রেম। অনেকদিন দু’জনেই নিজেদের প্রেম কাহিনী লুকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। ক্যারিয়ারে শিখরে থাকা অবস্থায় দু’জনে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। এই দম্পতির দু’টি সন্তান আছে। তাদের পারিবারিক জীবন অনেক গোছালো। কোন ধরণের গুজব নেই এই দম্পতির।
মৌসুমী-ওমর সানি: আমাদের দেশের চলচ্চিত্রের মিষ্টি মেয়ে মৌসুমী। চলচ্চিত্রে এসেই নিজের অসাধারণ সৌন্দর্য্য আর অভিনয় ক্ষমতা গুনে তিনি জয় করে নেন মানুষের মন। প্রেমে পড়েন সমসাময়িক অভিনেতা ওমর সানির। ক্যারিয়ারের চূঁড়ায় থাকা অবস্থায় একসময় মৌসুমী-সানি যুগল বিয়ে করেন। তাদের দু’টি সন্তান। ওমর সানি পরবর্তীতে অভিনয় থেকে দূরে সরে ব্যবসাতে মনোনিবেশ করেন। আর মৌসুমী তো এখনো দেশের গ্ল্যামার গার্ল। অভিনয় ছাড়তে চাইলেও অভিনয় তাকে ছাড়েনা। মানুষের ভালবাসায় সিক্ত এই দম্পতি পারিবারিক জীবনেও সফল।
আজিজুল হাকিম-জিনাত হাকিম: অভিনেতা আজিজুল হাকিম দীর্ঘদিন ধরে মিডিয়ার সঙ্গে জড়িত। স্বামীর সঙ্গে থেকে জিনাত নিজেও একসময় চলে এসেছেন লেখালেখির জগতে। তিনি একজন সফল নাট্যকার। এই সুখী দম্পতির নাজাহ্ নামের একটি কন্যা সন্তান আছে।
সুবর্ণা মুস্তাফা- বদরুল আনাম সৌদ: অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফাকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেবার কিছু নেই। ডাকসাইটে অভিনেতা গোলাম মুস্তাফার হাত ধরে থিয়েটারে আসেন। পরে অভিনয়ের প্রেমে পড়ে যান। একাধারে অভিনয় করেছেন ছোট ও বড় পর্দায়। বড় পর্দার সঙ্গে তিনি খুব একটা মানিয়ে চলতে না পারলেও ছোট পর্দায় তার কোন প্রতিদ্বন্দী নেই। অনবদ্য অভিনয় ক্ষমতার অধিকারী সুবর্ণা মুস্তাফা। জনপ্রিয়তার শীর্ষে তার অবস্থান। বিয়ে করেন নান্দনিক অভিনেতা হুমায়ূন ফরিদীকে। দীর্ঘ ২১ বছরের সংসার ভেঙ্গে বিয়ে করেন বয়সে প্রায় ১৫ বছরের ছোট নাট্য পরিচালক বদরুল আনাম সৌদকে। ভীষণ ব্যস্ত এই দম্পতির কাজের মধ্য দিয়েই সময় কেটে যায়।
শহিদুজ্জামান সেলিম-রোজি সিদ্দিকি: অভিনেতা-নাট্যকার-নাট্যনির্মাতা সব পরিচয়েই পরিচিত শহিদুজ্জামান সেলিম। এক কন্যা সন্তান রেখে স্ত্রী মারা গেলে অনেকদিন নিজেই মেয়ের দেখাশুনা করেছেন। এরপর অভিনেত্রী রোজি সিদ্দিকীকে বিয়ে করেন। রোজি সে সময় স্বামী আরিফকে ডিভোর্স দিয়ে একা জীবন যাপন করছিলেন। দু’জনেই খুঁজছিলেন উপযুক্ত কোন মনের মানুষ। অতঃপর দু’জনে বিয়ে করেন। ভীষণ সহমতের সংসার এই দম্পতির। কাজ আর দুই মেয়ে নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত জীবন। সেই সাথে ইর্ষনীয় সফল এক দম্পতি।
সাবিবর-চুমকি: অভিনেতা সাবিবর এবং চুমকি দম্পতি নাট্যজগতের গ্ল্যামারাস জুটি হিসেবে পরিচিত। অভিনয় দিয়েই দু’জন দু’জনের কাছে এসেছেন। অনেকদিন প্রেমের পরিণতি সরূপ বিয়ে করেছেন। এই দম্পতির একটি পূত্র সন্তান আছে। কাজ এবং সংসার সব সামলিয়ে তারা নাট্যাঙ্গনের সফল জুটি।
তাহসান-মিথিলা: মূলত গানের মাধ্যমেই মিথিলার সাথে পরিচয় তাহসানের। এরপর মিথিলা মডেলিং শুরু করেন। ধীরে ধীরে অভিনয়। তাদের দু’জনের মধ্যে প্রেম দানা বাঁধতে থাকে। প্রেম থেকেই পরবর্তীতে তারা বিয়ে করেন। তাহ্সান আমেরিকাতে যান পড়াশুনা করতে, দেশেই থেকে যান মিথিলা। এরপর দেশে ফিরে আবার সংসার আর কাজ। দুর্দান্ত জনপ্রিয় মিষ্টি দম্পতি তাহ্সান-মিথিলা ।
