গ্রামীণ ব্যাংক প্রসঙ্গে ড. কামাল- অধ্যাদেশের সংশোধনী সম্পর্কে গণশুনানির আয়োজন করুন
গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশের সংশোধনী প্রস্তাব সম্পর্কে একটি গণশুনানির প্রস্তাব করেছেন বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ড. কামাল হোসেন। গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি এ প্রস্তাব করেন। বিবৃতিতে ড. কামাল হোসেন সংশোধনী প্রস্তাবের তীব্র সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের পথ কেন বেছে নেওয়া হয়েছে, তা সরকারের কাছে জানতে চাওয়ার সময় এসেছে দেশের সব সচেতন নাগরিকের।
ড. কামাল হোসেন বলেন, নির্বাহী বিভাগের এ ধরনের স্বেচ্ছাচারী উদ্যোগে সাংসদেরা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতে পারেন না। জাতীয় সংসদকে এ নিয়ে একটি বিতর্কের সুযোগ দেওয়া উচিত। সংসদীয় কমিটির উচিত প্রস্তাবিত সংশোধনীর প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে গণশুনানির আয়োজন করা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি নিয়োগে বোর্ড সদস্যদের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করে ব্যাংকটির ওপর রাজনৈতিক ও আমলাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার মতো উদ্যোগ জনস্বার্থের বিপক্ষে।
বিবৃতিতে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘আমাদের প্রশ্ন করা প্রয়োজন, কেন গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর প্রাতিষ্ঠানিক ও ড. ইউনূসের ওপর ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হলো?’ প্রবীণ এই আইনজ্ঞ আরও বলেন, যখন শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, রেল মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, পদ্মা সেতু প্রকল্পসহ বেশ কিছু তদন্ত সম্পর্কে কোনো উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না, তখন সরকার এককভাবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংককে লক্ষ্যবস্তু করেছে।...গ্রামীণ ব্যাংক ও এর প্রতিষ্ঠাতার মর্যাদাহানি করার উদ্যোগ শুধু দেশের মযার্দাই ক্ষুণ্ন করবে। এ ব্যাপারে নাগরিকদের সোচ্চার হতে হবে।
জাপা ও জেএসডির সমালোচনা: গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে ‘অনভিপ্রেত পরিস্থিতি’ সৃষ্টির অভিযোগ করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
এরশাদ সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংক যেভাবে চলে এসেছে, সেভাবেই চলতে দিন। ড. ইউনূসের মতো ব্যক্তিকে নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করে বিশ্ববাসীর কাছে নিজেদের খাটো করবেন না।’
এদিকে গতকাল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) কার্যকরী কমিটির জরুরি সভার প্রস্তাবে গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর ‘সরকারি কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টার’ নিন্দা করা হয়েছে।
প্রস্তাবে বলা হয়, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে সরকারের প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ এবং গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর সরকারি কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টার ফলে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সভায় গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যাপারে সরকারের ‘নেতিবাচক সিদ্ধান্ত’ পরিবর্তনের দাবি জানানো হয়।
ড. কামাল হোসেন বলেন, নির্বাহী বিভাগের এ ধরনের স্বেচ্ছাচারী উদ্যোগে সাংসদেরা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতে পারেন না। জাতীয় সংসদকে এ নিয়ে একটি বিতর্কের সুযোগ দেওয়া উচিত। সংসদীয় কমিটির উচিত প্রস্তাবিত সংশোধনীর প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে গণশুনানির আয়োজন করা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি নিয়োগে বোর্ড সদস্যদের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করে ব্যাংকটির ওপর রাজনৈতিক ও আমলাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার মতো উদ্যোগ জনস্বার্থের বিপক্ষে।
বিবৃতিতে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘আমাদের প্রশ্ন করা প্রয়োজন, কেন গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর প্রাতিষ্ঠানিক ও ড. ইউনূসের ওপর ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হলো?’ প্রবীণ এই আইনজ্ঞ আরও বলেন, যখন শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, রেল মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, পদ্মা সেতু প্রকল্পসহ বেশ কিছু তদন্ত সম্পর্কে কোনো উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না, তখন সরকার এককভাবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংককে লক্ষ্যবস্তু করেছে।...গ্রামীণ ব্যাংক ও এর প্রতিষ্ঠাতার মর্যাদাহানি করার উদ্যোগ শুধু দেশের মযার্দাই ক্ষুণ্ন করবে। এ ব্যাপারে নাগরিকদের সোচ্চার হতে হবে।
জাপা ও জেএসডির সমালোচনা: গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে ‘অনভিপ্রেত পরিস্থিতি’ সৃষ্টির অভিযোগ করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
এরশাদ সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংক যেভাবে চলে এসেছে, সেভাবেই চলতে দিন। ড. ইউনূসের মতো ব্যক্তিকে নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করে বিশ্ববাসীর কাছে নিজেদের খাটো করবেন না।’
এদিকে গতকাল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) কার্যকরী কমিটির জরুরি সভার প্রস্তাবে গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর ‘সরকারি কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টার’ নিন্দা করা হয়েছে।
প্রস্তাবে বলা হয়, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে সরকারের প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ এবং গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর সরকারি কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টার ফলে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সভায় গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যাপারে সরকারের ‘নেতিবাচক সিদ্ধান্ত’ পরিবর্তনের দাবি জানানো হয়।
No comments