এই আদেশ জনপ্রশাসনে সুফল আনবে না- সচিবালয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
৪২ জন সাবেক আমলার সচিবালয়ে প্রবেশের ওপর সরকার যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তা আমাদের জনপ্রশাসনের ভেতরকার নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা ও ভঙ্গুর অবস্থার কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। সরকারের এই সিদ্ধান্ত অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
মেয়াদের সাড়ে তিন বছরের মাথায় এসে সরকারকে এমন সিদ্ধান্ত কেন নিতে হলো? তাহলে কি আমরা ধরে নেব, জনপ্রশাসনের ওপর সরকারের কর্তৃত্ব নেই? তা না হলে সাবেক আমলাদের এমন ভয় কেন?
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু নিষেধাজ্ঞার পক্ষে যুক্তি দাঁড় করাতে গিয়ে বলেছেন, সদ্য প্রতিষ্ঠিত রিটায়ার্ড সিভিল সার্ভিস ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা প্রশাসনের ভেতর বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তাঁদের সেই অপপ্রয়াস বন্ধ করতেই ৪২ জন সাবেক আমলার সচিবালয়ে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, যেকোনো নাগরিকের জনশৃঙ্খলার স্বার্থে ‘আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসংগত বাধানিষেধ সাপেক্ষে’ সংগঠন করার ও অবাধ চলাচলের অধিকার আছে। সে ক্ষেত্রে জনপ্রশাসনের সাবেক কর্মকর্তাদের সংগঠন করতে বাধা নেই। সচিবালয় সরকারের একটি সংরক্ষিত এলাকা। এখানে প্রবেশের ক্ষেত্রে সাবেক আমলাদের যে প্রাধিকার আছে, তা রহিত করা সমীচীন হবে না। কারও বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে সরকার আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে, তাঁর প্রবেশাধিকারের ছাড়পত্র বাতিলও করতে পারে। কিন্তু গয়রহ নিষেধাজ্ঞা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আগে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা সেনানিবাসে জারি হতো। এখন সেটি সচিবালয়ে সংক্রমিত হওয়া খুবই উদ্বেগের বিষয়। এই আদেশ প্রশাসনে কোনো সুফল বয়ে আনবে না, বরং একধরনের অস্থিরতা তৈরি করবে।
কোনো রাজনৈতিক দল বা আদর্শের সমর্থক—এই চিন্তা থেকে কারও ওপর সচিবালয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থী। তবে সাবেক আমলা হিসেবে যদি কেউ প্রশাসনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেন, সেটিও প্রত্যাশিত নয়।
ইতিমধ্যে জনপ্রশাসনের অনেক ক্ষতি হয়েছে। পূর্বাপর সরকারগুলো রাজনৈতিক স্বার্থে প্রশাসনকে ব্যবহার করেছে, এখনো করছে, যা কেবল প্রশাসনের দক্ষতাই খর্ব করেনি, জনগণকে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত করেছে।
অবিলম্বে প্রশাসনের ভেতরে দলীয়করণ, আত্মীয়করণ যেমন বন্ধ হওয়া প্রয়োজন, তেমনি বাইরে থেকে একে প্রভাবিত করার অপপ্রয়াস রোধ করতে হবে। সব ধরনের ভয়ভীতি ও প্রলোভনের ঊর্ধ্বে রেখে জনপ্রশাসনকে এর নিজস্ব নিয়মেই চলতে দিতে হবে। জনপ্রশাসনের কর্মকর্তারা কোনো দলের নন, তাঁরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী—সংশ্লিষ্ট সবাই এই কথাগুলো মনে রাখলে জনপ্রশাসন বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পাবে।
একই সঙ্গে আমরা এও মনে করি, রিটায়ার্ড সিভিল সার্ভিস ফাউন্ডেশন কর্মকর্তাদের নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করা উচিত। যদি তাঁরা দলীয় রাজনীতিই করবেন, তাহলে তা প্রকাশ্যে করাই ভালো। অন্যথায় ‘উত্তরা ষড়যন্ত্রের’ পুনরাবৃত্তি হওয়ার আশঙ্কাই বেশি।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু নিষেধাজ্ঞার পক্ষে যুক্তি দাঁড় করাতে গিয়ে বলেছেন, সদ্য প্রতিষ্ঠিত রিটায়ার্ড সিভিল সার্ভিস ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা প্রশাসনের ভেতর বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তাঁদের সেই অপপ্রয়াস বন্ধ করতেই ৪২ জন সাবেক আমলার সচিবালয়ে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, যেকোনো নাগরিকের জনশৃঙ্খলার স্বার্থে ‘আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসংগত বাধানিষেধ সাপেক্ষে’ সংগঠন করার ও অবাধ চলাচলের অধিকার আছে। সে ক্ষেত্রে জনপ্রশাসনের সাবেক কর্মকর্তাদের সংগঠন করতে বাধা নেই। সচিবালয় সরকারের একটি সংরক্ষিত এলাকা। এখানে প্রবেশের ক্ষেত্রে সাবেক আমলাদের যে প্রাধিকার আছে, তা রহিত করা সমীচীন হবে না। কারও বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে সরকার আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে, তাঁর প্রবেশাধিকারের ছাড়পত্র বাতিলও করতে পারে। কিন্তু গয়রহ নিষেধাজ্ঞা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আগে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা সেনানিবাসে জারি হতো। এখন সেটি সচিবালয়ে সংক্রমিত হওয়া খুবই উদ্বেগের বিষয়। এই আদেশ প্রশাসনে কোনো সুফল বয়ে আনবে না, বরং একধরনের অস্থিরতা তৈরি করবে।
কোনো রাজনৈতিক দল বা আদর্শের সমর্থক—এই চিন্তা থেকে কারও ওপর সচিবালয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থী। তবে সাবেক আমলা হিসেবে যদি কেউ প্রশাসনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেন, সেটিও প্রত্যাশিত নয়।
ইতিমধ্যে জনপ্রশাসনের অনেক ক্ষতি হয়েছে। পূর্বাপর সরকারগুলো রাজনৈতিক স্বার্থে প্রশাসনকে ব্যবহার করেছে, এখনো করছে, যা কেবল প্রশাসনের দক্ষতাই খর্ব করেনি, জনগণকে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত করেছে।
অবিলম্বে প্রশাসনের ভেতরে দলীয়করণ, আত্মীয়করণ যেমন বন্ধ হওয়া প্রয়োজন, তেমনি বাইরে থেকে একে প্রভাবিত করার অপপ্রয়াস রোধ করতে হবে। সব ধরনের ভয়ভীতি ও প্রলোভনের ঊর্ধ্বে রেখে জনপ্রশাসনকে এর নিজস্ব নিয়মেই চলতে দিতে হবে। জনপ্রশাসনের কর্মকর্তারা কোনো দলের নন, তাঁরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী—সংশ্লিষ্ট সবাই এই কথাগুলো মনে রাখলে জনপ্রশাসন বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পাবে।
একই সঙ্গে আমরা এও মনে করি, রিটায়ার্ড সিভিল সার্ভিস ফাউন্ডেশন কর্মকর্তাদের নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করা উচিত। যদি তাঁরা দলীয় রাজনীতিই করবেন, তাহলে তা প্রকাশ্যে করাই ভালো। অন্যথায় ‘উত্তরা ষড়যন্ত্রের’ পুনরাবৃত্তি হওয়ার আশঙ্কাই বেশি।
No comments