যানজট কমাতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেল by অভিজিৎ ভট্টাচার্য্য
পবিত্র রমজান মাসে যানজট কমানোর জন্য সারা দেশের নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয় গতকাল শনিবার থেকে বন্ধ হয়ে গেল। গত ২ আগস্ট এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড পরিপত্র জারি করে।
এর আগে গত ২৬ জুলাই পরীক্ষা স্থগিত করে সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ করে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই আদেশের ফলে গতকাল থেকে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ও বন্ধ রয়েছে। ফলে গতকাল মৌলভীবাজারের বড়লেখা, কুলাউড়া ও জুড়ী উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষা হয়নি। পরীক্ষাগুলো ঈদের পর নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অফিস। শিক্ষার্থীরা এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, ২৩ জুলাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে জানান, ঢাকাসহ সারা দেশের যানজট নিরসনে রমজান মাসের ১৫ তারিখ থেকে দেশের সব স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করতে হবে। এ অবস্থায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় চিঠিটি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে পাঠায়। এরপর এক বৈঠকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত হয় এবং গত ২ আগস্ট ঢাকা শিক্ষা বোর্ড এ বিষয়ে পরিপত্র জারি করে।
পরিপত্রে বলা হয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হলো। নির্দেশটি ইতিমধ্যে সব জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং সব বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যায় যোগাযোগ করা হলে রাজধানীর বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মেরিনা জাহান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সরকারি আদেশের কারণে আজ শনিবার থেকে প্রতিষ্ঠানে ক্লাস বন্ধ রয়েছে।' ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মঞ্জুয়ারা বেগম বলেছেন, গতকাল থেকেই ছুটি দেওয়া হয়েছে। একই কথা বলেছেন রাজধানীর অন্য কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরাও। কালের কণ্ঠের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক জানিয়েছেন, গতকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রুটিন অনুযায়ী গতকাল তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান বিষয়ের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের কারণে পরীক্ষা না নিয়ে বিদ্যালয় ছুটি দেওয়া হয়।
কালের কণ্ঠের বড়লেখা প্রতিনিধি লিটন শরীফ জানান, হঠাৎ করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছুটি দেওয়ার কারণে মৌলভীবাজারের বড়লেখা, কুলাউড়া এবং জুড়ী উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারেনি।
বড়লেখা উপজেলার সিংহগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী অয়ন দে বলে, 'স্কুলে এসে শুনি পরীক্ষা হবে না। স্কুল বন্ধ।' সুরজিৎ দে পান্না নামের একজন অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, 'হঠাৎ করে পরীক্ষা বন্ধ করায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা অনেক হতাশ হয়েছে।'
বড়লেখা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জামাল আহমদ জানান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের কারণে বিদ্যালয় বন্ধ করা হয়েছে। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী স্থগিত পরীক্ষা নেওয়া হবে।
জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী ডা. মো. আফছারুল আমীন এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে প্রস্তাবনা পাওয়ার পর নতুন ছুটির তালিকা অনুমোদন করা হয়েছে।
জানা গেছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় গত ২২ ডিসেম্বর চলতি বছর ৭৫ দিন বন্ধ দিয়ে ছুটির বর্ষপঞ্জি ঘোষণা করে। এতে বলা হয়, ৭ আগস্ট থেকে ২০ দিনের জন্য রমজানের বন্ধ শুরু হবে। আর দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা ২৮ জুলাই থেকে ৬ আগস্টের মধ্যে নিতে হবে। এ পর্যন্ত সবই ঠিক ছিল। ২৬ জুলাই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আরেক আদেশে বলা হয়, চলতি শিক্ষাবর্ষে সব ধরনের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুমোদিত ছুটির তালিকায় আরো ১০ দিন যুক্ত করা হলো। এই ১০ দিন ছুটি তিন ধাপে কার্যকর হবে। এর ফলে ৪ থেকে ৬ আগস্ট তিন দিন, ২০ সেপ্টেম্বর এক দিন এবং নভেম্বরে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার সময় ছয় দিন বন্ধ থাকবে। তবে ছুটির দিনে সরকারি কোনো দায়িত্ব থাকলে তা পালন করতে হবে।