তানিয়া আহমেদ-টুটুল: তানিয়া আহমেদ মডেলিং দিযে ক্যারিয়ার শুরু করেন। অভিনয় তার রক্তের ভেতরে আছে। মামা মাসুদ পারভেজ এবং রুবেল দেশের প্রথম স্থানীয় চিত্রাভিনেতা। সেই সূত্রে নিজেও একসময় অভিনয়ের মধ্যে ঢুকে পড়েন। এরমধ্যেই ভেঙ্গে যায় প্রেম করে বিয়ে করা সংসার। সেই পক্ষে তানিয়ার এক পূত্র সন্তান আছে। প্রাক্তন স্বামী তানিয়াকে তার সন্তান দেননি। ছেলে এখনো তার বাবার কাছেই থাকে। তানিয়া পরে বিয়ে করেন সঙ্গীত শিল্পী টুটুলকে। এই দম্পতির দুইটা পুত্র সন্তান আছে।
অনন্ত জলিল-বর্ষা: ফিল্ম প্রযোজক এবং অভিনেতা অনন্ত জলিল বিয়ে করেন ঢালিউডের সুন্দরী নায়িকা বর্ষাকে। তাদের বিয়েটাও বেশ স্মরণীয়। অনন্ত হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করেন বর্ষাকে। বর্তামানে এই দম্পতি তাদের কাজের জায়গায় চূড়ান্ত সফল। সেই সঙ্গে দেশের কিউট সেলিব্রিটি দম্পতি।
রুনা লায়লা-আলমগীর: উপমহাদেশের গানের পাখি রুনা লায়লা। পাকিস্তানে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করলেও স্বাধীনতার পরে স্বপরিবারে দেশে চলে আসেন। তারপর থেকে তিনি আমাদের সঙ্গীত ভুবনকে সমৃদ্ধ করে চলেছেন। শিল্পী রুনা লায়লার লাইফ পার্টনার আমাদের সংস্কৃতি জগতের আরেক কিংবদন্তী চিত্রাভিনেতা আলমগীর। রুনা লায়লার জীবনী নিয়ে তৈরি একটি সিনেমার ফ্লোরে দু’জনের ঘনিষ্টতা সৃষ্টি হয়। এর ফলশ্রুতিতে আলমগীর তার দীর্ঘদিনের সংসারের সমাপ্তি ঘটিয়ে রুনা লায়লার সঙ্গে দ্বিতীয়বারের মতো গাঁটছড়া বাধেন। রুনা লায়লার অবশ্য এটি চতুর্থ বিয়ে। এর আগে তিনি খাজা জাভেদ কায়সার. মাইদুল ইসলাম এবং সুইস নাগরিক রন ড্যানিল্যান্ডকে বিয়ে করেন। রুনার তানি লায়লা নামে এক মেয়ে আছে। স্ত্রী খোশনুরের সঙ্গে আরমগীরের ৪ সন্তান আছে।
জাহিদ হাসান-মৌ: একজন অভিনেতা এবং আরেকজন মডেল। দু’জনেই যার যার কর্মক্ষেত্রে খ্যাতি সম্পন্ন। কাজের মাধ্যমেই দ ‘জনের পরিচয় এরপর লুকোচুরি প্রেম। অনেকদিন দু’জনেই নিজেদের প্রেম কাহিনী লুকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। ক্যারিয়ারে শিখরে থাকা অবস্থায় দু’জনে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। এই দম্পতির দু’টি সন্তান আছে। তাদের পারিবারিক জীবন অনেক গোছালো। কোন ধরণের গুজব নেই এই দম্পতির।
মৌসুমী-ওমর সানি: আমাদের দেশের চলচ্চিত্রের মিষ্টি মেয়ে মৌসুমী। চলচ্চিত্রে এসেই নিজের অসাধারণ সৌন্দর্য্য আর অভিনয় ক্ষমতা গুনে তিনি জয় করে নেন মানুষের মন। প্রেমে পড়েন সমসাময়িক অভিনেতা ওমর সানির। ক্যারিয়ারের চূঁড়ায় থাকা অবস্থায় একসময় মৌসুমী-সানি যুগল বিয়ে করেন। তাদের দু’টি সন্তান। ওমর সানি পরবর্তীতে অভিনয় থেকে দূরে সরে ব্যবসাতে মনোনিবেশ করেন। আর মৌসুমী তো এখনো দেশের গ্ল্যামার গার্ল। অভিনয় ছাড়তে চাইলেও অভিনয় তাকে ছাড়েনা। মানুষের ভালবাসায় সিক্ত এই দম্পতি পারিবারিক জীবনেও সফল।
আজিজুল হাকিম-জিনাত হাকিম: অভিনেতা আজিজুল হাকিম দীর্ঘদিন ধরে মিডিয়ার সঙ্গে জড়িত। স্বামীর সঙ্গে থেকে জিনাত নিজেও একসময় চলে এসেছেন লেখালেখির জগতে। তিনি একজন সফল নাট্যকার। এই সুখী দম্পতির নাজাহ্ নামের একটি কন্যা সন্তান আছে।
