উল্টো পথে চলা, লক্কড় মার্কা গাড়ি, টাকা দিলেই লাইসেন্স!- বেপরোয়া চলাচল শেষ- ঢাকার পরিবহন ব্যবস্থা উদ্ধার কোন্ পথে? by রাজন ভট্টাচার্য
রাজধানীতে চালকরা ইচ্ছা করলেই উল্টো পথে গাড়ি চালাতে পারেন। বাস-মিনিবাস, প্রাইভেট কার, বাইক কিংবা অটোরিক্সা থেকে শুরু করে হিউম্যান হলার পর্যন্ত সব ধরনের পরিবহন চালকরা এমন স্বাধীনতায় বিশ্বাসী! তাছাড়া দেদার চলছে লক্কড় ঝক্কড় গাড়ি।
বেপরোয়া টান। ফাঁকা রাস্তায় ঘটছে অহরহ সড়ক দুর্ঘটনা। মরছে মানুষ। আহত হচ্ছে অনেকে। এতে হতবাক হওয়ার কারণ নেই। ঢাকাবাসীর জন্য বিষয়টি এখন গা-সওয়ার মতো। রাস্তায় বের হলেও চালকদের আইন ভঙ্গের প্রবণতা যা বলে শেষ করা যাবে না। কিন্তু রাজধানী শহর বলে কথা। এখানে পরিবহন সেক্টরে এমন বাস্তবতা কেন? স্বাভাবিক কারণেই এ প্রশ্ন উঠতে পারে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, টাকা হলেই এই শহরে বৈধ-অবৈধ সব ধরনের লাইসেন্স মেলে। হত্যা মামলার আসামি থেকে শুরু করে শারীরিক প্রতিবন্ধীরাও লাইসেন্স পাচ্ছে। বাদ যাচ্ছে না শিশুকিশোররাও। মহানগরীতে ৩০ ভাগ সড়ক প্রয়োজন। আছে সাত ভাগ। এর মধ্যে যান্ত্রিক পরিবহনের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে ছয় লাখ ৪৩ হাজার ৩টি। রিক্সাসহ অযান্ত্রিক পরিবহন আছে প্রায় আট লাখ। বৈধ চালকের সংখ্যা মাত্র ৬১ ভাগ। এক লাখের বেশি অবৈধ চালক দাবড়ে বেড়াচ্ছে গোটা রাজধানী। দুর্বল আইনের কারণে দুর্ঘটনায় কেউ মারা গেলে চালকদের এই অপরাধ জামিনযোগ্য। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ছেড়ে দিতে হয় দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি। তাছাড়া ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করলে জরিমানা ছাড়া কঠোর শাস্তির কোন বিধান নেই। পরিবহন আইনে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা জরিমানা ও এক মাসের জেল সর্বোচ্চ শাস্তি।
পরিবহন নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বিআরটিএর জনবল নেই। অর্থাৎ কাগুজে বাঘে পরিণত হয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটি। ঢাকা মহানগর ট্রাফিক পুলিশে জনবল মাত্র তিন হাজার ৩৫৮জন। আইন ভঙ্গের দায়ে প্রতিদিন হাজারো পরিবহনের বিরুদ্ধে মামলা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবু প্রতিকার মিলছে না। বাস্তবতা হলো পুলিশসহ বিআরটিএ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে অনিয়ম-দুর্নীতির হাজারো অভিযোগ। সবচেয়ে বড় কথা হলো পরিবহন ব্যবসায়ীদের বেশিরভাগই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। পরিবহন পরিচালনার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব সবচেয়ে বেশি। কিভাবে পরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভবÑ এ প্রশ্ন এখন সবার।
