১৪, ১৫ ও ১৬ তারিখের বাসের টিকিট নেই by মোছাব্বের হোসেন
ঢাকা থেকে দূরপাল্লার বাসের ১৪, ১৫, ১৬ আগস্টের টিকিট পাচ্ছেন না যাত্রীরা। কাউন্টার থেকে বলা হচ্ছে, টিকিট বিক্রি শেষ; তবে কালোবাজারে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। গতকাল শনিবার ঢাকার গাবতলী, শ্যামলী, টেকনিক্যাল, কল্যাণপুরসহ বেশ কয়েকটি স্থানের বাস কাউন্টারে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন রুটের ১৪, ১৫ ও ১৬ তারিখের টিকিট শেষ। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের বাসের টিকিট মিলছেই না।
এবারে ১৫ আগস্ট থেকে ঈদের ছুটি শুরু হচ্ছে, তাই অনেকেই ১৪ তারিখ রাতে ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছেন। কাউন্টারগুলোতে কথা বলে জানা গেছে, ১৪ আগস্টের টিকিটের চাপ সবচেয়ে বেশি। যাঁরা এই দিনে যেতে পারছেন না, তাঁরা ১৫ বা ১৬ তারিখের টিকিট খুঁজছেন।
এবারও বাসের ভাড়া বেশি নিচ্ছেন মালিকেরা। বছরের অন্য সময় ঢাকা-খুলনা রুটে শীতাতপ বাসের ভাড়া ৯০০ টাকা, এখন নেওয়া হচ্ছে এক হাজার ১০০ টাকা। সাধারণ বাসের ভাড়া ৪৭০ থেকে ৫০০ টাকা, এখন নেওয়া হচ্ছে ৬০০ টাকা। বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী রুটেও। লালমনিরহাটের ভাড়া ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা। ঈদ উপলক্ষে নেওয়া হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা। নীলফামারীর ভাড়া ৭০০ টাকা, ছিল ৬০০ টাকা।
বাড়তি ভাড়ার ব্যাপারে সোহাগ পরিবহনের গাবতলী কাউন্টার ব্যবস্থাপক মাইন উদ্দিন বলেন, ঈদের দিনগুলোতে ঢাকায় ফেরার সময় যাত্রী পাওয়া যাবে না, প্রতিটি বাস খালি আসবে। তাই যাওয়ার টিকিটের দাম কিছুটা বেশি রাখা হচ্ছে।
কল্যাণপুরে বিভিন্ন বাস কাউন্টারে চার বন্ধু দিনাজপুর যাওয়ার টিকিট খুঁজছিলেন। এঁদের একজন রুদ্র সাহা বলেন, ‘১৪ বা ১৫ তারিখের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। শুনছি, টিকিট নাকি কালোবাজারিদের হাতে। বেশি টাকা দিলে পাওয়া যাচ্ছে।’
কাউন্টারে না পেলেও এর আশপাশে বেশি টাকায় টিকিট মিলছে। গতকাল শনিবার এই প্রতিবেদক হানিফ কাউন্টারে ১৪ আগস্টের রংপুরের টিকিট পাননি। কাউন্টারের পাশে থাকা কয়েকজন ব্যক্তি প্রতিবেদকের কাছে গন্তব্য জানতে চান। একজন জানতে চান টিকিটের সংখ্যা। একটি টিকিটের দাম জানতে চাইলে একজন বলেন, এক হাজার টাকা।
হানিফ পরিবহনের মহাব্যবস্থাপক আবদুস সামাদ প্রথম আলোকে জানান, কালোবাজারে টিকিট বিক্রির অভিযোগ সত্য নয়। বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত দামে টিকিট বিক্রি হচ্ছে।
দেখা গেছে, ১৭ ও ১৮ তারিখের টিকিটের চাহিদা তুলনামূলকভাবে কম। রংপুর, লালমনিরহাট ও বুড়িমারীগামী শুভ বসুন্ধরা বাসের ব্যবস্থাপক রফিক মিয়া বলেন, ১৭ ও ১৬ তারিখের কয়েকটি মাত্র টিকিট বিক্রি হয়েছে। মানুষ আগেই ঢাকা ছাড়বে, তাই সিট খালি পড়ে থাকার আশঙ্কা আছে।