সুবর্ণা মুস্তাফা- বদরুল আনাম সৌদ: অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফাকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেবার কিছু নেই। ডাকসাইটে অভিনেতা গোলাম মুস্তাফার হাত ধরে থিয়েটারে আসেন। পরে অভিনয়ের প্রেমে পড়ে যান। একাধারে অভিনয় করেছেন ছোট ও বড় পর্দায়। বড় পর্দার সঙ্গে তিনি খুব একটা মানিয়ে চলতে না পারলেও ছোট পর্দায় তার কোন প্রতিদ্বন্দী নেই। অনবদ্য অভিনয় ক্ষমতার অধিকারী সুবর্ণা মুস্তাফা। জনপ্রিয়তার শীর্ষে তার অবস্থান। বিয়ে করেন নান্দনিক অভিনেতা হুমায়ূন ফরিদীকে। দীর্ঘ ২১ বছরের সংসার ভেঙ্গে বিয়ে করেন বয়সে প্রায় ১৫ বছরের ছোট নাট্য পরিচালক বদরুল আনাম সৌদকে। ভীষণ ব্যস্ত এই দম্পতির কাজের মধ্য দিয়েই সময় কেটে যায়।
শহিদুজ্জামান সেলিম-রোজি সিদ্দিকি: অভিনেতা-নাট্যকার-নাট্যনির্মাতা সব পরিচয়েই পরিচিত শহিদুজ্জামান সেলিম। এক কন্যা সন্তান রেখে স্ত্রী মারা গেলে অনেকদিন নিজেই মেয়ের দেখাশুনা করেছেন। এরপর অভিনেত্রী রোজি সিদ্দিকীকে বিয়ে করেন। রোজি সে সময় স্বামী আরিফকে ডিভোর্স দিয়ে একা জীবন যাপন করছিলেন। দু’জনেই খুঁজছিলেন উপযুক্ত কোন মনের মানুষ। অতঃপর দু’জনে বিয়ে করেন। ভীষণ সহমতের সংসার এই দম্পতির। কাজ আর দুই মেয়ে নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত জীবন। সেই সাথে ইর্ষনীয় সফল এক দম্পতি।
সাবিবর-চুমকি: অভিনেতা সাবিবর এবং চুমকি দম্পতি নাট্যজগতের গ্ল্যামারাস জুটি হিসেবে পরিচিত। অভিনয় দিয়েই দু’জন দু’জনের কাছে এসেছেন। অনেকদিন প্রেমের পরিণতি সরূপ বিয়ে করেছেন। এই দম্পতির একটি পূত্র সন্তান আছে। কাজ এবং সংসার সব সামলিয়ে তারা নাট্যাঙ্গনের সফল জুটি।
তাহসান-মিথিলা: মূলত গানের মাধ্যমেই মিথিলার সাথে পরিচয় তাহসানের। এরপর মিথিলা মডেলিং শুরু করেন। ধীরে ধীরে অভিনয়। তাদের দু’জনের মধ্যে প্রেম দানা বাঁধতে থাকে। প্রেম থেকেই পরবর্তীতে তারা বিয়ে করেন। তাহ্সান আমেরিকাতে যান পড়াশুনা করতে, দেশেই থেকে যান মিথিলা। এরপর দেশে ফিরে আবার সংসার আর কাজ। দুর্দান্ত জনপ্রিয় মিষ্টি দম্পতি তাহ্সান-মিথিলা ।
তানিয়া আহমেদ-টুটুল: তানিয়া আহমেদ মডেলিং দিযে ক্যারিয়ার শুরু করেন। অভিনয় তার রক্তের ভেতরে আছে। মামা মাসুদ পারভেজ এবং রুবেল দেশের প্রথম স্থানীয় চিত্রাভিনেতা। সেই সূত্রে নিজেও একসময় অভিনয়ের মধ্যে ঢুকে পড়েন। এরমধ্যেই ভেঙ্গে যায় প্রেম করে বিয়ে করা সংসার। সেই পক্ষে তানিয়ার এক পূত্র সন্তান আছে। প্রাক্তন স্বামী তানিয়াকে তার সন্তান দেননি। ছেলে এখনো তার বাবার কাছেই থাকে। তানিয়া পরে বিয়ে করেন সঙ্গীত শিল্পী টুটুলকে। এই দম্পতির দুইটা পুত্র সন্তান আছে।
অনন্ত জলিল-বর্ষা: ফিল্ম প্রযোজক এবং অভিনেতা অনন্ত জলিল বিয়ে করেন ঢালিউডের সুন্দরী নায়িকা বর্ষাকে। তাদের বিয়েটাও বেশ স্মরণীয়। অনন্ত হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করেন বর্ষাকে। বর্তামানে এই দম্পতি তাদের কাজের জায়গায় চূড়ান্ত সফল। সেই সঙ্গে দেশের কিউট সেলিব্রিটি দম্পতি।
No comments