সমস্যা থেকে উত্তরণের উপায় আসলে কী? পরিবহন বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সেক্টরের বিভিন্ন প্রতিনিধির কাছে জনকণ্ঠের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন ছিল। জনস্বার্থে জবাবও দিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, রাজনৈতিক বিবেচনা বাদ দিয়ে কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে। অপরাধ করলেই চালকদের আনতে হবে আইনের আওতায়। এমনকি পরিবহন মালিকদেরও শাস্তির বিধান নিশ্চিত করতে হবে। পরীক্ষা-নিরিীক্ষা করে যোগ্য চালকদের দিতে হবে সনদ। রাজধানীতে বাড়াতে হবে গণপরিবহনের সংখ্যা। বিআরটিএ’কে শক্তিশালী করার বিকল্প নেই বলেও মনে করেন তাঁরা।
পরিবহন পরিসংখ্যান
রাজধানীতে যান্ত্রিক পরিবহনের সংখ্যা ছয় লাখ ৪৩ হাজার তিনটি। এর মধ্যে ২০ বছরের পুরনো বাস, মিনিবাস ও ট্রাকের সংখ্যা ১৩ হাজার ৭৭৮। ফিটনেসবিহীন গাড়ি ৮০ হাজার ৬১৫। ২৫ বছরের বেশি পুরনো ট্রাকের সংখ্যা আট হাজার ১২৫, এক হাজার ৮৪২টি ভ্যান। ২০ বছরের বেশি পুরনো রয়েছে এক হাজার ৪৪৬টি বড় বাস, দুই হাজার ৩৬৫টি মিনিবাস।
রাজধানীতে মোট পরিবহনের মধ্যে মোটর কারের সংখ্যা এক লাখ ৭৪ হাজার ১১২টি, জিপ, ওয়াগনসহ মাইক্রোবাসের সংখ্যা ৬৮ হাজার ৩০২টি, ট্যাক্সি ১০ হাজার ৬৮২, বাস নয় হাজার ৯১১, মিনিবাস আট হাজার ৫১৫, ট্রাক ৩৯ হাজার ৯২২, অটোরিক্সা-অটোটেম্পো ১৬ হাজার ৯৫৮, মোটরসাইকেল দুই লাখ ৬৮ হাজার ২৯৫ ও অন্যান্য পরিবহনের সংখ্যা ৪৯ হাজার ২৯৬টি। এর মধ্যে খোদ রাজধানীতেই এখন এক লাখের বেশি অবৈধ চালক রয়েছে। এর মধ্যে একটি বড় অংশ মোটরসাইকেল চালক, যারা লাইসেন্স ছাড়াই দিনের পর দিন গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছে।
৬১ ভাগ চালকের বৈধ লাইসেন্স নেই
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ঢাকাসহ দেশের ৬১ ভাগ চালক বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই গাড়ি চালাচ্ছেন। এ কারণে বাড়ছে দুর্ঘটনার মাত্রা। সরকারী গবেষণায় বলা হচ্ছে, জাল, ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স, অদক্ষ গাড়ি চালক, ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন, সড়ক নিরাপত্তার অভাব, সড়ক নির্মাণে ত্রুটি, মোটরযানের ত্রুটিসহ নানা কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। ১৯৮৩ সালের মোটরযান অধ্যাদেশ অনুযায়ী গাড়ি, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ ৭০ মাইল, মধ্যম আকারের কোস্টার ৩৫ মাইল, মালবাহী যানের ১০-৩৫ মাইল গতিসীমা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু গতিসীমা মানছে না কেউ।
নতুন যন্ত্রণা হিউম্যান হলার
সাম্প্রতিক রাজধানীতে হিউম্যান হলার চলাচলের জন্য অনুমতি দিয়েছে বিআরটিএ। দুই হাজার এই পরিবহন চলছে বিভিন্ন রুটে। এর মধ্যে লক্কর ঝক্কর পরিবহনের সংখ্যা বেশি। তেমনি এই পরিবহনের চালকরা অপ্রাপ্ত বয়স্ক। বেশিরভাগ চালকের কোন সনদ নেই। মহাখালী থেকে গাবতলী, গুলিস্তান-মাদারটেক, মালিবাগ-মুগদা, সদরঘাট থেকে শনিরআখড়া, ফার্মগেট-মহাখালী, গ্রীন রোড থেকে ধানমন্ডি, খামারবাড়ি থেকে ক্যান্টনমেন্ট, খামারবাড়ি থেকে মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন সড়কে চলছে এই পরিবহন।
আনফিট পরিবহন ফিটনেস পাচ্ছে
