গুরুতর অভিযোগ
গুরুতর এক অভিযোগ উঠেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক সদস্যের বিরুদ্ধে। এক পুলিশ একজন ব্যবসায়ীকে তুলে দিয়েছে খুনীদের হাতে। এ জন্য সে পেয়েছে ১০ লাখ টাকা। গাজীপুরের বহুল আলোচিত মামুন হত্যার ঘটনার ব্যাপারে যে তদন্ত হয়েছে তারই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই অভিযোগ।
তাতেই বলা হয়েছে, ১০ লাখ টাকা নিয়ে ব্যবসায়ীকে খুনীদের হাতে দেয় পুলিশ।
উল্লিখিত হত্যার বিষয়ে তদন্তে যে অভিযোগটি উঠে এসেছে সেটাকে শুধু জঘন্য অপরাধ বললেই সবটুকু বলা হয় না। টাকার জন্য অপরাধীরা ছোট-বড় অনেক অপরাধ করতে পারে এমনকি মানুষ হত্যাও করতে পারে। কিন্তু আইনের রক্ষক পুলিশও যে একই কাজ করতে পারে সেটাই নতুন করে জানা গেল। সম্পদের লালসা, টাকার লোভ কোন কোন মানুষকে অমানুষে পরিণত করে এটা বহুদিন ধরে দেখা যায়। টাকার লোভে পুলিশও যে কী করতে পারে তার প্রমাণ দেখা গেল এ ঘটনায় এবং এজন্য প্রশ্ন ওঠে, পুলিশের নিয়োগের ক্ষেত্রে বা প্রশিক্ষণের সময় কী শিক্ষা দেয়া হয়? কোনটা জরুরী, কোন অপরিহার্য এসব বোঝার জন্য কোন ট্রেনিং লাগে না। শিশুরাও বোঝে এসব। কিন্তু যিনি পুলিশ হিসাবে চাকরিতে নিয়োগ পাচ্ছেন তিনি সামান্যতম তাঁর দায়িত্ব সম্পর্কে কোন শিক্ষা বা জ্ঞান পান না। অবশ্যই পান। তবে সেটা তিনি গ্রহণ করেন না। যাঁরা জেনেও অপরাধের কাজটি করে তারা পুলিশে ঢুকল কি করেÑএটাই হওয়া উচিত প্রথম প্রশ্ন।
এখানে প্রথমেই একটা বিষয় বলে নেয়া দরকার, আমাদের পুলিশ বাহিনীর বিরাট ঐতিহ্য রয়েছে। এই বাহিনীর দায়িত্ববান, সৎ, কর্মী ও কর্তারাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। কিন্তু কিছুসংখ্যক পুলিশের কীর্তিকা- মানুষকে এমন সব দুর্ভোগের মধ্যে ফেলে, এমনসব অপরাধের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়ে যার জন্য পুরো এই বাহিনীর নাম কলঙ্কিত হয়, তাদের দুর্নাম হয়ে যায়।
আজ এক পুলিশ কারও কাছ থেকে ঘুষ খেল। কাল আরেক পুলিশ একজন মানুষকে রক্ষা করার বা আইনগত কোন সুরক্ষার ব্যবস্থা না করে তাকে তুলে দিল খুনীদের হাতেÑএভাবে একের পর এক অপরাধ যদি পুলিশের লোকজন ঘটাতেই থাকে, তাহলে সংখ্যায় তারা গোটা বাহিনীর সদস্যদের তুলনায় অতি নগণ্য সংখ্যকই হোক, দোষ কি গোটা বাহিনীর নামে হয় না?
