সরকার সবৰেত্রেই ব্যর্থ হয়েছে দাবি দেলোয়ারের
গত এক বছরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার একটা সফলতাও অর্জন করতে পারেনি। সরকার সব ৰেত্রেই ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করছে সংসদের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। সরকারের ব্যর্থতার নজির হিসাবে সংসদকে কার্যকর করতে না পারার উদ্ধৃতি দিয়ে দলের মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন বলেন, গত এক বছরে
বিরোধী দলের নেতাকর্মীর বিরম্নদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি, বিচার বহিভর্ূত হত্যাকা-, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাণিজ্য হয়েছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মহাজোট সরকার সাধারণ মানুষকে ১০ টাকা সের দরে চাল, বিনামূল্যে সার, ঘরে ঘরে চাকরির নির্বাচনী ওয়াদা রাখতে পারেনি।
বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ৯ দিনের কর্মসূচী পালনের সিদ্ধানত্ম হয়। সভা শেষে ব্রিফিংয়ে দলের মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন কর্মসূচী যথাযথভাবে সফল করতে দলের নেতাকর্মীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে কর্মসূচী ঘোষণা করেন। ১১ জানুয়ারি কতিপয় সামরিক কর্মকর্তার সহযোগিতায় অবৈধভাবে জরম্নরী অবস্থা জারি করা হয়। দেশবাসী ও বিএনপি ওইদিন ১১ জানুয়ারি কালো দিবস হিসাবে পালন করবে। ওই দিবসের দিন সকাল ১০টায় জিয়ার মাজার জিয়ারত, সারাদেশে দলীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারণ, বেলা ৩টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আলোচনা সভা, ১২ জানুয়ারি বেলা ৩টায় নয়াপল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ, ১৯ জানুয়ারি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৭৪তম জন্মদিন উপলৰে ৬ দিনের কর্মসূচী গ্রহণ করেছে বিএনপি। কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে ১৮ জানুয়ারি জিয়া পরিষদের উদ্যোগে আলোচনা সভা, ১৯ জানুয়ারি ভোরে সারাদেশে বিএনপি কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ১০টায় জিয়ার মাজার জিয়ারত, রক্তদান কর্মসূচী, বেলা ৩টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল, ২০ জানুয়ারি ছাত্রদলের উদ্যোগে আলোচনা সভা, ২১ জানুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা দল, ২২ জানুয়ারি স্বেচ্ছাসেবক দলের র্যালি, ২৩ জানুয়ারি মহিলা দল ও ২৪ জানুয়ারি যুবদলের আলোচনা সভা। ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি তৎকালীন সরকার বাকশাল গঠন করে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে এই অভিযোগে বিএনপি এই দিনটিকে গণতন্ত্র হত্যা দিবস হিসাবে পালন করবে।
উলেস্নখ্য, গত বছরের ৬ জানুয়ারি মহাজোট সরকার গঠন করে। সভায় সরকারের এক বছরে সফলতা ও ব্যর্থতা নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেন বিএনপি নেতারা। উপস্থিত নেতারা সরকারের বিরম্নদ্ধে আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষণার দাবি করলে মহাসচিব আগে দলের সাংগঠনিক ভিত মজবুত করতে নেতাকর্মীর প্রতি আহ্বান জানান। এখনই আন্দোলনের কর্মসূচী নয়, তারা সরকারকে আরও কিছুদিন সময় দিতে চায় বলে বিএনপির বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, মির্জা আব্বাস, সহ-সভাপতি বেগম সেলিমা রহমান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সদস্য হারম্নন আল রশিদ, শামসুজ্জামান দুদু, ডা. এবিএম জাহিদ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরম্নল ইসলাম আলমগীর, বিরোধী দলের চীফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারম্নক, সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াছ আলী, কোষাধ্যৰ আব্দুল মান্নান, সহ-প্রচার সম্পাদক শফি বিক্রমপুরী, শিৰা বিষয়ক সম্পাদক খায়রম্নল কবির খোকন, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি এমপি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যৰ সোহরাব উদ্দীন আহমেদ, মহানগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা শিরিন সুলতানা, ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ আব্দুল মালেক প্রমুখ।
বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন বলেন, সরকারী দল সংসদকে কার্যকর করার পরিবর্তে বিরোধী দলের সদস্যদের চরিত্র হননের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে। এজন্যই বিরোধী দলের সদস্যরা সংসদে যেতে পারছেন না। সরকারকে আগে পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে, তবেই বিরোধী দল সংসদে ফিরে যাবে। নবম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের পর থেকে প্রথম সারিতে বিরোধী দলের সদস্যদের আসন বাড়ানোর দাবিতে বিরোধী দল সংসদ বর্জন করে আসছে। এখন আসনের বাড়ানোর পাশাপাশি ১০ দফা দাবি দিয়েছে বিএনপি। সকল দাবি পূরণের আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ৰমতার অপব্যবহার করে নিজেদের দলীয় নেতাকর্মীর নামের মামলাগুলো প্রত্যাহার করে নিয়েছে। অথচ বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরম্নদ্ধে নতুন করে মামলা ও পুরনো মামলার অভিযোগপত্র দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, গত এক বছরে ২২৪ জন মানুষকে বিচার বহিভর্ূতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সরকারের নিয়ন্ত্রণে বিডিআর সদস্যরা মারা গেছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, ক্রসফায়ারে মানুষ মারা যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত সারাদেশে জমি দখল, চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি চলছে। যার কারণে সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ৯ দিনের কর্মসূচী পালনের সিদ্ধানত্ম হয়। সভা শেষে ব্রিফিংয়ে দলের মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন কর্মসূচী যথাযথভাবে সফল করতে দলের নেতাকর্মীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে কর্মসূচী ঘোষণা করেন। ১১ জানুয়ারি কতিপয় সামরিক কর্মকর্তার সহযোগিতায় অবৈধভাবে জরম্নরী অবস্থা জারি করা হয়। দেশবাসী ও বিএনপি ওইদিন ১১ জানুয়ারি কালো দিবস হিসাবে পালন করবে। ওই দিবসের দিন সকাল ১০টায় জিয়ার মাজার জিয়ারত, সারাদেশে দলীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারণ, বেলা ৩টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আলোচনা সভা, ১২ জানুয়ারি বেলা ৩টায় নয়াপল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ, ১৯ জানুয়ারি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৭৪তম জন্মদিন উপলৰে ৬ দিনের কর্মসূচী গ্রহণ করেছে বিএনপি। কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে ১৮ জানুয়ারি জিয়া পরিষদের উদ্যোগে আলোচনা সভা, ১৯ জানুয়ারি ভোরে সারাদেশে বিএনপি কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ১০টায় জিয়ার মাজার জিয়ারত, রক্তদান কর্মসূচী, বেলা ৩টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল, ২০ জানুয়ারি ছাত্রদলের উদ্যোগে আলোচনা সভা, ২১ জানুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা দল, ২২ জানুয়ারি স্বেচ্ছাসেবক দলের র্যালি, ২৩ জানুয়ারি মহিলা দল ও ২৪ জানুয়ারি যুবদলের আলোচনা সভা। ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি তৎকালীন সরকার বাকশাল গঠন করে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে এই অভিযোগে বিএনপি এই দিনটিকে গণতন্ত্র হত্যা দিবস হিসাবে পালন করবে।
উলেস্নখ্য, গত বছরের ৬ জানুয়ারি মহাজোট সরকার গঠন করে। সভায় সরকারের এক বছরে সফলতা ও ব্যর্থতা নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেন বিএনপি নেতারা। উপস্থিত নেতারা সরকারের বিরম্নদ্ধে আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষণার দাবি করলে মহাসচিব আগে দলের সাংগঠনিক ভিত মজবুত করতে নেতাকর্মীর প্রতি আহ্বান জানান। এখনই আন্দোলনের কর্মসূচী নয়, তারা সরকারকে আরও কিছুদিন সময় দিতে চায় বলে বিএনপির বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, মির্জা আব্বাস, সহ-সভাপতি বেগম সেলিমা রহমান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সদস্য হারম্নন আল রশিদ, শামসুজ্জামান দুদু, ডা. এবিএম জাহিদ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরম্নল ইসলাম আলমগীর, বিরোধী দলের চীফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারম্নক, সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াছ আলী, কোষাধ্যৰ আব্দুল মান্নান, সহ-প্রচার সম্পাদক শফি বিক্রমপুরী, শিৰা বিষয়ক সম্পাদক খায়রম্নল কবির খোকন, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি এমপি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যৰ সোহরাব উদ্দীন আহমেদ, মহানগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা শিরিন সুলতানা, ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ আব্দুল মালেক প্রমুখ।
বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন বলেন, সরকারী দল সংসদকে কার্যকর করার পরিবর্তে বিরোধী দলের সদস্যদের চরিত্র হননের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে। এজন্যই বিরোধী দলের সদস্যরা সংসদে যেতে পারছেন না। সরকারকে আগে পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে, তবেই বিরোধী দল সংসদে ফিরে যাবে। নবম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের পর থেকে প্রথম সারিতে বিরোধী দলের সদস্যদের আসন বাড়ানোর দাবিতে বিরোধী দল সংসদ বর্জন করে আসছে। এখন আসনের বাড়ানোর পাশাপাশি ১০ দফা দাবি দিয়েছে বিএনপি। সকল দাবি পূরণের আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ৰমতার অপব্যবহার করে নিজেদের দলীয় নেতাকর্মীর নামের মামলাগুলো প্রত্যাহার করে নিয়েছে। অথচ বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরম্নদ্ধে নতুন করে মামলা ও পুরনো মামলার অভিযোগপত্র দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, গত এক বছরে ২২৪ জন মানুষকে বিচার বহিভর্ূতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সরকারের নিয়ন্ত্রণে বিডিআর সদস্যরা মারা গেছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, ক্রসফায়ারে মানুষ মারা যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত সারাদেশে জমি দখল, চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি চলছে। যার কারণে সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
No comments