পরিবহনের ফিটনেস সার্টিফিকেট দেয়ার দায়িত্ব বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ)। জানালা ভাঙ্গা, সামনের গ্লাট ফাঁটা, লুকিং গ্লাস নেই, নেই বাম্পার। ধাক্কা দেয়া ছাড়া ইঞ্জিন চালু হয় না। তবু ফিটনেস সনদ দেয়া হচ্ছে বিআরটিএ থেকে। পরিবহন চালকসহ মালিকরা জানিয়েছেন, টাকা হলেই বিআরটিএ থেকে যে কোন কাজ করিয়ে নেয়া সম্ভব। ভাঙ্গা গাড়ি ফিটনেস সার্টিফিকেট নিয়ে চললে অনেক সময় পুলিশ কিংবা বিশেষ কোন অভিযানে এসব গাড়ি আটকানো সম্ভব হয় না।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, টাকা হলেই এই শহরে বৈধ-অবৈধ সব ধরনের লাইসেন্স মেলে। হত্যা মামলার আসামি থেকে শুরু করে শারীরিক প্রতিবন্ধীরাও লাইসেন্স পাচ্ছে। বাদ যাচ্ছে না শিশুকিশোররাও। মহানগরীতে ৩০ ভাগ সড়ক প্রয়োজন। আছে সাত ভাগ। এর মধ্যে যান্ত্রিক পরিবহনের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে ছয় লাখ ৪৩ হাজার ৩টি। রিক্সাসহ অযান্ত্রিক পরিবহন আছে প্রায় আট লাখ। বৈধ চালকের সংখ্যা মাত্র ৬১ ভাগ। এক লাখের বেশি অবৈধ চালক দাবড়ে বেড়াচ্ছে গোটা রাজধানী। দুর্বল আইনের কারণে দুর্ঘটনায় কেউ মারা গেলে চালকদের এই অপরাধ জামিনযোগ্য। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ছেড়ে দিতে হয় দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি। তাছাড়া ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করলে জরিমানা ছাড়া কঠোর শাস্তির কোন বিধান নেই। পরিবহন আইনে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা জরিমানা ও এক মাসের জেল সর্বোচ্চ শাস্তি।
পরিবহন নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বিআরটিএর জনবল নেই। অর্থাৎ কাগুজে বাঘে পরিণত হয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটি। ঢাকা মহানগর ট্রাফিক পুলিশে জনবল মাত্র তিন হাজার ৩৫৮জন। আইন ভঙ্গের দায়ে প্রতিদিন হাজারো পরিবহনের বিরুদ্ধে মামলা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবু প্রতিকার মিলছে না। বাস্তবতা হলো পুলিশসহ বিআরটিএ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে অনিয়ম-দুর্নীতির হাজারো অভিযোগ। সবচেয়ে বড় কথা হলো পরিবহন ব্যবসায়ীদের বেশিরভাগই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। পরিবহন পরিচালনার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব সবচেয়ে বেশি। কিভাবে পরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভবÑ এ প্রশ্ন এখন সবার।
সমস্যা থেকে উত্তরণের উপায় আসলে কী? পরিবহন বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সেক্টরের বিভিন্ন প্রতিনিধির কাছে জনকণ্ঠের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন ছিল। জনস্বার্থে জবাবও দিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, রাজনৈতিক বিবেচনা বাদ দিয়ে কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে। অপরাধ করলেই চালকদের আনতে হবে আইনের আওতায়। এমনকি পরিবহন মালিকদেরও শাস্তির বিধান নিশ্চিত করতে হবে। পরীক্ষা-নিরিীক্ষা করে যোগ্য চালকদের দিতে হবে সনদ। রাজধানীতে বাড়াতে হবে গণপরিবহনের সংখ্যা। বিআরটিএ’কে শক্তিশালী করার বিকল্প নেই বলেও মনে করেন তাঁরা।
