আমানত শাহ্ লুঙ্গি অলিম্পিক আপডেট-হিটে বোল্টের আগে আটজন! by মাসুদ পারভেজ
তাঁর ক্ষেত্রে শুরুটা খারাপ হলেও কোনো সমস্যা নেই। কারণ শেষটা খুব ভালো করতে জানেন! তবু ইনজুরি নিয়ে গুঞ্জন ক্রমেই ডালপালা মেলতে থাকায় এবার কতটা কী করে উঠতে পারবেন, তা নিয়ে সংশয় ছিল। কিন্তু উসাইন বোল্ট ট্র্যাকে নেমে পড়তেই সেসব উধাও। খারাপ শুরুর পর তাঁর শেষটা ভালো করার ক্ষমতাও আবার প্রমাণিত।
এটাও প্রমাণিত যে ইয়োহান ব্লেকের মতো কেউ এসে তাঁর রাজত্বে হানা দেওয়ার হুঙ্কার ছাড়তে পারেন কিংবা টাইসন গে-জাস্টিন গ্যাটলিনরা নিজেদের গতিময় পুরনো দিন ফেরানোর সম্ভাবনা জাগাতে পারেন; কিন্তু জনপ্রিয়তায় বোল্টের ধারেকাছেই কেউ নন। পিএ সিস্টেমে 'বিশ্বের দ্রুততম মানব উসাইন বোল্ট' ঘোষিত হতেই স্ট্র্যাটফোর্ডের অলিম্পিক স্টেডিয়াম যে সমস্বর কলরব তুলল, অন্য কারো ক্ষেত্রে এতটা হলো না। তিনি তখন ১০০ মিটার স্প্রিন্টের চতুর্থ হিট শুরুর অপেক্ষায়। আকাশের দিকে তাকালেন বারদুয়েক। ঈশ্বরকেও স্মরণ করলেন। দৌড়ের শুরুটা ভালো হলো না। কিন্তু যখন শেষ হলো, তখন দেখা গেল লম্বা লম্বা পদক্ষেপে নিজের হিটে অংশ নেওয়া অন্যদের পেছনেই ফেলেছেন।
তবুও দৌড় শেষে তাঁকে নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ থাকলই। বিশেষ করে যখন হিটটা শেষ করতে সময় নিয়েছেন ১০.০৯ সেকেন্ড। যখন ১০০ মিটার স্প্রিন্টের হিটে তাঁর চেয়েও কম সময় নিয়েছেন আটজন; যাঁদের মধ্যে আছেন তাঁরই প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইয়োহান ব্লেক (১০.০০)। ২০০৪-এর অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিন গ্যাটলিন (৯.৯৭) তো ১০ সেকেন্ডেরও কম সময়ে দৌঁড়েছেন। তবে হিটেই এ ইভেন্টের সোনার দাবি জানিয়ে রাখা আরেক মার্কিনি রায়ান বেইলি (৯.৮৮) নিয়েছেন সবচেয়ে কম সময়। অথচ মানবীয় ক্ষমতাকে ৯.৫৮ সেকেন্ডে নামিয়ে আনা বোল্ট কি না পড়ে থাকলেন ব্রিটেনের ডোয়াইন চেম্বার্স, তাঁর দেশেরই আসাফা পাওয়েল এবং এমনকি জাপানের ইয়ামাগাতা রিয়ুতারও পেছনে!
গতির দিক দিয়ে নবম স্থানে থাকায় উদ্বেগ তৈরি হতেই পারে। তা নিয়ে কত জিজ্ঞাসা, কিন্তু দৌড় শেষ করে বোল্ট আর আসেন না। তিনি তখন ট্র্যাক থেকে গ্যালারিতে ওঠার সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে নিমগ্ন। পরের হিট দেখার অপেক্ষা, যাতে অংশ নিয়েছেন ১০ সেকেন্ডের কমে সবচেয়ে বেশিবার ১০০ মিটার স্প্রিন্ট শেষ করা আসাফা পাওয়েল। সেটি দেখেই মিঙ্ড জোনের দিকে এগোলেন। এসে অবশ্য বেশিক্ষণ দাঁড়ালেন না। মিনিট দেড়েক কথা বললেন। আর তাতেই বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন যে, আসল সময় বাজিমাত করে দেওয়ার জন্য তিনি তৈরি। ইনজুরি নিয়ে গুঞ্জনের ভিত্তিও যে নেই, সেটাও বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন, 'খুব ভালো দৌড়াচ্ছি এখন। আমি তাই খুশি।'