নতুন আদেশের ফলে ৪ আগস্ট থেকে রমজানের বন্ধ শুরু হয়। এতে রমজানে মোট ২৩ দিনের বন্ধ পাচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়। কিন্তু দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা এ সময় কিভাবে নেওয়া হবে সে বিষয়ে নতুন আদেশে কোনো কিছুই উল্লেখ করা হয়নি।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, ২৩ জুলাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে জানান, ঢাকাসহ সারা দেশের যানজট নিরসনে রমজান মাসের ১৫ তারিখ থেকে দেশের সব স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করতে হবে। এ অবস্থায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় চিঠিটি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে পাঠায়। এরপর এক বৈঠকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত হয় এবং গত ২ আগস্ট ঢাকা শিক্ষা বোর্ড এ বিষয়ে পরিপত্র জারি করে।
পরিপত্রে বলা হয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হলো। নির্দেশটি ইতিমধ্যে সব জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং সব বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যায় যোগাযোগ করা হলে রাজধানীর বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মেরিনা জাহান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সরকারি আদেশের কারণে আজ শনিবার থেকে প্রতিষ্ঠানে ক্লাস বন্ধ রয়েছে।' ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মঞ্জুয়ারা বেগম বলেছেন, গতকাল থেকেই ছুটি দেওয়া হয়েছে। একই কথা বলেছেন রাজধানীর অন্য কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরাও। কালের কণ্ঠের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক জানিয়েছেন, গতকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রুটিন অনুযায়ী গতকাল তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান বিষয়ের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের কারণে পরীক্ষা না নিয়ে বিদ্যালয় ছুটি দেওয়া হয়।
কালের কণ্ঠের বড়লেখা প্রতিনিধি লিটন শরীফ জানান, হঠাৎ করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছুটি দেওয়ার কারণে মৌলভীবাজারের বড়লেখা, কুলাউড়া এবং জুড়ী উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারেনি।
বড়লেখা উপজেলার সিংহগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী অয়ন দে বলে, 'স্কুলে এসে শুনি পরীক্ষা হবে না। স্কুল বন্ধ।' সুরজিৎ দে পান্না নামের একজন অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, 'হঠাৎ করে পরীক্ষা বন্ধ করায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা অনেক হতাশ হয়েছে।'
বড়লেখা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জামাল আহমদ জানান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের কারণে বিদ্যালয় বন্ধ করা হয়েছে। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী স্থগিত পরীক্ষা নেওয়া হবে।
জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী ডা. মো. আফছারুল আমীন এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে প্রস্তাবনা পাওয়ার পর নতুন ছুটির তালিকা অনুমোদন করা হয়েছে।
জানা গেছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় গত ২২ ডিসেম্বর চলতি বছর ৭৫ দিন বন্ধ দিয়ে ছুটির বর্ষপঞ্জি ঘোষণা করে। এতে বলা হয়, ৭ আগস্ট থেকে ২০ দিনের জন্য রমজানের বন্ধ শুরু হবে। আর দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা ২৮ জুলাই থেকে ৬ আগস্টের মধ্যে নিতে হবে। এ পর্যন্ত সবই ঠিক ছিল। ২৬ জুলাই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আরেক আদেশে বলা হয়, চলতি শিক্ষাবর্ষে সব ধরনের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুমোদিত ছুটির তালিকায় আরো ১০ দিন যুক্ত করা হলো। এই ১০ দিন ছুটি তিন ধাপে কার্যকর হবে। এর ফলে ৪ থেকে ৬ আগস্ট তিন দিন, ২০ সেপ্টেম্বর এক দিন এবং নভেম্বরে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার সময় ছয় দিন বন্ধ থাকবে। তবে ছুটির দিনে সরকারি কোনো দায়িত্ব থাকলে তা পালন করতে হবে।
নতুন আদেশের ফলে ৪ আগস্ট থেকে রমজানের বন্ধ শুরু হয়। এতে রমজানে মোট ২৩ দিনের বন্ধ পাচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়। কিন্তু দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা এ সময় কিভাবে নেওয়া হবে সে বিষয়ে নতুন আদেশে কোনো কিছুই উল্লেখ করা হয়নি।
No comments