পরিবহন পরিসংখ্যান
রাজধানীতে যান্ত্রিক পরিবহনের সংখ্যা ছয় লাখ ৪৩ হাজার তিনটি। এর মধ্যে ২০ বছরের পুরনো বাস, মিনিবাস ও ট্রাকের সংখ্যা ১৩ হাজার ৭৭৮। ফিটনেসবিহীন গাড়ি ৮০ হাজার ৬১৫। ২৫ বছরের বেশি পুরনো ট্রাকের সংখ্যা আট হাজার ১২৫, এক হাজার ৮৪২টি ভ্যান। ২০ বছরের বেশি পুরনো রয়েছে এক হাজার ৪৪৬টি বড় বাস, দুই হাজার ৩৬৫টি মিনিবাস।
রাজধানীতে মোট পরিবহনের মধ্যে মোটর কারের সংখ্যা এক লাখ ৭৪ হাজার ১১২টি, জিপ, ওয়াগনসহ মাইক্রোবাসের সংখ্যা ৬৮ হাজার ৩০২টি, ট্যাক্সি ১০ হাজার ৬৮২, বাস নয় হাজার ৯১১, মিনিবাস আট হাজার ৫১৫, ট্রাক ৩৯ হাজার ৯২২, অটোরিক্সা-অটোটেম্পো ১৬ হাজার ৯৫৮, মোটরসাইকেল দুই লাখ ৬৮ হাজার ২৯৫ ও অন্যান্য পরিবহনের সংখ্যা ৪৯ হাজার ২৯৬টি। এর মধ্যে খোদ রাজধানীতেই এখন এক লাখের বেশি অবৈধ চালক রয়েছে। এর মধ্যে একটি বড় অংশ মোটরসাইকেল চালক, যারা লাইসেন্স ছাড়াই দিনের পর দিন গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছে।
৬১ ভাগ চালকের বৈধ লাইসেন্স নেই
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ঢাকাসহ দেশের ৬১ ভাগ চালক বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই গাড়ি চালাচ্ছেন। এ কারণে বাড়ছে দুর্ঘটনার মাত্রা। সরকারী গবেষণায় বলা হচ্ছে, জাল, ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স, অদক্ষ গাড়ি চালক, ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন, সড়ক নিরাপত্তার অভাব, সড়ক নির্মাণে ত্রুটি, মোটরযানের ত্রুটিসহ নানা কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। ১৯৮৩ সালের মোটরযান অধ্যাদেশ অনুযায়ী গাড়ি, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ ৭০ মাইল, মধ্যম আকারের কোস্টার ৩৫ মাইল, মালবাহী যানের ১০-৩৫ মাইল গতিসীমা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু গতিসীমা মানছে না কেউ।
নতুন যন্ত্রণা হিউম্যান হলার
সাম্প্রতিক রাজধানীতে হিউম্যান হলার চলাচলের জন্য অনুমতি দিয়েছে বিআরটিএ। দুই হাজার এই পরিবহন চলছে বিভিন্ন রুটে। এর মধ্যে লক্কর ঝক্কর পরিবহনের সংখ্যা বেশি। তেমনি এই পরিবহনের চালকরা অপ্রাপ্ত বয়স্ক। বেশিরভাগ চালকের কোন সনদ নেই। মহাখালী থেকে গাবতলী, গুলিস্তান-মাদারটেক, মালিবাগ-মুগদা, সদরঘাট থেকে শনিরআখড়া, ফার্মগেট-মহাখালী, গ্রীন রোড থেকে ধানমন্ডি, খামারবাড়ি থেকে ক্যান্টনমেন্ট, খামারবাড়ি থেকে মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন সড়কে চলছে এই পরিবহন।
আনফিট পরিবহন ফিটনেস পাচ্ছে
পরিবহনের ফিটনেস সার্টিফিকেট দেয়ার দায়িত্ব বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ)। জানালা ভাঙ্গা, সামনের গ্লাট ফাঁটা, লুকিং গ্লাস নেই, নেই বাম্পার। ধাক্কা দেয়া ছাড়া ইঞ্জিন চালু হয় না। তবু ফিটনেস সনদ দেয়া হচ্ছে বিআরটিএ থেকে। পরিবহন চালকসহ মালিকরা জানিয়েছেন, টাকা হলেই বিআরটিএ থেকে যে কোন কাজ করিয়ে নেয়া সম্ভব। ভাঙ্গা গাড়ি ফিটনেস সার্টিফিকেট নিয়ে চললে অনেক সময় পুলিশ কিংবা বিশেষ কোন অভিযানে এসব গাড়ি আটকানো সম্ভব হয় না।
No comments