কিন্তু শুরুটা যে ভালো হলো না। শুরুতে পা কিছুটা পিছলে গিয়েছিল। সে জন্য স্বস্তির নিঃশ্বাসও ছাড়লেন কিছুটা। কারণ, 'ভাগ্য ভালো যে ঘটনাটা এখানেই (হিটে) ঘটেছে। আমি একটা বাজে পদক্ষেপ ফেলেছিলাম এবং হোঁচটও খেয়েছিলাম।' কিন্তু শুরুর গোলমাল পুষিয়ে দেওয়ার ক্ষমতায় নিজের হিটে সবার আগে থেকেই শেষ করতে পেরেছেন। আজ স্থানীয় সময় ৮টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ১টা) সেমিফাইনালে নামবেন। আর ১০০ মিটার স্প্রিন্টের সেই কাঙ্ক্ষিত ফাইনাল স্থানীয় সময় রাত ৯টা ৫০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ২টা ৫০ মিনিট)। সেমিফাইনালের আগে হিটের সম্মিলিত ফলাফলে অনেকের পেছনে থাকলেও বোল্ট এটাও মনে করিয়ে দিতে চেয়েছেন যে, 'আপনারা সবাই জানেন, শেষ ৫০ মিটার হলো আমার শক্তির জায়গা।'
তাই শুরু খারাপ হলেও তাঁর ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হয় না।
তবুও দৌড় শেষে তাঁকে নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ থাকলই। বিশেষ করে যখন হিটটা শেষ করতে সময় নিয়েছেন ১০.০৯ সেকেন্ড। যখন ১০০ মিটার স্প্রিন্টের হিটে তাঁর চেয়েও কম সময় নিয়েছেন আটজন; যাঁদের মধ্যে আছেন তাঁরই প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইয়োহান ব্লেক (১০.০০)। ২০০৪-এর অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিন গ্যাটলিন (৯.৯৭) তো ১০ সেকেন্ডেরও কম সময়ে দৌঁড়েছেন। তবে হিটেই এ ইভেন্টের সোনার দাবি জানিয়ে রাখা আরেক মার্কিনি রায়ান বেইলি (৯.৮৮) নিয়েছেন সবচেয়ে কম সময়। অথচ মানবীয় ক্ষমতাকে ৯.৫৮ সেকেন্ডে নামিয়ে আনা বোল্ট কি না পড়ে থাকলেন ব্রিটেনের ডোয়াইন চেম্বার্স, তাঁর দেশেরই আসাফা পাওয়েল এবং এমনকি জাপানের ইয়ামাগাতা রিয়ুতারও পেছনে!
গতির দিক দিয়ে নবম স্থানে থাকায় উদ্বেগ তৈরি হতেই পারে। তা নিয়ে কত জিজ্ঞাসা, কিন্তু দৌড় শেষ করে বোল্ট আর আসেন না। তিনি তখন ট্র্যাক থেকে গ্যালারিতে ওঠার সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে নিমগ্ন। পরের হিট দেখার অপেক্ষা, যাতে অংশ নিয়েছেন ১০ সেকেন্ডের কমে সবচেয়ে বেশিবার ১০০ মিটার স্প্রিন্ট শেষ করা আসাফা পাওয়েল। সেটি দেখেই মিঙ্ড জোনের দিকে এগোলেন। এসে অবশ্য বেশিক্ষণ দাঁড়ালেন না। মিনিট দেড়েক কথা বললেন। আর তাতেই বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন যে, আসল সময় বাজিমাত করে দেওয়ার জন্য তিনি তৈরি। ইনজুরি নিয়ে গুঞ্জনের ভিত্তিও যে নেই, সেটাও বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন, 'খুব ভালো দৌড়াচ্ছি এখন। আমি তাই খুশি।'
কিন্তু শুরুটা যে ভালো হলো না। শুরুতে পা কিছুটা পিছলে গিয়েছিল। সে জন্য স্বস্তির নিঃশ্বাসও ছাড়লেন কিছুটা। কারণ, 'ভাগ্য ভালো যে ঘটনাটা এখানেই (হিটে) ঘটেছে। আমি একটা বাজে পদক্ষেপ ফেলেছিলাম এবং হোঁচটও খেয়েছিলাম।' কিন্তু শুরুর গোলমাল পুষিয়ে দেওয়ার ক্ষমতায় নিজের হিটে সবার আগে থেকেই শেষ করতে পেরেছেন। আজ স্থানীয় সময় ৮টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ১টা) সেমিফাইনালে নামবেন। আর ১০০ মিটার স্প্রিন্টের সেই কাঙ্ক্ষিত ফাইনাল স্থানীয় সময় রাত ৯টা ৫০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ২টা ৫০ মিনিট)। সেমিফাইনালের আগে হিটের সম্মিলিত ফলাফলে অনেকের পেছনে থাকলেও বোল্ট এটাও মনে করিয়ে দিতে চেয়েছেন যে, 'আপনারা সবাই জানেন, শেষ ৫০ মিটার হলো আমার শক্তির জায়গা।'
তাই শুরু খারাপ হলেও তাঁর ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হয় না।
No comments