বাড়তি ভাড়া ও কালোবাজারির ব্যাপারে বাংলাদেশ বাস ট্রাক মালিক সমিতির চেয়ারম্যান এ এস এম আলী খবির চাঁন প্রথম আলোকে বলেন, বাড়তি ভাড়া কেউ নিচ্ছে না। তবে কাউন্টারের বাইরে বেশি দামে টিকিট বিক্রির সময় এক ব্যক্তিকে হাতেনাতে ধরে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা প্রতিহত করার জন্য তাঁরা সচেষ্ট থাকবেন।
এবারও বাসের ভাড়া বেশি নিচ্ছেন মালিকেরা। বছরের অন্য সময় ঢাকা-খুলনা রুটে শীতাতপ বাসের ভাড়া ৯০০ টাকা, এখন নেওয়া হচ্ছে এক হাজার ১০০ টাকা। সাধারণ বাসের ভাড়া ৪৭০ থেকে ৫০০ টাকা, এখন নেওয়া হচ্ছে ৬০০ টাকা। বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী রুটেও। লালমনিরহাটের ভাড়া ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা। ঈদ উপলক্ষে নেওয়া হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা। নীলফামারীর ভাড়া ৭০০ টাকা, ছিল ৬০০ টাকা।
বাড়তি ভাড়ার ব্যাপারে সোহাগ পরিবহনের গাবতলী কাউন্টার ব্যবস্থাপক মাইন উদ্দিন বলেন, ঈদের দিনগুলোতে ঢাকায় ফেরার সময় যাত্রী পাওয়া যাবে না, প্রতিটি বাস খালি আসবে। তাই যাওয়ার টিকিটের দাম কিছুটা বেশি রাখা হচ্ছে।
কল্যাণপুরে বিভিন্ন বাস কাউন্টারে চার বন্ধু দিনাজপুর যাওয়ার টিকিট খুঁজছিলেন। এঁদের একজন রুদ্র সাহা বলেন, ‘১৪ বা ১৫ তারিখের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। শুনছি, টিকিট নাকি কালোবাজারিদের হাতে। বেশি টাকা দিলে পাওয়া যাচ্ছে।’
কাউন্টারে না পেলেও এর আশপাশে বেশি টাকায় টিকিট মিলছে। গতকাল শনিবার এই প্রতিবেদক হানিফ কাউন্টারে ১৪ আগস্টের রংপুরের টিকিট পাননি। কাউন্টারের পাশে থাকা কয়েকজন ব্যক্তি প্রতিবেদকের কাছে গন্তব্য জানতে চান। একজন জানতে চান টিকিটের সংখ্যা। একটি টিকিটের দাম জানতে চাইলে একজন বলেন, এক হাজার টাকা।
হানিফ পরিবহনের মহাব্যবস্থাপক আবদুস সামাদ প্রথম আলোকে জানান, কালোবাজারে টিকিট বিক্রির অভিযোগ সত্য নয়। বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত দামে টিকিট বিক্রি হচ্ছে।
দেখা গেছে, ১৭ ও ১৮ তারিখের টিকিটের চাহিদা তুলনামূলকভাবে কম। রংপুর, লালমনিরহাট ও বুড়িমারীগামী শুভ বসুন্ধরা বাসের ব্যবস্থাপক রফিক মিয়া বলেন, ১৭ ও ১৬ তারিখের কয়েকটি মাত্র টিকিট বিক্রি হয়েছে। মানুষ আগেই ঢাকা ছাড়বে, তাই সিট খালি পড়ে থাকার আশঙ্কা আছে।
বাড়তি ভাড়া ও কালোবাজারির ব্যাপারে বাংলাদেশ বাস ট্রাক মালিক সমিতির চেয়ারম্যান এ এস এম আলী খবির চাঁন প্রথম আলোকে বলেন, বাড়তি ভাড়া কেউ নিচ্ছে না। তবে কাউন্টারের বাইরে বেশি দামে টিকিট বিক্রির সময় এক ব্যক্তিকে হাতেনাতে ধরে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা প্রতিহত করার জন্য তাঁরা সচেষ্ট থাকবেন।
No comments