একটা কথা বার বার বলা হয়, পুলিশ জনগণের বন্ধু। এই বক্তব্যের ব্যাপক প্রতিফলন কোথায়? কোন কোন পুলিশ হয়ে উঠছে অপরাধীদের বন্ধু এবং এতে প্রকারান্তরে সমগ্র পুলিশ বাহিনীর ওপর দোষ চাপাচ্ছে তারা। ওদের কাজকর্মে গোটা বাহিনীর দুর্নাম হয়।
এক পুলিশ সদস্য টাকা খেয়ে খুনীদের হাতে ব্যবসায়ীকে তুলে দিয়েছে বলে জানা গেল। ওই মানসিকতার অন্য কেউ থাকলে আরেকদিন আরেকটি অপরাধ করে বসতে পারে। সুতরাং এসব মানুষ আর দেখতে চায় না। পুলিশ মানেই একটি বিশেষ বাহিনীর সদস্য, যার লক্ষ্য জনগণের বন্ধু হয়ে ওঠা। সেই কাজটাই করতে হবে এখন বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে। দুষ্টের দমন, শিষ্টের পালনÑএটাই যাদের কাজের প্রধান লক্ষ্য তাদের কারোরই বিরুদ্ধে অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ কেউ আর শুনতে চায় না।
উল্লিখিত হত্যার বিষয়ে তদন্তে যে অভিযোগটি উঠে এসেছে সেটাকে শুধু জঘন্য অপরাধ বললেই সবটুকু বলা হয় না। টাকার জন্য অপরাধীরা ছোট-বড় অনেক অপরাধ করতে পারে এমনকি মানুষ হত্যাও করতে পারে। কিন্তু আইনের রক্ষক পুলিশও যে একই কাজ করতে পারে সেটাই নতুন করে জানা গেল। সম্পদের লালসা, টাকার লোভ কোন কোন মানুষকে অমানুষে পরিণত করে এটা বহুদিন ধরে দেখা যায়। টাকার লোভে পুলিশও যে কী করতে পারে তার প্রমাণ দেখা গেল এ ঘটনায় এবং এজন্য প্রশ্ন ওঠে, পুলিশের নিয়োগের ক্ষেত্রে বা প্রশিক্ষণের সময় কী শিক্ষা দেয়া হয়? কোনটা জরুরী, কোন অপরিহার্য এসব বোঝার জন্য কোন ট্রেনিং লাগে না। শিশুরাও বোঝে এসব। কিন্তু যিনি পুলিশ হিসাবে চাকরিতে নিয়োগ পাচ্ছেন তিনি সামান্যতম তাঁর দায়িত্ব সম্পর্কে কোন শিক্ষা বা জ্ঞান পান না। অবশ্যই পান। তবে সেটা তিনি গ্রহণ করেন না। যাঁরা জেনেও অপরাধের কাজটি করে তারা পুলিশে ঢুকল কি করেÑএটাই হওয়া উচিত প্রথম প্রশ্ন।
এখানে প্রথমেই একটা বিষয় বলে নেয়া দরকার, আমাদের পুলিশ বাহিনীর বিরাট ঐতিহ্য রয়েছে। এই বাহিনীর দায়িত্ববান, সৎ, কর্মী ও কর্তারাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। কিন্তু কিছুসংখ্যক পুলিশের কীর্তিকা- মানুষকে এমন সব দুর্ভোগের মধ্যে ফেলে, এমনসব অপরাধের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়ে যার জন্য পুরো এই বাহিনীর নাম কলঙ্কিত হয়, তাদের দুর্নাম হয়ে যায়।
আজ এক পুলিশ কারও কাছ থেকে ঘুষ খেল। কাল আরেক পুলিশ একজন মানুষকে রক্ষা করার বা আইনগত কোন সুরক্ষার ব্যবস্থা না করে তাকে তুলে দিল খুনীদের হাতেÑএভাবে একের পর এক অপরাধ যদি পুলিশের লোকজন ঘটাতেই থাকে, তাহলে সংখ্যায় তারা গোটা বাহিনীর সদস্যদের তুলনায় অতি নগণ্য সংখ্যকই হোক, দোষ কি গোটা বাহিনীর নামে হয় না?
একটা কথা বার বার বলা হয়, পুলিশ জনগণের বন্ধু। এই বক্তব্যের ব্যাপক প্রতিফলন কোথায়? কোন কোন পুলিশ হয়ে উঠছে অপরাধীদের বন্ধু এবং এতে প্রকারান্তরে সমগ্র পুলিশ বাহিনীর ওপর দোষ চাপাচ্ছে তারা। ওদের কাজকর্মে গোটা বাহিনীর দুর্নাম হয়।
এক পুলিশ সদস্য টাকা খেয়ে খুনীদের হাতে ব্যবসায়ীকে তুলে দিয়েছে বলে জানা গেল। ওই মানসিকতার অন্য কেউ থাকলে আরেকদিন আরেকটি অপরাধ করে বসতে পারে। সুতরাং এসব মানুষ আর দেখতে চায় না। পুলিশ মানেই একটি বিশেষ বাহিনীর সদস্য, যার লক্ষ্য জনগণের বন্ধু হয়ে ওঠা। সেই কাজটাই করতে হবে এখন বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে। দুষ্টের দমন, শিষ্টের পালনÑএটাই যাদের কাজের প্রধান লক্ষ্য তাদের কারোরই বিরুদ্ধে অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ কেউ আর শুনতে চায় না।
No comments