অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কেনাকাটার নামে কলেজের অর্থ আত্মসাৎ এবং শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত বছর কলেজ চত্বরে মাটি ভরাটের জন্য অধ্যক্ষ সত্যেন্দ্রনাথ প্রামাণিক ১৯ এপ্রিল সান্তাহার সোনালী ব্যাংক থেকে ২৯


হাজার ৭৩৮ টাকা এবং খেলার সামগ্রী, অফিসকক্ষের আসবাব কেনার জন্য ৩৩ হাজার ৫১০ টাকা তোলেন। ২৫ এপ্রিল শিক্ষার উপকরণ ও রাসায়নিক দ্রব্য কেনার জন্য ৫৭ হাজার ৪৪৮ টাকা উত্তোলন করেন। এই টাকা নামমাত্র খরচ করে বেশির ভাগ আত্মসাৎ করা হয়েছে।
কলেজের অধ্যক্ষ সত্যেন্দ্রনাথ প্রামাণিক বলেন, ‘কলেজে অনার্স কোর্স খোলার জন্য ঘুষের টাকার প্রয়োজন হওয়ায় কলেজের বার্ষিক উন্নয়ন তহবিল থেকে ৩০ হাজার টাকা সরিয়ে রেখেছিলাম। কিন্তু সরকারি দলের কিছু ছাত্রনেতা আমার কাছ থেকে ওই টাকা জোর করে নিয়ে গেছে। এ কারণে ঘুষ দিতে না পারায় কলেজে আর অনার্স কোর্স খোলা সম্ভব হয়নি।’
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে, একাদশ ও স্নাতক শ্রেণীতে ভর্তি ও ফরম পূরণের সময় অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে। গত বছর একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি রসিদে অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা বাবদ ৩০০ টাকা করে নেওয়া হলেও এবার নেওয়া হয়েছে ৯০০ টাকা। এ ছাড়া ছাত্র সংসদ না থাকলেও ২৫ টাকা ছাত্র সংসদ ফি নেওয়া হচ্ছে। অপর দিকে কর্মচারী ফি ৩০০ টাকা, পরিবহন ৫০ টাকা, কলেজ উন্নয়ন ফি ২০০ টাকাসহ বিভিন্ন খাতে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে।
একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী শাহানাজ পারভীন জানায়, ভর্তির সময় তার ভর্তি রসিদে দুই হাজার ৪৫০ টাকা লেখা হলেও কী খাতে এই টাকা নেওয়া হচ্ছে তার কোনো উল্লেখ নেই। অভিভাবক মালা বেগম জানান, গত বছর মানবিক বিভাগে ভর্তি বাবদ এক হাজার ৪৬৫ টাকা নেওয়া হয়েছে কিন্তু এ বছর নেওয়া হচ্ছে দুই হাজার ৪৫০ টাকা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোল্লা মিজানুর রহমান বলেন, এসব অনিয়মের ব্যাপারে জেলা প্রশাসককে জানানো হবে।

No comments

Powered by Blogger.