অদম্য বাংলা
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নির্মিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ভাস্কর্য। বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ১৫৬তম সভায় এ ভাস্কর্যের নামকরণ করা হয়েছে ‘অদম্য বাংলা’। শিগগিরই এ ভাস্কর্যটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশিষ্ট শিল্পী গোপাল চন্দ্র পাল ভাস্কর্যটির নির্মাণ কাজ সম্প্রতি শেষ করেছেন। আধুনিক দৃষ্টিনন্দন ২৩ ফুট উচ্চতার মুক্তিযুদ্ধের এ ভাস্কর্যটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৪২ লাখ টাকা। ভাস্কর্যটির মূল অংশে স্থাপিত হয়েছে একজন নারীসহ বলিষ্ঠ ও তেজোদীপ্ত চার মুক্তিযোদ্ধার প্রতিকৃতি। যা বাঙালী জাতির শৌর্য-বীর্যের মূর্ত প্রতীক। ভাস্কর্যটি মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতাকামী মানুষের তথা নারী-পুরুষের সক্রিয় অংশগ্রহণের সম্মিলিত ভূমিকার প্রতিচ্ছবি হিসেবে প্রতিফলিত হয়েছে। বেদির চারদিকের ম্যুরালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ, জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতি, বধ্যভূমির বর্বরতা ও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের চিত্র পোড়া মাটির ফলকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জানা যায়, ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি ভাস্কর্যটি নির্মাণের লক্ষ্যে সাত সদস্য বিশিষ্ট ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য নির্মাণ কমিটি’ গঠন করা হয়। কমিটির সভাপতি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. সাইফুদ্দিন শাহ্। সদস্য ছিলেন যথাক্রমে তৎকালীন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. পূর্ণেন্দু গাইন, চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. আফরোজা পারভীন, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক মোল্লা মোহম্মদ শফিকুর রহমান, চারুকলা ইনস্টিটিউটের প্রভাষক শেখ সাদী ভূঞা, উপ-প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এবং সদস্য-সচিব ছিলেন স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের প্রধান গৌরী শংকর রায়। এ সময় স্মারক ভাস্কর্যের মডেল জমাদানের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়।
মোট ১৬টি ভাস্কর্যের মডেল জমা পড়ে। চূড়ান্ত মডেল নির্বাচনের লক্ষ্যে ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি জুরি বোর্ড গঠন করা হয়। জুরি বোর্ডের সভাপতি ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক কামাল লোহানী। সদস্য ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের প্রাক্তন অধ্যাপক হাশেম খান, একই অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগের প্রধান অধ্যাপক হামিদুজ্জামান খান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের ভাস্কর্য বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মোস্তফা শরীফ আনোয়ার। এ কমিটির সদস্য-সচিব ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. আফরোজা পারভীন। জুরি বোর্ড একাধিক বৈঠক শেষে শিল্পী গোপাল চন্দ্র পালের মডেলটিকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করে। ২০১১ সালে ৩৯ লাখ টাকা ব্যয় সাপেক্ষে এর নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং ২০১২ সালের জানুয়ারিতে তা শেষ হয়। তবে শেষ পর্যন্ত নির্মাণ ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৪২ লাখ টাকা।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. সাইফুদ্দিন শাহ জানান, ভাস্কর্যটি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাথা প্রকাশ করছে। অনাগত দিনে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আগত শিক্ষার্থী ছাড়াও নতুন প্রজন্মকে স্মরণ করিয়ে দেবে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অহঙ্কার ও গৌরব। প্রেরণা জোগাবে দেশাত্মবোধের। তারা উজ্জীবিত হবে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা ও আদর্শে। ক্যাম্পাসে নির্মিত আধুনিক দৃষ্টিনন্দন ২৩ ফুট উচ্চতার এই মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্যটি এখন বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি দর্শনীয় স্থাপনা হয়েছে।
শাহনেওয়াজ খান সুমন
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জানা যায়, ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি ভাস্কর্যটি নির্মাণের লক্ষ্যে সাত সদস্য বিশিষ্ট ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য নির্মাণ কমিটি’ গঠন করা হয়। কমিটির সভাপতি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. সাইফুদ্দিন শাহ্। সদস্য ছিলেন যথাক্রমে তৎকালীন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. পূর্ণেন্দু গাইন, চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. আফরোজা পারভীন, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক মোল্লা মোহম্মদ শফিকুর রহমান, চারুকলা ইনস্টিটিউটের প্রভাষক শেখ সাদী ভূঞা, উপ-প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এবং সদস্য-সচিব ছিলেন স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের প্রধান গৌরী শংকর রায়। এ সময় স্মারক ভাস্কর্যের মডেল জমাদানের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়।
মোট ১৬টি ভাস্কর্যের মডেল জমা পড়ে। চূড়ান্ত মডেল নির্বাচনের লক্ষ্যে ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি জুরি বোর্ড গঠন করা হয়। জুরি বোর্ডের সভাপতি ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক কামাল লোহানী। সদস্য ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের প্রাক্তন অধ্যাপক হাশেম খান, একই অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগের প্রধান অধ্যাপক হামিদুজ্জামান খান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের ভাস্কর্য বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মোস্তফা শরীফ আনোয়ার। এ কমিটির সদস্য-সচিব ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. আফরোজা পারভীন। জুরি বোর্ড একাধিক বৈঠক শেষে শিল্পী গোপাল চন্দ্র পালের মডেলটিকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করে। ২০১১ সালে ৩৯ লাখ টাকা ব্যয় সাপেক্ষে এর নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং ২০১২ সালের জানুয়ারিতে তা শেষ হয়। তবে শেষ পর্যন্ত নির্মাণ ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৪২ লাখ টাকা।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. সাইফুদ্দিন শাহ জানান, ভাস্কর্যটি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাথা প্রকাশ করছে। অনাগত দিনে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আগত শিক্ষার্থী ছাড়াও নতুন প্রজন্মকে স্মরণ করিয়ে দেবে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অহঙ্কার ও গৌরব। প্রেরণা জোগাবে দেশাত্মবোধের। তারা উজ্জীবিত হবে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা ও আদর্শে। ক্যাম্পাসে নির্মিত আধুনিক দৃষ্টিনন্দন ২৩ ফুট উচ্চতার এই মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্যটি এখন বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি দর্শনীয় স্থাপনা হয়েছে।
শাহনেওয়াজ খান সুমন
No comments